নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ পর্যন্ত আমি একজন মেয়েই

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৮

বাসায় ছিলাম না সকাল থেকেই। সারা বিকেল আর সন্ধ্যেটা কাটিয়েছি কিছু বন্ধুর সাথে। অনেক অনেক সুন্দর কেটেছে পুরো সময়টা। আমার বন্ধুরা ছিল, ছিল গুরুজন, এবং ছোটরাও। কিন্তু আমাদের গল্প হয়েছে বন্ধুর মত। আড্ডার একটা বড় অংশ ছিল একজন মেয়ের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে, তার অধিকার নিয়ে, একজন মেয়ে পিতা-মাতার সন্তান, কারো ঘরনী, কারো মা হয়ে যাওয়ার পরেও যে তার একটা আলাদা অস্তিত্ব থাকে, সে যে একজন স্বতন্ত্র মানুষ সেই বিষয়টি বেশিরভাগ সময় আমরা ভুলে যাই। কি করা যায়, আপনজনের কি করণীয়, নিজের সত্ত্বাকে স্বতন্ত্র রাখতে মেয়েটি নিজে কি করতে পারে তাই নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। গল্পের ফাঁকে একবারও মুহূর্তের জন্যও আমার মনে হয়নি আমাকে শুধু একজন মেয়ে হিসেবে দেখা হচ্ছে। বরং মানুষ হিসেবে আমার অস্তিত্বটুকুই অনেক অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। ভাল লাগছিল এত সুন্দর একটা দিনের পরে যখন ফিরে আসছিলাম।



আমি আর আরেক ছোটভাই সিএনজি নিলাম। ফিরছি মিরপুর থেকে উত্তরা। স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি ভাড়ায় রাজি হতে হল শুধু সিএনজিওয়ালাদের দাপটে টেকা দায় বলে। শুরু থেকেই লোকটা এমন বেপরোয়া চালাতে লাগল যে প্রতি মুহূর্তে কোন দুর্ঘটনার ভয় পেতে হচ্ছিল। বারবার বলেও তার ওই বেপরোয়া চালানো বন্ধ করা গেল না। ভাগ্যক্রমে কয়েকবার কোন দুর্ঘটনা হওয়া থেকে বেঁচে গেলাম। খিলখেতে বাসা বলে ছোটভাইটি নেমে গেল। উত্তরা পর্যন্ত পনর-বিশ মিনিটের রাস্তায় আমি একা। হঠাত করে সিএনজিওয়ালার হাব-ভাব বদলে গেল। সে একটু ঘুরে বসে বারবার আড়চোখে পিছন ফিরে দেখছে। খেয়াল করলাম বাতাসে আমার ওড়নাটা একটুখানি সরে গেছে, যেটা খুব স্বাভাবিক। অস্বস্তিতে নড়ে-চড়ে বসে ওড়নাটা ঠিক করে নিলাম। যাকে বলে গায়ের সাথে পেচিয়ে নেয়া, তাই করলাম। কিন্তু তারপরও তার সেই তাকানো বন্ধ হল না। সে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল বারবার। ভয় হচ্ছিল ওই হাইওয়েতে এইভাবে চলতে গিয়ে কোন এক্সিডেন্ট না করে। কিন্তু এয়ারপোর্টের পরের একটুখানি রাস্তায়, জায়গাটুকু একটু নীরব আর অন্ধকার, আমাকে এক্সিডেন্টের চেয়ে বড় একটা ভয় চেপে ধরল। সিএনজিওয়ালার সেই লোভী, লোলুপ, ঘিনঘিনে নোংরা, সাপের মত দৃষ্টির সামনে আমি যেন কুকড়ে গেলাম। ভয়ে অস্থির হয়ে ভাবছিলাম কখন এই পথটুকু শেষ হবে।



কিছুদূর যেতেই এক মোটরসাইকেলের পিছনে বসা এক মেয়ের দিকে সে তাকাতে লাগল ঘুরে ঘুরে। ভয় পেলাম পেছনে তাকিয়ে চালাচ্ছে, না জানি কি হয়...মোটরসাইকেল পার হয়ে যেতেই সে আবার আমার দিকে মনযোগ দিল। ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে বাকি রাস্তা আসলাম। নামার পরে যখন ভাড়া দিচ্ছি, সিএনিজিওয়ালা আমার কাছে ভাড়ার অতিরিক্ত কিছু বখশিশ চাইল। আমার এমন রাগ হল, কড়া গলায় বললাম, 'আপনি এমনিতেই অতিরিক্ত ভাড়ায় আসছেন আবার বখশিশ কেন দিবো আপনাকে?'

সে উদ্ধত গলায় বলল, 'চাইছি, তাই দিবেন।'

আমি ভাড়ার টাকাটা দিয়ে নেমে আসলাম। শুনলাম পিছন থেকে লোকটা বলছে, 'আপনারা যদি ভালবাসা না দেন, আমরা কই যাবো?' এত নোংরা, এত অশ্লীল সেই কন্ঠস্বর...



খাচার ভিতর নোংরা লোকটা নিরাপদে বসেছিল। আমার খুব ইচ্ছা হচ্ছিল কষে একটা চড় লাগাই। কিন্তু আমি চলে আসলাম। সারাদিনের স্নিগ্ধতা একটা নোংরা লোকের নোংরামিতে চাপা পড়ে গেল।



আমার শিক্ষা-দীক্ষা, আমার মানসিক উতকর্ষ , আমার মেধা-মনন, সবকিছু ছাপিয়ে আমি শুধুই একটি মেয়েতে পরিণত হলাম। শুধুই একটি শরীরে পরিণত হলাম। আর কিছুই কি নেই আমার? এইসব নোংরা, লোলুপ দৃষ্টি, চোখ দিয়ে গিলে খাওয়া...



শুধুতো এই অশিক্ষিত সিএনজিওয়ালাই নয়, খুব ভদ্রবেশী মুখোশপরা শিক্ষিত ভদ্রলোকও সুযোগ পেলে একি কাজ করছে। সুযোগ পেলে না, বলা যায় সুযোগ করে নিচ্ছে। কি তার চোখের দৃষ্টিতে, কি কথায়, সামনাসামনি অথবা ফোনে...



আমার অন্যায় একটাই, সবকিছু ছাপিয়ে আমি শেষ পর্যন্ত একজন মেয়েই, একটি শরীর...যাকে গিলে খেতে হয়, চেটে-পুটে খেতে হয়, লুটে নিতে হয়।



ছিঃ............

মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +৫২/-৫

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
জানি তো!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কিন্তু কেন হবে এমন? কেন?

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩১

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
চাই অলৈঙ্গিক বিশ্ব সভ্যতা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চাই অলৈঙ্গিক বিশ্ব সভ্যতা।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৮

টেরা বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: দু:খজনক...লজ্জাজনক...

এতো শুধু একটি ঘটনা নয়...ঘটছেই অবিরত...

এর কি শেষ নেই?

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৮

আলী-পরাগ বলেছেন: মনটা খারাপ করে দিলেন তো আপা! প্লাস।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মন খারাপ করতে চাইনি, ভাই। শুধু শেয়ার করতে চেয়েছি।

প্লাস! না ভাই, প্লাস নয়। আসুন বদলাই।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪০

মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: আপনার এবং আপনাদের জন্য আমি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। নারী যেনো অন্যের ভণ্ডামির চেয়ে নিজের বানানো দহন জ্বালায় বেশি ভোগে। এটা পরিহার করো উচিৎ। এই অশিক্ষিত সমাজটাকে বদলাতে হবে। এ জন্য নিজে রাগ করে না থেকে বরং নিজেকে উজার করে দেওয়াই বুঝি ভালো হবে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নারী যেনো অন্যের ভণ্ডামির চেয়ে নিজের বানানো দহন জ্বালায় বেশি ভোগে...............কোন অংশটুকুকে আপনার মনে হল আমার নিজেরই বানানো?

অশিক্ষিত সমাজটাকে বদলাতে হবে...তার দায়িত্ব কি নারীর একার? শুধু নারীকে নিয়েতো এ সমাজ নয়। আর যদি বুঝতেই না পারি এটা অন্যায়, যদি এতে রাগই না হবে, তবে তো আমি জড়বস্তুতেই পরিণত হলাম। অনুভূতিসম্পন্ন মানুষতো আমাকে আর বলা যাবে না।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪১

হা...হা...হা... বলেছেন: একটি ছেলে একটি ছেলেই, একটি মেয়ে একটি মেয়েই। এই দুয়ে মিলে মানুষ। একটি ছেলের প্রতি যেমন একটি মেয়ের আকর্ষণ থাকবে তেমনি একটি মেয়ের প্রতিও একটি ছেলের আকর্ষণ থাকবে। সমস্যাটা হলো বিবেকের এবং শিক্ষার। একটি মেয়ের প্রতি একটি ছেলে আকর্ষণ বোধ করতেই পারে তাই বলে সবাই কিন্তু সেটা যেখানে সেখানে প্রকাশ করে না। যারা করে পেলে তার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অবশ্যই বিপরীতের প্রতি আকর্ষণ থাকবে। এই আকর্ষণ, এই শরীরী চাহিদা উপেক্ষা করতে হবে এমন কথা কিন্তু কখনো বলা হয়নি। কেউ বলেনি। কিন্তু তার প্রকাশটা এমন কেন হবে?

এখানে শুধু সিএনজিওয়ালার কথাই আমি বলিনি, ভদ্রতার মুখোশ এঁটে রাখা এই সমাজের প্রতিটি পশুর কথা বলেছি। যাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী আছে, যারা অনেক উঁচুতলায় বাস করে, সবাই। তাদের কিসের শিক্ষার অভাব। তবে শিক্ষিত কারা হল?

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪২

গুরুজী বলেছেন: এইসব পুরুষ নামি কত্তার বাচ্চাদের সারা জীবনের জন্য মাইনাচ। কবে যে এগুলা দূর হবে। বাইরে মেয়েদের দেখলে চোখ আকর পাকর করে, আর নিজের বোনরে যখন কেও এরকম করে তখন ওদের মনের কি হয়? খুব জানতে ইচ্ছা করে।

এইগুলার চোখ তুইলা নেওয়া দরকার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এদের মত জানোয়ারদের উপযুক্ত শাস্তি যে কি! কোনকিছুতেই এদের শাস্তি হবে না।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৫

অগ্নিলা বলেছেন: আপুরে আসলেও আমরা একটা মেয়েই। হাতে কিছু কাজ আছে, শেষ করে তারপর একটা গল্প শেয়ার করব।

মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেকে কই লুকাই?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেকে কই লুকাই?

কত ছোটবেলা থেকে যে এই অনুভূতি নিয়ে বড় হয়েছি। সারাক্ষণ মনে হয়েছে কোথায় লুকাই? কিন্তু কেন বলতো? এই সমাজটা কি আমাদেরো না? এর গড়ে ওঠার পিছনে কি সমান অবদান আমাদেরও নেই? তবে আজ কেন আমাদের লুকাতে হবে?

তোমার গল্পটা বলো সময় করে। শুনবো।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের মন্তব্যে আমি সমাজ বাস্তবতা, নারী-পুরুষ বৈষম্য, সুশিক্ষার অভাব নিয়ে একটা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে জ্ঞান জাহির করতে পারতাম.....তা না করে শুধু একটা মন খারাপ করা অনুভূতি রেখে গেলাম......

