নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের আশা | আলোচনা পোস্ট

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৩

বাংলাদেশ সরকার আমাদের বিদ্যমান কারিকুলাম ঢেলে সাজানোর কাজ করছে । প্রতিনিয়ত এ নিয়ে শিক্ষা ভবনে চলছে ওয়ার্কশপ । সেই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের কাছে কারিকুলাম রিফর্মের যে আপডেটগুলো জানলাম তাতে বাংলাদেশকে নিয়ে মনে আসার সঞ্চার হলো ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এগুলো এখনো প্রক্রিয়াধীন এবং আমার পোস্ট কোন রেফারেন্স নয় ।



সংক্ষেপে কিছু প্রস্তবনা যেগুলো আরকি নতুন কারিকুলামে থাকছে তার একটা বর্ণনা এমন,

১. নাইন টেনে কোন সাইন্স আর্টস কমার্স এসব থাকবে না। সবাই ইন্টিগ্রেটেড(সমন্বিত) কারিকুলামে পড়বে ।

২. দুই বছর পড়ে এসএসসি পরীক্ষা থাকবে না, নাইনে একবার ও টেনে আরেকবার এই দুটো পরীক্ষা হবে(পাবলিক)

৩. পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা একবারে তুলে দিতে গেলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় এসব পরীক্ষার মানবণ্টন বদলানো হবে । ৬০% নাম্বার থাকবে স্কুলের কাছে, আর ৪০% থাকবে বোর্ডের পরীক্ষায় । ধাপে ধাপে এই পরীক্ষাদ্বয় উঠিয়ে দেয়া হবে

৪. মূল্যায়ন ব্যবস্থা শুধু শিক্ষক কেন্দ্রিক হবে না । শিক্ষক, Peer group (সহপাঠী) , অভিভাবক ও সমাজ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শিখনকে মূল্যায়ন করা হবে।

৫. বইয়ের সংখ্যা হ্রাস করা হবে । বইগুলোকে ইন্টিগ্রেটেড করা হবে । যেমন সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ভিতরেই সমাজ, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় একসাথে উপস্থাপন করা হবে।

৬. ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাকে সব সাবজেক্টে ব্লেন্ড করা হবে, আলাদা ধর্মীয় বিষয় যদিও থাকবে। যেমন গণিত বইয়ের মধ্যেও নৈতিকতা নিয়ে আসা হবে ।

৭. শিক্ষার্থীদের বছর শেষে একবার পরীক্ষার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়ন(continuous assessment) করা হবে

৮. বোর্ড পরীক্ষায় বোর্ডের কাছে ৪০% নাম্বার থাকবে আর বাকি ৬০% নাম্বার আসবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন থেকে ।

৯. মূল্যায়ন ব্যবস্থায় শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিখন যাচাইয়ের বদলে মাল্টিপল ইন্টিলিজেন্স এ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে । মানে হলো শুধু লিখেই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে না, এর সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ভাবেও যেমন প্রদর্শন, রোল প্লে, প্রজেক্ট, প্রবলেম সলভিং এসবের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে ।

১০. লার্নিং বা শিখনকে শুধুমাত্র মেমোরি ও রিটেন ফরম্যাট থেকে বের করে মাল্টি সেন্সরি লার্নিং নিয়ে আসা হবে । অর্থাৎ আমাদের ছয়টি সেন্স ব্যবহার করে শিখন শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে ।

১১. ক্লাসরুমে শিক্ষকের ভূমিকায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে । শিক্ষকগণ ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করবেন। ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপাত শ্রেণী কার্যক্রমে প্রভাব কম ফেলতে পারবে ।

১২. নৈতিকতার বিষয়সমূহ সকল ধর্মের আলোকে বর্ণনা করা হবে । যেমন মিথ্যা বলা যে খারাপ সেটা ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি সকল ধর্মের আলোকে বর্ণনা করা হবে যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে খারাপের ব্যাপারে কমন আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হয়

১৩. বাংলা ও ইংরেজি ভাষা অর্থাৎ ল্যাঙ্গুয়েজ এডুকেশনকে চারটি ডাইমেনশন(রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং) ধারণা থেকে বের করে এনে রিসেপ্টিভ ও এক্সপ্রেসিভ এই ধারণায় এনে নতুন ফরম্যাটে শিক্ষা দেয়া হবে যাতে ব্যবহারিক ভাষা দক্ষতা অর্জিত হয়। শুধুমাত্র লিখেই ভাষা দক্ষতা যাচাই হবে না ।

১৪. সাইন্স এন্ড টেকনোলজিকে এবং গ্লোবালাইলেজন যে মাথায় রেখে কারিকুলামে বিষয়াবলী অন্তর্ভূক্ত হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলোকে আপডেট করা হবে ।

১৫. কারিকুলাম তৈরি, টেক্সটবুক তৈরি, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সবগুলো ব্যাপারে যেন একই ফরম্যাট অনুসরণ করা হয় সেজন্য একটি মনিটরিং কমিটি থাকবে । আগে দেখা যেতো যে, কারিকুলামে যা বলা হতো সেটা টেক্সটবুক লিখার সময়ে সেটা ঠিকঠাক মানা হতো না ফলে মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হতো । তাই এরকমটা যাতে না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থাকবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লিলিপুটিয়ান বানানোর শিক্ষা ব্যবস্হা

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষাবিদরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.