নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।
অক্ষর বৃত্ত ছন্দ নিয়ে আলোচনা
আমরা জানি ছন্দ তিন প্রকার , অক্ষর বৃত্ত
ছন্দের সমস্যা এবং সংক্ষেপে আলোচনা-
শ্রদেয় কবি কুসুমকুমারী দাশ একজন বাঙালি মহিলা কবি। তার রচিত "আদর্শ ছেলে", যার প্রথম চরণ "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে", বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। কবির জ্যেষ্ঠ পুত্র জীবনানন্দ দাশ বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এবং জনপ্রিয় কবি সুত্র( উইকিপিডিয়া)
আদর্শ ছেলে কবিতাটি অক্ষর বৃত্ত ছন্দের রচিত
আমাদের দেশে হবে/ সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে/ কাজে বড় হবে।
মুখে হাসি বুকে বল/, তেজে ভরা মন,
‘মানুষ হইতে হবে’- /এই যার পণ।
বিপদ আসিলে কাছে/ হও আগুয়ান।
নাই কি শরীরে তব/ রক্ত, মাংস, প্রাণ।
হাত পা সবার আছে/, মিছে কেন ভয়,
চেতনা রয়েছে যার,/ সে কি পড়ে রয়।
সে ছেলে কে চাই বল, /কথায় কথায়,
আসে যার চোখে জল,/ মাথা ঘুরে যায়?
মনে প্রাণে খাট সবে,/ শক্তি কর দান,
তোমরা ‘মানুষ’ হলে /দেশের কল্যাণ।
আমা+দের দে+শে হ+বে/ সে+ই ছে+লে ক+বে
৮✝৬
ক+থায় না+ব+ড় হ+য়ে ৮ কা +জে ব+ড় হ+বে।
৮✝৬
মু+খে হা+সি বু+কে বল/ তে+জে ভ+রা মন।
৮+ ?
মা+নুষ হ+ইতে হ+বে /৮ এই+ যার+ পণ।
৮✝?
বি+পদ আসি+লে কা+ছে/৮ হও? আগু+য়ান
৮✝?
নাই+কি শরী+রে ত+ব/ র+ক্ত মাঙ+স প্রাণ ।
হাত+পা স+বার আ+ছে/, মি+ছে কে+ন ভয়
চেত+না রয়ে+ছে যার,/ সে +কি প+ড়ে রয়
সে+ছে+লে কে চাই বল, /ক+থায় ক+থায়
আ+সে যার চো+খে জল,/ মা+থা ঘু+রে যায়
ম+নে প্রা+ণে খা+ট স+বে,/ শ+ক্তি ক+র দান,
তোম+রা ‘মা+নুষ’ হ+লে /দে+শের কল+লান।
আমরা জানি শব্দের শুরুতে বদ্বক্ষর এক মাত্রা
শব্দের শেষে দুই। মুক্তাক্ষর প্রতিটি একমাত্রা
(i)প্রথম প্রশ্ন হলো মন, পণ- রয় যায় দান.....
কেন হলো দুই মাত্রা এক হওয়ার কথা ছিল
এরা তো আলাদা বসেছে শব্দের শেষে নিজের শক্তি শ্বাসের বসেছে।
এখনকার কবিরা একই ভাবে লিখে যাচ্ছেন , দেখেছি
কবি আবিদ আনোয়ার , কবি তপন বাগচির লেখার
এবং সকল শ্রদ্ধেয় কবিরাই।
এককালে কবি আবিদ আনোয়ার স্যার সাথে এই কথা গুলি
জিজ্ঞেস করছি- শুধু বললেন শুধু অক্ষর বৃত্ত!
তিনি আমার পুনরায় রিপ্লে পাইনি তবে কবি
কবি গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জমান তিনি আমাকে
সংক্ষেপে জটিল ভাবে বুঝিয়ে দিলেন , কঠিন লাগল!
হাত / এখানে এক হওয়ার কথা ছিল দুই কেনে হলো?
তোম রা
তোম ত / এক হওয়ার কথা ছিল ???
