নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম গ্রহণের জন্য কোন রূপ জোরাজুরি বা শক্তি প্রয়োগ একদম নিষিদ্ধ
বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় এবং খুবই মন্দ আশ্রয়। [সুরা কা’হফ - ১৮:২৯]
আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? [সুরা ইউনুস - ১০:৯৯]
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, আপনি তাদের শাসক নন, কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়, আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন। নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব। [সুরা গাশিয়াহ - ৮৮:২১-২৬]
অর্থাৎ, সবাই ইসলাম গ্রহণের জন্য কোনরূপ জোর জবরদস্তি করা সম্পূর্ণরূপে কোরআন বিরুদ্ধ ! যার ভালো লাগে সে নিজের ইচ্ছায় বিশ্বাস করলে করবে না করলে নাই। এটার জন্য কোনরূপ জোরাজুরি করা, শক্তি প্রয়োগ করা সরাসরি কোরআন বিরোধী !
এবার দেখা যাক কেউ ইসলাম মেনে নেয়ার পরেও সে যদি এই বিশ্বাস ছেড়ে দেয়, অর্থাৎ মুরতাদ হয় তাহলে তার জন্য কি বলা আছে:
যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি। [সুরা নাহল - ১৬:১০৬]
যারা ঈমান আনার পর অস্বীকার করেছে এবং অস্বীকৃতিতে বৃদ্ধি ঘটেছে, কস্মিণকালেও তাদের তওবা কবুল করা হবে না। আর তারা হলো গোমরাহ। [সুরা ইমরান - ৩:৯০]
যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন। সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। [সুরা নিসা - ৪:১৩৭]
সুতরাং দেখা গেলো কোরআন মতে কেউ মুরতাদ হলে তাকে হত্যা তো বহুদূর, একটা থাপ্পড় ইভেন একটা ধমক দেয়ার বিধানও কোরআনে নাই ! যে ঈমান ত্যাগ করবে তার বিচার আচার আল্লাহ করবে চূড়ান্ত বিচারের দিনে, আমাদেরকে তাদের উপরে কোনই শাস্তি প্রয়োগের অধিকার বা অনুমতি দেয়া হয়নি; রাসূলেরও এরূপ কোন এখতিয়ার ছিলো না। মুরতাদের কোন শাস্তিই নেই কোরআন মোতাবেক।
এবারে আসা যাক রাসূল অবমাননার শাস্তি, শাতিমে রাসূল বা রাসূল অবমাননার শাস্তি হিসেবে প্রচলিতভাবে তাদেরকে মৃত্যুদন্ড বা পুশি চাই এটা আমরা জানি।
মানবরচিত, সংগৃহিত, সংকলিত লাহওয়াল হাদীসসমূহে দেখা যায় কটূক্তিকারীদেরকে কিরকম নির্মমভাবে হত্যার কথা লিখা। যেমন এক মহিলা কবিকে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুর সামনে তলোয়ার দিয়ে দুইভাগ করা, কিংবা অন্ধ ব্যক্তিকে রাসূল অবমাননার দায় হত্যা করা ইত্যাদি কাহিনী প্রচলিত হাদীসের মাধ্যমে আমরা জানি।
এবারে আসেন, জানার চেষ্টা করি, কোরআনে কটূক্তি বা আবমাননার কিরূপ শাস্তি রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত শুরুতেই বলে নিই, আল্লাহকে ক্রমাগত ঈসার পিতা, কিংবা দেবদেবীর সাথে শরীক করে আল্লাহর অবমাননা করা হচ্ছে, কিন্তু আল্লাহ তার নিজের অবমাননার জন্যও দুনিয়াতে কাউকে শাস্তি প্রদানের বিধান বা এখতিয়ার রাখেননি।
অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি/কটূক্তি। আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। [ সুরা ইমরান ৩:১৮৬ ]
অর্থাৎ কটূক্তি করলে ধৈর্য্য ধারণ করাই হলো আল্লাহর বলে দেওয়া ফরমুলা । মোল্লাদের মতো উগ্রতা প্রদর্শন নয় । সহজসরল শান্তির ধর্ম ইসলামে এই মোল্লারা জঙ্গিবাদের অপবাদের মুখোমুখি করেছে।
ইসলামের শান্তিবাদ
গালির বা কটূক্তির বিপরীতে গালি নয় বরং এড়িয়ে যাওয়া
কটূক্তি করলে মারার কোন বিধান নাই । কোরআনের একটা আয়াত পারলে দেখান কটূক্তি করলে শাস্তির কথা বলেছে আল্লাহ ! কেউ কটূক্তি করলে তাকে ভালো ভাষায় বুঝাতে হবে, তাতেও না থামলে তাদের থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ তাদেরকে এড়িয়ে চলা !
"আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকেই জাহান্নামে একত্রিত করবেন। [ সুরা নিসা ৪:১৪০ ]"
যতো বড় আল্লাহদ্রোহীই হোক না কেন কোনমতেই খারাপ ভাষা, গালাগালি বা কটূক্তি করা যাবে না, ভালো ও নম্রভাষা ব্যবহার করতে হবে
ফেরাউনের মতো অবাধ্য ও চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শনকারী আল্লাহদ্রোহীর সাথেও রূঢ় ভাষা, কটূক্তি, গালাগালি, মন্দ বাক্য দিয়ে কথা বলতে আল্লাহ তার নবী হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে নিষেধ করেছিলেন।
" তোমরা দু’জন ফির‘আউনের নিকট যাও, কেননা সে তো সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অথবা ভয় করবে। [সূরা ত্বহা ২০:৪৩-৪৪] "
আর আমরা গালির জোরে, গলার আওয়াজের জোরে নাস্তিকদের বা ইসলামের বিরোধিতা ও কটূক্তিকারীদেরকে পরাস্ত করে ইসলাম কায়েম করি ! দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করে জান্নাতের চাবিতে শান দিই
বিশ্বাসের পার্থক্যের জন্য অন্য বিশ্বাসী কারোর উপাস্য তুলে গালাগালি করা নিষিদ্ধ কোরআনে
তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত। [সুরা আন’য়াম - ৬:১০৮]
অমুসলিম হোক আর মুসলিম হোক, সালাম সবাইকে দেওয়া যাবে এবং সালাম দিলে তার উত্তর জবাব দিতে হবে, নাহলে এটলিস্ট সেটাই বলতে হবে। কোনক্রমেই ক্ষতি কামনা করা যাবে না।
‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে অথবা জবাবে তাই দেবে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৮৬)
কোরআনের ইসলাম আর প্রচলিত হাদীস তাফসীর ফিকাহ কেন্দ্রিক ইসলামের আকাশ পাতাল তফাৎ।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫১
রসায়ন বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। কোরআনে না থাকলেও লাহওয়াল হাদীসে ও ফিকহে নানা হিংস্র ও মানবতাবিরোধী বিধান তৈরি করেছে মুরতাদ ও কটূক্তিকারীদেরকে খুনের জন্য কারণ বিরোধীদলকে দমনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কোনভাবে তাদেরকে মুরতাদ প্রমাণ করা অথবা ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছে সেটা প্রমাণ করা।
কোরআন বিরোধী এইসব আইনকানুন দিয়ে যথেষ্ট রক্তপাত করেছে এবং করবে এরা। নিকট ইতিহাস থেকে জানা যায় আরবে তুর্কি খেলাফতকে উৎখাতে সৌদি আরবের ওয়াহাবীরা তাদেরকে কাফের মুরতাদ আখ্যা দেয়, এবং অনেককে হত্যা করে।
এরা যেই হাদীস হাদীস করে, সেই সিহাহ সিত্তাহর একজন সংগ্রাহক নাসায়ী শরীফের নাসাই সাহেবকেও চাবুকের আঘাতে জর্জকিত করে খলিফার লোকেরা, কারণ একটাই, খলিফার কথা না মানা, সেটাকেই ঘুরে ফিরে মুরতাদের রং দেওয়া।
বাংলাদেশে মিজানুর রহমানী আজহারী, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, গিয়াসউদ্দিন তাহেরী, মামুনুল হক, মাইজভান্ডারী, আবু ত্বহা আদনান, এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী প্রত্যেকের নামেই ইসলাম অবমাননা ও নবী অবমাননার অভিযোগ আছে বিপরীত পক্ষ থেকে, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ফিগার জাকির নায়েকেও বিরুদ্ধে একই নবী অবমাননার অভিযোগ আছে।
একবার শুধু বিপরীত পন্থিরা ক্ষমতা পেলেই হয়, মুরতাদ ও শাতিমে রাসূলের অভিযোগে আমাদের বড় বড় হুজুরদের অনেকেই বিপরীত ক্ষমতাশীল বাহিনীর তরোয়ালের নিচে পড়বে !
