নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা ও পৃথিবী কতো ছোট ?
বড় পোস্ট। সময় নিয়ে পড়ুন
বর্তমানে পৃথিবীতে জীবিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫০+ কোটি !!!
অনেক বেশি শোনালেও এই ৭৫০ কোটি লোক পাশাপাশি দাঁড়ালে ফিলিস্তিনের সমান আয়তন হবে । বাংলাদেশ এর সাথে যদি তুলনা করি তবে বর্তমান পৃথিবীতে সকল জীবিত মানুষ পাশাপাশি দাঁড়ালে সিলেট বিভাগের অর্ধেক পূরণ করতে পারবে ! কাঁধে কাঁধে দাঁড়ালে পৃথিবীর সব মানুষকে ১৩০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গায়ই আটানো যাবে !!!
এতো গেলো জীবিত মানুষ । ধরা যাক যত মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে সবাইকে নিয়ে হিসাব করি । এই পর্যন্ত এস্টিমেটেড জন্ম নেয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০৭ বিলিয়ন বা প্রায় দশ হাজার সাতশো কোটি লোক । এই সব মানুষকে পাশাপাশি দাঁড় করালে বাংলাদেশের ৫৫-৬০% ভূমি পূরণ করা যাবে মাত্র !!!
এতোই ছোট আমরা !!!
এবার দেখা যাক আমাদের পৃথিবীর কি অবস্থা !
পৃথিবী হলো সৌরজগতের মিডিয়াম সাইজের একটি গ্রহ । এটি সূর্যের চারিদিকে ঘন্টায় ১০৭০০০ কিমি (এক লক্ষ সাত হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা) গতিতে ঘুরছে । এই স্পিডে ঘুরেও একটি পূর্ন ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন বা একবছর লাগে । সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ জুপিটার বা বৃহস্পতি ।
বৃহস্পতি এতই বড় যে আমাদের নিকটবর্তী তারা প্রক্সিমা সেন্টাউরির থেকে কিঞ্চিৎ ছোট বৃহস্পতি । প্রায় ১৪০০ পৃথিবী বৃহস্পতির ভেতরে আঁটানো যাবে !
পৃথিবীর হোম স্টার হলো সূর্য । সূর্য এতোই বড় যে, এর ভিতর ১৩ লক্ষ পৃথিবী এঁটে যাবে !!! বৃহস্পতির সাথে তুলনা করলে ১০০০ বৃহস্পতি এঁটে যাবে সূর্যের ভেতর !
সূর্য হলো একটি তারা যেটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত । মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে মোট তারার সংখ্যা প্রায় ৩০০ বিলিয়ন !!! যা এর চেয়েও কয়েকশ বিলিয়ন বেশিও হতে পারে !!! আচ্ছা গ্যালাক্সি কি ওটা জেনে নেই। রাতের আকাশে তাকালে আমরা তারা দেখতে পাই । দিনের বেলাতে সূর্যের আলোর তীব্রতার কারণে মৃদু আলোর তারা দেখা যায় না । সে যাই হোক গ্রহ গুলো যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে তেমনি তারারাও দলগতভাবে(ক্লাস্টার) থাকে । এই তারার গুচ্ছ বা ক্লাস্টারকে হলে গ্যালাক্সি বা বাংলায় ছায়াপথ। সূর্য যে ছায়াপথে অবস্থিত তার নাম মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ।
তো এই যে এত এত তারা এরা পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ হয় না কেন সহসা ? কারণ হলো এগুলো একটার থেকে আরেকটা ব্যাপক দূরত্বে অবস্থিত। এগুলো এতই দূরত্বে যে এদের মধ্যকার দুরত্ব কিলোমিটার এককে মাপা যায় না । এই দূরত্ব মাপতে হয় আলোকবর্ষ এককে । আমরা জানি মহাবিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে চলা শক্তি হলো আলো । এর গতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার । তাহলে একবছরে আলো যেই দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে । এক আলোকবর্ষ সমান ৯.৪৬১ × ১০^১২ কিলোমিটার !!!