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সমাজ বাস্তবতা, নারী-পুরুষ বৈষম্য, সুশিক্ষার অভাব..................সবকিছুই আমরা জানি, খুব ভালভাবে জানি। কিন্তু তারপরও বদলাই না। যেমন আছে, আদি-অনন্তকাল ধরে তেমনি রয়ে গেছে সবকিছু।

ধন্যবাদ তায়েফ।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫০

কালপুরুষ বলেছেন: হাতে কিংবা ব্যাগে কি বল পয়েন্ট কলম ছিলনা? ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে এসে পেছন থেকে দিতে পিঠে বসিয়ে তারপর লোক জড়ো হলে সবকিছু খুলে বলতে। পশুদেরকে এভাবেই ঘায়েল করতে হয়। যদি আমার সামনে কোনদিন এরকম কিছু ঘটে তবে আল্লাহই জানেন কি হবে। তোমার উচিৎ ছিল কিছু লোক ডেকে হারামজাদাটাকে শায়েস্তা করা। এরপর যা বললাম মনে থাকে যেন। বল পয়েন্ট পেন খোলা রাখবে। আপাতত অস্ত্র হিসেবে ওটাই যথেষ্ট।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: না দাদা, ওই রাস্তায় এটা করা সম্ভব ছিল না। আর যখন আমি লোক ডেকে বলবো লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, সবাই কি তাকিয়ে দেখতে চাইবে না সিএনজিওয়ালা কি দেখে ফেলল!! চাইবে।

আমার জন্য সেটা কেমন হতো? হয়তো সবসময় সব কাজ করা যায় না।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫০

আলী-পরাগ বলেছেন: আসলে নৈতিকতা বলে যে কোন শিক্ষা আছে তা আমরা জানি না। যদি সত্যিই আমাদের শিশুরা ছোটকাল থেকে এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে তবে অবশ্যই যখন সে একজন পুরুষ হিসেবে সমাজে আত্মপ্রকাশ করবে তখন সে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বুঝবে। এবং অপরের ব্যাথাটা অধিক অনুভব করবে।
আপনার কথাই ঠিক...
মানুষের অধপতনের কারণে আজকে এই দশা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আলী-পরাগ, একজন পুরুষ বা একজন নারী হিসেবে নয়...শিশুটি যেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে আমাদের সে চেষ্টাই করা উচিত।

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৪

নৈশচারী বলেছেন: আপু ওই লোকটাকে কি মানুষ হিসেবে গোনারও কোনো দরকার আছে? আমার মনে হয়না! একটা কুকুর যদি আপনাকে কামড় দেয় আপনি তাতে কিছুটা ব্যথা পেতে পারেন কিন্তু এই ভেবে কি কখনো মন খারাপ করবেন যে সে কেন আপনাকে মর্যাদা না দিয়ে কামড় দিল? এইখানেও তো ব্যাপারটা একই তাইনা? পশুদের ব্যাপারে অযথা মন খারাপ করে কেন নিজের মর্যাদা কে খাটো করছেন? জাস্ট ইগনোর দেম! কারণ সত্যিটা হলো,এই জিনিসগুলো নিয়ে যদি আপনি মন খারাপ করতে শুরু করেন তাহলে এই সমাজে আপনি কোনদিনই ভালো থাকতে পারবেন না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ওই লোকটাকে মানুষ হিসেবে গণ্য করবো না, আমার বাবার বয়সী পাশের বাসার আঙ্কেলকে মানুষ হিসেবে গণ্য করবো না, পিতৃস্থানীয় আমার আত্মীয়কে মানুষ হিসেবে গণ্য করবো না, আমার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে মানুষ হিসেবে গণ্য করবো না, আমার অফিসের বসকে মানুষ হিসেবে গণ্য করবো না।

সবাইকে ইগনোর করবো। এভাবে যে আমরা নিজেদের অস্তিত্বকেই সবচেয়ে বেশি ইগনোর করছি প্রতি মুহূর্তে। চোখ বন্ধ, কান বন্ধ, বিবেককে বন্দী করে আর কতদিন বেঁচে থাকবো?

১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১২

সায়েম মুন বলেছেন:
লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। সমাজ ব্যবস্থাটা বুঝি আর পরিবর্তিত হলোনা। মানবিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েই সমাজের এই অধ:পতন ঘটছে।

খুশী হতাম আপনি যদি ঐ হারামির বাচ্চারে জোড়সে একটা চড় মারতে পারতেন। বাসার কাছে যখন এসে পৌঁছেছিলেন -- সাহস করে একটা মেরে দিতেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তখনি কিছু করা সম্ভব ছিল না, কারন আমাকে সিএনজি থেকে নেমে আর অনেকখানি ভিতরে রিকশায় যেতে হয়েছে। এবং সিএনজিওয়ালা অনেক দূর পর্যন্ত এসেছিল রিকশার পিছন পিছন। যথেষ্ট রাত হয়েছিল, রাস্তাঘাট মোটামুটি খালিই ছিল তখন।

সমাজ শুধু অধঃপাতেই যাচ্ছে, কবে সেইদিন আসবে যেদিন আমরা বলবো আমরা উতকর্ষতার শীর্ষে উঠেছি, আমরা এগিয়েছি, আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে।

১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১২

সদালাপী বলেছেন: পশুদের ব্যাপারে অযথা মন খারাপ করে কেন নিজের মর্যাদা কে খাটো করছেন? জাস্ট ইগনোর দেম! কারণ সত্যিটা হলো,এই জিনিসগুলো নিয়ে যদি আপনি মন খারাপ করতে শুরু করেন তাহলে এই সমাজে আপনি কোনদিনই ভালো থাকতে পারবেন না।

নিতান্তই সত্যি কথা।।।।।। ---- ধন্যবাদ নৈশচারী

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: না সদালাপী, সত্যি কথা না।

এভাবে ইগনোর করতে করতে আমরা নিজেদেরই ইগনোর করছি প্রতিনিয়ত। এবার সময় হয়েছে ঘুড়ে দাঁড়ানোর।

১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১৫

সনেট০৬ বলেছেন: আপু বিষয় টা খুব কষ্ট জনক কিন্তু এসব কেন ঘটে ? আমি মনেকরি এটা বয়সের দুষ।তাছাড়া পশ্চিমা কালচার আমাদের নষ্ট করছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বয়সের দোষ? শরীরী চাহিদা সব বয়সেই থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে আমরা সীমা ছাড়াবো কেন?

কথায় কথায় আমরা পশ্চিমা কালচারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করি। কেন? আমাদের নিজেদের কি কিছুই করার নেই?

১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই অবস্থা থেকে আসলে আমাদের পরিত্রাণ নেই।
কেন জানেন?
ধরুন, আপনি গাড়ি চালাতে জানেন আবার প্লেনও চালাতে জানেন। এখন প্লেন চালাতে গিয়ে গাড়ি চালানোর ম্যানুয়াল অনুসরন করা শুরু করলেন। অবস্থা কি হবে??
আমরা মানুষ, কিন্তু স্রষ্টার ম্যানুয়াল বাদ দিয়ে নিজেদের ম্যানুয়ালে চলছি। আর সেই কারণেই এই অব্যাবস্থা। ভেবে দেখবেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার অব্যবস্থার ব্যাপারটি বুঝতে পারছি। কিন্তু স্রষ্টার ম্যানুয়ালের সামান্যতমও আপনারা অনুসরণ করেন কিনা, জানতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।

১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৪

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: কত যে ঘটনা আছে এরকম আমাদের লাইফে... কি আর বলবো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মেঘ, কত ঘটনাই আছে। সব কি বলা হয়? বলেছি কখনো?
হয়তো কালও বলতাম না। কিন্তু মনটা এত বিক্ষিপ্ত ছিল।

এভাবেই তো যাপন করে যাচ্ছি জীবন! যেন অন্য একটা ভূমিকায় অভিনয়।

১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৯

মেকগাইভার বলেছেন: আমি শেষ পর্যন্ত একজন মেয়েই, একটি শরীর...যাকে গিলে খেতে হয়, চেটে-পুটে খেতে হয়, লুটে নিতে হয়।


এটা কোন ঘটনা হইল?

একটা ছেলেও তো বলতে পারে যে, আমি শেষ পর্যন্ত একজন ছেলেই, একটি শরীর...যাকে ( মেয়েদের দারা )গিলে খেতে হয়, চেটে-পুটে খেতে হয়, লুটে নিতে হয়।

ছেলে আর মেয়ে দের সেক্স এর চিন্তা ভাবনা কি ডিফারেন্ট হয় , স্বাদ আহলাদ ভিন্ন হয়?

আপনার ইচ্ছা হইলে আপনেও আরেলটা ছেলের শরিরের দিকে তাকায়া খাবেন। মেয়েদেরও সেই স্বাধিনতা দাওয়া আছে।

এটা একট স্বাধিন দেশ।

১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩৮

কানিজ বলেছেন:
খুবই দুঃখজনক অভিজ্ঞতা । ভাড়া মিটানোর পর কষে দুইটা
চড় মারতে পারলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতেন -আপু ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পারিনি। আরো অনেকটা রাস্তা একা যেতে হতো। আর তাতে রিস্কটা বাড়তো শুধু।

২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: :):)

খুবই মন খ্রাপ হলো লেখাটা পড়ে।

এইবার বাস্তবতায় আসি। আমাদের সমাজব্যবস্হায় মেয়েরা ছিলো রীতিমত এক্টা ফার্নিচার। তাকে যেভাবে সাজাতে চাইবে সেভাবেই সাজবে এটাই যেন নিয়তি। এবং তারা ছোট বেলা থেকেই এর জন্য প্রস্তুতও থাকে।

একটা উদাহরন দেই। আমার ইউএসএ ফেরত এক ফ্রেন্ড মফস্বলের এক থানা শহরে বিয়ে করেছে। ভাবির সাথে ফোনে কনফারেন্সে একদিন কথা বললাম। তো কথা প্রসঙ্গে তার একটা ইচ্ছার কথা জানতে চাইলাম। সে তখন জানালো তার কোন ইচ্ছা নেই, আমার বন্ধু যেটা করবে সেটাই তার ইচ্ছা নেই। তখন আমি বললাম এইভাবে চিন্তা কর্লেতো আপনি আর মানুষ থাকবেন না, রীতিমত জড় ফার্নিচারে পরিনত হবেন যাকে যেভাবে খুশি সেভাবেই সাজিয়ে রাখা যায়, যার কোন ইচ্ছা বা আকাংখা নেই। এটা এখনও অধিকাংশ বাংগালী মেয়ের ক্ষেত্রে সত্য।

এখন এটা থেকে বের হওয়ার উপায় কি ??? শিক্ষা,শিক্ষা এবং শিক্ষা।
এছাড়া কোন বিকল্প নাই। দেখবেন এখনকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এই ধ্যানধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর আগে তাকান বেশী না ৭-৮ বছর, দ্যাখবেন সেই আদি ধারনা। এমন কি এখনও মফস্বলের দিকের মোটামুটি শিক্ষিত ছেলেরাও এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।


এইবার আসি সিএনজিওয়ালা বা তাদের সমপর্যায়ের লোকদের কথায়। প্রথমত তারা অশিক্ষিত দ্বিতীয়ত তার বড় হয়েছে এমন এক্টা পরিবেশে যেখানে নারীদের ভোগপন্য ব্যতীত আর কিছুই মনে করা হয় না। এমন এক্টা লোকের কাছ থেকে আপনি এর বেশী কিছু আশা করা বোকামী বা ভালো কোন আচরন পেয়ে থাক্লে সেটা বোনাস হিসেবে ধরে নিতে হবে।

এখন এর থেকে বাঁচার উপায় : এদেরকে আসলে বুঝিয়ে কোন লাভ হবে না। কারন নারীরা শুধু ভোগপন্য এটা এদের মাথায় ঢুকে গেছে। আপনার উচিত ছিলো বাসার একদম সামনে সিএনজি থামানো। তারপর ভাড়া বাসা থেকে এনে দেয়ার কথা বলে বাসার কাউকে নিয়ে এসে ব্যাটাকে আচ্ছামত এক্টা ধোলাই দেয়া। কারন এদের জন্য মাইরের উপ্রে কোন ওষুধ নাই। এদের মেন্টালিটি চেইঞ্জ কর্তে হলে এর কোন বিকল্পও নেই।

তাই আপনি অবশ্যই অবশ্যই মন খ্রাপ করবেন না। তাহলে আপনার এই ভাইদেরও অনেক মন খ্রাপ হবে। অনেক ভালো থাকবেন আপু।



২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভুল...ভুল...

এখনকার ছেলে-মেয়েরাও পারে নাই বের হয়ে আসতে পারে নি। এখনও ছেলেরা বউ খুঁজেত গেলে বলার মত একটা ডিগ্রী আছে, একইসাথে সুন্দরী, রূপবতী, কাজের, আবার ঢঙ্গী, খুব ভাল চাকরি বা এ্যাম্বিশাস না, কিন্তু কোন একটা চাকরি, যাতে স্টেটাস থাকে...এইরকম সব রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে দেয়।

আর মেয়েরাও বাড়ি-গাড়ি, ভাল চাকরি, টাকা, ব্লা ব্লা ব্লা...অনেক কিছু নিয়ে বিভোর। কেউ কখনো ভিতরের মানুষটাকে দেখে না। কিচ্ছু বদলায়নি। কিচ্ছু না।

নারীকে ভোগ্যপণ্যতো শুধু সিএনজি ড্রাইভার বা ওই শ্রেণীর লোকেরাই দেখছে না। দেখছে সবাই। কারো মুখে মুখোশের পরে মুখোশ আঁটা থাকে। তাই আসল চেহারার খোঁজ পাওয়া একটু কঠিন। তারা এত কৌশলে কাজ সারে ভুক্তভোগী ছাড়া কেই টের পায় না। আর যাদের মুখোশের পরতটা পাতলা তারাই সবার সামনে ধরা পড়ে যায়। এই-ই পার্থক্য।

মন খারাপ করে থাকিনি রে ভাই। কত কিই ঘটে। এরচেয়েও অনেক ভয়ংকর কিছু। বলা হয় না কখনো। কাল বলে ফেললাম। এই আর কি।

ভাল থাকবেন।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৭

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আপু ইমোটিকনস ভুল দিসি :(:(

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হুমম বুঝতে পারছি।

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: মেকগাইভার বলেছেন: আমি শেষ পর্যন্ত একজন মেয়েই, একটি শরীর...যাকে গিলে খেতে হয়, চেটে-পুটে খেতে হয়, লুটে নিতে হয়।


এটা কোন ঘটনা হইল?