কোরআন বিরোধী মুরতাদ ও শাতিমে রাসূলের এইসব শাস্তির বিধিবিধান আর কিছুই না, রাজতন্ত্র ও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটা সিস্টেম ছাড়া।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আগের পোস্টের ফতওয়া অনুযায়ী এখন মেয়েরা মাসিক চলাকালীন নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে, কাবা তওয়াফ করবে। কারণ এই ব্যাপারে কোরআনে নিষেধ নেই। আর আপনি হাদিস বিশ্বাস করেন না। যারা এই ধরণের আজগুবি কথা বলে তাদের পোস্ট পড়ে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন দেখি না।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০১
রসায়ন বলেছেন: আমি কোন ফতোয়া দিইনি, আমি সরাসরি কোরআন থেকে আল্লাহ কি বলেছেন তা উদ্ধৃত করেছি।
যাই হোক, আপনার জ্ঞাতার্থে, কোরআন অনুযায়ী মানুষের কোন ফতোয়া দেওয়ার এখতিয়ারই নাই, ফতোয়াদাতা একমাত্র আল্লাহ।
আল্লাহ হচ্ছেন একমাত্র ফতোয়াদাতা ! ফতোয়া মানে আইন, বিধান, সমস্যার সমাধান ! যে ফতোয়া দেয় সে হলো মুফতি ।
আর লোকে আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে ফতোয়া (সমাধান) জানতে চায়। বলুন, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ফতোয়া জানাচ্ছেন এবং ইয়াতীম নারী সম্পর্কে যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদেরকে বিয়ে করতে চাও এবং অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে ও ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায় বিচার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শুনান হয়, তাও পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন। আর যে কোন সৎকাজ তোমরা কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা সম্পর্কে সবিশেষ জ্ঞানী।
(সূরা নিসা ৪, ১২৭)
লোকেরা তোমার কাছে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করছে; বল, আল্লাহ তোমাদেরকে পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্পর্কে ফাতাওয়া দিচ্ছেন, কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার যদি সন্তান না থাকে আর তার একটি বোন থাকে, তবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক সে পাবে, আর সে (মৃত নারী) যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে, আর দু’ বোন থাকলে তারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দু’-তৃতীয়াংশ পাবে, আর যদি ভাই ও বোন দু’ই থাকে, তবে পুরুষ পাবে দু’জন নারীর সমান। আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যাতে তোমরা বিভ্রান্তিতে পতিত না হও। আল্লাহ যাবতীয় ব্যাপারে পূর্ণরূপে অবহিত।
(সূরা নিসা ৪, ১৭৬)
(সূরা নিসা ৪:১২৬, ১৭৬) আল্লাহ নিজেই ফতোয়াদাতা হিসেবে নিজেকে বলেছেন। কাফির আর মুসলিমরা যখন বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে আসতো তখন আল্লাহ তার সমাধান দিতেন। কোরআনের একটা জায়গায় এমন দেখিনি যেখানে লিখা আছে হে নবী লোকেরা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে বা ফতোয়া জানতে চায়, তুমিই ফতোয়াটা দিয়ে দাও ! নবীর নামেও তো মুফতি নাই !
তারা তোমাকে প্রশ্ন করে, তাদের জন্য কী বৈধ করা হয়েছে? বল, ‘তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে সব ভাল বস্তু এবং শিকারী পশু-পাখী, যাদেরকে তোমরা শিকার প্রশিক্ষণ দিয়েছ; সেগুলোকে তোমরা শেখাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিখিয়েছেন। সুতরাং তোমরা তা থেকে খাও, যা তোমাদের জন্য ধরে এনেছে এবং তাতে তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ কর আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।
(সূরা মায়েদা ৫, ৪)
তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘তা মানুষের ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক’। আর ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা পেছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। কিন্তু ভাল কাজ হল, যে তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে তার দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।
(সূরা বাক্বারা ২, ১৮৯)
আল্লাহ কোরআন দিয়েই মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। [সুরা মায়েদা - ৫:১০১]
কাজেই বিধানদাতা, ফতোয়াদাতা সবই একমাত্র আল্লাহ
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রসায়ন বাবু, আপনার মন স্থির নয়। একবর বার এ নৌকা আবার
ওই নৌকায় পা দিচ্ছেন। আগে মন স্থির করুন কোন নৌকায়
চড়বেন! কারনঃ
"দো দিল বান্দা কালিমা চোর,
না পায় বেহেশত, না পায় গোর"
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০২
রসায়ন বলেছেন: নৌকা আমার ঠিকই আছে ভাই। পোস্টটি অনুধাবন করুন। বাসায় কোরআন খুলে পড়ুন। ফোনে এপ ইনস্টল করে পড়ুন, নিজেই বুঝতে পারবেন।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনার দুটো পোস্ট পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এইধরনের পোষ্ট এড়িয়ে চলি।
শুধু এতোটুকু জানিয়ে দিতে এলাম- আপনাকে চেনা হয়ে গেছে।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৩
রসায়ন বলেছেন: আমাকে চিনে আপনার কোন লাভ-লস নাই, কোরআন চিনুন কাজে দিবে।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০০
ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যে সামঞ্জস্যের চেয়ে অসামঞ্জস্য অনেক বেশি । কুরআনের আয়াত উলেলখ করে আপনি যে সব কনক্লুশন টেনেছেন রাসূলের অবমাননা,ইসলাম ত্যাগ করার শাস্তি বা অন্যান্য আরো কিছু ইস্যুতে সেগুলোর কোনোটাকেই আপনি কোনো ইসলামিক স্কলারের রেফারেন্স দিয়ে ডিফেন্ড করতে পারেন নি। সেগুলো একান্তই মনে হয় আপনার মতামত। আপনি আপনার মতটাই সঠিক হিসেবে চালাতে চাইছেন। কিন্তু আপনার কনক্লুশনগুলো লজিকের ভাষায় 'হেস্টি জেনারেলাইজেশন', যা এক ধরণের ফ্যালাসি । অনেকেই আপনার মতের সাতে দ্বিমত করতে পারে। আপনি আপনার বক্তব্যকে সঠিক বললে অন্য অনেকেই আপনার মন্তব্যের বিরোধিতা করে তাদের মন্তব্যেকেও সঠিক বলতে পারে।সেই সুযোগটাই বরং বেশি কারণ সাহাবীদের মতামতের(যেগুলোর উৎস শুধু শুধু হাদিস নয় তাদের জীবনীও আর যেগুলো খুবই অয়েল ডকুমেন্টেড |আর সেই ডকুমেন্টের উৎস শুধু ইসলামিক সোর্সই না সমসাময়িক আরবীয় ইহুদি আর খ্রিষ্ট সোর্স থেকেও সেগুলোর প্রমান পাওয়া যায়।) সাথে আরো অনেক ইসলামিক স্কলারের রেফারেন্স দিয়েই তারা তাদের অবস্থান আপনার পজিশনের থেকে শক্ত ভাবে ডিফেন্ড করতে পারবে। যাক সে সব নিয়ে আপনার পোস্টে কথা বলা অর্থহীন।আমাকে শুধু বলুন আপনি প্র্যাকটিসিং মুসলিম কিনা ? নিয়মিত নামাজ পড়েন কিনা ? আর ফরজ নামাজগুলো কত রাকাত পড়েন আর কিভাবে পড়েন? আপনার উত্তর পেলে আপনার লেখার অসামঞ্জস্য কোথায় সে নিয়ে আরেকটু মন্তব্য করতে পারি যদি ইচ্ছে হয়। আপনি মুসলিম না হলে এ নিয়ে আলোচনার কোনো মানে নেই ।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৫
রসায়ন বলেছেন: কোরআনের সরল অনুবাদ দেওয়া। এর জন্য স্কলারের মতামত লাগবে কেন ? আল্লাহ কি কোরআনকে ফোরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী বলেছে নাকি আপনার কথিত সেসব স্কলারদের মতামতকে ?
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর সত্য মিথ্যার মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। [সুরা বাকারা - ২:১৮৫]
৬| ১১ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৪১
এ আর ১৫ বলেছেন: রসূলকে (স) ব্যঙ্গ করার জন্য উনার আদেশে ২ জন নারী সহ অন্তত: দশজন ব্যঙ্গকারীকে হত্যা হয় - (১) কাব বিন আশরাফ, (২) ইবনে খাত্তাল, (৩) খাত্তালের দুজন "নর্তকী বালিকা" ('ড্যান্সিং গার্লস' ফারহানা ও কারিবা-দের একজন, (৪) আবু রাফে, (৫) হুয়াইরিদ ইবনে লুকাইদ, (৬) কা'ব বিন জুহাইর, (৭) উকবা বিন মুয়ীদ, (৮) নাদার বিন হারিস, (৯) উম ওয়ালিদ ও (১০) আসমা বিনতে মারওয়ান।
