নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হলে কক্সবাজারের মানুষকে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মরতে হবেনা।

২১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

আর চুপ থাকা গেলনা
পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হলে কক্সবাজারের মানুষকে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মরতে হবেনা।
জাহাঙ্গীর আলম শোভন


সাগরে ভাসছে মানবতা। এটাই গত কয়েকদিনের বাস্তবতা। কেউ চরম অসহ্য নির্যাতনে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে শেষ অথৈ সাগরে অভুক্ত ভাসমান হয়ে পৃথিবীর শরাণার্থি হয়েছে। যেন তারা অন্যগ্রহের মানুষ। কেউ ক্ষুধা তৃষ্ণার তাড়নায় মা বাবার মুখে হাসি ফুটাতে, ভাই বোনের মনে আশা জাগাতে, সন্তানের মুখে অন্ন জোগাতে ফেরারী আসামীর মত ঝাঁপ দিয়েছে ‘‘ঠাই ঠাই’’ ‘‘ঠাই নেই’’ তরী হয়ে সমূদ্রে। সমূদ্র তাদের ক্ষুধা তৃষ্ণা মেটায়না, খাদ্য পানি দেয়না, দেয়না একটি কাজও। উদ্দেশ্য ওপারের স্বপ্নভূমি। সেখানে এই কাজহীন-দেশহীন মানুষগুলো হয়তো কারো ভার বইবে, হয়তো জঙ্গলের সাপের সাথে লড়ে কৃষি কাজ করবে, হয়তো কারখানার লোহালক্কড় বয়ে দুপয়সা পাবে তাই দিয়ে জুটাবে পেটের জন্য একটু অন্ন, লাজ শরম ঢাকতে একটু কাপড়। এতটুকুই চাওয়া ছিলো তাদের। কিন্তু না এই পৃথিবীর সেইসব সম্পদগুলো রাক্ষসদের নিয়ন্ত্রনে। রাক্ষসরাজের আবার আছে অস্ত্রধারী সেনা। এই ভূখন্ডতো তাদের সেসব দেয়না। অন্যভূখন্ডে পিঠের নিচে মাটি পেতে শুতেও দেয়না। তবুও তারা সভ্যতার নামে নানা নিশাণ বানিয়ে সে নিশানে রং লাগিয়ে আমরা বলছে, আমরা চরম উন্নত, আমরা পরম সভ্য। কি হাস্যকর! স্টেশানের তনা পাগলার মতো আমরা নিজেরাই নিজেদের সার্টিফিকেট দিচ্ছি। অন্যকারো স্বীকৃতি বা সম্মতির কোন সুযোগও নেই, দামও নেই। এইসব মাটিসোঁধা আর শেকড়ছেড়া মানুষরা আমাদের মানুষ ভাবলো কিনা সে প্রশ্নতো অবান্তর বরং আমরা তাদের মানুষ ভাবলাম কিনা এই প্রশ্নই নিয়েই আমাদের ভাবান্তর।

হ্যা আমরা সমালোচনা করছিলাম। কারা তাদের উচ্ছেদ করছে, তাদের। কারা তাদের আশ্রয় দিলনা, তাদের। কারা তাদের পাচার করলো, তাদের। কারা তাদের ফিরিয়ে দিলো, তাদের। কারা ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যগুল্প শোনাচ্ছে, তাদের। কারা পরাজয় ভোলাতে মায়াকান্না করছে, তাদের। যে যাই বলুক। আমি আমার কথা বলবো, আমার ভাবনাই প্রকাশ করবো।

এতবড় বঙ্গোপসাগর, এতবড় তার সৈকত, এত তার সম্পদ সে বুঝি আমাদের দেশের কয়েকলাখ লোকের অন্ন সংস্থান করতে পারেনা? সে বুঝি জীবন ধারনের নূন্যতম প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারেনা কক্সবাজারের মাত্র ৩ লাখ অধিবাসীর? কেন সমূদ্রের একরকে একর লবনক্ষেত কতিপয় ভূমিপতির মালিকানায়? কেন দ্বীপগুলোতে এখনো মধ্যযুগের জীবন? কেন যারা সমূদ্রে মাছ ধরে মাছ তাদের নয়, মাছ দাদন ব্যবসায়ীর? কেন জেলেদের নৌকা নেই, নৌকার জন্য তাকে মহাজনের লাথি খেতে হয়? কেন জালের জন্য তাকে অন্যের দুয়ারে দাড়িয়ে থাকতে হয়? কেন শত শত বছরের মধ্যযুগীয় অমানবিক প্রথাগুলো আমরা ভাংতে পারিনি? কেন ভাংতে চেস্টা করিনি। হয়তো সেসবের মাঝে আমাদেও অনেক সমস্যার সূতিকাগার রয়ে গেছে।

