নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশী পুলা

সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আমার ফেইজবুকের ইউ আর এল http://www.facebook.com/asad.bd.927

বাংলাদেশী পুলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদিকে লক্ষ করুন, খেলাফত ক্বায়েম করার পদ্ধতি

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

ভাল করে লক্ষ করুন ভাই আমরা বলছিনা আমাদেরকে খিলাফত

এনে দাও।

আমরা বলছি একটি ইসলামি বিপ্লবের কথা যা জামায়াত

থেকে শুরু করে সকল ইসলামি দল চাই। আলজেরিয়া আফগানিস্তান ফিলিস্তিন এবং সর্বশেষ

মিশরে গণতান্ত্র চরম ব্যার্থ।যদিও এই

দেশগুলিতে ইসলামি বিপ্লবের উপাদান জনসমষ্টি পর্যাপ্ত

পরিমাণে ছিল।তারপরও সেখানে ইসলামি বিপ্লব সম্ভআ

হয়নি। বাংলাদেশে যেখানে ইসলামপন্থী জনসমর্থন নেই

সেখানে গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি বিপ্লবের স্বপ্ন

দেখা অলিক বৈকি কিছু নয়।যার উদাহরণ একের পর এক

জামায়াত/হেফাজতের মার খাওয়া। আর আপনি যদি মনে করেন পর্যাপ্ত জনসমর্থন

হলে গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি বিপ্লব সম্ভব

তাহলে মিশরের দিকে তাকান সেখানে ৭০% জনসমর্থন ছিল।

আলজেরিয়ার দিকে তাকান সেখানে ৮০% জনসমর্থন ছিল।

এতকিছুর পরও সেখানে কি হয়েছে আশা করি বলে দিতে হবেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গণতন্ত্র যেহেতু ব্যার্থ ইসলামি বিপ্লব/

দ্বীন কায়েমের উপায়/পথ কি?

হ্যা সমাধানটুকে বের করতে কুরান নিয়ে রিসার্জ

করেছি যা পেয়েছি খুব সংক্ষেপে তুলে ধরছি। আল্লাহ কুরানে বলছেন তোমরা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন

কায়েম কর।

আল্লাহ দ্বীন কায়েম করতে বলছেন অথচ কিভাবে দ্বীন কায়েম

করব তা দেখায়া দেন নি ব্যাপারটা এমন না

আল্লাহ বলছেন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের কর

একি সাথে বলে দিচ্ছেন দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদ কর। আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার

অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর

যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন

জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের

ব্যাপারে আলাদা)। (সুরা বাকারা-১৯৩) এখন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে আল্লাহ

জিহাদ করতে বলছেন অথচ জিহাদ কেমনে করব/জিহাদ

কি জিনিস তা বলে দেন নি তা না।

জিহাদ মানে যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েম

করতে বাধা দিবে যুদ্ধ করতে হবে তাদের সাথে সেটাও আল্লাহ

পাক অন্য একটি আয়াতে বলে দিয়েছেন, একি সাথে যুদ্ধে আমরাই জয়ী হব সেই ওয়াদাও করেছেন, যুদ্ধ কর ওদের সাথে, তোমাদের হাতে আল্লাহ্ ওদের

শাস্তি দিবেন, ওদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন ও

বিশ্বাসীদের চিত্ত প্রশান্ত করবেন। সুরা তওবাহ-১২-১৫। সুতারাং কুরান থেকে আমরা সমাধান পেলাম ইসলামি বিপ্লব/

দ্বীন কায়েমের একমাত্র পথ জিহাদ।জিহাদ মানে যুদ্ধ।যুদ্ধ

মানে মুসলমানদের জয়। এখন কথা হচ্ছে যুদ্ধ কাদের বিরুধ্যে করবেন?

খুব খেয়াল করে যারা আল্লাহর বিধান মানতে অস্বীকার

করবে তাদের বিরুধ্যেই আপনি জিহাদ করবেন না।জিহাদ

করবেন তাদের বিরুধ্যে যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েম

করতে বাধা দিবে সে হতে কোনো কাফের/মুসলিম

নামধারি কোনো মুনাফিক এখন কথা হচ্ছে বিডিতে তো আল্লাহর দ্বীন কায়েম নাই

তাহলে কি আমরা জিহাদ করা শুরু করে দিব?