@মেকগাইভার আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে কেউ যদি এইরকম দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে আপনি কি মেনে নেবেন??

কারন এইটাতো স্বাধীন দেশ কেউ তাকাতেই পারে।

অট: উত্তরটা আরো ভয়ংকরভাবে দিতে ইচ্ছা করছিলো, আপুর ব্লগ, তাই দিলাম না। X( X( X( X(( X((

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০০

জিকসেস বলেছেন:
রাস্তায় হাটতে গেলে কাঁদা লাগবেই। কাঁদা নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু নাই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: রাস্তাটা পরিস্কার রাখার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০১

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
সমুদ্র কন্যা,
আমি মনে করি না আপনার এতটা মর্মাহত ও বিচলিত হবার কিছু আছে। একটি জায়গাতেই ভীতি ছিল আর সেটা হলো খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অন্ধকার জায়গাটুকুতে সে যদি খারাপ কোন কিছুর উদ্যোগ নিত। যদিও এটা হতো খুব কঠিন কাজ ওই ব্যস্ত সড়কে।

কিছু দিন আগে বাড়ি থেকে ঢাকা আসছি। গোয়ালন্দ ফেরী ঘাটে আটকে থাকলাম ৬ ঘন্টা। যেখানে সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছে যাবার কথা সেখানে রাত ১১ টায় ফেরি পার হলাম। এপারে এসে দেখি ড্রাইভার উল্টা পাল্টা গাড়ি চালাচ্ছে। যাত্রীরা চিৎকার করে ড্রাইভারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সে বললো, ''আমার ঘুম পাচ্ছে। গতকাল সকাল থেকে ঘুমাই না।"

দেখুন ওই ড্রাইভার কিন্তু ইচ্ছে করে গাড়ি খারাপভাবে চালায়নি। কিন্তু আমাদের জীবন হয়ে উঠেছিল আশাঙ্কাযুক্ত।
এটা আমাদের দেশের বাস্তবতা। আপনার ক্ষেত্রে ড্রাইভার ইচ্ছে করে খারাপভাবে চালিয়েছে। আমরা আসলে অসুস্থ্ ব্যবস্থার হাতে বন্দী।
তাই মন খারাপ করার কোন কারণ দেখি না।

আর শেষে যা করেছে ওই লোকটি, সেটা নিয়েও আমি মনে করি না আপনার মন খারাপ করার কিছু আছে। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষিত লক্ষ লক্ষ পুরুষের মানসিকতা ওই কুরুচিপূর্ণ ড্রাইভারের থেকে বিশেষ উন্নত নয়।
আপনার পরিচিত ও ঘনিষ্ট একজন পুরুষ হয়তো আপনার কাছে অত্যন্ত অমায়িক ও ভদ্র; কিন্তু সেই পুরুষটিই হয়তো অন্য কোন নারীর দিকে ছুড়ে দিচ্ছে অশ্রাব্য ভাষা, ভীড়ের মধ্যে এগিয়ে দিচ্ছে হাত কোন শরীরের দিকে।

ব্যধিটা যখন সর্বগ্রাসী তখন একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের কুৎসিত মন্তব্যে বিচলিত হওয়ার কিছু দেখি না।
তাছাড়া আমরা যে অসুস্থ সমাজের মানুষ সেখানে পুরুষের জন্যও কোথাও গালিচা বিছানো নেই। হয়ত কোথাও তারা একটু বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। কোথাও আবার নিগৃহীতও হচ্ছে পুরুষ হবার কারনে।

এগুলোকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকেই। আমাদের সমাজ আমাদেরকেই পরিশুদ্ধ করতে হবে, অন্যদের দিকে চেয়ে থাকলে চলবে না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ব্যাধিটা সর্বগ্রাসী। আমার বাবার বয়সী অথবা পিতৃস্থানীয় আমার কোন আত্মীয়, আমার শিক্ষক, অফিসের বস, আমার কাছের বন্ধুটি সবার মধ্যেই এই চেহারাটি দেখতে পাই মুখোশের আড়ালে।

প্রথমে আমি হতবাক হবো, বহুদিন শুধু মন খারাপই হবে, বিচলিত থাকবো, সহ্য করতে করতে একসময় মন বিদ্রোহ করবে। আজ সইতে না পেরে আমি ব্লগ এ এসে বলেছি, কাল হয়তো সামনাসামনি প্রতিবাদ করবো। কিন্তু যদি মেনেই নেই, তাহলেতো কিছুই করা হল না। মেনে নেবো, একসময় ভুলে যাবো। আমার মা সহ্য করেছে, আমি করছি, আমার মেয়েও করবে। কোন পরিবর্তন কি আসবে?

পুরুষ হয়তো বৈষম্যের স্বীকার হয়, কিন্তু এ ধরনের হয়রানীর স্বীকার হয় কি? আর যদি হয়ও সেটা একজন পুরুষের দ্বারাই। অনেকে হয়তো উদাহরণ দেবেন, ছলনাময়ী নারীর কথা বলে, কিন্তু এখানে সে ধরনের কিছু বলা হচ্ছে না।

আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, এসব মেনে নিয়ে নয়, এসবের প্রতিবাদ করে। পরিবর্তন করতে হবে আমাদের মানসিকতার।শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। বাবাকে এবং মাকেও তার সন্তানকে শেখাতে হবে সে যেন মানুষকে সম্মান করে, নারী বা পুরুষ হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে।

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৮

নিশাচর০০৭ বলেছেন: :( :( :( :( :(( :((

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: :(:(:(

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৪

কথক পলাশ বলেছেন: আপু, ম্যাকগাইভারের মন্তব্যটা পড়ে বুঝতে পারবেন ঐ অশিক্ষিত ড্রাইভারের চেয়েও মানুষের মন নোংরা হতে পারে।
তবে, আপনি যদি নিজের বাসার সামনে নামার পর ভাড়া দেবার আগে কাউকে ডেকে ব্যাপারটা জানাতেন, তাহলে হয়তো অন্য কোন মেয়ে তার হাত থেকে রেহাই পেত। যাই হোক বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা।
ভালো থাকবেন আপু। চারপাশে মন ভালো হবার মতও অনেক ঘটনা ঘটে। আসুন নাহয় তাই দেখি এখন। আপনার বাসার টবে নতুন কোন ফুল ফুটলো কি?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নোংরাগুলো এড়িয়ে সুন্দরগুলো দেখতে বলছেন? এভাবে অন্ধ হয়ে থাকতে থাকতে তো একসময় এই আবর্জনা সব সুন্দরকে গ্রাস করে নিবে। তখন নিজেকে ভুলানোর জন্য আর কোন সুন্দর পাওয়া যাবে না।

তারচেয়ে বরং আসুন পরিস্কার করি এই আবর্জনা। বাস করি বাসযোগ্য কোন পরিবেশে।

২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৫০

রাগ ইমন বলেছেন: আপনার সি এন জি ড্রাইভারের ব্লগ প্রতিনিধি উপরে মন্তব্য রেখে গেছে । আপনি একই চোখে একটা ছেলেকে দেখতে চান না বা খাইতে চান না , এই উপলব্ধি হতে যেই শিক্ষা লাগে - সেই শিক্ষা কোথায় বলেন?

শিক্ষার সংজ্ঞা পড়েছিলাম যে প্রক্রিয়া মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মননের বিকাশে স্থায়ী ও কল্যাণকর পরিবর্তন আনে , তার নাম নাকি শিক্ষা ।

আমাদের স্কুল কলেজে সেই কল্যাণকর বিকাশ আর স্থায়ী পরিবর্তন দেখেন কোথাও?

একটা অশিক্ষিত লোক যদি পাশবিক আচরণ করে তাকে আমরা পশু বলি তাই না? বাংলাদেশের স্কুল কলেজ পাশ করলে আপনি লিখতে ও পড়তে জানা পশু হইবেন ।

কারণ আমাদের একটা স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতেও বিহেভিয়ার সাইন্স পড়ায় না । সাইকোলজি পড়ায় না ( আচরণ পরিবর্তনের জন্য যে পড়া সেইটা) । মোরাল সাইন্স পড়ায় না ।

আচরণ , মনন ও নৈতিকতা আমরা এখনো পরিবারের কাছ থেকেই শিখি । আগে সমাজের কাছ থেকে শিখতাম, এখন সমাজ তো বখে গেছে।

আমাদের শিক্ষার কারিকুলামে সচেতন ভাবে নারী ও পুরুষ একে অপরের সাথে কি আচরণ করবে, কোথায় কিভাবে কেন নিজেদের প্রকাশ ও ভাব বিনিময় করবে, এইটা শিখানো উচিত। এইটা কেমন দেশ যেইখানে একটা ভার্সিটি পাশ ছেলে বা মেয়ে জানে না কি ভাবে হাটতে হয়? কি ভাবে তাকাতে হয়? কি ভাবে কথা শুরু করতে হয়? কোথায় বন্ধুত্বের সীমা টানতে হয়? কি কথা একটা স্বল্প পরিচিত মানুষকে বলতে নাই? কি ভাবে একটা নতুন ছেলে বা মেয়ের সাথে পরিচয় শুরু করলে ঐটারে প্রেমের আবেদন বলে বিবেচিত হবে না ?

অন্য মানুষের সামনে নিজেকে কি ভাবে প্রেজেন্ট করতে হয় , এইটাও তো শিক্ষার অংশ তাই না?

তবে , আপু , এদেরকে রুখে দাড়াতে শিখুন । সব সময় ইগনোর করা ঠিক না ।

এরপরে কেউ এরকম করলে তাকে খুব শান্ত গলায় এই কথা গুলা বলবেন,

" এই বাড়িটা দেখেছো ? এইটার মালিক আমি । এই বাড়ির ভিতরে যারা থাকে , আমার পরিবার তারা সবাই বড় বড় ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এখন ভালো ভালো জায়গায় কাজ করছে । আমি নিজে উচ্চ শিক্ষিত , খুব ভালো একটা জীবন আমার । তুই আমাকে এখন যেই কথা গুলা বললি , এই কারনেই তোর জীবন কোন দিন এত সুন্দর হবে না । আজকে আমি সি এন জি চড়ি, কালকে গাড়ি কিনবো । কিন্তু তুই সারা জীবন সি এন জি চালাবি , কোনদিনই আমার মত হইতে পারবি না" ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইগনোর করা নয়। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:০৫

সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ড্রাইভার আর কন্ডাকটরগুলোকে যদি রোবট বানায় দেয়া যেত। নিজে সব সময় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চড়েছি এখনও চড়ছি। মেয়েদেরকে আক্রমন/বিব্রত করা বেশী সহজ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাই সেই সুযোগটা অনেকে নেয়। মেয়েদের বিশেষ কিছু স্প্রে থাকে যেগুলো এসব আক্রমন রোধ করার জন্য। সেগুল রাখতে পারেন সাথে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এমন দেশে বাস করছি যেখানে মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে পারে না, রোবটের মুখাপেক্ষী হওয়ার কথা ভাবতে হয়।

কেন আমরা ভাবতে পারি না যে আমাদের সন্তানদের আমরা ওইভাবেই গড়ে তুলবো যেন তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে শেখে। পুরুষ বা নারী হিসেবে নয়।

২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:০৭

রাগ ইমন বলেছেন: ব্যধিটা যখন সর্বগ্রাসী তখন একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের কুৎসিত মন্তব্যে বিচলিত হওয়ার কিছু দেখি না।

বিচলিত হবার যথেষ্ট কারণ আছে । যেদিন থেকে আর বিচলিত হব না , সেদিন বুঝা যাবে নোংরা আমাদের সয়ে গেছে । গায়ে গু লাগলে আমাদের কিছু যায় আসে না ।


তাছাড়া আমরা যে অসুস্থ সমাজের মানুষ সেখানে পুরুষের জন্যও কোথাও গালিচা বিছানো নেই। হয়ত কোথাও তারা একটু বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। কোথাও আবার নিগৃহীতও হচ্ছে পুরুষ হবার কারনে।

সেইটার কারণ পুরুষত্ব না। কোথাও গরীব বলে , কোথাও শিক্ষা , কোথাও মামা চাচা নাই ইত্যাদি কারণে । সেগুলা মেয়েদের বেলাতেও কমন । কিন্তু স্রেফ পুরুষ হবার কারণে নিগৃহিত হওয়ার ক্ষেত্র কয়টা , কি কি?


এগুলোকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।


ঠিক এই কারণেই এই সব আচরণ বন্ধ না হয়ে বাড়ছে । কারণ আময়াদের কেউ না কেউ প্রতিদিন উপদেশ দিচ্ছে " মেনে নাও। মেনে নিয়ে এগিয়ে যাও" । মেনেই যদি নিলাম তো আর এগুলাম কোথায়? পাতালের দিকে যাওয়াটা কি এগুনো বলে? ব্যাপারটা সোনার পাথর বাটি হয়ে গেলো না?

সকল অন্যায় মেনে নেব কিন্তু আমরা এগিয়ে যাব মানে সমাজ এগিয়ে যাবে ! বাহ , হোয়াট এন আইডিয়া স্যারজি!

পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকেই। আমাদের সমাজ আমাদেরকেই পরিশুদ্ধ করতে হবে, অন্যদের দিকে চেয়ে থাকলে চলবে না।

একমাত্র এই কথাটাই ঠিক বলেছেন । আমাদেরকেই বদলাতে হবে ।

সমুদ্রকন্যা , দয়া করে নিজেকে আরো শক্ত করুন। কুকড়ে না গিয়ে একলা বসলে আরো হিংস্র হয়ে বসুন। ব্যাটা নিজেই যেন কুকড়ে থাকে । হয়ত রাস্তা ঘাটে সব জায়গায় পারবেন না কিন্তু যেখানে আপনার সমর্থন আছে কিংবা নিজেদের লোক আছে ( বাড়ির সামনে) সেখানে স্রেফ মারুন। ঈট মারুন, জুতা মারুন, লাঠি পেটা করুন - যা ইচ্ছে একটা কিছু করুন। কিন্তু বুঝিয়ে দিন আপনার সাথে এই আচরন করলে খারাবি আছে ।

এত জড়সড় কেন আপনি? এই দেশটা আপনার নয়? তাহলে রাস্তায় চলার সময় মনে রাখবেন এই রাস্তা আপনার। মালিকের মতন মাথা উচু করে চলুন।

------------------------
একটা সত্যি ঘটনা বলি। এক চোখ ধাধানো সুন্দরী নারীকে চিনতাম যিনি স্বামী ভাল নয় বুঝে তালাক দিয়েছিলেন। তারপর যা হয় , স্বামী ভাড়া করে লোক পাঠায় নোংরামি করার জন্য । আবার ডিভোর্সড বলে মাছি ঘুরে আশে পাশে । বাড়ী ওয়ালা একলা মহিলাকে উঠিয়ে দেব দেব করছে - কি এক জ্বালা ! রোমিওরা রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে থাকে , মহিলা বিব্রত হন। একদিন কৌশলে এক নাছোড়বান্দাকে ডেকে আনলেন বাড়ির সামনে । তারপর পাড়া ভর্তি লোক আর বাড়িওয়ালার সামনে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সোজা করে দিলেন।

তারপর কেউ তাকে ঐ এলাকায় ঘাটানোর সাহস করে নাই।

উনিও তো এই বাংলাদেশেরই মেয়ে, তাই না?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপু রাস্তায় যখন একজন মেয়ে একা থাকে তখন তার পক্ষে কিছু করা সত্যিই কঠিন। সে দুর্বল, কারন শারীরিকভাবে তাকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে, সে সুযোগ পায়নি শরীর চর্চার, খেলাধুলার...জং ধরে গেছে তার প্রতিটা জয়েন্টে। সে দুর্বল, কারন জন্মের পর থেকে প্রতিনিয়ত তাকে শুনতে হয়েছে সে একজন মেয়ে, তার শতেক বাধা সমস্ত কাজে। তাই তাকে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় একজন পুরুষের, বাবা-ভাই-স্বামী...

ভাইটি নেমে যাওয়ায় তাই আমাকে হয়ে পড়তে হয়েছিল অসহায়।

৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১৪

আরিফ থেকে আনা বলেছেন: মৌমাছির সামনে মধু রাখলে সে মৌমাছি সাধু হয়ে বসে থাকবে না। এইসব মানুষরুপী মৌমাছিরা সুযোগের সন্ধানে থাকে বলে মনে হয়না। আজকালকার মডার্ন মেয়েরা সুযোগ করে দেয় বলেই তারা সুযোগটা পাচ্ছে। আপনাকে বলছি না তবে অনেক মেয়েই টাইট জিন্স আর গেন্জী পড়ে রাস্তাঘাটে হাটাহাটি করে আর কেউ লোলুভ দৃষ্টিতে তাকালেই মেয়েটি ভাবে দেশের মানুষের মনুষ্যত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এটা ইউরোপের আমেরিকার কোন দেশ নয়, এটা বাংলাদেশ।

আর মতের বিপক্ষে গেলেই সিএনজি ড্রাইভারের ব্লগ প্রতিনিধি মন্তব্য করেছে বলে ঝাড়ি খেতে হবে হয়তো, কিন্তু কার কি। যার ইচ্ছা সে স্কার্ট পড়ে হাটুক তবে কেউ তাকালে যদি বলে দেশ উচ্ছন্নে গেল তাইলে বিরক্ত লাগে। কারন বাঙালী কালচার এখনো পুরোপুরি ইউরোপীয়ান কালচার হয়ে যায়নি।

অনেক বদমাইশ আছে বোরখা পড়া মেয়ের মাঝেও মধু খোজে এরকম কোন বদমাইশের পাল্লায় হয়তো আপনি পড়েছিলেন।

৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৪০

দ্যা ডক্টর বলেছেন: আপনি মেয়ে তার চেয়েও দেশটা বাংলাদেশ বলে এমনটা বলে ঐ বেটা পার পেয়েছে......

২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এটা বাংলাদেশ বলেই ঐ ব্যাটা এমন করার সাহস পেয়েছে।

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৪৫

বাংলাকে ভালবাসি বলেছেন:

একটা উদাহরণ দেই......

করাত দিয়ে কাঠ কাটা হচ্ছে। কাঠ বেচারা করাতকে জিজ্ঞাসা করছে 'তুমি এত নিকৃষ্ট, আমাকে এইভাবে কাটতে তোমার মনে খারাপ লাগেনা!'

তখন করাত বলছে 'দেখ, আমি নিকৃষ্ট না। তুমি যদি আমার কাছে না আসতে তবে তোমার কোনো ক্ষতি সাধন করার সুযোগ আমি পেতাম না।'


দুনিয়াতে শরীরের মোহ ও বস্তুবাদিতার উপকরণের মধ্যে সুখ খুজে পাওয়ার ব্যধিতে সমাজ ব্যাপকভাবে আজ আক্রান্ত হয়েছ আর এই সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যে অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া এবং তা থেকে মুক্তিলাভের প্রেরণা জাগ্রত হওয়া উচিত ছিলো তা আমরা পারিনি।



শরীর পূজা ও অধিক সম্পদ উপার্জন ..........এই চিন্তাই আমাদেরকে উদাসীন করে রেখেছে আর যার ফলে আমরা এ অবস্থায়ই কবরস্থানে চলে যাবো এবং সেখানে গিয়ে আমরা বুঝতে পারবো কেমন নির্বুদ্ধিতার শিকার আমর ছিলাম।

৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২৯

ওরাকল বলেছেন: হুম :( আমাদের বিশেষ করে ছেলেদের এই মানসিকতা যে কবে বদলাবে তা আল্লাই জানে।

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষনবোধ খুবই সাভাবিক কিন্তু এটা যখন শালিনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন দু-পেয়ে মানুষ আর চতুস্পদ যন্তুর মাঝে কোন তফাত থাকে না।

সব চেয়ে বড় দুঃখের ব্যাপার হল ঐ সিয়েজি ওয়ালে থেকে শুরু করে কর্পোরেট অফিসের বড় কর্তা পর্যন্ত সব খানেই এই পশুগুলর দেখা মেলে।

৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধরেন একখান লুকাল বাসে অনেক মানুষের সাথে গেটে দুই একটা মেয়ে খাড়াইয়া যাইতাছে। শ্যামলিতে থামতেই মেয়ে দুটা যখন নামছে তখন দেখা গেলো কন্টাক্টর ছোকড়া মেয়েদুটোর পিঠে আলতো করে হাত টা ছুয়ে দিলো। পিছনে একটা ছেলে দেখলো। বাস ছাড়বার আগেই কন্টাক্টরকে একটা লাথী মারলো। ওমনি ড্রাইভার বাস থামিয়ে দিলো। ওদিকে সে তার কলার ধরে নামিয়ে উপর্যুপরি ঘুষি। কিন্তু ছেলেটার উপর চড়াও হবার সাহস পেলো না, কারন ছেলেটা ছিলো বিশালদেহী, জিজ্ঞেস করতেই বলে,' কন্টাক্টর পোলাটা জারজ!' ধুমধাম মাইর দিয়ে আস্তে করে সটকে পড়লো,

উপরে এই কাহিনীটা আমি দুবার রিপিট করছিলাম। কিন্তু অবস্হার পরিবর্তন হয়নি। হবেও না। কেনো হবে? সেটা কি কখনো চিন্তা করেছেন? করেননি। কারন আমরা একটা সুন্দর সমাজ পেয়েছি জন্ম পেয়ে যেখানে অবাধ স্বাধীনতা। রাস্তা দিয়ে যখন একটা শিশু না খেয়ে পেরেক খায়, তখন কেউ দেখি না। যখন এই ছেলেটা একটু বড় হয়ে বাসের কন্টাক্টরি করে তখন এদের অকাম দেখি। দোষ আমাদেরও না, দোষটা হলো সময়ের। সময়টা আমাদের খুব খারাপ যাচ্ছে, কিন্তু তাই বলে সময়টাকে বাগে আনতে পারার ক্ষমতা নেই!


তাহলে কি সমাধান শুনতে চান?

৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:০৪

'লেনিন' বলেছেন: চ্যারিটি বিগিনস এট হোম। সবাই যদি তাদের বাচ্চাদের ছোটকাল থেকে সভ্যতার লেশমাত্র শেখাতেন তাহলে সমাজটা একটু হলেও বদলাতো।

আবার অন্যধরণের থিওরিও প্রচলিত, কেড়ে নেয়া, ছিনিয়ে নেয়া মানে অধিকার জাহির করা আর নিজের আধিপত্য বিস্তার করা। এভাবেই তো চেঙ্গিস, হালাকু, অ্যাটিলা বিশ্ব দাপটে বেড়িয়েছে।

একারণেই হয়তো সব ধরণেই মানুষই বিদ্যমান। অযথাই মন খারাপ করবেন না।

৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৩৪

ছোট সরকার বলেছেন: খুবই দুঃখজনক

৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০১

স্তব্ধতা' বলেছেন: আশ্চর্য হলামনা সিএনজি ওয়ালার আচরনে।আশ্চর্য হলাম উপরে কয়েকজনের মন্তব্য দেখে। মন্তব্য পড়ে মনে হলো জাগতিক মনুষ্যত্বের সকল অধিকার এই ব্ঙ্গীয় পুরুষ সন্তানদের। মেয়েরা শুধুই একতাল মাংস পিন্ড যে কাছে আসলেই করাত দিয়ে তাকে কাটতে হবে, না আসলে টেনে আনতে হবে।তবুও দোষ ঐ মাংস পিন্ডরই!!!সত্যিই আশ্চর্য।

৩৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫৬

রাজসোহান বলেছেন: @ ম্যাকগাইভার তোরে সামনে পাইলে থাবড়াইয়া তোর গাল এর চামড়া তুইলা নিমু।

