নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা: সচেতন হতে হবে সকলকেই

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা: সচেতন হতে হবে সকলকেই
ফরাসি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ‘শার্লি হেবদো’-র দফতরে গত ৮ জানুয়ারি, ২০১৫, দিনের বেলায় কালাশনিকভ হাতে হঠাৎই ঢুকে পড়ল তিনজন মুখোশধারী । এক জনের হাতে রকেট লঞ্চার। মুহূর্তে ঝাঁঝরা করে দিল ১২ জনকে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক স্তেফান শার্বনেয়ার এবং আরও তিন ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী উয়োলিন্স্কি, তিনু ও কাবু। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হন দুই নিরাপত্তাকর্মীও।বর্বর হত্যাকাণ্ডে বিশ্বের তাবৎ বিবেকবান মানুষের সাথে আমরাও শোকাহত। একটি পত্রিকাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য হত্যাকাণ্ড চালানো গ্রহণযোগ্য নয়। শার্লি হেবদোর অফিসের ভেতরে হামলায় নিষ্ঠুরতা হয়েছে, হামলাকারীরা রাজপথেও নির্মমতা দেখিয়েছে, আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর পুলিশ কর্মকর্তাকে কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ মেরাবাতের ছিলেন একজন মুসলমান, বলা যায় মহানবী (সা.)-এর অনুসারী।
১০ বছর আগে যে কার্টুনটি ইউরোপের একটি দেশের একটি ভাষার সাপ্তাহিক কাগজে ছাপার কারণে বিশ্বের অন্য প্রান্তে দুই শরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে, সেটিই এখন কয়েকজন সন্ত্রাসীর কাণ্ডজ্ঞানহীন অপরাধের পর বহু ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে। পুরোনোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্টুনটি বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও গণমাধ্যম প্রকাশ করে। ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি হেবদোর প্রচারসংখ্যা যেখানে ছিল সর্বোচ্চ ৬০ হাজার, এই নিষ্ঠুর ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের পর আগামী সংখ্যার জন্য এর চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখএর মতো বলে দাবি করা হচ্ছে। ২০০৫ সালে ডেনিশ পত্রিকা জিল্যান্ডস-পোস্টেনে এ ধরনের প্রথম যখন প্রকাশিত হয়, তখন বিশ্বের নানা প্রান্তে, বিশেষ করে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোয়, প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে ৫০ জনের মতো মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় মুসলিম লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরাও এই হত্যাকাণ্ডকে সন্ত্রাসী ঘটনা অভিহিত করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থানের কথা বলেছেন। ‘নট ইন আওয়ার নেম’ (আমাদের নামে নয়) ব্যানার বা স্লোগান দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে এসব ঘৃণ্য সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়। ডেনমার্কের একটি পত্রিকায় ২০০৬ সালেও ইসলামের মহানবী (সা.) কে নিয়ে অপমানজনক কার্টুন ছাপা হয়। ইসলাম ধর্মকে লক্ষ্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চালানো উসকানিমূলক নগ্ন প্রকাশ হচ্ছে পরমত, পরের ধর্মের প্রতি দেখানো অসহিষ্ণু আচরণেরই নোংরা বহিঃপ্রকাশ। শার্লি এবদো পত্রিকাও বছরের পর বছর ধরে ইসলাম ধর্ম, ইসলামের মহানবী (সা.) এবং ধর্মীয় আচরণ নিয়ে অশ্লীলতাপূর্ণ কার্টুন ছেপে ফ্রান্সের সংখ্যালঘু মুসলমানের মনে আঘাত দিয়ে আসছে। মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিখ্ষোভের পরও তারা এটা অব্যাহত রেখেছে। এধরনের একটি পত্রিকাকে আর যা-ই হোক, পরমতসহিষ্ণু বা উদারপন্থী বা ধর্ম নিরেপেক্ষ নয়। প্রশ্ন উঠছে, নিরীহ মানুষের জীবনহানির কারণ ঘটাতে পারে যে ধরনের সংবাদ বা নিবন্ধ প্রকাশ করা দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে কি না। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উসকানি বা ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ ।
১৯৭০ সালে চার্লস দ্য’গলের মৃত্যুকে নিয়ে একটি কার্টুন ছেপে বিপাকে পড়েছিল সেই সময়ের জনপ্রিয় একটি কৌতুক সাপ্তাহিক হারা-কিরি। বিতর্কের জের ধরে হারা-কিরি বন্ধ হয়ে গেলে পত্রিকার সঙ্গে সাংবাদিক-কার্টুনিস্টরা যুক্তরাষ্ট্রের চার্লি ব্রাউন ধরনের শার্লি এবদো চালু করেছিলেন ।কার্টুন হচ্ছে সেই পত্রিকার প্রধান আকর্ষণ এবং রাজনৈতিক বিষয়াবলির কার্টুনের জন্য পরিচিত হয়ে উঠলেও এর পাঠক কাটতি কখনোই বেশি ছিল না। ক্ষয়িষ্ণু সেই পাঠকের সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৩০ হাজারে। নিজেদের প্রচণ্ড রকমের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করলেও তারা আসলে ধর্মবিদ্বেষীও বিশেষ করে ইসলাম বিদ্ধেষী এটা তাদের ইতিহাসেই প্রমাণ করে।।এছাড়া তারা খ্রিষ্টধর্মের ক্যাথলিক মতাদর্শের নানা রকম গোঁড়ামির তীব্র সমালোচনার কারণে থেকে মামলার মুখোমুখি হওয়াটা একসময় তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছিল। প্রকৃত পক্ষে যারা আজ তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে তাদের সেটা মনে রাখা উচিৎ। তবে তার অর্থ এই নয়যে অস্ত্রের ভাষায় তার জবাব দিতে হবে। আমরা বিশ্বের সব মানুষের সাথে মিলিয়ে বলতে চাই এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা সব সমাজ সব জাতি ও সব দেশের জন্যই নিন্দনীয় একই ক্ষতিকর।।