দুই কেনে হলো আমরা ত জানি সুত্র
বদ্বক্ষর শব্দটির শুরুতে বসলে একটি মাত্রা।।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৯
এম ডি মুসা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য! অক্ষর অক ক্ষর, এই ভাবে উচ্চারণ করি
ভাষার স্থান কাল বেঁধে পার্থক্য হতে পারে, প্রাণ এখানে
আমারা শ্বাস জনিত কারণে টেনে নিতে পারিনা এটি
মাত্রা একটি বলে ধরে বাকি দুই ছন্দে।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আলোচনাও হয়নি, কিছুই হয়নি, আপনি কিছুই বুঝাতে পারেননি, ম্যাঁওপ্যাঁও পোষ্ট
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৮
এম ডি মুসা বলেছেন: ম্যাঁওপ্যাঁও মন্তব্য টু
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছন্দ আলোচনা একটা ব্যাপক বিষয়। ছন্দ হলো অংকের সূত্রের মতো, সবসময় এর টাচের মধ্যে না থাকলে ভুলে যেতে হয়, অর্থাৎ মনে থাকে না।
পণ/মন দুই মাত্রা কেন - অক্ষরবৃত্তে এক সিলেবল-এর একটি শব্দ থাকলে সেটা দুই মাত্রা ধরা হয়। বিস্তারিত এখানে দেখুন- বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা
ছন্দ সম্পর্কে সামান্য স্টাডি করতে যেয়ে আমার এই ধারণা হয়েছে যে, কবিতা লেখার জন্য ছন্দ পড়ার চাইতে কবিতা পড়া হলো অধিক জরুরি। এমনকি, ছন্দজ্ঞান না থাকলেও কবিতা লেখায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। কবিরা আগে কবিতা পড়েন, জীবনের কোনো পর্যায়ে যেয়ে কেউ কেউ হয়ত ছন্দও পড়েন। কবিরা যেসব কবিতা লিখেছেন, ওগুলো কোন কোন ছাঁচে ফেলা যায়, এসব গবেষণা করতে গিয়েই দেখা গেছে ওগুলো কিছু নির্দিষ্ট ছাঁচ অনুসরণ করেছে- ছন্দ হলো সেগুলো।
আমি যখন কবিতা লিখতে শুরু করি, তখন 'ছন্দ'র উপর যে এতকিছু লেখা আছে, তা জানা ছিল না, জানা হয়েছে অনেক পরে। অথচ, সেগুলো এখন বিশ্লেষণ করতে যেয়ে দেখি- ওগুলো ছন্দের সকল নিয়মকানুনই মেনে লেখা হয়েছিল।
ছন্দের জন্য সবচাইতে বড়ো শিক্ষক হলো নিজের কান। পড়তে পড়তে কোথায় হোঁচট পড়লো, তা কানই সবার আগে টের পাবে।
ছন্দের ব্যাপারে রেফারেন্স টানতে হলে প্রোথিতযশা ছান্দসিকদের নাম বলাই শ্রেয়।
শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
এম ডি মুসা বলেছেন: আমি বলেছি শুধু বদ্বক্ষর বলি শুরু এক মাত্রা সেখানে অ বার দুই কেন
আমি দলিল এবং কবির সাপেক্ষে বিষয় টি তুলে ধরছি। এই বলে না আমি
নতুন শিখতে হবে। তবে আলোচনা জন্য মতবিনিময় জন্য ধন্যবাদ
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২
এম ডি মুসা বলেছেন: আমি এই নিয়ম থেকেই ৫০+ কবিতা লিখেছি তবে অক্ষর বৃত্ত গদ্য ছন্দ রূপ
এটা অতি টানিয়ে পড়তে হয় কখনো মোহাম্মদ রফিকউজ্জমান এর মন্তব্য
উচ্চারণ জন্য কম বেশি হতে পারে।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছন্দ মিলানো খুব কঠিন জিনিশ আমি পারি না।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পণ/মন দুই মাত্রা কেন - অক্ষরবৃত্তে এক সিলেবল-এর একটি শব্দ থাকলে সেটা দুই মাত্রা ধরা হয়। বিস্তারিত এখানে দেখুন- বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা <<< পণ/মন দুই মাত্রা কেন - অক্ষরবৃত্তে এক স্বরবিশিষ্ট/এক সিলেবল বিশিষ্ট বদ্ধস্বরের একটি শব্দ থাকলে সেটা দুই মাত্রা ধরা হয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৬
এম ডি মুসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সুন্দর মতবিনিময় জন্য ধন্যবাদ
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮
এম ডি মুসা বলেছেন: আমি এটা মেনে অধিক লিখেছি কিন্তু হঠাত্ প্রশ্নই জাগল এই পোস্ট শেয়ার করলাম
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: আগে ব্যাকরন শিখবে না আগে কবিতা লিখবে এটা বেশ জটিল।
আধুনিক কবিতা এত শত নিয়মে মেনে কী লেখা হয়?
খলিল ভাইয়ের মতো আমিও বলতে চাই - ছন্দের জন্য সবচাইতে বড়ো শিক্ষক হলো নিজের কান। পড়তে পড়তে কোথায় হোঁচট পড়লো, তা নিজের কানই সবার আগে টের পাবে।
ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৪
এম ডি মুসা বলেছেন: দুঃখিত, চন্দ্র সূর্য নিজস্ব কক্ষ পথে চলে , কবিতার নিজের মত করার আমার কাছে পথ নেই কবিতার নিয়......
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: শব্দ, অক্ষর এবং মাত্রা নিয়ে আমি একটু ঝামেলা করেছিলাম একবার। আমি যদিও গাইন নই তবে আমি মিউজিক কম্পুজ করতে পারি। নিজের লেখা প্রায় ৫০ টার মত গানও গেয়েছি। সব কথার শেষ কথা হলো, শব্দ এবং অক্ষের বৃত্তে ছন্দ ঠিক রাখা যায় না, হয় ছন্দপতন হয় নইলে মাত্রায় গরমিল হয়। তখন অনেক বলেন, অক্ষর -অ -ক-র, এখানে শব্দ চারটা মাত্রা তিনা। আমরা ক+ষ কে ক উচ্চারণ করি। হিন্দিতে ক এবং ষ উচ্চারিত হয়।