নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথের মাঝে খুজে পাবে আসল ঠিকানা...

আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........

পথহারা সৈকত

আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........

পথহারা সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কক্সবাজার: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনি!

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সৈকত কক্সবাজার। এটা যে বাংলাদেশের কত বড় সম্পদ আমরা জানি না! যদি জানতাম এই সৈকতকে ঘিরে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশে পরিনত হতে পারতাম আমরা। কক্সবাজার একটি বিশাল খনি। স্বর্ণখনি।

খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ করতে যেটুকু পরিকল্পনা দরকার, শুধু সেটুকু দাবি করে কক্সবাজার। স্বর্ণখনির জন্য যেসব স্থাপনা, মেশিনারিজ দরকার ওই পরিমান বিনিয়োগ এখানে দরকার।

হয়তো ভাবছেন পাগলের প্রলাপ! মোটেও না। লাখ টাকা খরচ করে আমরা বালি যাই, ব্যাংকক-পাতায়া কত জায়গাতে যাই। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ওইসব এলাকায় কী কী করা হয়েছে একটু ভাবুন। বিশ্বাস করুন বালি-পাতায়ার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর, আকর্ষনীয় কক্সবাজার।

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সীমার দৈর্ঘ্য ১০০ কিলোমিটার। পুরোটাই বালুময়। একদিকে সাগর। আরেকদিকে পাহাড় বা সমতল। সমুদ্র তটের পুরোটাই সমতল ঢালু। তাই প্রায় পুরোটাতেই সাঁতার কাটা নিরাপদ। পুরোটাতেই সম্ভব পর্যটন স্থাপনা তৈরি।

এই ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় সবগুলো হোটেল- মোটেল-রিসোর্টই কক্সবাজার শহর কেন্দ্রিক। সামান্য কয়েকটি হোটেল-রিসোর্ট আছে ইনানীতে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও রয়েছে সাধারন মানের কিছু হোটেল। টেকনাফ পর্যটনের জন্য অসাধারন একটা জায়গা হলেও সেখানে থাকার মতো তেমন কোনে হোটেল-মোটেল নেই।

কথায় বলে ‘মানি বিগেডস মানি’। অর্থ্যাৎ টাকায় টাকা আনে। বিদেশীদের টাকা নিজেদের পকেটে ভরার জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশলী উদ্যোগ। এরমধ্যে অবশ্য সরকারের উদ্যোগই বেশি জরুরী। সরকার গাইড লাইন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিনিয়োগ হবে প্রাইভেট সেক্টর থেকে। সরকার ইচ্ছে করলে বিনিয়োগও করতে পারে। হতে পারে পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) বিনিয়োগও।

প্রথম প্রয়োজন পরিকল্পনা। কোথায় হোটেল-মোটেল রিসোর্ট হবে তার জন্য ফিউচার পরিকল্পনা দরকার। এরপর দরকার নিরাপত্তা। শুধু বিদেশী পর্যটকদের জন্য আলাদা জোন করা দরকার। যেটা হবে এক্সক্লুসিভ জোন। এখানে তিন তারা থেকে ৭ তারা মানের হোটেল হবে। থাকবে সুইমিং সুবিধা, নাইট ক্লাব, বার, পার্ক, ওপেন জোন, ব্যাংক, খেলার মাঠ ইত্যাদি। কেবল বিদেশী এবং খরচে লোকেরা এখানে আসবেন। ৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে এর আয়তন।

এই স্পেশাল জোনের জন্য থাকবে স্পেশাল সিকিউরিট। র‌্যাব বা এরকম বিশেষ বাহিনী সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দেবে। নিরাপত্তা বহরে থাকবে হেলিকপ্টার এবং আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এখানে সাধারন কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না। পুরো এলাকা থাকবে দেয়াল বা কাঁটাতার ঘেরা।

সমুদ্রের ভেতরে চলে যাবে তারের বেড়া। নিরাপদ সাঁতারের জন্য সিকিউরিটি নেট থাকবে। থাকবে প্রশিক্ষিত লাইফ সাপোর্ট গার্ড। মুদ্দা কথা নিজেদের জোনে পর্যটকরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন। পাবেন প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা।

বিশেষ বিমান বন্দরের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ, ইনানী, মহেশখালি, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, নিঝুম দ্বীপ এলাকায় হেলিকপ্টার সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। পুরো সৈকত, হেলিকপ্টারে ভ্রমনের প্যাকেজ থাকতে পারে। জলভীতি কিম্বা সময়ের অভাবে অনেকেই সেন্টমার্টিন যেতে পারেন না। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকলে পর্যটকরা তাতে উঠবেনই।

কক্সবাজারের কলাতলী সি বিচ থেকে মেরিন ড্রাইভ তৈরি করতে হবে শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত। এটা আরো বিস্তৃত করে পূর্ব দিকে নাফ নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। এই মেরিন ড্রাইভ হবে চার লেনের। যারা স্পোর্টস কার কিম্বা সাধারন কার চালাতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটা হতে পারে মজার একটি ড্রাইভ প্যাকেজ।