অতচ কোরানের আয়াত কি বলছে দেখুন ---
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
সুরা আল আনাম ( ৬--৬৮)
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহ নিয়ে উপহাস করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।
সুরা আহযাব ( ৩৩ -৪৮)
আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।
সুরা ক্কাফ (৫০-- ৩৯) অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। --
আপানার নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন উপরের কোরানের আয়াত গুলোতে ইগনোর করা, চুপ থাকা, কোন প্রতিক্রীয়া না দেখানো বা পাত্তা না দেওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়েছে ।
সুরা আহযাব (৩৩-৫৭) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। --- এই আয়াতে শাস্তি দানকারি স্বং আল্লাহ তালা কোন মানুষ নহে ।
দেখুন সুরা হিজরে আয়াত ৯৫ তে আল্লাহ কি বোলছেন -- বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট"----- সুতরাং এই আয়াত স্পষ্ঠ করে বলেছে বিদ্রুপকারীদের আল্লাহ নিজে শাস্তি দিবেন
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৯
রসায়ন বলেছেন: সেটাই তো ভাই ! বিদ্রুপকারীদেরকে কি খুন করে থামানো যাবে ? কখনোই না। বরং সদ্ব্যবহার ও ভালো আচরণই বদলে দিতে পারে সবকিছু। সবর বা ধৈর্যের বিপরীতে এদের কোরআন বিরোধী খুনখারাবি সহ্য করার মতো না।
এরা একটাবারও ভাবে না, স্বয়ং আল্লাহ যদি তার নিজের অবমাননার জন্য কোন শাস্তি না রাখে তাহলে কিভাবে আমরা এমন কাজ করতে পারি।
আমার মনে হয় এরা কোরআন পড়েও দেখেনি, আল্লাহ আসলে কি বলছে, এরা স্কলারদের উপরে নির্ভরশীল।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জ্যাকেল অনেকটা সঠিক বলেছেন:
মুরতাদ আখ্যা দিয়ে অপজিশন ধ্বংস করা সহজ ছিল।
তাই মধ্যযুগে শাসকদলের এলেমওয়ালারা(!) হাদিস বানিয়ে ইচ্ছেমত এইসব হিংস্রতা ইসলামে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আর জনগণ অভ্যস্ত হয়ে গেছে এইসকল অন্যায়গুলাতে।
রাজনিতিক ইসলামিষ্টরা ঈশ্বরকণারা এসব বাদ দিবে না, দিলে তো এদের রাজনীতিই শেষ।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৯
রসায়ন বলেছেন: কোরআনে না থাকলেও লাহওয়াল হাদীসে ও ফিকহে নানা হিংস্র ও মানবতাবিরোধী বিধান তৈরি করেছে মুরতাদ ও কটূক্তিকারীদেরকে খুনের জন্য কারণ বিরোধীদলকে দমনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কোনভাবে তাদেরকে মুরতাদ প্রমাণ করা অথবা ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছে সেটা প্রমাণ করা।
কোরআন বিরোধী এইসব আইনকানুন দিয়ে যথেষ্ট রক্তপাত করেছে এবং করবে এরা। নিকট ইতিহাস থেকে জানা যায় আরবে তুর্কি খেলাফতকে উৎখাতে সৌদি আরবের ওয়াহাবীরা তাদেরকে কাফের মুরতাদ আখ্যা দেয়, এবং অনেককে হত্যা করে।
এরা যেই হাদীস হাদীস করে, সেই সিহাহ সিত্তাহর একজন সংগ্রাহক নাসায়ী শরীফের নাসাই সাহেবকেও চাবুকের আঘাতে জর্জকিত করে খলিফার লোকেরা, কারণ একটাই, খলিফার কথা না মানা, সেটাকেই ঘুরে ফিরে মুরতাদের রং দেওয়া।
বাংলাদেশে মিজানুর রহমানী আজহারী, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, গিয়াসউদ্দিন তাহেরী, মামুনুল হক, মাইজভান্ডারী, আবু ত্বহা আদনান, এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী প্রত্যেকের নামেই ইসলাম অবমাননা ও নবী অবমাননার অভিযোগ আছে বিপরীত পক্ষ থেকে, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ফিগার জাকির নায়েকেও বিরুদ্ধে একই নবী অবমাননার অভিযোগ আছে।
একবার শুধু বিপরীত পন্থিরা ক্ষমতা পেলেই হয়, মুরতাদ ও শাতিমে রাসূলের অভিযোগে আমাদের বড় বড় হুজুরদের অনেকেই বিপরীত ক্ষমতাশীল বাহিনীর তরোয়ালের নিচে পড়বে !
