নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে জানে জ্ঞানী গুণী তার কাছে শেখার আছে। মাথামোটার কাছে আমার কিছু শেখার নাই। আচরণে তার বংশের এবং ব্যক্তিক আভিজাত্য প্রকাশ পায়।সম্মান যতটুকু দিবেন ততটুকু ফেরত পাবেন।

এম ডি মুসা

আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।

এম ডি মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৎ মা ও একজন শিক্ষকের ইতিবৃত্ত

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সিদ্দিক স্যারের বাসা প্রায় আমার বাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে। তিনি আমার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্কুল জীবনে তার মেজাজ ছিল কড়া শাসন।তার বেতের ভয়ে কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে আমার কোন মাইর খাওয়ার ভয় ছিলনা কারণ টানা প্রথম স্থানটা ধরে রাখতে পারছি কিন্তু আমি যদি দূর্বল হলে একটু ক্লাসে পড়া না পাড়তাম তাহলে মনেহয় স্কুল পালানো ছাড়া উপায় ছিলনা। আসল ব্যাপার হলো স্যারে দুইটা বিয়ে করছেন প্রথম স্ত্রীর পাঁচ মেয়ে তার কোন পুত্র সন্তান ছিলনা আর পুত্র সন্তান হয়না বলে স্যারে আবার বিয়ে করলেন। স্যারে দ্বিতীয় বিয়ে করার সাথে সাথে স্ত্রী ঘরে প্রথমে পুত্র সন্তান হয়ে স্বস্তি দেয় অবশেষে স্যারকে। সেই ঘরেই আরেকটি মেয়ে হয়। স্যার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে গুলোকে কখনো ভালো জানতেন না পর্যায়ক্রমে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। প্রথম স্ত্রীর শেষ কালে যে মেয়েটা ছিল আমার থেকে এক ক্লাসে বয়সে বড়। দৃষ্টিপাত করলেই দেখা যায় সেই মেয়েটি এক কাপড় পড়ে এক বছর টানা স্কুলে গেছে। আরো দেখেছি হাইস্কুলে ফরম ফিলাপ করতে টাকা দিতে পারে না হাইস্কুলের স্যারের নানা কথা যখন শুনছে তখন আমি সেখানে ছিলাম মেয়েটার প্রতি তখনই আমার সন্দহ হয়।আসলেই স্যারের মেয়ে এমন হতে পারে? পরে জানতে পারছি তার ঘরে সৎ মা আছে। আসলেই কি সৎ মা কি মা হতে পারে না? সৎ মা ঘরে আসলেই কি আগের স্ত্রী সন্তান গুলো চোখের বিষ হয়ে যায়?যুগে যুগে সৎ মার তাণ্ডব শুনছি কিন্তু নিজের চোখে দেখার অভিজ্ঞতা হলো। গত সপ্তাহের বুধবার সিদ্দিক স্যার মারা গেছে। স্যার তিনি আমার সম্মান পাওয়ার পাবেন কিন্তু সমালোচনা থেকে তিনি যে তার আগের ঘরের পাঁচ সন্তান কে একটুও সম্পদ দিয়ে যান নায়। সবটুকু সম্পদ দ্বিতীয় স্ত্রী ঘরে এক ছেলে ও তার মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গেছেন। গত কাল শুনেছি তার পাঁচ মেয়ে আসছে স্যারের বাসায়, সবাই কান্না কাটি করে চলে গেছে। মেয়ে গুলা বলে গেছে আমাদের কি তিনি বাবা না? আমাদের কেন জন্ম দিয়েছে? আমরা কি দোষ করছি?

আমার আলোচনা অথবা সমালোচনা আমার কাছে এই বিষয়টা উল্লেখযোগ্য হলোঃ
(১) পারিবারিক অংশীদার সম্পদ বন্টন সুত্রে আইন সম্পর্ক জানা নাই।
সমাজে মানুষ কাছে শুনতেছি যে পুত্র সন্তান না হলে তার সম্পদ সবটুকু অংশ ভাইয়েরা পেয়ে যাবে। এই বন্টন আইন থাকলে তবে
এটা বাতিল করা উচিত কারণ, সন্তান মেয়ে হোক আর ছেলে হোক সকল সম্পদ তার সন্তানই পাবে।

(২) ছেলে সন্তান কি বাবার বংশ আভিজাত্য ধরে রাখে এটা ভুল ধারণা সন্তানের সুত্রে সবাই বংশ রক্ষা করে বাকি কুসংস্কার ।

(৩) আপনি কি মনে করেন একজন শিক্ষক হয়ে সন্তানকে ঠকানো ঠিক হয়েছে?? একজন শিক্ষকের থেকে সবার শেখা হয় তিনি যখন ভুল করেনে তখন খুব খারাপ লাগে......
(৪) পারিবারিক সম্পদ বন্টন আইনে নারী পুরুষ সমান পাওয়া উচিত এছাড়া মেয়ে সন্তান হলেও বাবার সকল সম্পদের অংশ মেয়েরাই পাবে এই আইন পাশ কেন হয়না?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: নারী নির্যাতন এর মিথ্যে মামলার ভয়ে আপনার স্যার ১ম স্ত্রীর সন্তানদের কিছু দিতে পারে নি। কারন নারী নির্যতন মামলা দেশদ্রোহী মামলা থেকেও কড়া। এক্কেবারে জীবন ধ্বংস করে দেয়। এই সুযোগে কিছু কিছু নারী পুরুষের জীবন দোজখ বানিয়ে দেয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: মরার আগে দিলে কে ধরে রাখতো

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার ৫ নং ( পয়েন্ট):

শেষ বাক্যটা আপনি বুঝতে পারেন কিনা দেখেন, আমি বুঝতে পারিনি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯

এম ডি মুসা বলেছেন: বাদ দিয়ে দিছি কারন্টে ছিলনা ওয়াইফাই তাই ঘষা মাজা করতে পারি নাই দুঃখিত

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পয়েন্ট গুলো কেমন যেন গুগল ট্রান্সলেট টাইপের হয়ে গেছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২০

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার লেখাই ছিল কিন্তু কারেন্ট ছিলনা তাই ওয়াইফাই বন্ধ ছিল কাজ করতে পারি নাই

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সম্ভবত ২য় স্ত্রী স্যারকে বেশি টর্চার করেছেন, কিংবা কোন ভয়ভীতি দেখিয়েছেন...
আমি কোন শিক্ষককেই এমন একচক্ষু বিচার করতে দেখিনাই...
আবার আমি ভুলও হতে পারি! কী জানি!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

এম ডি মুসা বলেছেন: হতে পারে, আমি তাদের ভেতরে ঘটনা জানি না এতটুকু জেনেছি, আগে ঘরে মেয়ে কিছু পায়নি

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

এম ডি মুসা বলেছেন: রাজীব নুর ভাই পড়েছেন ভালা হয়েছে

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

বিজন রয় বলেছেন: এটা আমাদের একটি সামাজিক রোগ, অনেক গভীরের।

আপনার লেখাটি এলোমেলোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

এম ডি মুসা বলেছেন: বুঝিনি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.