আমি আবারো ফিরে আসি আমার কথায়। পৃথিবীর তাবত পর্যটন শহরে বা দেশে সাগর আর পাহাড় মানুষের অন্ন-বস্ত্র যোগায়। আধুনিক যুগে পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রা অর্জিত হয়। স্থানীয় লোকেরা নানা পেশা গড়ে তোলো সেখান থেকে জীবিকা থেকে খুব ভালোভাবে চলে যায় তাদের জীবন যাপনের ব্যয়। হোটেল, মোটেল, গাইড, পেইং গেস্ট শুধু নয়। ছোট ছোট শিশুরা নাচ গান গেয়েও কোথাও দিন চালিয়ে নেয়। কোথাও প্রবীণ বুড়ো রাস্তার পাশে বসে বিড়াল ছানা দেখায়, টুরিস্টরা আসে বিড়াল ছানাকে আদর করে কোলে নিয়ে ছবি তোলে আর বুড়োর হাতে ধরিয়ে দেয় দুটো পয়সা। দুটো দুটো চারটে এভাবে দিনশেষে যা হয়, তা দিয়ে বুড়ো বিকেলে নাতি নাতনীদের জন্য কেবল চকলেট ললিপপ নেয়না। বরং চাল- ডাল আর তেল - নুনও কিনতে পারে। কালচারাল সেন্টার আর সার্কাসে খেলা দেখায় স্থানীয় ছেলেমেয়রা, তাতেই তাদের কাপড় তাতেই তাদের ভাত। কেউবা রা¯তার ধারে বসে পিয়ানো বাজায়, রুমালে যা কিছু খুচরা পয়সা পড়ে উদাসী যুবকের তাতেই চলে যায়। স্থানীয় কালচারাল সেন্টার ও মার্কেটে বিকিকিনির জন্য কেউবা পসরা সাজায়, কেউবা সেলসগার্ল, কেউবা ঘরের দাওয়ায় বসে সেগুলো বানিয়েই দু পয়সা পকেটে পুরে নেয়। ক্যাসিনোগুলোতে চলে রাতভর আড্ডা, খেলাধুলো। বিদেশী সাদা মানুষেরা নানা কাজে নানা পয়সা খরচ করে সে টাকা কামিয়ে নেয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তারা আবার সে টাকা দিয়ে কেনে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনে টাকা চলে যায় মানুষের হাতে হাতে। একজননের হাত থেকে অন্যজনের হাতে যায় আর এর মধ্য দিয়ে তাদের সুস্বাদু অন্ন, সুন্দর বস্ত্র, ভালো বা¯স্থান হয়ে যায়। আর উন্নত চিকিৎসা আর রাশভারী শিক্ষার জন্যতো তারা লালায়িত নয় কখনো।

