নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

পারকির চর: নতুন পর্যটন আকর্ষণ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

পারকির চর: নতুন পর্যটন আকর্ষণ
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
চট্টগ্রামের এই গানটি দিয়ে শুরু করলাম পারকির সমুদ্র ষেকত নিয়ে লেখা।

ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা
তুই আমারে,তুই আমারে, তুই আমারে করলি দিওয়ানা রে সাম্পানওয়ালা..


চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় উপজেলা আনোয়ারায় অবস্থিত পারকি সমুদ্র সৈকত ক্রমশ পর্টকদের আকষণ বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে এইটি একটি নতুন ও মিনি ‘‘কক্সবাজার’’ হওয়ার পথে। কিন্তু সরকারী উদ্যোগের অভাবে অনেক প্রাকৃতিক সুবিধা থাকা সব্তেও এটি ভালো প্রচারও পাচ্ছেনা।

একদিক থেকে কর্নফুলী নদী এসেছে আর এক দিক থেকে সাগর। সাগর পাড়ে বালুময় সৈকতে সুন্দর দৃশ্য আপনার মন হারিয়ে যাবে এক অজানা ভালো লাগায়। নারকেল সুপারী ঝাউগানের ফাকে মন চলে যায় দূর দিগন্তে যেখানে আকাশ নুয়ে পড়ে সমূদ্রের জলে চুমু খাচ্ছে পরম মমতায়। এখানকার জল তুলনামূলক নীল আর তীরে রয়েছে ছায়াময় ঝাউবন। সমুদ্রের উত্তাল ডেউ আর সাগরের শব্দকে ছাপিয়ে এখানে কপোত কপোতীরা আসে হুদয়ের টানে, প্রাণের হিল্রোলে। একবার আসলে বার বার আসতে ইচ্ছে করবে এমনি একটি নয়নাভিরাম সৈকত। যারা জীবনের নানা পংকিলতা আর ইট কাঠ পাথরের শহরে হাপিয়ে উঠেছেন, তাদের জন্য ভালো লাগা গ্যারেন্টড।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও এখানে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, রয়েছে অন্যান্য সুবিধার অভাব। কোন নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ না থাকাতে স্থানীয় সুবিধালোটারা নানারকম ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। এটা পর্যটকদের জন্য বিরক্তিকর।

অতিব নিন্ম মানের একটা টয়লেট আছে একবার ব্যবহার করলে সারাজীবন মনে থাকবে। বেশিরভাগ পযর্টক আসে চট্টগ্রাম শহর থেকে । বীচ সকাল ১০ টা -১১টা পর্যন্ত একটু খালি থাকে । েএখানে শুটকি, আচার, শোপিস ও শামুক ঝিনুকের নানা অলংকার পাওয়া যায়। মেলে উপজাতিদের বানানো নানা বর্নিল পোষাক আসাক। ছোট দোকানগুরোতে বীচে বিছিয়ে শোয়ার জন্য শীতল পাটি ভাড়া পাওয়া যায়। ভাড়া ঘনটা ৩০ -৫০ টাকা। কিন্তু কাপড় চেঞ্জ করার ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য নীল পানি পেয়েও গোসল করার ইচ্ছে থাকলেও হয়ে ওঠেনা। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা।

এখানে এখনো ভালো খাবার পাওয়ার য়ায়না। চট্টগ্রাম শহরে থেকে যাওয়ার সময় প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। খাবার কাপড় এবং আড়ালের জন্য পর্দা বিশেষ করে কাপড় চেঞ্জ করার দরকার হলে। আর ভ্রমণপিয়াসীরা নিশ্চয় এসবকে কমই তোয়াক্কা করে। তাই নতুন কিছু দেখতে হলে চলে আসুন পারকি বিচে। পতেঙ্গা ঘাট থেকে ৫০-১০০ টাকার ভাড়া। আর নদী ফেরুতে ১৫-২০ মিনিট।