প্যারিসে ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি হেবদোর অফিসে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তারা ধর্মের নামে, ইসলামের নামে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের যুক্তি যেন বৈধতা না পায় সেজন্য বৃহত্তর মুসলিম সমাজের উচিৎ ধর্ম এবং সন্ত্রাসকে শুধু ভিন্ন চোখে না দেখে এজন্য কার্যক্রর সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সন্ত্রাসীদের ঘৃণ্য কাজের কারণে ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদের আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনি-আমি ওই কাজেই ভূমিকা রাখব কেন?।তারা চায় ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য করতে। কিন্তু প্রিয়নবীর 23 বছরের জীবনে তিনি যে কর্মকৌশলে ইসলাম প্রচার করেছেন সেটা আমাদের নিজেদেরকেও বুঝতে হবে েএবং অন্যধর্মের মানুষদের সেখথা জানাতে হবে।
পত্রিকা অফিসে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের হত্যা করা এক জঘন্যতম অপরাধ, যার পক্ষে সাফাই গাওয়ার কোনো রকম সুযোগ নেই। একটি পত্রিকার প্রতি বিশেষ কোনো কারো ঘৃণার প্রচণ্ডতা কেন এতটা উগ্র আকার যে নিজের জীবন বিপন্ন করে সেখানে হামলা তারা জানতো যে এই সঙ্গে নিজেদের মৃত্যুকেও ডেকে আনছে। ফেসবুক ও টুইটার এই মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্প্রসারিত করেছে। শার্লি হেবদোয় হামলার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ লিখেছেন যে ফেসবুক থেকে ওই কার্টুন সরাতে রাজি না হওয়ার কারণে কয়েক বছর আগে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। যদিও তাদের সবক্ষেত্রে একইনীতি তাদের প্রতি ঘৃণাকে প্রকট করেনি। আমাদের মনে রাখতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্ববোধ অবিচ্ছেদ্য। স্বাধীনতা তত দূর পর্যন্ত, যত দূর পর্যন্ত প্রসারিত হলে অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করেনা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার তীর্থকেন্দ্র হিসেবে ইউরোপ গর্ববোধ করলেও সেখানে ইহুদিও খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি কোনো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সেখানে সহ্য করা হয় না। ওই পত্রিকায় কথিত ইহুদিধর্মকে অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে মরিস সন নামের ৮০ বছর বয়সী এক কার্টুনিস্টকে চাকরিচ্যুত হতে হয়েছিল। ইহুদিধর্মের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ বা সমালোচনা যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাসকে আহত করে এমন কাজ গ্রহণীয় হতে পারেনা।
আবার েমুসলমানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, তাদের ধর্মের বর্ম ব্যবহারের যুক্তিকে যদি কেউ মেনে নেয়, সেটা ভুল হবে। ইউরোপে কিছুদিন ধরে অভিবাসী ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে মৌখিক আক্রমণ চলছে, এই সন্ত্রাসী আক্রমণকে ধর্মীয়ভাবে দেখলে সেই তারা আরো বেশী সক্রিয় হবে। কারণ সেটাও অসহিষ্ণুতা ও উগ্র মনোভাব থেকেই উৎসারিত। সাম্প্রতিক কালে জার্মানিতে যে ধরনের সমাবেশ, ভারতে জোর করে ধর্মান্তরকরণ, পাকিস্থানে নিষ্বপাপ শিশূদের উপর হামলা, এসব বাড়তেই থাকবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির কয়েকটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এদিকে, রাজধানী প্যারিসের পশ্চিমে অবস্থিত লে মেনস’এর কাছে একটি মসজিদে গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রান্সের নারবোনের পোর্ট-লা-নভেলে এশার নামাজের পর গুলি করা হয়।
২০১১ সালে ব্রেইভিক নামে নরওয়ের এক উগ্রপন্থী খ্রিষ্টান তরুণ নৃশংসভাবে ৭৭ জনকে হত্যা করেছিল, অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী। সে একটি রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রের কথাও জানিয়েছিল, যা ছিল চরম ইসলামবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী। সুইডেনের মতো শান্তিপ্রিয় দেশে তা ঘটছে। স্টকহোমে সম্প্রতি কয়েকটি মসজিদে হামলা হয়েছে, হয়েছে অগ্নিসংযোগ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে আমরা একটা জটিল পরীক্ষার সামনে। প্রযুক্তির কারণে গণমাধ্যমের কোনো কিছুই আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। মুহূর্তেই অনলাইনে বিশ্বের সব প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়ছে । আর সেজন্য আমাদেরকে আগের যেকোনসময়ের তুলনায় বেশী সতর্ক হতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ব্রিটেনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালক ডেভিড ডিম্বলবি বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুযায়ী বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা বলছে, ‘ধর্মীয় প্রতীক ও ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই উপযুক্ত সতর্কতা ও বিবেচনা প্রয়োগ করতে হবে, বিশেষ করে যেগুলোতে অবমাননার কারণ ঘটতে পারে। কোনো আকার বা আঙ্গিকে মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতিনিধিত্ব ঘটানো যাবে না।’ এই নীতিমালার ইলেকট্রনিক কপির ওয়েবসংযোগও সে সময়ে টুইটারে প্রকাশ করা হয়। এর আগেই বিবিসির রাত ১০টার সংবাদে ওই কার্টুন–সংবলিত প্রচ্ছদটি দেখানো হয়। বিবিসি পরে ব্যাখ্যা দিয়ে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেছে যে বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা আপডেট করার কাজ চলছে । জার্মানিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে মুসলমান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। ব্রিটেনেও ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তি বহুজাতিক সাংস্কৃতিক রূপান্তরের বিরোধিতায় দিন দিন আরও সোচ্চার হচ্ছেন। রুপার্ট মারডক টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ‘ফ্রান্সের এই হামলার দায় অবশ্যই মুসলমানদের বহন করতে হবে।’