আমাদের কক্সবাজারে কি মানুষ এভাবে জীবিকা নির্বাহ করেনা? করেতো? ইা করলে মানুষ চলে কিভাবে? কক্সবাজারের সব মানুষতো আর মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠে পড়েনি। কিন্তু কক্সবাজাওে পর্যটকদেও যেসব সুবিধা আছে এসব সুবিধা প্রাকৃতিক আর বেসরকারী পর্যায়ের সরকারী পর্যায়ে এখানে মার্কেট, ক্যাসিনো, কালচারাল শো, ফেস্টিভাল, অবকাঠামো, মাছের পার্ক, লোক সংস্কৃতিকেন্দ্র, উপজাতিয় কালচারাল শো, পাখির পার্ক, গার্ডেন, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, ক্যবাল কার, সমূদ্র দর্শন স্টুডিও, আন্ডার ওয়াটার সি মিউজিয়াম, আন্ডার ওয়াটার সী রোড, বেলুন রাউড, পার্সোনাল এয়ার রাই, স্কুবা ডাইভিং, বিচ স্পোর্টস নানা আয়োজন থাকে তাহলে প্রতিটি কাজের জন্য লাগবে শ্রমিক কর্মী আর কর্মকর্তা, কর্মসংসস্থানের মাধ্যমে হবে হাজারো মানুষের জীবিকার সংস্থান। আমাদেও মনে রাখা উচিত শুধুমাত্র সাগর দেখার জন্য মানুষ পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে কেন আসবে। সাগর তো সারা পৃথিবীতে আছে। বরং পৃথিবীটাই সাগর। তিনভাগ সমূদ্র একভাগ স্থল। তাহলে সেটা আবার দেখতে আসতে হবে কেন? এানুষ সাগর দেখতে চায় ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও অঞ্চলে গিয়ে কারণ তাহলে সেখানে গেলে সেদেশের মানুষ ও তাদেও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে জানা যাবে। আর খেলাধুলা আনন্দেও মাধ্যমে কর্মময় জীবনে একটু বৈচিত্র আনবো। পৃথিবীর সব দেশের সমূদ্র কিংবা পাহাড়ী যেরকম পর্যটন থাকুকনা কেন সেখানে জীবনের ও বিনোদনের নানা উপাদান থাকে। এতে করে অনকে লোক বা পর্যটক আসে ফলে যারা চাকরী পায়নি তারা আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজের রুটি রুজির সমাধান করে নেয়। কারণ যত বেশী টুরিস্ট ততবেশী ডলার ততবেশী বেচাকেনা। আর এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের একটা ভালো উপায়। আমাদের কক্সবাজারকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে, স্থাণীয় বেকার সমস্যার সমাধান হবে। আর কোন বাংলাদেশীকে সাগরে ঝাঁপদিয়ে আত্মাহুতি দিতে হবেনা।
আজ চারিদিকে শুধু উন্নয়ন। তবু ক্ষুধার জ্বালায় কেন মানুষগুলো জীবনের ঝুকি নিচ্ছে তা আমরা কেউ বলছিনা। উন্নয়ন যদি মানুষের ঘরে না এসে রাস্তায় ফ্লাইওভার হয়ে দাড়িয়ে থাকে আর কিছু ঘুটি কয়েক মানুষের পকেট ভারী হয়ে কি হবে এই উন্নয়ন দিয়ে? রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, এটা সত্য। কিন্তু উৎপাদনমুখী উন্নয়নও দরকার, তা না হলে সম্পদ বাড়বেনা সম্পদ না বাড়লে দারিদ্র বাড়বে। তাই জীবনমুখী উন্নয়নও চাই বস্তুমূখী উন্নয়ন শুধু নয়। তাহলে প্রয়োজন উৎপাদনমুখী উন্নয়ন, শুধু স্মারকমুখী উন্নয়ন নয়। আর উৎপাদনমুখী উন্নয়নই আমাদের কর্মসংস্থান দিতে পারে। দিতে পারে ঘরে ঘরে দুমুঠো অন্নের যোগান। কর্মহীন এই সমস্যা শুধু কক্সবাজারের নয় সারাদেশের। যে কেউ চোখকান খোলা থাকলে শুনতে পাবেন, বেকার যুবকদের চাপা কান্না, চাকরী না পেয়ে কোনো একটা কিছু করছে এমন মানুষদের কস্টের গোঙাণী, স্বল্পজীবি মানুষদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে হতাশার গুঞ্জন, সন্তানকে কাং্খিত অবস্থানে ন্ াদেখার কারনে নিরাশ পিতামাতার আশাহত জীবনের বিলাপ।