জিহাদ ফরজ হওয়ার পরে জিহাদ করার একটি মাত্র শর্ত

তা হচ্ছে জিহাদ করার সামর্থ থাকা। জিহাদ করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে যাদের

বিরুধ্যে জিহাদ করবেন তাদের বিপক্ষে লড়ার শক্তি আপনার

আছে কিনা।

আল্লাহ কুরানে ১০০০ জন কাফেরের উপর ১০০ জন মুসলিম

জয়ী হবে ওয়াদা করছেন। ”হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য।

তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে,

তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের

মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর

থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। ” (সূরা আনফাল-৬৫) সে হিসেবেও ২ লক্ষ প্রশিক্ষিত বাহীনির জন্য কমপক্ষে ২০

হাজার মুজাহিদ থাকা। উপরের আয়াত থেকে সিদ্ধান্তে আসা যাই জিহাদ করার জন্য

অস্ত্র কোনো শর্ত নয়।শর্ত হচ্ছে ২০০ জনের মোকাবেলায় অন্তত

এমন ২০ জন যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দিতে পারে। এখন কিছু ভাই আমাদেরকে বলে এত জিহাদ জিহাদ করেন কেনো?

এত না চিল্লায়া মাঠে নাইমা পড়েন কিছু করে দেখান। কথা হচ্ছে ২ লক্ষের মোকেবেলায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার

আমরা যোগার করতে পারিনি।মাঠে নামবো কোন ভরসায়?

আগেই বলা হয়েছে জিহাদ ফরজ হলেই হবেনা জিহাদ করার

সামর্থ থাকতে হবে।আমরা সর্বাত্তক চেষ্টা চালাচ্ছি সামর্থ

অর্জনের। জিহাদ করার যেহেতু সামর্থ নাই আমরা কি আপাততের জন্য

হলেও গণতন্ত্র করব?

স্টাটাসের শুরুতেই দেখানো হয়েছে গণতান্ত্রিকপন্থায়

ইসলামি বিপ্লব সম্ভব নয়। ধরুন আপনার এলাকায় মসজিদ নাই।এখন কি নামাজ পড়বেন না?

নাকি নামাজ পড়তে মন্দিরে যাবেন?

নাকি মসজিদ বানাতে চেষ্টা করবেন? জিহাদ করার সামর্থ নাই তার মানে এই না যে আমরা জিহাদ

করা বন্ধ করে দিব কিংবা আল্লাহর দেখানো সমাধান

ছেড়ে অন্য কিছু খুজব।বরং মসজিদ বানানোর দৃষ্টান্তের মতই

আমরা জিহাদের সামর্থ অর্জন করব। দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ জিহাদকেই কেনো এক্মাত্র পথ

করলেন?

কারন আল্লাহ দেখতে চান কে আমাদের মধ্যে সত্যিকারের

পরহেজগার কে আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল দিতে প্রস্তুত। আল্লাহ বলেন,

“তোমাদের

কি ধারণা তোমরা এমনি এমনি জান্নাতে চলে যাবে, অথচ

দেখে নেয়া হবে না তোমাদের মধ্য কারা জিহাদ করেছে আর

কারা ধৈর্য্যশীল?”

– সুরা আল ইমরানঃ ১৪২ আপনি কি জামায়াত/মুসলিম ব্রাদারহুড

নেতা মাউলানা মউদুদি/সায়েদ কুতুব/হাসানুল বান্না (রহঃ)

এদের চেয়ে বেশি বুঝেন? না কখনৈ না।আপনি বরং উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গের লেখা বই

গুলি পড়েন দেখেন কি ছিল তাদের আদর্শ।

হাসানুল বান্না সায়েদ কুতুব (রহ) এর জীবন দশায় তাদের

মৃত্যুর কয়েকদশক পর পর্যন্ত মুসলিম ব্রাদারহুড

কোনো গণআন্ত্রিক আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেনি।বরং এর

মধ্যে কয়েকবার সশত্র জিহাদ করেছে। মাউলানা মউদুদি সারা জীবন গণতন্ত্রের

বিরুধ্যে কথা বলেছেন।জীবনের শেষ পরীক্ষামুলকভাবে

দুটি নির্বাচনে অংশ নেন এবং সেটাও তার বইয়ে লিখে দেন।

মিশর আলজেরিয়া আফগান

পরিস্থিতি যদি মাউলানা মউদুদি তার জীবন দশায়

দেখতে পেতেন গণতন্ত্রের মুখে থুথু মারতেন বলে আমার বিশ্বাস। জামায়াতের এই দুঃসময়ে এসব লেখালেখি কেনো? মনে করুন আপনি আপনার ছেলেকে খুব ভালবাসেন।তার মানে এই