পত্রিকা অফিসে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর যে কারণের সন্ধান ইতিমধ্যে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, তা হলো মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি রাষ্ট্রসমূহের বেলায় ফ্রান্সের বিতর্কিত নীতি। লিবিয়ার বর্তমান অরাজকতা আর চরম বিশৃঙ্খলার পেছনে যে দেশটি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, তা হচ্ছে ফ্রান্স। সিরিয়ায়ও তারা এই খেলায় লিপ্ত সমাজতন্ত্রী ফ্রান্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থনের সরাসরি প্রতিক্রিয়াই সম্প্রতি ফরাসি রাজধানী প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ইরানের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ইসলামিক মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মাসুদ শাদজারেহ। তিনি।তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ পশ্চিমাদেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের তাকফিরি সন্ত্রাসীদের সমর্থন যুগিয়ে চলেছে। এ সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিজেদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে জেনেও তারা এ সমর্থন দিচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ইউরোপের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানানোর এবং সন্ত্রাসীদের ঠেকানোর সময় এসে গেছে।খবর তেহরান রেডিওর।
আমরা স্মরণ করতে পারি, পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত বিবদমান দুই বিশ্বের মধ্যে চলা দীর্ঘকালের স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পশ্চিমারা লক্ষ্য করলো বিকাশমান আদর্শ হিসেবে ইসলাম খোদ পশ্চিমা সমাজেই দ্রুত বিকশিত হতে লাগলো। ন্সায়ুযুদ্ধের কারণে তাদের নতুন বোধদয় হলো যে বোমা নয় কলমই হচ্ছে নতুন শতাব্দীর সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। ফ্রান্সসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এ রকম বোধোদয় ঘটে যে তাদের ঘরের প্রাঙ্গণে ইসলাম নামের বৃক্ষটি ইতিমধ্যে ডালপালা বিস্তার করে বেড়ে উঠেছে। সেই একই বোধোদয় থেকে কৌতুক সাময়িকী শার্লি এবদো পত্রিকার কার্টুনের মূল নজরও ক্রমশ অন্য ধর্ম থেকে ইসলামের দিকে সরে আসে।
আমাদের একটা কথা স্বীকার করতে হবে যে, এই উসকানীমূলক সংবাদ বা কার্টন অথবা সিনেমা এসব বন্ধ করার জন্য পশ্চিমা সমাজে কোন ব্যবস্থা বা নিরুৎসাহিত করার কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। অন্যদিকে বৃহত্তন মুসলিম সমাজে উগ্রপন।তার সাম্প্রতিক সময়ের বিকাশ ঠেকাতে কোন কার্যকর পদরক্ষপই গ্রহণ করেনি। আমাদের মনে রাখতে হবে এই ধরনের হিংস্রতার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। গত শতাব্দীতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ ইসলামের নামে ড়গেড়ে বসেছে। নানারাকম ্বদআতকে ধর্ম বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। েএসব ব্যাপারে আলেমরা যেভাবে কথা বলেন উগ্রপন।তার ব্যাপারে সেভাবেই বলেন কিন্তু ততোটা এই ভয়ংকর মহামারির জন্য যথেষ।ঠ নয়। আবার যখন কাদিয়ানী এবং ভন্ড ইসলামপন্তীদের ব্যাপারে বৃহত্তর মুসলিম সমাজে কথা উঠে তখন তথাকথিত বাক স্বাধীনতার নামে পশ্চিমা সমাজে সেইসব নস্ট এবং ভ্যস্টদেরই পক্ষ নিয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন এই কারণে বৃহত্তর মুসলিম সমাজকে কার্যকর ভাবে সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে কাজে লাগানো যায়নি। যদিও এদের সংখ্যা এতই নগ্যন্য আর বিশ্সের শান্তিুপয়ে মুসলমানদের তুলনসায় তারা কিছুই নয়। জঙ্গিদের 2/1 টি ঘটনার তুলনায় বিশ্বের বহুজাতিক সমাজে মুসলমোনদের ভূমিকা অনেক বেশী।তবে উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজ সহজ নয় এবং সেটা কখনোই সহজ ছিলনা।। আমরা নিজেরা আমাদের মত প্রকাশের সময় সহিষ্ণু হবো, অন্যদের অপপ্রচার যুক্তি ও জনমত দিয়ে মোকাবেলা করবো, এবং উগ্রপন্থাকে বিকাশের রাস্তা চিরতরে বন্ধ করবো। তার জন্য যা করার তাই করবো। এ ধরনের অবস্থান নেয়ার সময় এসেছে কিন্তু। আর পশ্চিমা সমাজের ভুলনীতি আমাদের বাংলাদেশে যেভাবে দেখা যাচ্ছে এব্যাপারেও সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাইনা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধর্মনিরপেক্ষতা নামে ধর্ম বিরোধিতা করে আর নাস্তিকতার নামে ইসলামেক্ষতি সাধন করে। আমরা এও চাইনা যে আমাদের দেশে কেউ ইসলামের নামে একটি ঢিলও ছুড়ে অথবা কেউ সন্ত্রাস দমনের নামে ইসলাম জনতার প্রতি আক্রমন হামলা মামলা চালায়। তাহলে পারস্পরিক প্রতিহিংসার আগুন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তার লাভ করবে বৈকি। আমাদের উন্নত রাস্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়ে হিংসার আগুন জ্বালানো বন্ধ করার জন্য রাজনীতিবিদদের অনুরোধ জানাই। বিশ্বজুড়ে সংগঠিত ঘটনা এবং ইতিহাস থেকে এতটুকু শিক্ষা নিতে না পারলে, আমরা কেবল নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়োল মারতে থাকবে।
ইন্টারনেট ঘেটে বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকী অবলম্বনে: জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা প্রতিনিধি