উন্নয়নের জন্য ধন্যবাদ উন্নয়ন কুশিলবদের। জানি এ ধন্যবাদ আপনারা আগেই নিয়ে নিয়েছেন? হ্যা এখন দুন্নয়ন (যেখাতে মানুষের জীবনে যেখানে উন্নয়ন সূূদূর পরাহত) এর তিরস্কার কে নেবেন? ও কেউ নেবেন না! যারা বছরের পর বছর ক্ষমতায় ছিলেন? যারা ক্ষমতায় আছেন? যারা হরতাল অবরোধ ডেকে শিল্প কারখানা পর্যটন এর বারোটা বাজান? যারা গলাফাটিয়ে পক্ষে বিপক্ষে গলাবাজি করেন? যারা দেশগেলো বলে শোরগোল তোলেন? যারা ধর্মগেলো বলে হট্টগোল করেন? যারা মুক্তমনার নামে বিদ্ধেষ ছড়ান? যারা নাস্তিক নিধনের নামে হিংসা ছড়ান? জানি আপনারা কেউ নেবেন না সেই দায়ভার? তাহলে সে দায়ভার কি আমাদের? দরিদ্রদের? সাধারণ মানুষদের? তাইতো!

তা না হলে কেন আমার দেশের মানুষকে পুলিশ বাবারা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে? তা না হলে কেন আমার দেশের নিরীহ পথচারী গাড়িচাপা পড়ে। তা না হলে কেন আমার দেশের মানুষ ঘর থেকে বের হলে পেট্রোল বোমায় মরে? কেন দলবেধে মানুষরা মরে যায় লঞ্চডুবিতে? কেন আমার দেশের মানুষ গুম হয়ে যায় দিনের আলোতে? আমাদেরই অপরাধ? কেন আমরা দরিদ্র হলাম? কেন আমরা সাধারণ হলাম!

কেন আমরা ভূমিদস্যু হইনি? তাহলেতো রাজ্যের মালিক হতে পারতাম। কেন আমরা ইয়াবা সর্দার হউনি? তাহলে টাকার বালিশ মাথায় নিয়ে শুতাম। কেন আমরা নেতা হইনি তাহলে সালিশের পয়সায় জমি কিনতাম? কেন আমরা নীতিহীন ব্যবসায়ী হইনি? তাহলে টেন্ডারবাজি করে বউয়ের জন্য গয়নাঘাটি কিনতাম। কেন আমরা ব্যাংকের ঋণখেলাপী হইনি? তাহলে চুরির টাকায় বিদেশ গিয়ে পড়ে থাকতাম।

কেন আমরা সাধারণ হলাম এটাই আমাদের অপরাধ! ওরা কেন গরিব হলো এটাই তাদের পাপ! আর এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে তাদের সাগরে ঝাপ দিয়ে। আচ্চা বড়োলোক সম্প্রদায়ের কি আলাদা ধর্মগ্রন্থ আছে? তাদেও কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক আর বাইবেলে কি এই কথাই লেখা আছে? কোথায় সে সংবিধান যেখানে লেখা আছে আমরা মরে যাবো তাদের সুখের জন্য? যদি সেখানে একথা লেখা থাকে তাহলে ছিঁড়ে ফেলি সেই সংবিধান। ও তা ছিড়া যাবেনা! তাহলে বরং আমরা মরেই যাই। হ্যাঁ আমরা মরেই যাই। কেন না, আমাদের আর কোন রাস্তাতো নেই। আসো তবে তোমরা কে কে মরবে চলে একসাথে সাগরে ঝাপ দেই। না না আমাদের নৌকার দরকার নেই। আমরা সাগরের মুক্তবক্ষে এমনিতেই ঝাপ দেব, দেশে আমাদের খাদ্য নেই, আমাদের কাজ নেই আমরা এখন দেশের বোঝা মরে যাওয়াই আমাদের মঙ্গল। বেঁচে থেকে থেকে পত্রিকার খবর হয়ে বিজ্ঞাপনের দামী জায়গা দখল করে আর কত নিজেদের পাপ বাড়াবো, ভোগান্তি বাড়াবো উচুতলার মানুষদের। চলে আমরা মরতে চলি।

কারণ কক্সবাজারের লোকদের পর্যটন এর মতো রিসোর্স থাকা সত্বেও যদি এই হাল হয় তাহলে দেশের উত্তরাঞ্ছলের কি হাল হবে? আমি ভীত ও আতংকিত তাদের আরো খারাপ দিন আসছেনা তো? তাদেরতো সমুদ্র নেই যে ঝাাঁপ দেবে। তাই এখনি সময় চিন্তার আর সঠিক কাজের। সূতরাং ভেবে আর সময় নস্ট নয় এখনি করুন একটা কিছু অন্তত পর্যটন সেক্টরে হলেও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.