কোরআন বিরোধী মুরতাদ ও শাতিমে রাসূলের এইসব শাস্তির বিধিবিধান আর কিছুই না, রাজতন্ত্র ও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটা সিস্টেম ছাড়া।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৯
কামাল৮০ বলেছেন: এ আর ১৫ যথাযথ যুক্তিপূর্বক তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।আমি তার বক্তব্যের সাথে একমত।আমিও তাই বলতাম।
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১০
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: ওয়াজকারিরা কেবল ০৭ আসমানের উপরের দোজখ বেহেশত ও মাটির নিচের কবরের ওয়াজ করে -
মাটির ওপরের সংসার সমাজ রাষ্ট্রের কথা বলেনা -
সংসার সমাজ রাষ্ট্রের কথা হযরত মুহাম্মদ (স.) যা বরেছেন তা বললেতো আলেম ওলামা পির মাশায়েখ সায়খুল হাদিস ইমাম মোয়াজ্জিন মওলানা মৌলভিদের আয় (কোটি কোটি শত কোটি হাজার কোটি টাকা) বন্ধ হয়ে যাবে -
তাইতো তারা কেবল ০৭ আসমানের উপরের দোজখ বেহেশত ও মাটির নিচের কবরের ওয়াজ করে-
আলেম ওলামা পির মাশায়েখ সায়খুল হাদিস ইমাম মোয়াজ্জিন মওলানা মৌলভিদের আয় ঠিক থাকে -
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৫
রসায়ন বলেছেন: তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র। (সূরা তাওবা ৯, ৩১)
এই তথাকথিত স্কলাররা এখনই না, আগেও মানুষকে পথভ্রষ্ট করতো। মানুষ এখন তাদেরকেই ডামি গড মনে করে।
আমরা সূরা হামদ (ফাতিহা) এ আল্লাহর কাছে বলি
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, [সুরা ফাতিহা - ১:৬]
আল্লাহ আমাদের যেন সরল পথ দেখায়, যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করছে।
এবার দেখেন সরল পথ কোনটা, সেই উত্তর আল্লাহ বলে দিচ্ছেন,
إِنَّ هَـذَا الْقُرْآنَ يِهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৯]
কোরআনকে আল্লাহ সর্বাধিক সরল পথ বলেছেন।
অথচ আমাদের অনেকের কাছে কোরআন যথেষ্ট না। হাদীস তাফসীর ফিকহ ইত্যাফি মানবরচিত বিধিবিধান ছাড়া কোরআন নাকি অসম্পূর্ণ।
আল্লাহর ঘোষিত সর্বাধিক সরল পথ আমাদের ভালো লাগে না।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৪
ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: ওয়াজকারিরা কেবল ০৭ আসমানের উপরের দোজখ বেহেশত ও মাটির নিচের কবরের ওয়াজ করে -
মাটির ওপরের সংসার সমাজ রাষ্ট্রের কথা বলেনা -
সংসার সমাজ রাষ্ট্রের কথা হযরত মুহাম্মদ (স.) যা বরেছেন তা বললেতো আলেম ওলামা পির মাশায়েখ সায়খুল হাদিস ইমাম মোয়াজ্জিন মওলানা মৌলভিদের আয় (কোটি কোটি শত কোটি হাজার কোটি টাকা) বন্ধ হয়ে যাবে -
তাইতো তারা কেবল ০৭ আসমানের উপরের দোজখ বেহেশত ও মাটির নিচের কবরের ওয়াজ করে-
আলেম ওলামা পির মাশায়েখ সায়খুল হাদিস ইমাম মোয়াজ্জিন মওলানা মৌলভিদের আয় ঠিক থাকে -
১১ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৬
রসায়ন বলেছেন: তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র। (সূরা তাওবা ৯, ৩১)
এই তথাকথিত স্কলাররা এখনই না, আগেও মানুষকে পথভ্রষ্ট করতো। মানুষ এখন তাদেরকেই ডামি গড মনে করে।
আমরা সূরা হামদ (ফাতিহা) এ আল্লাহর কাছে বলি
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, [সুরা ফাতিহা - ১:৬]
আল্লাহ আমাদের যেন সরল পথ দেখায়, যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করছে।
এবার দেখেন সরল পথ কোনটা, সেই উত্তর আল্লাহ বলে দিচ্ছেন,
إِنَّ هَـذَا الْقُرْآنَ يِهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৯]
কোরআনকে আল্লাহ সর্বাধিক সরল পথ বলেছেন।
অথচ আমাদের অনেকের কাছে কোরআন যথেষ্ট না। হাদীস তাফসীর ফিকহ ইত্যাফি মানবরচিত বিধিবিধান ছাড়া কোরআন নাকি অসম্পূর্ণ।
আল্লাহর ঘোষিত সর্বাধিক সরল পথ আমাদের ভালো লাগে না।
১১| ১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাকে চিনে আপনার কোন লাভ-লস নাই, কোরআন চিনুন কাজে দিবে।
