নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্বর কেন হয় ?
আমাদের শরীরে যখন কোন জীবাণু প্রবেশ করে তখন এন্টিবডি সেটিকে ধ্বংস করে দেয় । যখন জীবাণুর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন এন্টিবডি কুলিয়ে উঠতে পারে না। তখন দেহের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত এরিয়া থেকে মস্তিষ্কের ভিতর সিগন্যাল যায় যে, পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল !
এরকম জরুরি তথ্য পাওয়ার পর ব্রেনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী অংশ হাইপোথ্যালামাস অর্থাৎ শরীরের তাপ যে অংশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় সেখান থেকে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আদেশ দেহে পৌঁছে যায় । তাপমাত্রা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হচ্ছে যাতে দেহে বিদ্যমান জীবাণু এই তাপে মারা যায় আর বংশবৃদ্ধি করতে না পারে এবং এন্টিবডি আগত জীবাণুদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে ।
যখন পরিস্থিতি এন্টিবডি বা দেহের নিয়ন্ত্রণে আসে তখন হাইপোথ্যালামাস দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেয় ।
এজন্য জ্বর হলে সাথে একটা না একটা রোগের লিংক থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেমন, ফ্লু(ঠান্ডা লাগা) , ইনফেকশন , ম্যালেরিয়া ইত্যাদি ।
এখানে আরেকটি জিনিস উল্লেখ্য , দেহের তাপমাত্রা যে জ্বর হলেই বেড়ে যায় তা না ; দৌড়াদৌড়ি বা টানা পরিশ্রম করলে আবার মেয়েদের মেন্সট্রুয়াল সাইকেল চলার সময় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে এদেরকে জ্বর বা ফিভার নামে আখ্যায়িত করা হয় না ।
প্যারাসিটামল ?
এটা জ্বর কমানোর জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ । জ্বর হলে পাইরোজেন নামের একটি প্রোটিন তৈরি হয় যেটা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডানিন নামের একটি যৌগ সংশ্লেষে সাহায্য করে । এটির মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে তৈরি হয় । তো প্যারাসিটামল এন্টিপাইরেটিক হিসেবে কাজ করে
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডানিন এর সংশ্লেষণ কমায় ফলে দেহের তাপ কমে আসে । তার মানে প্যারাসিটামল হলো সাময়িক কষ্ট নিবারক যেরকম শরীরে ব্যাথা হলে আমরা মুভ(MOOV) বা এজাতীয় ক্রিম লাগাই ।এসব ব্যাথা উপশম করে তবে কারণ দূর করে না ।
এখন কথা হচ্ছে , জ্বর তো হচ্ছে ভালোর জন্যই এটাকে প্যারাসিটামল দিয়ে কমান কি ঠিক ?
এটা নিয়ে বিপুল গবেষণা হচ্ছে বিদেশে । তবে এটুকু নিশ্চিত আমাদের দেশের মতো জ্বর হলেই মুড়ির মতো প্যারাসিটামল খায় না মানুষ ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ জ্বর বা যেকোনো রোগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন । ক্ষুদ্র কোন অবহেলা যেমন আপনার ফিউচারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে একই ভাবে প্রাইমারি স্টেজে রোগ ধরা পড়লে ও তার চিকিৎসা করালে ভালোভাবে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি করে।
সবাই নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রসায়ন বলেছেন: এটা আবেগের কথা হয়ে গেল ।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪০
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ডাক্তার!!!!!!!!!""""""""!!!!!!!!!!!!"""""""!!!!!! ওরে বাবা, ছেড়ে দে মা কেদে বাচি।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রসায়ন বলেছেন:
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২৬
সিসৃক্ষু বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রসায়ন বলেছেন: ধইন্যা
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার গ্যাস্টিকের সমস্যা। আমি দোকান থেকে একেক সময় একেক টা গ্যাস্টিকের ওষুধ কিনে খাই।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
রসায়ন বলেছেন: এটা মোটেও উচিৎ না ।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
ক্স বলেছেন: শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে জীবাণু মারা যায়? কে বলল আপনাকে? কিছু কিছু জীবাণু আমাদের শরীরে আছে যা ফুটন্ত পানিতেও মরেনা - এগুলোর জন্য হাই ডোজের এন্টি বায়োটিক লাগে, যা হোয়াইট ব্লাড সেলের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে জীবাণুর কোষ ভেঙে তাকে বিনাশ করে ফেলে।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রসায়ন বলেছেন: ইন্টারনেটে ঘেটে দেখুন একটু । সব জীবাণু জ্বরেই মরে গেলে মানুষ তো এমনিতেই সুস্থ হয়ে যেতো। জ্বর হলো শরীরের পক্ষ থেকে রোগ সারাইয়ের একটা এফোর্ট মাত্র ।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জানা হলো। তবে ক্স-এর মন্তব্যের সাথে একমত।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
রসায়ন বলেছেন: আচ্ছা।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
হাঙ্গামা বলেছেন: আমি জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাই না। ডাক্তার দিলে ও খাই না। অপেক্ষা করি জ্বর কমার।
৩ দিন না কমলে তারপর ডাক্তার আর ওষুধ।
১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
রসায়ন বলেছেন: ভালো সিদ্ধান্ত ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মানুষ ডাক্তারদের জমের মত ভয় পায়। দু-চার দিনের সর্দি-জ্বরে ওদের কাছে কেউ যায় না। নাপা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।