৩৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৩

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ১। যারা মেয়েদের পোষাক নিয়ে কথা বলে, বলে যে মেয়েরা ঠিকমত পোষাকে থাকলেই টিয করেনা কেউ, তাদের মুখের উপর বলে দিতে চাইঃ আমি হিজাব করি, কিন্তু তারপরেও কি বেঁচে গেছি নোংরা দৃষ্টি, অশ্লীল কথা শোনা থেকে ???? রাস্তা ঘাটে না হয় মূর্খ অশিক্ষিত ভদ্রতাজ্ঞ্যান হীন দের কাছ থেকে এমন কিছু অস্বাভাবিক না এরকম আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, কিন্তু যখন নিজের সহপাঠী , বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী, তাদের কাছ থেকে এমন ব্যাবহার পেয়েছি তখনও কি মেয়েদের পোষাক কেই দোষ দেবেন ?
পশুর মানসিকতা নিয়ে চলা অমানুষদের কাছে মেয়ে মানে মেয়ে ই! পোষাক জাস্ট ডাযেন্ট ম্যাটার!!! যখন কারো কাছ থেকে শুনি, মেয়েরা শালীন পোষাক পড়লেই হয়...... অসহ্য লাগে! অসহ্য! আগাগোড়া পোষাকে আবৃত থেকেও শয়তানের দৃষ্টি যার আছে, আবর্জনার মত মন আর অনিয়ন্ত্রিত লোভ, তার কথা দিয়ে হলেও প্রবৃত্তির শিকার ঠিকি হতে হয়েছে!!!
২। কেন পুরুষের আবরণের কথা কেউ বলেনা?!!! মেয়েরা শালীন পোষাক পড়বে, স্রষ্টা বলসে তাই... কিন্তু তারও আগে পুরুষদের দ্বিতীয় দৃষ্টি যে হারাম করা হয়েছে , সেটা নিয়ে কারো মাথায় একটুও ব্যাথা দেখিনাই! মেয়েদের পোষাক কেমন তা দেখার সুযোগই তো দেয়া হয়নাই!!!!
৩। আপু, সি এন জি ওয়ালার কি দোষ? যেখানে ভালো স্কুল, ভালো কলেজ ... ভালো রেসাল্ট করা ছেলেদের কাছেও সহপাঠী মেয়েটা একটা মেয়েই থেকে যায়? পরিবারের শিক্ষাটা আসল, এসব পরিবারে শিক্ষা ঠিকি দেয়া হয়না এটা যে মেয়ে মানে মেয়ে, মা আর বোন না ........কিন্তু নষ্ট আচরণ টা ঠিকি প্রকাশ পায় যখন সে পরিবারের বাইরে এসে স্বশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়। তখন আর মূল্যবোধের চর্চা কেউ করেনা। আমাদের পড়াশুনার সিস্টেমেই তুলে দেয়া হয়েছে মূল্যবোধের বিষয়টা! মুক্তচিন্তা মানেই কি বিবেককেও মুক্তি দেয়া??? নইলে দ্বিতীয় বর্ষে ঊঠে ক্লাসের ডায়াসে উঠে কাউকে কেন বলতে শুনিঃ “ ক্লাসে মেয়েরা মা না, বোন না, বঊ ও না... এদের সাথে যা ইচ্ছা বলা যাবে!”
৪। মানসিকতার বদল আগে সামাজিক ভাবে ভালো অবস্থানে থাকা মানুষদের শুরু করতে হতো। তারপরে সেটার ছায়া আশা করা যেত অপেক্ষাকৃত নিচের শ্রেনীর কাছে। হাহ, শিক্ষিত (!) শ্রেনীই কত্ত সম্মান দিয়ে যাচ্ছে মেয়েদের ... ... ... অবশ্যই সবাই এই কাতারে পড়েনা। অশ্লীল সিনেমা আর গান বানিয়ে সুবিধা বঞ্চিত শ্রেনীর লালসাতো আরো বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, খবর আছে কারও!!!!
এখন আর আশা করিনা সম্মান। আগে জাস্ট মানুষ ভাবুক...... সম্মান পরের কথা, অসম্মান না করুক!!

খোদা সবাইকে হেদায়াত দিক! তোমার সাথে দুঃখ প্রকাশ করতে পারছিনা কেন যেন আপু ... ... কারণ শেষ পর্যন্ত আমি -তুমি , আমরা মেয়ে ই হয়ে থাকি!

৪০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৫

তুষারকনা বলেছেন: আপু,তোমার মতো অভিজ্ঞতা আমারো হইসে....এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েরা পালিয়ে বাঁচি....প্রতিবাদ করার সাহসটুকু আজও হয়ে ওঠেনি,কে জানে প্রতিবাদের ফল আরও মারাত্মক হতে পারে....হয়তো আগামীকাল আমার চলার পথে এসিড নিয়ে বসে থাকতে পারে কেও... মুখে যতই কথা বলিনা কেন, আমরা এতোটাই অসহায়!!!!

৪১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৯

মেহবুবা বলেছেন: অতি সাধারন , আটপৌরে একটা ঘটনা । যার বা যাদের ক্ষেত্রে ঘটে সে বা তারা উপলব্ধি করে এটার কলুষিত দিক । তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন , লেখা পড়া জান , বাস্তববুদ্ধি আছে তাই লিখে এবং শেষ ' ছিঃ ' দিয়ে কিছুটা হলেও নোংরামীর প্রতিবাদ করতে পারছো ।
দেখো আজ কিছুদিন হল প্রায় প্রতিদিন খবরের কাগজে মেয়েদের অপমৃত্যুর খবর আসছে , সেই সব মেয়েরা আমাদের মুখের ভাষা স্তব্ধ করে দিচ্ছে । সারা জাতির দিকে ঘৃনাভরে ছুড়ে দিচ্ছে ' ছিঃ ' ।

আমি তোমার জায়গায় হলে সিএনজি ওয়ালাকে ডেকে বলতাম সাবধানে দেখে শুনে চালান , আপনার খেয়াল করা উচিৎ রাস্তা ঘাট । ( একবার বলেছিলাম ক্যাবওয়ালাকে ) ।

অনেকের প্রিয় পোষ্টে দেখবে " একজন সাহাজাহান সাজুর মা মারা গিয়েছে" । একজন মেয়ে ,একজন মেয়েই । তার বেশী কিছুতে উঠতে পারে না ।
তোমার এ পোষ্ট পড়ে মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল ।

@ কালপুরুষ , বাস্তবতা ভিন্ন , এমন একটা পরিবেশ তৈরী করলে পরে দূর থেকে হলেও মেয়েটাকে ইংগিত করে এমন কিছু বলা হবে সেটাও প্রীতিকর থাকে না ।

৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২২

মেহবুবা বলেছেন: কিছু মনে করো না , এখানে অনেকের মন্তব্য আসবে নানারকম । ওসবে খেয়াল করে লাভ নাই ; জবাব দেবারও না ।
তোমার মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেঠীক কাজটা করেছো পোষ্ট দিয়ে , যার যার রুচী অনুযায়ী এটার ব্যাখা হবে হোক ।

৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

মেহবুবা বলেছেন: দেখো ইচ্ছে হলে Click This Link

৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৫

চতুষ্কোণ বলেছেন: মেহবুবা আপার মতোই বলি মনটা বিক্ষিপ্ত হলো।

৪৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

হা...হা...হা... বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবশ্যই বিপরীতের প্রতি আকর্ষণ থাকবে। এই আকর্ষণ, এই শরীরী চাহিদা উপেক্ষা করতে হবে এমন কথা কিন্তু কখনো বলা হয়নি। কেউ বলেনি। কিন্তু তার প্রকাশটা এমন কেন হবে?

এখানে শুধু সিএনজিওয়ালার কথাই আমি বলিনি, ভদ্রতার মুখোশ এঁটে রাখা এই সমাজের প্রতিটি পশুর কথা বলেছি। যাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী আছে, যারা অনেক উঁচুতলায় বাস করে, সবাই। তাদের কিসের শিক্ষার অভাব। তবে শিক্ষিত কারা হল?




এটা আমারও প্রশ্ন। শিক্ষিত মানে কি? অনেক লম্বা চওড়া একটি এডুকেশনাল সার্টিফিকেট? এটাকে আমি শিক্ষা মনে করি না। আপনি দেশের সবচে বড় দুর্নীতিবাজ লোকগুলোর দিকে তাকান, দেখতে পাবেন সেখানে বড় বড় ডিগ্রীধারীরা বসে আছে। যারা লেখা পড় কম তার দেশে বা সমাজের জন্য হুমকি হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

শিক্ষা বলতে আমি বুঝি মার্জিত আচার আচরণ, মনুষ্যত্ববোধ অর্জন ইত্যাদিকে। এই গুনগুলো যার মধ্যে আছে সে যদি কোনদিন স্কুলে নাও যায়, সে যদি নিজের নামটি লিখতে নাও জানে আমার কাছে অন্তত সে শিক্ষিত। কারণ একজন ভাল মানুষ হওয়ার জন্য যা যা শিক্ষা প্রয়োজন তা সে শিখেছে।

আর আপনি যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা বলেন তাহলে সে শিক্ষাগুলো হলো আপনাকে পেশার জন্য উপযুক্ত করার কোর্স। আপনি যদি ডাক্তার হতে চান তবে মেডিকেলে পড়বেন, ব্যাবসায়ী হতে চাইলে বাণিজ্য নিয়ে পড়বেন। আপনি আপনার শিক্ষা জীবনে কি কোথায় পড়েছেন যে, একটি মেয়ের সাথে একটি ছেলের এই ভাবে আচরণ করা উচিৎ অথবা এই ভাবে আচরণ করা উচিৎ নয়? সুতরাং যে শিক্ষা আমাদের এগুলো শেখাবে না সেগুলো শুধুমাত্র মানুষকে পেশাদার বানানোর কোর্স।

যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী কোন ছেলে হয়তো অনেক ভাল ছাত্র, অনেক ভাল রোজগার করে। সেটা সে যে শিক্ষা গ্রহন করেছে সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েই করেছে। কিন্তু সে একটি মেয়ের সাথে বাজে আচরণ করতে দ্বিধা করেনা কারণ সেই সেই শিক্ষার মধ্যে একটি মেয়ের সাথে কি আচরণ করতে হয় তা শেখেনি।

আসলে এই শিক্ষাগুলো নিতে হয় পরিবার, সমাজ ও নিজের বিবেকের কাছ থেকে। যেহেতু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এগুলো নাই সেহেতু কেউ খুব বেশী শিক্ষিত হলেই যে তার কাছ থেকে ভাল আচরণ পাবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।


৪৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: সাগর ছুঁয়ে ১০০ কি.মি হাটা

৪৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

জাতি জানতে চায় বলেছেন: আপনি কি মেয়ে হতে লজ্জাবোধ করছেন?! আধুনিক যুগের অসভ্যতার কারন গুলো কি হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?!

৪৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৭

নীরজন বলেছেন: আপুরে.........এই রকম অভিজ্ঞতা যদি লিখতে যাই তাহলে পৃথিবীর নব কালি আর কাগজ শেষ হয়ে যাবে..........
খুব মন খারাপ লাগছে..............

শক্ত থাকবেন.......
আমিও এই রকম সময় শক্ত থাকার চেষ্টা করি..........কিন্তু পারি না...........

৪৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৯

দখিনা বাতাস বলেছেন: এইসব ঘটনা শুনলে মনে হতো শুধু আমাদের দেশেই বুজি এমন হয়। কিন্তু যতই ঘাটাঘাটি করি, দেখি সব দেশেই কাহীনি এক। ধরনটা ভিন্ন। নিউইয়র্কের কিছু কিছু ঘটনা শুনার পরে মনে হয়, বাংলাদেশের মেয়েদের কপাল এখনও ভালো, আমেরিকান মেয়েদের নি্যাতন সহ্য করে উপরে হাসি মুখে বলতে হয় না, ইউ নটি বয়........

এখন এই ধরনের ঘটনা শুনার পরে কিছু গৎ বাধা বাক্য মনে ভেসে উঠে আর বাক্যগুলিকে খুব কঠিন সত্য হিসাবে আরেকবার মেনে নিই----

" মেয়ে হয়ে জন্মানো পাপ"

" জন্মই তার আজন্ম পাপ"

" একটা মেয়ের জীবনে সবচাইতে বড় ট্রাজেডি, পুরুষকে সন্তান হিসাবে পেটে ধরতে হয়"

৫০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

কার্নেল বলেছেন: ছেলেরা হারামীর জাত।

৫১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০২

সাইফুর বলেছেন: এমন শয়তান ভালোমানুষের মুখোশে আমাদের আশে পাশেই আছে। ধিক্ এদের

৫২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১১

দি ওয়ান বলেছেন: মানুষের সভ্য হতে আরও অনেক দেরি আছে, আরো অনেক দূর যেতে হবে। :(

৫৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৬

সাইফুর বলেছেন: টেক্সীওয়ালাতো অশিক্ষিত..আর শিক্ষিত ভদ্রবেশী গুলো বেশী মারাত্মক

৫৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩১

স্বপ্নকথক বলেছেন: আমারে তখন বলনি কেনো?? ঐ শুওরের বাচ্চাটাতো ঐ পথ দিয়েই ফিরতো! খিলখেতে ধরে নেংটা করে ছেড়ে দিতাম। হারামজাদারে বার বার বলছি আস্তে চালা, শালা কথা কানেই নেয় না!!

শুনো, শুধু মেয়ে নয়, এমন পরিস্থিতিতে সবাই পড়ে, হ্যা, ছেলেরাও পড়ে। আমি মনে মনে হাসি এদের মনের কলুষতা দেখে। এদের অজ্ঞানতা দেখে। আর ভুলে যাই।


সমাজ পরিবর্তনের কথা সবাই গলা ফাটায়া কইতাছে এইখানে, আপনার সন্তানরে জীবনে এই কথা বলছেন, মেয়েদের কখনো খারাপ কথা বলবা না, খারাপ আচরণ করবা না?


কেউই বলে না। আমরা বিবেক দিয়ে এগুলো বুঝি। যারা বুঝতে পারেনা, তাদের শেখাতে তো হবে? নাকি আমরা আশা করে নেবো তারা একা একা শিখবে??