পথেই ছোট নৌকা ভ্রমণ বা জার্নি বাই বোটে মন নেচে উঠবে ভালো লাগায়।আর চট্টগ্রামের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় সাম্পানওয়ালা। জেলেদের ছোট ছোট নৌকা চোখের দৃষ্টি থেকে হারিয়ে যাবে ধুরে যেমনি করে প্রিয়স্মৃতিগুলো হারায় মনের আনন্দে। গ্রামের চাষিরা নিয়ে যাবে নাও বোঝাই সওদা চোখের সামনে দিয়ে বটতলার হাটে। যেমন স্বপ্ন বয়ে নিয়ে যায় স্বপ্ন ব্যাপারী। কর্ণফুলি নদীকে দেখে আপনার এই গান মনে পড়বে: ‘‘ ছোড ছোড ডেউতুলি , পানিত ছোড ছোড ডেউ তুলি, লুসাই পাহাড়তুন লামি আরে যারগই কর্নফুলী।

তবু ভালো লাগবে। কাছের মানুষ নিয়ে কাছের সমুদ্রে আর হুদয়ের কাছাকাছি রাখার ব্যকুলতা প্রকাশের এই এক মোখ্ষম জায়গা। আমারতো কেবল সমূদ্রকে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে হে সমূদ্র কোথায় পেলি এত আনন্দ নিত্য ঢেউ খেলানোর। কোথায় এত উৎফুল্লতা আসে তোর ঢেউয়ের তোড়ে নেচে বেড়াতে। দে না আমাকে একমুঠো আনন্দ আমি সুখ বানিয়ে ধুয়ে খাবো প্রভাতে গাওয়া প্রার্থণা সঙ্গিতের সাথে।

তাই ছুটিতে দলবল নিয়ে চ্টট্টগ্রামে আসুন আপর আপনার ভ্রমণ প্যাকেচজ রাখুন পারকি বিচকে। যাওয়া বা আসার পথে পতেঙ্গা বিচ দেখতো তো পারবেনই রয়েছে বাংলোদেশে শিপিং কররপোরেশন এর জাহাজ নিরমাণঘাট, নেভাল একাডেমী ও েসরকারের একটি তেল শোধণাঘার। একটু এগিয়ে কর্নফূলি নদীর মোহনা দেখে আসলেও ক্ষতি কি? কর্নফিুলী নদীকে স্বাক্ষী রেখে বলতে পারবেন-- কর্নফুলীরে - স্বাক্ষী রাখিলাম তোরে।

আর রাত করে যদি জোস্না দেখার লোভ সামলাতে না পারেন। তাহলে জেনে শুনে গুনে নিন সময়। সময়গুনে চলে যান পারকি সৈকতে। রাতের নির্জণতার কাঁচ ভেঙ্গে চাদমামা তার মিস্টি আলো বিছিয়ে দেবে সমূদ্রের প্রতিটি বালিকণায়। তাদের চিক চিক হাসি আপনার মনে দোল দিয়ে যাবে অবলীলায়। বিরহী প্রেমিকদের বিয়োগব্যথা জেগে উঠতে পারে। মিলনসুখের স্বর্গীয় অনুভুতি খেলবে সুখী যুগলদের প্রাণে। বাতাসে নুয়ে নুয়ে আবার মাথা তুলবে নারকেল গাছগুলো যেন বার বার হাতছানী দিয়ে বলবে। আবার এসো বন্ধু, আবার।
হয়তো সে লোকগানের মতো বলে উঠবো।

তারা জলে মিটি মিটি চান্দে দেয় আলো
আমোর এমন রাইতে প্রেম করিতে লাগেযে ভালো।
পাতাবাহার চিরুনি দিমু সুগন্ধি সাবান
তুমি ভেজা চুলে কাছে আইলে পাইমুযে ঘ্রাণ।
তারা জলে মিটি মিটি চান্দে দেয় আলো
তুমি পাশে থাকলে আমার সব লাগে ভালো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.