কে বলে লাভ লস নাই। কোরআন পড়েছি। কোরআনে আপনাদের কথা লেখা আছে। ওখান থেকেই আপনাকে চিনলাম। ধন্যবাদ।
১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৫
রসায়ন বলেছেন: কোরআন পড়লে কোরআন বিরোধী কথাবার্তার পক্ষে কথা বলতেন না। কোরআন পড়েন নাই, পড়েছেন কোরআন বিরোধী লিটারেচার।
১২| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৪
সাসুম বলেছেন: কোরানে কি বলে তারচেয়ে বড় কথা বাংগুস্তান এর মূর্খ মূমিন রা কেমন সাজা চায়। ইস্লামের নিত্য নতুন আইন অশিক্ষিত মূর্খ বাংগু রা যেমন চায় তেমনি হবে। তারা যদি শাতিমে রাসুল এর কল্লা চায়- তাই হোক।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
রসায়ন বলেছেন: কোরআনই মুসলিমদের জন্য একমাত্র বিধান। যারা এর সাথে সংযোজন করে তারা কোরআন অনুযায়ী মুশরিক।
আর আল্লাহ কোরআনে মুরতাদ বা কটূক্তিকারীদের জন্য কোন শাস্তি রাখেননি, এতদসত্ত্বেও যদি কেউ এসবের শাস্তি চায় বা সহিংসতা করে তাহলে সে কোরআন মোতাবেক নিম্নোক্ত ট্যাগ প্রাপ্ত
যারা আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তদানুযায়ী বিচার করে না তারাই হলো কাফির, জালিম, ফাসেক [সূরা মায়িদা ৫; আয়াত ৪৪, ৪৫ এবং ৪৭]
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে দূরে আছি ভালো আছি।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
রসায়ন বলেছেন: আপনার ব্যক্তিস্বাধীনতা।
এনিওয়ে, ইসলাম কোন ধর্ম না, এটি জীবনব্যবস্থা। মুসলিম কোন ধর্মগোষ্ঠীর নাম না এটা একটা অবস্থা বা কোয়ালিটি, যে আল্লাহর প্রতি সমর্পিত।
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:২৫
ঈশ্বরকণা বলেছেন: ছোট করে একটা কথা বলি । এই পোস্টে আপনি কিন্তু সত্যনিষ্ঠ থাকতে পারেননি আল্লাহ রাসূলের অবমাননার বিষয়ে পার্থিব শাস্তির বিষয়ে । কুরআনে খুবই স্পষ্ট করেই আল্লাহ রাসূলের অবমাননার কঠিন শাস্তি দেবার কথা বলা আছে পার্থিব জীবনেই। ইসলামিক স্টেটের কর্তৃপক্ষকেই সেই শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে আল্লাহ রাসূলের অবমাননার। ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা হলো আপনি এতো আয়াতের কথা বলেছেন কিন্তু সেই আয়াতটার কথা উল্লেখই করেননি। যদিও সেই আয়াতটা আপনার উল্লেখ করা যে কোনো আয়াতের চেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট এই বিষয়ে । আপনি বলেননি কারণ এই আয়াতটা উলেলখ করলেই আপনার এই পোস্ট যে সত্যনিষ্ঠ না সেটা বুঝে যেত সবাই । হাজার বছর ধরে রাসূলের অবমাননার বিষয়ে ইসলামিক স্কলাররা যেই ব্ল্যাসফেমি আইনের কথা বলেছেন সেটা কুরআন শরীফের সেই আয়াতের ভিতিত্বেই বলেছেন । যা নিয়ে মেইনস্ট্রিম ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে কোনো মতো পার্থক্য নেই।এই কাজটাই সম্ভবত এ আর ১৫ কয়েক মাস আগে করেছিল।আপনি যেই আয়াতগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো উল্লেখ করেই আপনার মতোই একটা একগাল চড় মারলে আরেক গাল বাড়িয়ে দেবার বৈষ্ণবধর্মী একটা নির্বীজ রূপ আকার চেষ্টা করেছিল ইসলামের। আমার মনে হয় আমি তখনি জাদিদকে কুরআনের সেই আয়াতটা উল্লেখ করে বলেছিলাম এ আর ১৫ একটা ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅনেষ্টি করেছে তার পোস্টে কুরআন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে। আপনার এই লেখা সম্পর্কেও সেই ডিজঅনেস্টির কথাই বলা যায় । আমারতো মনে হয় না আপনি কুরআন পড়েছেন ওপেন মাইন্ড নিয়ে । ইনফ্যাক্ট আপনি মুসলিম কিনা সেটাও প্রশ্ন কারণ আপনি আমার এই প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলেননি। যাক কুরান পড়েছেন বলে আপনার দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে আপনি জানেন আল্লাহ রাসূলের অবমাননার কঠিন শাস্তি দেবার কথা কুরআনের কোন আয়াতে খুব পরিষ্কার ভাবেই বলা আছে, আমি কোন আয়াতের কথা বলছি । বুঝতে পারলেনতো সেই আয়াতটা কোনটা ?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