৫৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: সিএনজি ড্রাইভারতো অশিক্ষিত কিন্তু সমাজের শিক্ষিত ও ভদ্রতার মুখোশ পড়ে যে লোক গুলো ঘুড়ে বেড়াচ্ছে তারাতো আরো বেশী হিংস্র। ভাবতে খুব খারাপ লাগে যে এরাই সমাজের হর্তা-কর্তা। সমাজে মান-সন্মান-টাকা-পয়সায় এরাই সবর উপরে!!!

৫৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ পাখি পাখি!

কি মন খারাপ যে হল না পড়ে! ভীষণ!

এরকম কত হয়! কত! কতটুকুই আর প্রকাশ পায়!

৫৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

দন্ডিত বলেছেন: আমি শুধু স্বপ্ন দেখি একদিন এই নষ্ট সামাজিক বাস্তবতার পরিবর্তন হবে।

৫৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১৫

করবি বলেছেন:
এই অবস্থা থেকে আমাদের নিস্তার নেই। চলছে চলবে। কাকে বলবে! কোথায় বিচার দিবে। সব জায়গায় বসে আছে এমন মুখোশ পরা কেউ না কেউ।এখানেই দেখ,কয়েক জন কি বলে গেল। সব চেয়ে কষ্ট বেশী হয় যখন দেখি শিক্ষীতদের মুখে ভদ্রতার মুখোশ। যা সময়ে খুব সহজেই খশে পড়ে। যাদের কাছে আশা সমাজ পরিবর্তনের তারাই..................

৫৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮

সবার প্রিয় বলেছেন: আপু এ ব্যপারে আমার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। এর চেয়ে ভয়ানক ঘটনা ঘটেছিল আমার এলাকায়, এবং আমার সামনে। আমি কোন দিন করো সাথে মারামারি করিনি। কিন্তু সেদিন আমি একটা মানুষ রুপি জানোয়ার কে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম।

এখোনও বাড়ি গেলে আমাকে যদি ৫০০ গজ দূর থেকে দেখে ঐ জানোয়ার টা, তাইলে ৫০০ গজ দূর থেকেই পালায়।

তবে আপনার থাপ্পড়টা দেওয়া উচিত ছিল। শিক্ষা আর সমাজের ভয় পেলে কুত্তা গওলো পেয়ে বসবে।

৬০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

মাহমুদুল করিম লিংকন বলেছেন: খালি এক দিন কোনো সিনজি ওলারে বাগে পাইয়া লই।আমার গারল ফ্রেন্ড এর লগে ও একদিন বেয়েদবি করসে।...।।চাঞ্চে আসি......

৬১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩

লুৎফুরমুকুল বলেছেন: আপনি মেয়ে কিন্তু আপনিও পারেন বিশ্ব চালাতে। আর আমগো হাসিনা বু তো মেয়েই ওহ্‌ উনি আসলে নারী!!!

৬২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০

কায়কোবাদ বলেছেন: খুবই লজ্জাজনক। দু:খ জনক..............সাধারণত আপনার লেখা পড়লে মন ভালো হয়ে যায়, আজকে উল্টোটা হলো, দেশটা যে কবে বদলাবে???

সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হলো, ব্যাধিটা আসলেই সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে, শুধু অশিক্ষিতরা যে এমন করে তা কিন্তু না..........শিক্ষিত শয়তানগুলা আরো বেশী ভয়ংকর.... :( :( :( :(

এদের প্রতি হাজার ধিক্কার।


ভালো থাকুন সবসময় ।

৬৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জেরী বলেছেন: এমন হয় তারপরও এমন ঘিনঘিনে দৃষ্টি থেকে গা বাঁচিয়ে চলতে হয়। মেয়েদের কলেগগুলোর সামনে যে রিক্সাওয়ালাগুলো বসে থাকে ঐ বদগুলা আরো খাটাশ হয়। কত সহজেই বাজে মন্তব্য করে বসে থাকে :(

৬৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ফারা তন্বী বলেছেন: Click This Link


আপনারই দোষ আপু, আপনার ওড়না কেন উড়লো?(!!!!!) বাতাসকে থামিয়ে দেবার দায়িত্বও মেয়েদের তা জানেননা?

শাকস দিস সোসাইটি!!!!!!!!

৬৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪১

শ্রীমান বলেছেন: @দুরন্ত স্বপ্নচারী--- Click This Link

@স্বপ্ন-কথক-- Click This Link --আপনাকে খুজছি...

@সমুদ্র-কন্যা--- Click This Link --বাকী কথা অন্য কোন সময়....

শান্তনার কথা বলব না, শাষন হয়ত করতে পারি।

৬৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪৩

নৈশচারী বলেছেন: ইগনোর করা নয়। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
আপু রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। খুবই উচিত কথা এটা। কিন্তু সত্যি করে বলুন তো, রুখে দাঁড়াতে কি পেরেছেন? গতকাল যখন ঘটনাটা ঘটেছিল তখন সিএনজি ওয়ালা কে লোক ডেকে মারধর তো দূর মুখে ধমক দিয়ে তার এই আচরণের প্রতিবাদ করার সুযোগটাও হয়নি আপনার। কেন পারেননি? কিসের ভয়ে? আত্মসম্মানবোধ,শিক্ষা,সচেনতা কোনকিছুরই তো অভাব নেই আপনার, আমাদের! তবু প্রতিবাদ করা হয়না! আগামীকাল যদি আবার ও একই ঘটনা ঘটে পারবেন সিএনজি ওয়ালাকে শায়েস্তা করতে? পারবেন না! কারণ কিছু হলেও আপনার মধ্যে ভয় কাজ করবে! যেমন ঐদিন করেছিল!
এখানে ইগনোর করা বলতে আমি এটা বোঝাইনি যে চুপচাপ সব অন্যায় আমি সহ্য করে যাব! এখানে ইগনোর মানে হলো যতক্ষণ আপনি সরাসরি আপনার উল্লিখিত মানুষগুলির সাথে লড়াই করার মত মনের জোর অর্জন না করতে পারছেন ততক্ষণ তাদেরকে গুরুত্ব না দেয়া! তাদেরকে এইটুকু স্পেসও না দেয়া যে তারা আপনার মন খারাপ করে দিতে পারে, আপনার চিন্তার কোনো অংশ দখল করে নিতে পারে বা আপনার অস্তিত্বে আঘাত হানতে পারে! কেন আমি দিব ওই মানুষরূপী অমানুষদের এতটুকুও স্পেস? ঘৃণা করতে শিখুন, তাচ্ছিল্য করতে শিখুন কিন্তু গুরুত্ব দিতে নয়! রুখে দাঁড়ানো অবশ্যই জরুরি! রুখে দাঁড়ানোটাই প্রায়োরিটি! কিন্তু যতক্ষণ সেটা করার মত সুযোগ বা সামর্থ্য আমরা না পাচ্ছি ততক্ষনের জন্য এদেরকে আপনার মনকে দুর্বল করে দেয়ার সুযোগটা দেবেন না - এটা বলাটাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল!
ভালো থাকুন আপু, অনেক অনেক ভালো!

৬৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫২

সিরিয়াস বলেছেন: উপ্রে কয়েকজনের মন্তব্যের সুর এইরকম- মেয়েদেরও দোষ আছে, তারা ক্যান 'আবেদনময়' পোষাক পইড়া ঘুরবো? আজব কথা, তার মন চাইলে সে কিছু না পইড়া ঘুরবে, তাতে কি পুরুষের ধর্ষকামিতা জায়েয হয়া যায়?

শিক্ষা দীক্ষা দিয়া কোন কিছু হইব বলে মনে হয় না। সমাজে নারী আর পুরুষের কিছু স্টিরিওটাইপ আছে- আমরা নিজেদের মানুষ বইলা আইডেন্টিফাই করনের আগেই নারী বা পুরুষসূচক বৈশিষ্ট্য দিয়া নিজেদের ও অন্যদের চিনতে শিখি। যেমন ছেলে বাচ্চারে বলা হয়- ছি তুমি কি মেয়ে, তুমি কাঁদো কেন?এইগুলাই আস্তে আস্তে অনেকগুলা ভয়ঙ্কর প্র্যাকটিস শিখায়া দেয় পোলাপানরে।

আমার মনে হয় বাচ্চাদের এইটা বুঝানো জরুরি যে লৈঙ্গিকভাবে তুমি নারি বা পুরুষ যাই হও না কেন, তুমি আদতে কখনোই পুরাপুরি নারি বা পুরুষ না যেহেতু তোমার মধ্যে মা বাবা দুইজনেরই অংশ আছে।

আমি লৈঙ্গিকভাবে পুরুষ। কিন্তু আমার কইতে দ্বিধা নাই যে আমি প্রায়ই কান্নাকাটি করি, গয়নাগাটি আমার খুবি পছন্দ, বাচ্চা পালতে ও রান্না করতে আমি ভালবাসি।

মানুষ মানুষরে সম্মান করতে শিখুক।

৬৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: কাল রাতেই পোষ্টটা পড়েছিলাম। মোবাইলে উত্তর দেইনি। একটু আগে বাসায় ফিরে তোমার ব্লগে এলাম। :(
ম্যাকগাইভারের মন্তব্যে অবাক হইনি। ওর মত পুরুষ যেমন আছে, তেমনি এখানে সুরুচিসম্পন্ন পুরুষও মন্তব্য করেছেন তোমার পোষ্টে। দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:চাই অলৈঙ্গিক বিশ্ব সভ্যতা। আমিও সহমত পোষন করি। আর তুমি কাদেরকে শিক্ষিত বলছো??? একাডেমিক শিক্ষা কি একজন মানুষকে শিক্ষিত করে তোলে? শিক্ষার শুরুটা করতে হবে ঘর থেকে।
এর দায়িত্ব মা, বাবা দু'জনের সমান। মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান করতে শিখালে সেখানে লিঙ্গ বৈষম্য আসবেনা বলেই আমার ধারনা। ভালো থেকো। মেয়েরা অনেক প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এ জন্য আমরা গর্ব করতে পারি।

৬৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৬

মেকগাইভার বলেছেন: সবাই দেখি ভদ্র সাজার প্রতিযোগিতায় নেমে পরছে।

বাংগালী জাতী কি সোজা হওয়া গেল নাকি?

আমি পুরুষ তাই নারীর দিকে তাকাই। সবার মাঝেই সমান ভাবে যৌন কামনা বিদ্যমান.. ছেলে এবং মেয়ে..।

দেশের নারী এবং পুরুষ রা সামাজিক কারনে তদের ইচ্ছা পুর্ন করতে পারে না। দেশের বেশির ভাগ শিক্ষিত / ভদ্র পূরুষরা সুযোগের অভাবে লুইচ্চামি করতে পারে না। অথচ ইচ্ছা সবার ভিতরেই আছে। ২০০৮ সালের WHO একটি রিসার্চে দেখা গেছে যে দেশের ৭০ % পুরুষ তার লাইফ টাইমে অন্তত একবার পতিতার শাথে সেক্স করছে। বিবাহ পুর্বক সেক্স করছে ৬০% পুরুষ। বিয়ের পরে পতিতা সাথে সেক্স করার পারসেইনটেইজ আরো বেশি। ৫ % পুরুষ সমকামি সেক্স করে। এবং এগুলো যেকোন স্টেটাসের পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযজ্য। অর্থাত নিম্ন বিত্ত , মধ্য বিত্ত এবং উচ্চ বিত্ত।

( বাই দা ওয়ে , রিসার্চের মেথড ছিল এনোনিময়াস, ইন্টারভিউ সাবজেক্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল বন্ধ ঘরে অডিও টেপ শুনে )

এরকম একটি রিসার্চ আপাতত নারীদের নিয়ে চলছে।
তবে মেয়েদের সেক্স কামনা ছেলেদের থেকে ডিফারন্ট নয়।
যদি সামাজিক বাধা না থাকত তাহলে দেশের সব মেয়েরাই শারি সালওয়ার বাদ দিয়ে জিন্স আর টাইট টি-শার্ট পড়া শুরু করবে, শরীর দেখানোর জন্য। আর সবচেয়ে বড় কথা হইল যে মেয়েরা নিজেরাই চায় ছেলেরা তাদের শরীরের দিকে তাকাক। তাদের কামনা করুক, সেক্স করুক। এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম । আর তা নাহলে হোমো সাপিয়েন্স স্পিসিস এতদূর আসতে পারত না।

৭০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:

কিছু বলার নাই।

৭১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১২

হায় ঈশ্বর! বলেছেন: মেকগাইবার কে জাঝা

৭২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১০

বড় বিলাই বলেছেন: হুমম, এটাই আমাদের জীবনের কঠিন সত্য।

৭৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২১

রাগ ইমন বলেছেন: যে মেয়ে পছন্দ করছে না , চাইছে না কামনার দৃষ্টি , সেই মেয়েটা এই পোস্ট লিখেছে । যারা সেইটা না বুঝে মন্তব্য করছে সেই সব কামার্ত কুকুরকে এই পোস্টে মন্তব্য না করতে অনুরোধ করা হলো।
--------------------------------
আপু রাস্তায় যখন একজন মেয়ে একা থাকে তখন তার পক্ষে কিছু করা সত্যিই কঠিন। সে দুর্বল, কারন শারীরিকভাবে তাকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে, সে সুযোগ পায়নি শরীর চর্চার, খেলাধুলার...জং ধরে গেছে তার প্রতিটা জয়েন্টে। সে দুর্বল, কারন জন্মের পর থেকে প্রতিনিয়ত তাকে শুনতে হয়েছে সে একজন মেয়ে, তার শতেক বাধা সমস্ত কাজে। তাই তাকে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় একজন পুরুষের, বাবা-ভাই-স্বামী...