যেমন সূর্যের নিকটবর্তী তারা হলো প্রক্সিমা সেন্টাউরি । এটি পৃথিবী থেকে ৪.৩ আলোকবর্ষ দূরে। শুনতে কম শোনালেও এটা কিন্তু ব্যাপক দুরত্ব !!! মানুষের তৈরি এপর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগামী মহাকাশযান হলো আমেরিকার তৈরি ভয়েজার ওয়ান(Voyegar-1) এটি ১৯৭৭ সালে প্রেরণ করে ইউএসএ । এটির গতিবেগ সেকেন্ডে ১৭ কিলোমিটার । এই গতিতে চললেও পৃথিবীর তথা সূর্যের নিকটবর্তী তারা প্রক্সিমায় সেন্টাউরিতে পৌঁছতে এর প্রায় ৪০০০০ (চল্লিশ হাজার) বছর লাগবে !!!
পিচ্চি তারা বাদ দিলাম এবার আসি বড় তারার সাথে তুলনায় । সবচেয়ে বড় জ্ঞাত তারা হলো ভিওয়াই ক্যানিস মেজরিস (VY Canis Majoris) । এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৯০০(চার হাজার নয়শ) আলোকবর্ষ দূরে !!!
এর ব্যাসার্ধ সূর্যের ব্যাসার্ধের ২৬০০ গুন বড় । এটি এতই বড় তারা যে এর ভিতরে যে প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন বা নয়শো ত্রিশ কোটি সূর্যকে আটানো যাবে !
সে যাই হোক, আগে যা বলছিলাম; মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে মোট তারার সংখ্যা তিনশ বিলিয়ন বা ত্রিশ হাজার কোটি । এই সংখ্যা এর চাইতেও বেশি হতে পারে !!! এই সব তারা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে তাদের যার যার নির্দিষ্ট গতিতে পরিক্রমণ(ঘুরছে) করছে । উদাহরণস্বরূপ আমাদের সূর্য(অবশ্যই তার সব গ্রহ উপগ্রহ সহ) প্রতি ঘন্টায় ৮,২৮,০০০ কিমি (আট লক্ষ আটাশ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) গতিতে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সেন্টারকে কেন্দ্র করে ঘুরছে । এভাবে এত গতিতে ঘুরেও সূর্যের প্রায় ২৩০ মিলিয়ন বছর লাগে একটি পূর্ন সার্কেল(চক্র) সম্পন্ন করতে !!!
সূর্য যেমন তার গ্যালাক্সি মিল্কিওয়েকে কেন্দ্র করে ঘোরে , সূর্যকে কেন্দ্র করে যেমন গ্রহ ঘোরে, গ্রহকে কেন্দ্র করে যেমন উপগ্রহ ঘোরে তেমনিই মিল্কিওয়ে বা প্রতিটা গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করেও কিছু ছোট গ্যালাক্সি ঘোরে । এদেরকে স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি বলে । আমাদের মিল্কিওয়েরও এরকম স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি আছে । যেমন স্যাজেটেরিয়াস হলো মিল্কিওয়ের একটি স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি ।
এনিওয়ে, মিল্কিওয়ের মতো এরকম বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি এই মহাবিশ্বে আছে । আমাদের নিকটবর্তী মেজর গ্যালাক্সি হলো এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি । এটি মিল্কিওয়ের থেকে ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে ! এটি বড় গ্যালাক্সি । মিল্কিওয়েতে ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি তারা থাকলেও এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিতে আছে প্রায় ১ বিলিয়ন বা ১ লক্ষ কোটি তারা !!!!
