নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম ।। ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে ।। ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।। দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে ।।

সময়একাত্তর

দীর্ঘ নয়মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক চিত্রকর এঁকেছেন তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবিটি। যে ছবিতে লাল-সবুজের মাত্রাতিরিক্ত ছড়াছড়ি। সেই ছবিতে আমার বাস।

সময়একাত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মশা (ছোট গল্প)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩২

পুরো নাম মীর মোশাররফ হোসেন। স্কুল জীবনের বন্ধু।ছোটখাটো গড়ন আর সাদামাটা চেহারা।আমার আর মশার, দু'জনেরই। মিজান স্যার বলতেন আমাদের নাকি একই ছাচঁ থেকে বানানো হয়েছে। ক্লাসে বসতাম আগে-পিছে, রোল নাম্বার ও ছিল তাই। আমি তৃ্তীয় তো মশা চতুর্থ সাথে আবার 'বেস্ট বয় অব দ্য ইয়ার' এর পুরস্কারটাও ওর বাধাঁ।



টিফিনের ছুটিতে সবাই ব্যস্ত খেলা নিয়ে। আমরা দেয়ালে পা দুলিয়ে বসে টিফিন ভাগাভাগি করছি। এক টাকা করে জুড়ে এক প্যাকেট চানাচুর বা আমসত্ত্ব কিনে তাই খেতে খেতে চক্কর দিতাম পুরো স্কুল।



একই কলেজে পড়ার সুযোগ হয়নি। মশা প্রথম সারির এক কলেজে ভর্তি হল। আর আমি মধ্যম সারির। হিংসা হত যদিও তাও বন্ধুতায় ছেদ পড়েনি। অনেক সন্ধ্যা দু'জন চুপচাপ রাস্তায় রাস্তায় হাটঁতাম।



সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় মশার বাবা মারা গেলেন হঠাৎ। মশাকে কাদঁতে দেখিনি সেদিন। বাবাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেলো দাফন করতে। এক সপ্তাহ পর মশা আমার গল্পের বইগুলো ফেরত দিতে এলো। শুকনো মুখটা দেখে কষ্ট হল খুব। বই গুলো দিয়ে আর দাঁড়ায়নি। সেই মশার সাথে শেষ দেখা। কলেজ ছেড়ে দিয়েছিলো, পুরনো বাসাও। অন্যদের মুখে শুনেছি চাচাদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে নাকি অনেক ঝামেলা হয়েছে।



একা একাই হাটঁতাম আর খুঁজে ফিরতাম সেই মুখ। মাঝে কেটে গেছে অনেক বছর। আরো স্মৃতির ভীড়ে মশার স্মৃতি চাপা পড়ে গেছে।



কাজ থেকে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল সেদিন। অভ্যাসবশতঃ হাটাঁ কিছুদূর। মফস্বল এলাকা বলে ন'টাও অনেক রাত। রাস্তাঘাট অনেকটাই নির্জন। হঠাৎ চমকে দিয়ে দু'একটা গাড়ি ছুটে যায়। পুরোনো বটগাছটার কাছে পৌঁছতেই একটা ছায়ামুর্তি সামনে এসে দাড়াঁলো। ছায়ামুর্তি বেশ কর্কশ স্ব্ররে তার চাহিদা প্রকাশ করল। এসবক্ষেত্রে আমি বরাবরই উদার। মানিব্যাগ, হাতঘড়ি আর মোবাইলটা তুলে দিলাম ছায়ামুর্তির হাতে। কি মনে করে যেন ছায়ামুর্তি হাতঘড়িটা ফিরিয়ে দিলো, টাকাটা রেখে মানিব্যাগটাও। পাশ কাটিয়ে যাওয়া গাড়ির হেডলাইটের আলোতে পলকের জন্য ছায়ামুর্তির মুখটা দেখলাম। ছায়ামুর্তির চকিত দৃষ্টি রাস্তার দিকে না থাকলে সেও আমায় চিনতে পারত। ছায়ামুর্তি আবার মিশে গেলো ছায়ায়। আমি একা দাড়িঁয়ে রইলাম ছায়ামুর্তির মিলিয়ে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে।



অস্ফুটস্বরে ছায়ামুর্তিকে উদ্দেশ্য করে বললাম, "ভালো থাকিস মশা।"

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: কষ্ট লাগলো,

ভাল লেখেছেন। +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬

সময়একাত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০২

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ভালো হয়েছে আপনার লেখাটা,
তবে পড়ে খারাপ লাগলো গল্পটা............

২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২৫

সময়একাত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পড়লে লেখার আগ্রহ পাই।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

নিঃশব্দ রাত বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। তবে গল্পটি পড়ে কষ্ট পেলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪

সময়একাত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দোয়া করি গল্প যেন বাস্তব না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.