ভাইটি নেমে যাওয়ায় তাই আমাকে হয়ে পড়তে হয়েছিল অসহায়।


শারীরীক দুর্বলতার চেয়ে এইটা মানসিক দুর্বলতা। নেটে সার্চ দেন । প্রচুর এক্সিডেন্ট এর খবর পাবেন যেখানে গাড়িতে আগুন ধরে গেছে । বাচ্চা মরে যাচ্ছে । প্যারামেডীক আসতে দেরী হবে। জীবনে জিমে যায় নাই - শুটকা পাতলা মা কয়েক টনি গাড়ি নিজেই উলটে ফেলেছে স্রেফ বাচ্চার জীবন বাঁচানোর জন্য।

কেমনে সম্ভব আপু?

ঐ কয়টা মুহুর্তের জন্য মায়ের ব্রেইন " আমি গাড়ি উঠানোর মত ক্ষমতা রাখি না" এই তথ্যটা মগজ থেকে মুছে ফেলেছিলো। ইগনোর করেছিলো।

আর তাতেই মায়ের শরীর , মাংসপেশী অবিশ্বাস্য শক্তি পেয়ে গেছে ।

বুঝলেন আপু?

ম্যাট্রিক্স ছবিটা দেখেছেন? নিও এর ট্রেনিং এর দৃশ্য? অথবা মরফিয়াসের সেই বিখায়ত উক্তি " হি ইজ নট গেটিং বেটার । হি ইজ স্টারটিং টু বিলিভ"

আল্লাহতে বিশ্বাস করেন? আল্লাহ কি বলেন নাই শুধু বিশ্বাসের জোরে আপনি এমন সব ঘটনা ঘটাইতে পারবেন যা সাধারনত কল্পনা করা যায় না?

এই পশু গুলোকে শায়েস্তা করার শক্তি নিয়েই আপনি জন্মেছেন আপু। আপনি শুদু আপনার ব্রেইনকে প্রতিদিন বলুন, সে যেন উলটা কথাটা ভাবা বন্ধ করে দেয়। ঐ উলটা কথাটাই মিথ্যা । ঐ উলটা কথাটাই আপনাকে দুর্বল করে রেখেছে ।

আপনি আসলে দুর্বল নন।

৭৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৩৫

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:

এইখানে যতজনে কমেন্ট কৈরা সমবেদনা জানায় আপনাকে , ওরাও সুযোগ পেলে...........(বেশীরভাগই)।

নারী হয়ে জন্ম হওয়া আসলে পাপ।

৭৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৮

বৃত্তবন্দী বলেছেন: আমরা এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারি নি। কবে মানুষ হ'তে পারবো তাও জানি না...

বোন ছোটো একটা ঘটনা বলিঃ-
আমার বড় বোন তখন জব করে। অফিস ধানমন্ডি, আমরা থাকি মগবাজার মধুবাগ। সেই সন্ধ্যায় অফিস করে ফেরার সময় কোনো রিকশা পায়নাই যেইটা সরাসরি মধুবাগ আসবে। তাই বাধ্য হয়ে মগবাজার মোড় পর্যন্ত রিকশা নিয়ে আইসা তারপর মধুবাগের রিকশার জন্য দাঁড়ায় ছিলো। কোনো রিকশাঅলা আসতে চায় না। এর মধ্যে এক শিক্ষিত!!! অফিসফেরতা ভদ্র!!!লোক আমার বোনকে বলছে চলেন আমরা শেয়ারে যাই। বোন প্রথমে সাধারণ শিভালরী দেখানো পুরুষ ভেবে লোকটারে ভদ্র ভাবে এ্যভোয়েড করছে। এরপরও লোকটা যখন কন্টিনিউ বোনের পিছন পিছন ঘুরতেছিলো আর একই কথা বলতেছিলো তখন আমার বোন প্রথমে সেই লোকরে টাইনা একটা চড় দিছে, দেন পায়ের থেকে স্যান্ডেল খুলে হাতে নিছে পিটানির জন্য। সেই লোক দৌড়ায়া পালায় গেছে আর বোনের সেই রণরঙ্গীনি চেহারা দেখে এক রিকশাঅলা যে প্রথমে না করছিলো সে ই তাকে ডেকে বলছে চলেন আপা।
বাসায় এসে বোন সবার সাথে ঘটনাটা শেয়ার করছে। সে এটাকে ইচ্ছা করলে না বলতেও পারতো, কি হ'তে পারতো তাহলে? হয়তো এই আমিই কোনো নারীকে এভাবে অপমান করার ধৃষ্টতা দেখাতাম। হয়তো আমার কাছে এই রকম আচরণ করাকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখতাম না। নৈতিকতার লেভেলটাই তৈরী হ'তো না।

আমি আর বোন মিলে এরকম পেটানোর ঘটনা আরো কয়েকটা আছে। দু' ভাইবোন মিলেও পিটাইছি, একাও পিটাইছি।

একটু হলেও প্রতিরোধ করতে হয় বোন। আশপাশের লোকদেরও নৈতিকতার একটা ডেমোনেস্ট্রেশন দিয়ে দেয়া যায়।

@মেকগাইভার- আপনি স্ট্যাটিস্টিক্স দিয়ে কি বোঝাইতে চাইলেন?
হ্যাঁ। আমরা পুরুষ। প্রকৃতিগত ভাবে বহুগামী। ব্লা ব্লা ব্লা...
এই ধরণের কোনো ঘটনা মনে হয় আপনার বোনের সাথে হয় নাই। হইলে পরে এই সব স্ট্যাটিস্টিক্স মারাইতেন না।

আর যারা যার বলতেছেন মেয়েরা কেনো সো-কল্ড উগ্র ড্রেস পড়বে, ওরা ওভাবে চলে বলেইতো আমরাও খারাপ হই। ভাইয়েরা আপনেগো ভালো খারাপের সীমারেখা যদি এতই নাজুক হয় তইলে ঘরে বইসা আল্লা-বিল্লা করেন আখেরে কামে দিবো। বাইরে বারায়া খালি খালি নিজেগো নৈতিক স্খলনের উদাহরণ দেওনের কি কাম?

৭৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৭

একরামুল হক শামীম বলেছেন: কি আর বলবো :(

৭৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৫৩

রাগ ইমন বলেছেন: বৃত্তবন্দী আর তার বোনরে উত্তম জাঝা ।

সেইটাই , একটু শক্ত না হইলে চলে না। বিশ্বাসটাই আসল ।

আরেকটা ঘটনা শেয়ার করি । বাসে উঠেছি , একটা লোক বেশ লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়েছিলো কিছুক্ষণ । সাধারণত মেয়েরা এই রকম ঘটনায় চোখ সরায় নেয়, অন্য দিকে মুখ করে থাকে । আমি সেই " প্রচলিত ধারাটা" না মেনে উলটা লোকটার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকায় থাকলাম। অত্যন্ত কঠোর দৃষ্টিতে আর মনে মনে বলতে থাকলাম ,
" তুই একটা শু -- বাচ্চা । তুই এক দলা গুয়ের চেয়েও নোংরা। ইত্যাদি ইত্যাদি।"

কিছুক্ষণ পরে লোকটা পড়ি কি মরি করে ছুটে পালিয়ে চলে গেলো বাসের পিছন দিকে । সাইকোলজি জিনিসটা এত ফেলনা না আপু।

নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন। দুনিয়াকে এত ভয় পেলে দুনিয়াও আপনাকে ভয় দেখিয়েই যাবে।

৭৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১৪

গ্রাউন্ড ফ্লোর বলেছেন: এক মাইয়া আমার একবার লুংগী ধইরা টান দিছিলো।

৭৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২২

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আমি এইজন্য ভালভাবে কথা বলে ভাল সিএনজিওয়ালা খুঁজে বের করে বিসমিল্লাহ বলে তারপর উঠতাম। নো ভয়, নো চিন্তা, আল্লাহ আছেন আমার সাথে। :)

৮০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৮

যীশূ বলেছেন: রাগইমনের মন্তব্যে জাঝা!!! :)

৮১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩৮

সহেলী বলেছেন: এটা কি লিখেছো !
মানব কন্যাদের নিত্যদিনের কাহিনী !
তুমি না সমুদ্র কন্যা , কখন এলে ডাঙায় !
কেমন তপ্ত ডাঙার বালি !

ভাল থেকো , সমুদ্রে থেকো !

৮২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১২

শ্রীমান বলেছেন: requesting u 2 see the post... posted some time ago...
Click This Link

সাইমুম ঝড়ের কথা মনে হচ্ছে....

৮৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই অবস্থা থেকে আসলে আমাদের পরিত্রাণ নেই।
কেন জানেন?
ধরুন, আপনি গাড়ি চালাতে জানেন আবার প্লেনও চালাতে জানেন। এখন প্লেন চালাতে গিয়ে গাড়ি চালানোর ম্যানুয়াল অনুসরন করা শুরু করলেন। অবস্থা কি হবে??
আমরা মানুষ, কিন্তু স্রষ্টার ম্যানুয়াল বাদ দিয়ে নিজেদের ম্যানুয়ালে চলছি। আর সেই কারণেই এই অব্যাবস্থা। ভেবে দেখবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৮
লেখক বলেছেন: আপনার অব্যবস্থার ব্যাপারটি বুঝতে পারছি। কিন্তু স্রষ্টার ম্যানুয়ালের সামান্যতমও আপনারা অনুসরণ করেন কিনা, জানতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে।

আপনারা কেন বলছেন? এটা আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য। পুরুষদের একতরজা দোষারোপ করা আমাদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মেয়েরা অন্য কোন গ্রহের প্রাণি নয় সেটাও বুঝতে হবে।

৮৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৭

কুঁড়ের বাদশা বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।
মনটা খারাপ হয়ে গেল:(

৮৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৪

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: সহেলী বলেছেন: এটা কি লিখেছো !
মানব কন্যাদের নিত্যদিনের কাহিনী !
তুমি না সমুদ্র কন্যা , কখন এলে ডাঙায় !
কেমন তপ্ত ডাঙার বালি !

ভাল থেকো , সমুদ্রে থেকো !


নাহ! সমুদ্র থেকে নয়, তীরে উঠে আসতে হবে,সমস্যা গুলোর মোকাবেলা করতে হবে,প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের প্রজন্মকে তৈরী করতে হবে এর বিরুদ্ধে।আমাদের ছেলেকে বুঝাতে হবে এমন করলে একটা মেয়ে কতটা অপমানবোধ করে,অসহায় হয়ে যায়।আমাদের মেয়েদের বুঝাতে হবে -মেয়ে নয় মানুষ হতে হবে।
একদিন এদেশ সব কিছু থেকে পরিত্রান পাবে,হয়তো সেটা সময় সাপেক্ষ কিন্তু হবে নিশ্চিৎ,অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে।ব্লগে সদস্য বাড়ছে।যারা কখনও দুইলাইন কবিতা লেখেনি তারা এখন লাইনের পর লাইন কবিতা লেখছে।
যারা নারীর শরীরকে শুধু একটা গতিতে প্রবাহীত করত তারা আজ নারীর মন নিয়ে রচনা করছে কাব্য কবিতা পাতার পর পাতা।

তাই আমি বিশ্বাস করি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আসবে একদিন।সেইদিন পর্যন্ত হয়ত আমাদের কিছু ক্ষতি হয়ে যাবে,তবুও আমরা পাবো একটা সুর্য্য যদি আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব আমরা নেই,সাথে আমাদের দায়িত্বটুকুও।

৮৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: অন্নপূর্ণা রুপ ত্যাগ করে তুমি কালী, চন্ডী হয়ে ওঠ দেবী..............