মেজর গ্যালাক্সির বাদে যদি স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি বলি তবে পৃথিবীর থেকে নিকটবর্তী গ্যালাক্সি হলো(হোম গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে বাদে) ক্যানিস মেজরিস যা সূর্যের থেকে ২৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ।
এই গ্যালাক্সি আবার একা নয় । অনেক গুলো গ্যালাক্সি একত্রে একটি একটি ক্লাস্টার গঠন করে । একেকটি ক্লাস্টারে ১০০ বা তারও অধিক গ্যালাক্সি থাকে । পৃথিবীর গ্যালাক্সি বা মিল্কিওয়ে হলো ভিরগো(Virgo) ক্লাস্টার বা সুপার ক্লাস্টারের অন্তর্ভুক্ত । এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিও এই ক্লাস্টারের গ্যালাক্সি ।
বর্তমান যুগে আধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা আইডেন্টিফাই করা এরকম ক্লাস্টারের সংখ্যা প্রায় ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি !!!
এই ক্লাস্টারের পর কি হতে পারে বা আছে সেটা এখনো আমাদের অজানা !!! আমাদের টেকনোলজি এখনো এটি সেভাবে বের করতে সক্ষম হয়নি ।
একটি প্রশ্ন হতে পারে মানুষ এত জিনিস জানলোবা বের করলো কি করে । সংক্ষেপে বললে, মহাবিশ্ব থেকে আসা রেডিয়েশন(তেজস্ক্রিয়তা) , স্পেকট্রাম এনালাইসিস(বর্ণালী বিশ্লেষণ) , ও গ্র্যাভিটি(আকর্ষণ) ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে । এগুলো নিয়েও লিখবো পরে।
শেষে বলি,
নিজেকে বড় ভেবে অহংকার করার আগে জাস্ট একবার ভাবুন এবার, আপনি বা আমরা কি আসলেই বড় !!!
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮
রসায়ন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
গরল বলেছেন: আমি ছোট মানুষ এত বড় বড় জিনিষ নিয়ে চিন্তা করতে খেই হারিয়ে ফেলি তাই করি না। ক্ষুদ্র জিনিষ নিয়ে বেশি চিন্তা করি যেমন অণূ, পরমাণূ। অণূ পরমাণূকে যদি পৃথিবীর মত কল্পনা করি তাহলে আমাদের এক একজনের শরীরই এক একটা গ্যালাক্সি। তাহলে একটা অণূর সাথে যদি একটা গ্যালাক্সির তুলনা করি সেটা কত গুণ হতে পারে এটা আমার চিন্তার বাইরে।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮
রসায়ন বলেছেন: হুম ।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: পড়ে জ্ঞান বাড়ল।
আচ্ছা রেডিয়েশন , বর্ণালি বিশ্লেষণ এবং গ্রাভিটি ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে স্বর্গ- নরকের অবস্থান খুঁজে বের করলে কেমন হতো !! - জোক করলাম, অফেন্স নিয়েন না ।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০
রসায়ন বলেছেন: জোকস তো জোকসই ! কি বলেন , হে হে হে
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent post
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০
রসায়ন বলেছেন: থ্যাংকু ।
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
সিগন্যাস বলেছেন: যদি ভিওয়াই ক্যানিস মেজরিস কখনো সুপার নোভায় পরিণত হয় তবে কি এর অতিভয়ানক বিস্ফোরণে আমরা বেঁচে থাকবো????
