![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক মাস আগে আমি তুরাগ বাসে করে ফিরছিলাম। রামপুরা রোডে এসে বাসের ইঞ্জিন গরম হয়ে হঠাৎ করে ইঞ্জিন কভারে আগুন ধরে যায়। সবাই তাড়াহুড়ো করে নেমে গেলেও একমাত্র আমি নামতে পারিনি একেবারে পিছনে থাকায়।
তবে আল্লাহর অশেষ রহমত, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই লোকজন সেটা নিভিয়ে ফেলতে পেরেছিল।
আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম।
আমাদের দেশে যেসব বাস চলাচল করে তাদের অধিকাংশেই মাত্র একটি দরজা। আবার অনেক বাস আছে যেগুলোতে দুটি দরজা থাকলেও একটি সবসময় বন্ধ করে রাখা হয়। যেমন অনাবিল, সালসাবিল। ইমার্জেন্সি মুহুর্তে মানুষের যে কি অবস্থা হয় সেটা ভুক্তভোগীরাই জানে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং একটি মাত্র দরজা দিয়ে সকল যাত্রীর ওঠানামা কি পরিমান দূর্ভোগের তা সবাই জানেন।
যারা পরিবহন ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই পাবলিক সেফটির প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।
আমি এমনও ড্রাইভার দেখেছি যারা বাসের স্পিড কমিয়ে রাস্তার মাঝেই যাত্রীকে নেমে যেতে বলেন। বাসটাকে রাস্তার সাইডে নিয়ে যাত্রীটিকে নিরাপদে নেমে যাবার জন্য সামান্য সময়টুকুও তারা দেননা।
আর অন্য বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করার প্রবণতা তো আছেই।
আমি একবার একজন ড্রাইভারকে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি কেন যাত্রীকে রাস্তার মাঝে নামতে বাধ্য করলেন?
এর জবাবে তিনি বললেন যে, তিনি সেই ভোর ছয়টা থেকে এখন (রাত ১১ টা) পর্যন্ত গাড়ি চালাচ্ছেন। এটাই তার লাস্ট ট্রিপ এবং যত তাড়াতাড়ি স্ট্যান্ডে ফিরতে পারবেন ততটুকু বেশি সময় তিনি ঘুমাতে পারবেন। কারণ আবার খুব ভোরেই তাকে গাড়ি বের করতে হবে।
কিন্ত সে জন্য কি তিনি একজন মানুষকে রাস্তার উপরেই নামিয়ে দেবেন ?
আমার প্রশ্ন হল এরকম বাজে সিস্টেম কেন আমরা বানিয়েছি ?
একজন ড্রাইভার কেনই বা টানা ১৬/১৭ ঘন্টা ডিউটি করবেন? আর তার দায়ভার কেনই বা নিরপরাধ মানুষকে নিতে হবে?
আমরা কি পারিনা, আমাদের সিস্টেমটাকে একটু উন্নত করতে?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
খেলাঘর বলেছেন:
বাস ড্রাইবারদের সঠিক ট্রেনিং নেই, এবং অশিক্ষিত