নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।
বাংলাদেশে নারী অধিকার নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সমাজের উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত নারীদের মধ্যে যে বৈষম্য বিদ্যমান, তা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এই বৈষম্যের মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক অবস্থান, যা নারীদের শিক্ষা, বিবাহ এবং কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে।
উচ্চবিত্ত নারীদের সুবিধা
উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরা তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। এ ধরনের পরিবারে মেয়েদের শিক্ষা শেষ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হয়। তারা ভালো মানের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করার সুযোগ পান, যা তাদের কর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে। তাদের চাকরি পাওয়া তুলনামূলক সহজ কারণ তাদের পরিবার থেকে শিক্ষার খরচ এবং প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া হয়।
নিম্নবিত্ত নারীদের অবস্থান
অন্যদিকে, নিম্নবিত্ত নারীরা দেশের মোট নারীদের প্রায় ৯০%। এই বিশাল অংশটি প্রায় সবক্ষেত্রেই অবহেলিত। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা অর্থের অভাবে প্রাথমিক শিক্ষার পরই ঝরে পড়ে। তাদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা শেষ করার হার নগণ্য। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের ক্ষেত্রে বিএ বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করা একটি বিরল ঘটনা। অধিকাংশই অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় এবং সংসার ও শ্রমশক্তিতে সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
চাকরিতে বৈষম্য
নারীদের কর্মসংস্থানে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ থাকলেও, তা মূলত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নারীদের ঘিরেই আবর্তিত। চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত নারীদের জন্য তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে ৯০% নিম্নবিত্ত নারীদের বাদ রেখে ১০% উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নারীদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা একটি বড় ব্যর্থতা।
সরকারের ভূমিকা ও সীমাবদ্ধতা
সরকার নারীর ক্ষমতায়নের কথা বললেও বাস্তবে তা শুধুমাত্র সচ্ছল পরিবারের নারীদের ওপরই সীমাবদ্ধ। যারা আর্থিকভাবে দুর্বল, তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। এটি শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্য নয়, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নৈতিক ব্যর্থতাও।
সমাধানের দিকনির্দেশনা
১. সকলের জন্য সমান সুযোগ: নারী অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ৯০% নিম্নবিত্ত নারীদের শিক্ষার সুযোগ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. মাসিক বৃত্তি ও ভর্তুকি: দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিশেষ বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
৩. কারিগরি প্রশিক্ষণ: নিম্নবিত্ত নারীদের জন্য বিনামূল্যে কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার, যা তাদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
4. চাকরিতে কোটা: নিম্নবিত্ত নারীদের জন্য চাকরির ক্ষেত্রে আলাদা কোটা রাখতে হবে।
উপসংহার
৯০% নিম্নবিত্ত নারীদের অবহেলিত রেখে ১০% উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত নারীদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এই বৈষম্য দূর করতে হলে সরকারের আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। নারীর অধিকার তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন সমাজের প্রতিটি শ্রেণির নারী সম্মান, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ পাবে।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: যুগ যুগ ধরে তো এভাবেই চলছে।
এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়া নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
এ পথের পথিক বলেছেন: "৯০% নিম্নবিত্ত নারীদের অবহেলিত রেখে ১০% উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত নারীদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এই বৈষম্য দূর করতে হলে সরকারের আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। নারীর অধিকার তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন সমাজের প্রতিটি শ্রেণির নারী সম্মান, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ পাবে " - এটুকু ভাল লেগেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখার জন্য।