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১
রসায়ন বলেছেন: ভিওয়াই ক্যানিস মেজরিসে অচিরেই সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। তবে এই তারাটি এতোটাই দূরে যে, এতে আমাদের পৃথিবীর কিছুই হবে না ।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট তো বেশি বড় না।
মাত্র চার মিনিটের কিছু বেশি সময় লাগলো।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১২
রসায়ন বলেছেন: এমনিতেই লিখলাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ রসায়ন- মানুষ হিসাবে অহংকার করার, নিজেকে বড় ভাবার অবশ্যই অধিকার আছে আমাদের। মানুষই একমাত্র প্রাণী যার অবিশ্বাস্য অকল্পনীয় চিন্তা করার ক্ষমতা আছে । সেইজন্যই আমরা চিন্তাশীল ও আলোকিত মানুষ।
We are just an advanced breed of monkeys on a minor planet of a very average star.But we can understand the ... universe.That makes us something very special ( Stephan Hawking)
চিন্তাশক্তির জোরেই আজ আমরা আদিম Hunter-gatherer society হতে আধুনিক মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলেছি। আমরাই মহাসমুদ্রের অতলে ডুব দিয়েছি, আমরা সমুদ্র জয় করেছি, আমরা আকাশ জয় করেছি,আমরা চাঁদের বুকে অবতরণ করেছি, আমরা মহাকাশে,গ্রহে গ্রহে spacecraft পাঠিয়েছি। আমরা সফল হয়েছি আমাদেরই অর্জিত জ্ঞানের জোরে। কোন ঐশীবাণী,কোন ঐশীজ্ঞান,কোন ঐশীগ্রন্হ , কোন অদৃশ্য দেব-দেবতা, কোন জ্বীন , কোন ফেরেশতার সাহায্য আমাদের লাগেনি।
প্রিয় রসায়ন,আধুনিক বিশ্ব নিয়ে এই পোষ্টে যেসব আধুনিক তথ্য দিয়েছেন সবই আধুনিক মানুষের গবেষণালব্ধ জ্ঞান, তিনহাজার অথবা দেড়হাজার বছরের পুরনো ধর্মগ্রন্থ হতে তো দেননি।
আজ যখন FIFA Wold cup ফুটবলের রাশিয়া হতে live telecast করা ম্যাচগুলি দেখেন , আনন্দ উল্লাস করেন তখন কি ভেবে দেখেছেন এই
technology মানুষেরই আবিষ্কার ?
যখন 40,000 ফুট উপরে বিমানে বসে থাকেন, তখন কি ভেবে অবাক হন না , যে এই অকল্পনীয় achievement শুধু মানুষরাই নিজ বুদ্ধিবলে অর্জন করেছে , কোন স্বর্গীয় সাহায্য ছাড়াই ?
সবশেষে বলব Look up at the stars and not down at your feet. Try to make sense of what you see, and wonder about what makes the universes exist.....Be curious ( Stephan Hawking)।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৩
রসায়ন বলেছেন: দারুন মন্তব্য। মন্তব্যে প্লাস।
৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পিঁপড়ের কাছে 3G গল্প!!!
আপনি তো শুধু প্রথম আসমানের কথা বললেন! বাঁকি সাতটার কি হবে??
আচ্ছা?
পরমানুর মধ্যে যদি ফাঁকা জায়গা না থাকতো পৃথিবী/মহাবিশ্বের আকার কতটুকু হতো???
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৭
রসায়ন বলেছেন: বাকি সাতটার অস্তিত্বের কোন প্রমাণ বা এভিডেন্স বিজ্ঞান পায়নি ।
পরমাণুর ভিতরে ফাঁকা জায়গা না থাকলে সকল পদার্থ ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতো । কারণ ফাঁকা না থাকার অর্থ পরমাণুর সেন্টার অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের প্রচন্ড গ্র্যাভিটি। পরমাণুতে কোনোই ফাঁকা স্থান না থাকা মানে এটি তার সর্বোচ্চ ঘন অবস্থায় আছে যা ব্ল্যাকহোল !
৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
কাইকর বলেছেন: আপনার বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্ট গুলো থেকে অনেক অজানা কিছু জানতে পাড়ি
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৮
রসায়ন বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। সাথেই থাকুন।
১০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৭
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: পরমানুর মধ্যে যদি ফাঁকা জায়গা না থাকতো পৃথিবী/মহাবিশ্বের আকার কতটুকু হতো???