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

খেলাঘর বলেছেন:

"আমাদের উন্নত রাস্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়ে হিংসার আগুন জ্বালানো বন্ধ করার জন্য রাজনীতিবিদদের অনুরোধ জানাই। "

-কাকে অনুরোধ জানাচ্ছেন?

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

অন্তর চৌধুরী বলেছেন: "মানুষের একমাত্র বিশ্বাসের স্থান হচ্ছে ধর্ম। তা যে কোন ধর্মই হোকনা কেন।
Butসেই ধর্ম কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক করা ,রসিকতা করা এবং ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা,
কখনো নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে পারে না ।
আরেক জনের বিশ্বাসের ও আবেগের স্থান নিয়ে, নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা ব্যক্ত করে,অন্যকে আঘাত দিবেন।
এটা কখনোই স্বাধীনতা নয়।এটা হল ধর্ম নিয়ে পৃথিবীতে যোদ্ধ সৃষ্টি করার এক মহা পরিকল্পনা।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা: সচেতন হতে হবে সকলকেই।

ধর্মিয় জঙ্গিদের কোন সহানুভুতি দেখানোর কোন উপায় নেই
আমার এই লেখাটিও পড়ুন।
নাইরোবির সপিংমলে হামলা, আমাদেরও সতর্ক হতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.