রাস্তাটির বিভিন্নস্থানে বিভিন্নরকম স্থাপনা থাকতে পারে। এই ১০০ কিলোমিটারের পুরোটাতেই থাকবে ২৪ ঘন্টার স্পেশাল সিকিউরিটি। যাতে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাতেই এটা নিরাপদ জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।

দেশী পর্যটকের ভীড়ে কক্সবাজার এক রকমের ভারাক্রান্ত। শুধু কক্সবাজার শহরে হোটেল মোটেল কেন্দ্রীভূত না করে এটাকে ছড়িয়ে দিতে হবে টেকনাফ পযন্ত। তাতে শহরের উপর থেকে চাপ কমবে। পুরো এলাকাটি চমৎকার পর্যটন জোনে পরিণত হবে।

বিশ্বব্যাপী এসব পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক এবং যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে। বিদেশীদের দিতে হবে স্পেশাল আতিথেয়তা। তারা দেশে গিয়ে যেন অন্যদের আসতে উদ্বুদ্ধ করেন।

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে গিয়ে দেখেছি যেটা। ভিক্টোরিয়া ফলস সিটিতে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিটি পর্যটকই তা উপভোগ করছেন। মজা পাচ্ছেন। ‘বোমা’ নামে একটি রেস্তোরায় ডিনার করতে গিয়ে দেখলাম প্রায় শ’ দেড়েক খদ্দের। সবাইকে দিয়ে একসঙ্গে খোল বাজালো। সবাই বাদক, সবাই নৃত্য শিল্পী, সবাই পারফরমার।

আমি যেগুলো বললাম সবই তাৎক্ষনিক ভাবনা থেকে। দেশ-বিদেশে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিকল্পনা আহবান করা যেতে পারে। তাহলে সাত আশ্চর্য নির্বাচনের মতো বা তার কাছাকাছি একটি হাইপ তোলা সম্ভব হবে। বেরিয়ে আসবে অদ্ভূত সব সুন্দর পরিকল্পনা। আর তা বাস্তবায়ন করে আমরা হতে পারি সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক।

তথ্য সুত্র: রাইজিংবিডি.কম

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

সরদার হারুন বলেছেন: সত্য কথা

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

পথহারা সৈকত বলেছেন: একমত :D :D

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

পথহারা সৈকত বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিশ্বের বড় বড় সীবিচ গুলোতে একেকদিন ৫০০ লোকও হয়না, এখানে পাচ হাজার তো হর রোজের মামুলি ব্যাপার।মানুষের আর হকারের এত ভিড়, এত নোংরা অনিরাপদ মিসম্যানেজড বিচ আর কোথাও দেখিনি। এটা এখন আর বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষন করেনা। ধন্যবাদ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

পথহারা সৈকত বলেছেন: কিন্তু আমাদের এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে.........ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: আপনার আইডিয়ার সাথে একমত। আসলেই কক্সবাজারকে যে কী ভাবে গড়ে তোলা যায় তা কল্পনাও করা যায়না। আমাদের পর্যটন মন্ত্রনালয় কী করে কে জানে। গদি নিয়া কামড়াকামড়ি করেই তো টাইম আপ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

পথহারা সৈকত বলেছেন: সবাই আছে নিজ নিজ ধান্দায়, দেশ নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় তাদের ? ........ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

সমকালের গান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। সরকার সদিচ্ছার সংগে চাইলে অনেক বিরাট একটা সুযোগ আছে।

ধন্যবাদ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

পথহারা সৈকত বলেছেন: সত্য কথা .......+++++++++++ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

পথহারা সৈকত বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: সুন্দর কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন , পোষ্টে +++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

পথহারা সৈকত বলেছেন: সবাই আছে নিজ নিজ ধান্দায়........ দেশ নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় তাদের ?....................................+++++++++++্

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার আইডিয়া গুলো ভাল। তবে মনে হয় এসব কিছু করা গেলেও টুরিস্ট এটট্রাক্ট করা আমাদের দেশের জন্য কঠিন হবে। বিদেশ থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে নামলেই একজন মানুষের প্রথম যে কথাটা মনে আসে তা হল এখান থেকে ফিরতে পারবো কবে। শুরু হয়ে যায় সীমাহীন হয়রানি। এর পর কোন বিদেশী যদি বাসে করে কক্সবাজার যেতে চায়, তাহলে তার জীবন শেষ। গোছানো কোন ব্যাপার নেই, চিটাগাঙ থেকে কক্সবাজারের রাস্তা ভয়ঙ্কর বাজে, ভয়াবহ জ্যাম তো আছেই। যতদুর মনে পরে তিনবছর আগে শেষ যে বার কক্সবাজার গিয়েছিলাম, ঢাকা থেকে যেতে ১৮ ঘন্টার মত লেগেছিল। তার উপর আছে সর্বত্র লোক ঠকানো চিট বাটপারেরা। সারা বছর হরতাল আর নিরাপত্তার কথা তো বাদই দিলাম। অতএব এত ঝামেলা করে আর যাই হোক মানুষ ছুটি কাটাতে বাংলাদেশ যাবে না, ব্যবসা বানিজ্যের কাজ হলে অন্য কথা........।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। তার পরও আমি আশাবাদী..........ধন্যবাদ

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫

গরম কফি বলেছেন: আমরা হতে পারি সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: :D :D :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.