এর উত্তর হল - একটি আপেল এর মত।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৮
রসায়ন বলেছেন: ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতো গোটা মহাবিশ্ব।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বড় পোষ্ট, যতোটা সময় নিয়ে পড়ার কথা তারচেয়ে অনেক বেশি সময় নিয়ে পড়েছি।
মাঝে মাঝে ক্যলকুলেটারও টিপেছি। ক্যলকুলেটারে ডিজিটের ধারণসমস্যার কারণে এক কোটিকে একক ধরে হিসেব কষেছি। তারপরও আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে অনেক কিছুই বোধে সীমা অতিক্রম করেছে।
বিজ্ঞান তো এগোচ্ছে। আহা দুইকোটি বছরের আয়ু পেলে হয়তো কিছুটা ঘুরে দেখতাম, পরক্ষণেই মনে হলো ২৫লক্ষ আলোকবর্ষ দুরের বিষয়গুলো তো তাতেও অনতিক্রম্য থেকে যাবে!!!!!!!
আহা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! এন্ড্রোমিডা বাদ দিয়ে মিল্কিওয়েতে ফিরে আসি। নাহ তো সম্ভব কী? তাহলে সৌর মণ্ডল? আবার তো তাপমাত্রারও ব্যাপার আছে। ভাই মাথা নষ্ট !!!!!!!!!
নষ্ট মাথা নিয়েই ভাবতে থাকি, ভবনায় নেশা ধরে যায়। মন্দ না ভালই লাগে ভাবনাগুলো। কোন এক অজান্তে নিজেই ভাসতে থাকি মনের আকাশে, এটাও কিন্তু নেহায়েত ছোট নয় রসায়ন ভাই। কোন সীমা পরিধি নেই।
যাক, আবার ফিরে আসি আপনার পোস্টে। শেষের বাক্য প্রসঙ্গে বলি, আমি, আপনি, আমরাও কিন্তু কম বড় নই। একবার ভাবেন, কতগুলো কোষ নিয়ে আমাদের দেহ গঠিত! কোষের গঠন! নিউক্লিয়াসের ভগ্নাংশের, তারপর...... তারপর..............
ডিএনএ'র গঠন বিশ্লেষণ..........
এই পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি বা ছয়ফুট তিন ইঞ্চি দেহে কি পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস! যাদের নিয়ে আমরা নিত্য চলাচল করি।
আরেকটা পোষ্ট চাই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বিষয়গুলো নিয়ে। অনু পরমানুর গঠন।
ভালবাসা নিবেন, ভাল থাকবেন সব সময়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য ।
১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই রসায়ন, আপনার নাম আর লেখা দেখে ধারণা করছি আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র বা ছাত্র ছিলেন, আমি নিজেও বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম - বেলা বেলা বয়ষ হয়েছে বিজ্ঞানের চেয়ে এন্টিবিজ্ঞানের শক্তিও যে কম নয় তার সাক্ষি আমি নিজে, তবে যেহেতু আপনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখছেন আমি কি আপনার পোষ্টে এন্টিবিজ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করতে পারি? জানতে চাওয়া এই কারণে লেখা হবে আক্রমণাত্বক তবে অবস্যই মার্জিত ও সুন্দর ভাষায়, আপনি রেগে গেলে মন্তব্য ও প্রত্যুত্তর সেখানেই ইতি টানতে হবে - কি বলেন ?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
রসায়ন বলেছেন: আমার ব্লগে যেকোনো মন্তব্য সুস্বাগত । করে ফেলুন ।
১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সংশোধনীঃ তারপরও আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে অনেক কিছুই বোধের সীমা অতিক্রম করেছে।
নষ্ট মাথা নিয়েই ভাবতে থাকি, ভাবনায় নেশা ধরে যায়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
রসায়ন বলেছেন: ওকে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব তথ্যা জানলে ভাবনাশক্তি বাড়ে!
শেষের লাইনাটার দরকার ছিলো না।