৮৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

সুবিদ্ বলেছেন: রাজসোহান বলেছেন: @ ম্যাকগাইভার তোরে সামনে পাইলে থাবড়াইয়া তোর গাল এর চামড়া তুইলা নিমু.........সোহান, পাইলে আমারে খবর দিও, আমিও তোমার সাথে যোগ দিমু

আপা, এটা নাকি মেয়েদের জীবনের প্রাত্যহিক ঘটনা.......হায়রে কত লক্ষ-কোটি মেয়েদের এমন মানসিক দুরাবস্থার মাঝেই দিন পার করতে হচ্ছে......কিন্তু কোন প্রতিকার নাই এসবের........ছিঃ লজ্জা লাগে নিজের কাছেই

৮৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৫

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: :( :(

৮৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩৮

শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: উফ!! কি নোংরা।

৯০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪২

শায়মা বলেছেন: নহি দেবী নহি সামান্যা নারী,


হয়ে ওঠো চিত্রাঙ্গদা.....

৯১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩১

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: +

৯২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪২

এক্স বলেছেন: আপনার এই ঘটনাটাই কিন্তু পুরো সমাজের প্রতিচ্ছবি. পুরো সমাজের মোরাল স্ট্যাটাস ও মূল্যবোধের ছবি. এটাই বর্তমান সভ্যতা, যদিও কে বলবে একে সভ্যতা.

ওই অশিক্ষিত সিনেমা-নাটকে দেখে এসেছে হিরোকে মেয়েরা প্রেম দেয়, সেই থিওরী এপ্লাই করেছে আপনার উপর. কিন্তু সিনেমা-নাটকে সে যদি দেখত কোন মেয়ে সৌন্দর্য দেখিয়ে পুরুষকে প্রভাবিত না করে তার ব্যাক্তিত্ব দিয়ে করছে এবং সেই হিরোও যথাযথ সম্মান দেখাচ্ছে তবে সেও আপনাকে সেই ভাবেই ট্রিট করত.

আমাদের সভ্যতার মাপকাঠি পরিবর্তন করতে হবে এবং তা প্রচার ও এনফোর্স করার জন্য সভ্য সরকার ব্যাবস্হাও লাগবে.

৯৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১০

ফেনিল সরোদ বলেছেন: আপনার পোষ্টটি পড়লাম। ভালো লাগল। বলতে পারেন,
(১) একজন মানুষের সবচেয়ে বড় গুন কি হওয়া উচিত?
(২) একজন মানুষের নিজেকে সমাজের কাছে উপস্থাপন করার জন্য কোন অলংকার দিয়ে সবার আগে এবং সবথেকে ভালো করে সাজানো উচিত?
(৩) সভ্যতার কাছে একজন মানুষের সবচেয়ে বড় কমিটমেন্ট কি হওয়া উচিত?

একটু ঝামেলায় ফেলে দিলাম মনে হয়। মনে রাখবেন আমি কিন্তু একজন পুরুষ অথবা নারীর কথা জানতে চাইনি।

আজকের যে সমস্যা সেটা আজকের না বা এই কয়েক বছরেরও না এটা হাজার বছরের। সভ্যতার সাথে ক্ষমতার দন্দ। আমার একবন্ধুর সাথে আমার প্রায়ই ঝগড়া হয় এই বিষয়টা নিয়েই। আপনি এক সিএনজি চালকের আচরনের সূত্র ধরে বলেছেন সমাজের অনেক শিক্ষিত মুখোশপড়া ভদ্রলোকদের কথাও। কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝলাম না আপনি একটি কমেন্টের জবাবে বলেছেন,
"পুরুষ হয়তো বৈষম্যের স্বীকার হয়, কিন্তু এ ধরনের হয়রানীর স্বীকার হয় কি? আর যদি হয়ও সেটা একজন পুরুষের দ্বারাই। অনেকে হয়তো উদাহরণ দেবেন, ছলনাময়ী নারীর কথা বলে, কিন্তু এখানে সে ধরনের কিছু বলা হচ্ছে না।"

আপনি কেন তাহলে বিকৃত রুচির মহিলাগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছেন? যে মহিলারা ছেলেদের ব্ল্যাকমেইল করে? আর আমিই কেন আপনাকে এই প্রশ্নগুলো করছি? কারণ একটাই, সেটা হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক মানষিকতা, দায়টা মানসিকতার, পুরুষের না। এই মানসিকতা একই সাথে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যে আছে।

আপনি কেন ছোটবেলা থেকে লুকিয়ে আসছেন? আপনাকে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত কারণ বলা হয়নি, সেটা আপনাকে আস্তে আস্তে বুঝে নিতে হয়েছে। আপনিও আপনার মেয়েকে বলবেন। এবং কারণ বলবেন না, তাকেও নিজে থেকে বুঝে নিতে হবে। কোন সমাধান হবে না। আর যখন কেউ সহ্য করতে পারে না, কারো সাথে শেয়ার করতে পারে না তখন আত্মহত্যা করে। দোষ হয় লম্পট পুরুষের আর লম্পট পুরুষ তৈরীর কারখানা অবিকৃত থেকে যায়। তত্ব বিস্তার লাভ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে।

অতএব, দিনশেষে আপনি নিজেকে মেয়ে মনে করবেন না প্লিজ। সারাদিন নিজেকে মানুষ মনে করে চলাফেরা করলেন আর তারপর যখন সারাদিনের হিসেব মেলাচ্ছেন তখন মেয়ে হয়ে যাচ্ছেন, দিনের পুরোটাই মাটি হয়ে গেল। পরদিন আবার আপনাকে শুন্য থেকে শুরু করতে হবে এবং দিনশেষে ফলাফল আবার পূর্বের ন্যায়।

শেয়ার করলেন, এখান থেকে আমি আমার প্রয়োজনীয় রস(?)টুকু নিয়ে নিলাম কিন্তু সাথে জানলাম কে কিভাবে ভাবছে। এরকম আমরা অনেকেই আছি। আমিতো পুরুষ, আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য হলেও তো একটু ভালো কথা বলতে হবে। আপানার সাথে সহমর্মিতা দেখাতে হবে। তাই না। কিন্তু আসলে সত্যটা নিয়ে আলোচনা হওয়াটা অধিক জরুরী। এতে যার যত খারাপই লাগুক।

আর কয়েকটা প্রশ্ন:
(১) আমরা কি আস্তে আস্তে পাবলিক বাসের ব্যবহার বাড়াতে পারিনা? অন্তত রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির কথা চিন্তা করে? যেখানে অনেকেই বাসেও চড়তে পারেনা সেখানে আমি প্রাইভেট কারে চড়ে মানবিকতা অন্যের কাছে কিভাবে আসা করি?
(২) যে শহরে শত শত নারী অভাবের কারণে ঠিকমতো শরীর ঢাকতে পারেনা। রাস্তায় ঘুমায়। সে শহরে একজন শিক্ষিত নারী কিভাবে হাজার টাকা খরচ করে শুধু শরীরের বিভিন্ন অংশ অধিক খোলা রাখার জন্য। প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শুধু বিউটি পার্লারে। কিভাবে আশা করি মানবিকতা? এর সংজ্ঞা আসলে কি রকম?
(৩) যে দেশের কয়েক কোটি লোক প্রতিদিন ঠিকমতো খাবার পায়না সেদেশের শিক্ষিত মুল্যবোধ সম্পন্ন নারী নিজেকে সাজায় হরেক রঙে, পুরুষ টাকা ফুরায় মদের গ্লাসে। সেদেশের ভুখা নাঙ্গা মানুষের কাছে পূর্ণিমার চাদের মতো সবকিছুই রুটি হয়ে যায়। সে মানুষই হোক, নারীই হোক আর পুরুষই হোক। কোথায় পাব মানবিকতা?

একটু ভাববেন প্লিজ।

৯৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২০

ফেনিল সরোদ বলেছেন: @ রাগ ইমন বলেছেন: যে মেয়ে পছন্দ করছে না , চাইছে না কামনার দৃষ্টি , সেই মেয়েটা এই পোস্ট লিখেছে । যারা সেইটা না বুঝে মন্তব্য করছে সেই সব কামার্ত কুকুরকে এই পোস্টে মন্তব্য না করতে অনুরোধ করা হলো।

এইটা হলো সমস্যা। বুঝছেন। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা। যে পুরুষ নারীর পক্ষে কথা বলবে, সে হয় প্রগতিশীল(ওই নারীর কাছে) আর বিপক্ষে (দ্বিমত) বললেই লম্পট, কামার্ত কুকুর এই জাতীয় পশু।

৯৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:১৬

ফেনিল সরোদ বলেছেন: " এই বাড়িটা দেখেছো ? এইটার মালিক আমি । এই বাড়ির ভিতরে যারা থাকে , আমার পরিবার তারা সবাই বড় বড় ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এখন ভালো ভালো জায়গায় কাজ করছে । আমি নিজে উচ্চ শিক্ষিত , খুব ভালো একটা জীবন আমার । তুই আমাকে এখন যেই কথা গুলা বললি , এই কারনেই তোর জীবন কোন দিন এত সুন্দর হবে না । আজকে আমি সি এন জি চড়ি, কালকে গাড়ি কিনবো । কিন্তু তুই সারা জীবন সি এন জি চালাবি , কোনদিনই আমার মত হইতে পারবি না"

যতদিন এই মানসিকতা থাকবে ততদিন কিছুই করতে পারবেন না। এই রাস্তার কুকুরগুলা আমাদের মা বোনদের চেটে পুটে খাবে। আমরাও কিছু করতে পারব না। @ রাগ ইমন

৯৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২২

ফেনিল সরোদ বলেছেন: মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: তাই আমি বিশ্বাস করি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আসবে একদিন।সেইদিন পর্যন্ত হয়ত আমাদের কিছু ক্ষতি হয়ে যাবে,তবুও আমরা পাবো একটা সুর্য্য যদি আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব আমরা নেই,সাথে আমাদের দায়িত্বটুকুও


হ্যা আমাদের কিছু ক্ষতি হবেই। যে কোন পরিবর্তনের জন্য একটা জেনারেশন কে স্যাক্রিফাইস করতে হয় এটাই নিয়ম। আপনার কথাগুলো ভাল লাগল। আমাদের প্রজন্মকে মানুষ হতে দিতে হবে। ছেলেও না মেয়েও না। তবেই হবে।

৯৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৮

রিমঝিম খান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।
মনটা খারাপ হয়ে গেল:(

৯৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৬

পুরাতন বলেছেন: :( :(

৯৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

সকাল রয় বলেছেন:

ইহা কি লিখিলা

১০০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:০৩

মুনতাসির বিল্লাহ মুন্না বলেছেন: ৩টা মাইনাস পড়লো কিভাবে???.........

১০১| ০৩ রা মে, ২০১০ ভোর ৫:০৭

জুন বলেছেন: হ্যা সমুদ্র কন্যা, এই একটি ব্যাপারে অনেক পুরুষেরই চোখ এক হয়ে যায়।
মেয়েটা কি তার মেয়ের বয়সী না মায়ের বয়সী, এটা কোনো factor না তাদের কাছে,
কি রকম গা ঘিনঘিন করা অনুভূতি!!

কালপুরুষ যে বল্লো বলপয়েন্টের কথা, তখন যে লোকগুলো তোমাকে বাচাতে আসবে আপু তারাও অনেকেই তোমার দিকে একই লোলুপ দৃষ্টিতে চাইবে দেখিতো সিএনজিওয়ালা কি দেখছিল তোমার মধ্যে?

তারমধ্যে যে ব্যাতিক্রম পাবেনা তা কিন্ত নয়।
তা না হলে আজও আমরা রাস্তায় চলে ফিরে বেরাচ্ছি কেমন করে তাইনা সমুদ্রকন্যা!

সবাই পচে যায়নি ভালোর সংখ্যাই বেশী।

১০২| ০৩ রা মে, ২০১০ ভোর ৬:১৪

জাতি জানতে চায় বলেছেন: আপনের বোধে সমস্যা থাকতে পারে! আপনে মেয়ে হিসেবে নিজেকে ছোট করছেন কেন??!! এক জানোয়ারের জন্য নিজেকে ছোট করছেন কেন??!! আপনে কোন প্রজন্ম বা বিত্তের সেটা আমার জানা নাই, কিন্তু আমি দেখায় এখন যাদের বয়স ৩০ বা তার নীচে, সে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক না ক্যান, শহুরে মধ্যবিত্ত বা উপরের দিকে কিন্তু সমান সুযোগ পায়! অন্যক্ষেত্র গুলোতে সুশিক্ষা আর আর্থিক সমস্যাটাই মূল, যেটাকে লিঙ্গ দিয়ে চিন্তা করাটা ভুল! আপনে যেরকম আল্টিমেটলি একজন মেয়ে তেমনি একজন ছেলেও আল্টিমেটলি ছেলে! এখানে যে কেউ আরেকজন ছেলে বা মেয়ের কাছ থেকে বাজে আচরন পেতে পারে, সেজন্য নিজেকে ছোট করা মনে করার মানে নাই!

১০৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আফসোস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.