রসায়ন বলেছেন: আপনি সেই আয়াতটা উল্লেখ করুন। কোথায় মুরতাদ বা কটূক্তিকারীদেরকে শাস্তি দিতে বলা হয়েছে। আয়াত দিন।
১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৫৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অপরাধ সত্ত্বে ও এ অপরাধের জাগতিক কোন শাস্তির বিধান নেই বরং মানুষ যাদেরকে আল্লাহতায়ালার সমকক্ষ দাঁড় করিয়েছে তাদেরকে পর্যন্ত মন্দ বলতে বা গালমন্দ করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
ধর্মঅবমাননার ধৃষ্টতার আরেকটি উদাহরণ দেখুন- পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- ‘তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত এবং এরা বলত, আমরা কি এক উন্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব?’ (সুরা সাফফাত: ৩৬) এখানে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য বিষয় হলো, সবচেয়ে সম্মানিত, নবীকূল শিরোমণি, খাতামান্নাবেঈন রাসুলকে (সা.) ধৃষ্টরা ‘উন্মাদ’ বলার আস্পর্ধা দেখিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। তা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে আল্লাহপাক কোন জাগতিক শাস্তি প্রদানের বিধানের উল্লেখ করেননি।
বিশ্বনবীর (সা.) বিরুদ্ধে কাফেররা বিভিন্ন সময় কটূক্তি করতো (নাউযুবিল্লাহ)। এ সম্পর্কে কোরআনে উল্লেখ আছে যে, ‘এরা বিস্ময়বোধ করছে যে, এদেরই নিকট এদেরই মধ্য হতে একজন সতর্ককারী এসেছে এবং কাফেররা বলে, ‘এ তো এক জাদুকর, মিথ্যাবাদী।’ (সুরা সাদ: ০৪) এর কয়েক আয়াত পরেই আল্লাহতায়ালা আদেশ দিয়ে বলছেন-‘এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর। আর প্রবল শক্তির অধিকারী আমাদের বান্দা দাউদকে স্মরণ কর। নিশ্চয় সে আল্লাহর দিকে সব সময় বিনত থাকতো।’ (সুরা সাদ: ১৭)
লক্ষ্য করুন, উপরোক্ত আয়াতগুলোতে কাফেররা মহানবীকে (সা.) উন্মাদ এবং যাদুগ্রস্থ ব্যক্তি (নাউযুবিল্লাহ) বলা সত্ত্বেও আল্লাহতায়ালা তাদের বিরুদ্ধে জাগতিক কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। এছাড়া পূর্বের নবীদের (আ.) ক্ষেত্রেও আল্লাহপাকের একই আদেশ ছিলো।
মূলত রাসুল অবমাননার কাজটি এমন গর্হিত এক অপরাধ যার শাস্তি আল্লাহ স্বয়ং নিজ হাতে রেখেছেন আর অপর দিকে তিনি তার রাসুলকে ধৈর্য ও উপদেশ প্রদানের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪২
রসায়ন বলেছেন: সেটাই ভাই ! আল্লাহ বলছেন ধৈর্যের কথা, সহনশীলতার কথা।
যেখানে আল্লাহর পুত্র সাব্যস্ত করে আল্লাহর অবমাননা করছে অনেক মানুষ, আল্লাহ সেটারই কোন পার্থিব মানুষ কর্তৃক প্রযুক্ত শাস্তি রাখেননি সেখানে তার দাসের জন্য শাতিমে রাসূলের শাস্তি দিবেন, এ কেমনে হয় ! ন্যূনতম চিন্তাও করে না যারা এসবের পক্ষে চিল্লায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৯
জ্যাকেল বলেছেন: মুরতাদ আখ্যা দিয়ে অপজিশন ধ্বংস করা সহজ ছিল। তাই মধ্যযুগে ইচ্ছেমত এইসব হিংস্রতা ইসলামে শাসকদলের দরকার মত এলেমওয়ালারা(!) ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর জনগণ অভ্যস্ত হয়ে গেছে এইসকল অন্যায়গুলাতে, অন্যায় হয়ে গেছে ফিকাহ শাস্ত্রের জ্ঞান। অথচ ইসলামে কোন হিংস্রতা নেই, যুদ্ধের অনুমতি আছে বিশেষ ক্ষেত্রে (একজন খলিফার অধীনে)। __ আর যুদ্ধ হইতেছে জিহাদের একটা পর্যায়, জিহাদ তো শুরু হয় নিজের মধ্য থেকে।
সেই মুরতাদদের শাস্তি দেবার দ্বায়িত্ব অবশ্যই আল্লাহর হাতে। দুনিয়ার কোন মানুষ এই দ্বায়িত্ব নেবার যোগ্য না। বরং আল্লাহ মুরতাদ/ত্যাগকারীদের আরো বেশি করে দুনিয়াবী সম্পদ দিয়ে দেন যাতে এদের প্রতি সুবিচার করা হয়। (আখেরাতে এদের কোন অংশ থাকবে না)