নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষায় আবেগ বা ইমোশন ও প্রেষণা বা মোটিভেশন এর গুরুত্ব

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫


একজন শিক্ষার্থীর সবচাইতে বেশি যা দরকার বলে আমি মনে করি তা হলো আবেগ এবং প্রেষণা ।
আবেগ না থাকলে কোনক্রমেই পড়ার প্রতি গুরুত্ব অনুভূত হতে পারে না এবং নিজেকে সংশোধন করার বা সেলফ মোটিভেশন তৈরির কাজটি করা সম্ভব নয় ।

আগে স্কুল কলেজে পড়ার সময় যখন দেখতাম অনেক শিক্ষার্থী বিশেষত মেয়েরা কোন উত্তর না পারলে বা ভুল উত্তর দিলে বাইরে বের হয়ে কাঁদতো অনেক তখন খুব হাসাহাসি করতাম এসব নিয়ে । এক্সাম তো যা দেয়ার দিয়েছিই এখন আর এটা নিয়ে কাঁদার কি আছে । আসলে ব্যাপারটা এখন উপলদ্ধি করতে পারি যদিও কাঁদাটা একটি ইমোশনের বহিঃপ্রকাশ কিন্তু এটি নিরর্থক নয় কোনভাবেই । যে কাঁদে এক্সাম দিয়ে তার অর্থ হলো সে উপলদ্ধি করতে পারছে যে তার প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিলো বা সে পড়াশোনায় ঢিলেমি দিয়েছে এখন সে এজন্য উত্তর দিতে পারছে না যার কারণে সে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে পারে বা খারাপ ফলাফল করতে পারে । এই জিনিসটা উপলদ্ধি হওয়াটা যে কতোটা জরুরি সেটা বুঝি এখন । হয়ত কান্না কোন সমাধান দেবে না কিন্তু এই অনুভূতিটা যার ভিতরে হয় যে আমি তো পরীক্ষা ভালো দিই নি সেটাই তো গুরুত্বপূর্ণ । একজন লোক যদি নাই বোঝে তার ক্ষতি হলো কোন কারণে তাহলে সে নিজেকে শোধরাবে কি করে !!!

আরেকটা ব্যাপার হলো পরীক্ষা শেষে বের হয়ে এনসার চেক করা । এটা নিয়েও হাসি তামাশা করি বা করতাম খুব । কিন্তু এটিও এক হিসেবে ইম্পরট্যান্ট । ওই মিলানোর উসিলায় হলেও কিন্তু ওই তথ্যটা আমাদের জানা হয়ে যাচ্ছে বা রিভাইস দেয়া হয়ে যাচ্ছে যদিও পরীক্ষার পরে না পারা জিনিস জেনে এক্সামের কোন লাভ ক্ষতি হবে না তবুও তথ্যটা তো জানা হলো বা কনফিউজড থেকে নিশ্চিত হওয়া গেলো একটি তথ্যের ব্যাপারে । এটিই বা কম কিসে । তবে খাজনার চেয়ে আবার যাতে বাজনা বেশি না হয়ে যায় সেটাও খেয়াল রাখা দরকার । গত পরীক্ষা নিয়ে টেনশন করে সামনের গুলোতে খারাপ করার কোন মানেই হয় না । কাজেই শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনার প্রতি আবেগ জন্মানোর চেষ্টা করা যেতে পারে ।


দ্বিতীয় ব্যাপারটা হলো মোটিভেশন । সবাই কম বেশি সব পারে তবে এই পারাটাকে দ্রুত করতে মোটিভেশন এর বিকল্প নেই । একজন শিক্ষার্থী ভুল করবে এখন তাকে যদি এর জন্য নিরাশ করে দেয়া হয় তবে তো সে আরো পিছিয়ে পড়বে । এইসব ক্ষেত্রে ভুলটাকে দূরে রেখে তার আগ্রহটাকে প্রশংসিত করে যদি তাকে প্রেষণা দেওয়া হয় তবেই তো সে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস পাবে এবং পরবর্তীতে ভালো করার চেষ্টা করবে । আবার এমন কথা বলা যাবে না যেটা তেল মাখানো বা অতিরঞ্জন এর পর্যায়ে চলে যায় । যেমন কোন শিক্ষার্থী যদি ধরা যাক একটি লগারিদমের গাণিতিক সমস্যা সমাধানে ভুল করলো এখন তার শিক্ষক বা ক্লাসমেটরা যদি বলে তুই তো শেষ , তোকে দিয়ে কিছুই হবে না তখন সে মানসিক ভাবে আরো ভেঙে পড়বে যার ফলশ্রুতিতে তার পড়াশোনা আরো বাধাপ্রাপ্ত হবে কিন্তু যদি বলা হয় , না খুব কাছাকাছি গিয়েছিলে , আরেকটু হলেই হয়ে যাবে , এইতো তুমি পারছো আরো একটু চেষ্টা করতে হবে এই যা , তাহলে সে কিছুটা হলেও কনফিডেন্ট হবে এবং এটিই তাকে নিজেকে আরো ভালো করতে সহায়তা করবে । আবার যদি তেল মেরে এটা বলা হয় , ওয়াও তুমিই তো ফাটিয়ে দিয়েছো , গণিতের মাস্টার হয়ে যাচ্ছ প্রায় তখন সে বেশি আত্মতুষ্টিতে ভুগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে ।

তাই পড়াশোনায় উপযুক্ত মাত্রায় মোটিভেশন অত্যাবশ্যক ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সহপাঠী, অভিভাবক সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রসায়ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.