না যে আপনি তার ভুল শুধ্রে দিবেন না।তাকে ভালবাসেন বলেই

তাকে মহা বিপদ থেকে বাচাতে আগে ভাগেই তার ভুল গুল

শুধ্রে দিবেন। জামায়াত/শিবিরকে ভালবাসি বলেই তাদের

ভুলগুলি বলে দিচ্ছি।আল্লাহর দেখানো বিধান জিহাদ

ছেড়ে গণতান্ত্রিকপথে হাটায় তাদের ব্যার্থতা/দুঃসময়ের

একমাত্র কারন।

একথা জামায়াত নেত্রীবৃন্দ যত তারাতারি বুঝবে মুসলিম

উম্মাহর ততই মঙ্গল। ইসলামি দলগুলি গণতন্ত্র ছেড়ে জিহাদের

পথে আসলে আলটিমেটলি জিহাদের সামর্থ অর্জন হয়ে যাই

বোধকরি আপনি বুঝেন।কারন আমাদের দেশে ইসলামি দলগুলির

জিহাদ করার জন্য যে পরিমাণ জনসমষ্টি দরকার তা আছে। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে জয়ী হওয়ার জন্য যে পরিমাণ

জনসমর্থন দরকার তা নেই।কারন গণতন্তান্রিকভাব

ে জয়ী হতে আপনাকে কম্পক্ষে ৫১% জনসমর্থন অর্জন

করতে হবে।সব ইসলামি দলগুলি মিলিয়ে এর ধারে কাছেও

নেই। হিসাব বলছে এই জয়ী হওয়ায় সম্ভব না।আর জয়ী হলেও

বিজয় টিকিয়ে রাখা সম্ভব না সেটা শুরুতেই বলা হয়েছে। সুতারাং কোনোভাবে কোনো দিক থেকেই গণতন্ত্র আমাদের জন্য

কমফরটেবল নয়।ইসলামি দলগুলি গণতন্ত্রের মত মরিচিকার

পিছে না ছুটে আল্লাহর দেখানো পথ জিহাদের পিছে ছুটবে এই

কামনায় শেষ করছ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

ব্যতীপাত বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ইসলাম একটি জিহাদী ধর্ম-যার প্রধান বার্তাই হচ্ছে যে কোন প্রকারেই ইসলাম কায়েম করা -প্রয়োজনে অস্ত্রদ্বারাও।ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক কালে, মক্কায় অবশ্য অহিংস নীতি মানা হয়েছিল ।তার নীট ফল হলো- বার (১২) বছরের প্রচেষ্টায় ৭২ জন মুসলমান ।অত:পর জিহাদ এর নির্দেশ ।

মুশকিল হল এখন আর জোর করে কাউকে মুসলমান বানানো যাবে না । মানুষ এখন অনেক সভ্য হয়েছে ।পৃথিবী ১৪০০ বছর এগিয়ে গেছে-কিন্তু মুসলমান পড়ে আছে সেই খিলাফতের কালে ।তারা বুঝে না এইটা তরবারীর না -দ্রোন এর কাল ।২০০০ বনাম ২০০ র যুগ নাই।
ধর্মকে এখন রাষ্ট্র থেকে আলাদা করতে হবে-ধর্ম দিয়ে শাসন করার কাল নাই । নিজেই বলছেন ৫২% নিয়েও মুরসী পারছে না-মিশরের লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে-

তবে মধ্যযুগীয় মানুষ তো এখনও আছে- যারা মালালা'কে গুলি করে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে-ওরাও ইসলাম কায়েম করতে চায় ।কিন্তউ মনে হয় মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে- কিছু বাংলাদেশী পুলা ছাড়া

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
এই ভন্ড স্বার্থবাদী নেতাদের দিয়ে কখনো জিহাদ আন্দোলন সম্ভব নয়। যেদিন ঈমাম মেহেদী আসবে সেদিন বিশ্ব বাসী দেখবে, ইসলাম সত্য, কোরআনের আইন সত্য ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.