![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবধান ! মুসলমানদেরকে ভূল বুঝানো
হয়েছে, ও এখনও হচ্ছে...
প্লীজ সকলের কাছে ধৈয্য সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো…
একটি ভ্রান্ত চিন্তা আজ মুসলমান
দেরকে দূরবল করে রেখেছে,
আর তা হলো ইসলামকে গুটি কতেক
ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
করে ফেলা |
আজকে আমাদের সমাজের বাস্তবতা
হয়েছে যারা সবচেয়ে বেশী
ইসলামকে মানেন, তাদের অবস্থান
হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত,
মিলাদ-মাহফেল পর্যন্তই |
এগুলোর দুই একটা করতে পেরেই
নিজেকে পাক্কা মুমিন বলে মনে
করে | অথচ এর বাইরে সমাজ ও
রাষ্ট্র ব্যবস্থা ইসলাম অনুযায়ী
চালানো, নিজস্ব অর্থনীতি,
ব্যবসা-বাণিজ্য, বিচার ব্যবস্থা
ইত্যাদির ক্ষেত্রেও যে ইসলামী নিয়ম-
নীতি অনুস্মরণ করতে হয়
আবশ্যিকভাবে সেটা অনেকেই জানে
না বা জানলেও মনে থাকে না,
অথবা এগুলোর প্রতি খেয়াল
করারও প্রয়োজন অনুভব করে না |
ভাবখানা এমন যে, ইসলাম তো
কেবলমাত্র কিছু কাজের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ !
এর বাইরের কার্যক্রুমের জন্য ইসলাম
আর উপযুক্ত নয় | তা চলবে
মানুষের তৈরী নীতিমালার আলোকে,
অথচ মহান আল্লাহ এ বিষয়ে
কঠিনভাবে সতর্ক করে বলেছেন
কোরআনে | এরশাদ করেছেন
( افتؤمنون ببعض الكتاب وتكفرون ببعض
فما جزاء من يفعل ذلك منكم الا خزى
فى الحيوة الدنيا ويوم القيامة يردون الى
اشد العذاب وماالله بغافل عما تعملون
)
অর্থ - তোমরা কি এই কোরআনের
কিছু মানবে আর বাকী গুলোকে
পরিত্যাগ করবে? তোমাদের মধ্যে
যারা এমনটি করবে তাদের জন্য
দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি
আর কিয়ামতের দিন তাদের কে নিয়ে
যাওয়া হবে আরো কঠিক শাস্তির
দিকে | আর নিশ্চয় ই আল্লাহ তোমাদের
কর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ নন
( সূরা বাকারা, আয়াত ৮৫)
এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের কে বলেছেন
ইসলামকে পূরণাঙ্গভাবে
গ্রহণ করতে, ইসলামের অর্থনীতি
বিচার ব্যবস্থা, সমাজ ও রাষ্ট্র
পরিচালনার সকল নিয়মাবলী
কোরআন থেকে গ্রহণ করতে,
কিন্তু পুঁজিবাদ ও সমাজবাদের
ফেরিওয়ালারা আমাদেরকে বুঝাচ্ছে
যে, ইসলাম তো কেবলমাত্র
ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিছু আচারের মধ্যেই
সীমাবদ্ধ | সমাজ ও রাষ্ট্র
নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে
না | এটা আমাদের তৈরী নিয়ম
অনুযায়ী করলেই হবে |
আর আমাদের অনেক অতিআগ্রহী
ব্যক্তিরাও জেনে বা না জেনে তাদের
এই বক্তব্য গ্রহণ করে তা
বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ
করে চলেছে | এই যখন আমাদের
বাস্তবতা তখন আল্লাহর উপরোক্ত
আয়াতের অপরাংশও সফলভাবে
আমাদের উপর বাস্তবায়িত হচ্ছে |
আর তা হলো দুনিয়ার জীবনে আমরা
সম্মুখীন হচ্ছি লাঞ্ছনাকর
পরিস্থিতির |
আজ এই পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসার
সময় এসেছে, ইসলামকে একটি
পূরণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা
হিসেবে মনে প্রাণে গ্রহণ ও
অনুধাবন করে, মুসলমানদের
হাতে থাকা বিপুল সম্ভাবনা
গুলোকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম
উম্মাহ যদি একবার ঘুরে দাঁড়ায়
তাহলে আবারও সারা পৃথিবী
তাদের অধীনে আসতে বাধ্য |
ইনশা আল্লাহ…
মোবাইল থেকে লেখার কারণে দুইএকট ভূল হয়েছে, আশা করে ক্ষমার চোখে দেখবেন
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
বাংলাদেশী পুলা বলেছেন: কিন্তু ভাই মুসলমানরা এখনও
বুঝতেছে না
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
জনাব মাহাবুব বলেছেন: দারুন উপলব্ধি।
সুন্দর লিখেছেন।
লেখায় ++++++++++++++++++++++++
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
বাংলাদেশী পুলা বলেছেন: আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা সেই ইয়াজিদ আমল থেকেই কার্যকর!!!
সাধারন বিশ্বাসী মাুসলমানদের রাজনীতি এবং ক্ষমতার প্রতিদ্বন্ধি হওয়া বা ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার পর্যায় থৈকে দূরে রাখতেই ধর্মকে আচার সর্বস্ব বানানো হয়!
এবং তাতে সকলকে বুদ বানিয়ে তারা নির্বিঘ্নে ক্ষমতার ভোগ দখরে ভ্যস্ত থাকে!
আজো তাই চলছে-ইসলামের যে স্বপ্রণোদিত প্রাণ শক্তি, আত্ম জাগরণের য়ে মূলমন্ত্র তা থেকে ধূরে সরিয়ে রাখতে বহু বহু দল মতের জন্ম দেয়া হচ্ছে, বেশি বেশী বিভ্রান্তির জন্য অপশক্তিরা রাস্ট্রীয় বাজেট পাশ করে!!!!
আবার তারাই মিথ্যা মেকি গণতন্ত্র, স্বাধীনতার কথা বলে!!!
আর এই জাগরনটাকেই তাদের সর্বোচ্চ ভয়।
তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রেষ্ট পরিকল্পনাকারী!!!!!