নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন স্যার ক্লাসে বলেছিলেন কথাটা, সিজিপিএ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটিই সব না ।
কমিউনেশন স্কিল, পাবলিক স্পিকিং, ইমোশন কন্ট্রোল, আইসিটি স্কিল, প্রেজেন্টেশন স্কিল এসব এই যুগের অবলিগেটরি চাহিদা । শুধু সিজিপিএ দিয়ে ইমপ্রেস করার স্থান খুব কমে আসছে ।
আগে গ্রামের পর গ্রাম খুঁজলে একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাওয়া যেত বা শিক্ষিত কাউকে পাওয়া যেত আর এখন কোন খানে পাওয়া যায়না বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা অনার্স পাস করা লোক। সেই যুগে রেজাল্টই ছিল চাকরিপ্রার্থী বাছাইয়ের অন্যতম মানদন্ড । এখন রেজাল্টের চেয়ে অন্যসব দিকের পারফরম্যান্স মনে হচ্ছে গুরুত্ত্ব বেশি পাচ্ছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে গেলেও আগে মেধাক্রমের প্রথমে থাকারাই একচ্ছত্র প্রাধান্য পেত তবে বর্তমানে অনেকেই পরের সিরিয়াল থেকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে, এখানে তাদের ওইসব স্কিলই দেখা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়ে । আর পলিটিক্যাল একটা ব্যাপার আছে সেটাও সত্য।
তাই, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যুগের চাহিদা মেটানোর জন্য আর শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ পেতে উপযোগী করে তুলতে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এসব স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর কোর্সও ইনক্লুড করানো উচিৎ ও পড়ানো উচিৎ।
ক্লাসে আমাদের স্যার একদিন বললেন, তোমরা কিছু মনে করো না , প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে গেলেই ওদের ড্রেস আপ গেট আপ দেখলেই মনে হয় ওরা এখনই প্রাইভেট সেক্টর ডিল করার উপযোগী । মানে হলো তারা সবসময়ই আধুনিক ব্যবসা বাণিজ্য, সেবা খাত এসবের উপযোগী হিসেবে তৈরি থাকে । প্রেজেন্টেশন স্কিল, আইটি স্কিল , কমিউনিকেশন্স স্কিল এসবে ওরা অনেক চর্চার উপরে থাকে । আর আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি বিসিএস ও সরকারি চাকরির পোস্ট নিয়েই পড়ে আছি । এই যে বড় প্রাইভেট সেক্টর ও সেবা খাত সেটায় আমাদের পদচারণা খুবই কম । কিন্তু ওটাই এখন বুমিং সেক্টর । তাই খালি আতেলের মতো পড়লেই হবে না, ওগুলোও রপ্ত করতে হবে । এদিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধা হলো তারা ব্রিটিশ কাউন্সিল , বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে সহজেই এক্সেস পায় ঢাবি শিক্ষার্থী পরিচয়ে কিন্তু আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত না । সবাই সরকারি চাকরির পেছনে ছুটলে একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের আর প্রাইভেট সেক্টরের বিশাল পরিসরে খুঁজে পাওয়া যাবে না । যুগের চাহিদা আমাদের বুঝতে হবে।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই না, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কারিকুলাম ও টিচিং স্টাইলে পরিবর্তন আনা জরুরী।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
রসায়ন বলেছেন: সেটা ঠিক । তবে প্রাইভেট সেক্টরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সফল বেশি ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: গাইডবই মুখী পড়াশুনায় ছেলেরা আর কি স্কিল ডেভালপমেন্ট করবে? সেই সময়ে সেরা বিদ্যাপীঠের লাইব্রেরীতে বসে কয়েকটা দেশের মু্দ্রার নাম মুখস্ত করতে পারলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা যাবে।
গোটা সিস্টেমে ইঁদুর ঢুকে গেছে। টপ টু বটম পরিবর্তন দরকার। না হলে বিদেশী দিয়েই প্রাইভেট সেক্টর চালাতে হবে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪
রসায়ন বলেছেন: ওটাই । মেধা গুলোকে আমরা যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে পারছি না ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর লেখা পড়ার মান খুব ভালো না। হাতে গোনা কয়েকটা ছাড়া।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রসায়ন বলেছেন: লেখাপড়ার মান নিয়ে আমার মন্তব্য নেই তবে এদের কারিকুলাম ও বিভিন্ন সাবজেক্ট গুলোজে আধুনিক ও দেশের উপযোগী বিবেচনায় নেয়া হয়নি সেটাই কথা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমার মনে হয় পাবলিক, প্রাইভেট দুই জায়গা থেকেই যোগ্য ও স্মার্ট রাই প্রাইভেট সেক্টরে স্থান পাচ্ছে। তবে পাস করার হার ও জনসংখ্যা বেশী হওয়াতে এসব মানদন্ড বোঝা যায় না।