![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।
মীরাক্কেলে বাংলাদেশী প্রতিযোগীকে ৮ মিনিটের এপিসোডে ৫ মিনিট ধরে ইনসাল্ট
প্রথমে বলে রাখি আমার নিজের খুব পছন্দের একটা অনুষ্ঠান মিরাক্কেল। কিছু অশ্লীল কৌতুকের কথা বাদ দিলে মেধা বিকাশের খুব ভালো জায়গা। বিশেষ করে গত কয়েকবছরে বাংলাদেশের বেশকিছু ছেলেমেয়ে উঠে এসেছে এখানে।
বলছি বাংলাদেশের জয়পুরহাটের মেয়ে সাবাহকে কিভাবে তিন বিচারক মিলে ৫ মিনিট ধরে চরম থেকে চরমতম অপমান করলো। সেটা একবার দেখে নিন। শুধু ভালো পারফর্ম না করার জন্য কোনো মানুষকে কেউ একটা টিভি প্রোগামে এভাবে অপমান করতে পারে আমার জানা ছিলোনা। ভিডিওটা না দেখেলে হয়তো আপনারাও বিশ্বাস করবেন না। ক্যামেরার সামনে যদি তারা এ্ভাবে অপমান হয়। না জানি ক্যামেরার পেছনে তারা কতটা লাঞ্চিত হয়। আর আমাদের দেশীয় কোম্পানী প্রাণগ্রুপ কি বাংলাদেশী মেয়েদের অপমান অপদস্থ করার জন্য ওদের টাকা দেয়?
মানুষের আগ্রহ, দর্শকদের কাছে প্রিয় এবং নতুন প্রতিভা বের হয় বলে টিভিভিত্তিক প্রতিযোগিতা বেশ জনপ্রিয়। এসব প্রতিযোগীতাকে বেশীরভাগ মানুষই ইতিবাচক চোখে দেখেন। সাধারণত এসব প্রতিযোগিতায় জনপ্রিয় এবং বেশ সামাজিক ও ম্যাচিউরড লোকদের রাখা হয়। স্বভাবতই তারা ইতিবাচকভাবে ভূমিকা রাখেন। প্রতিটি বিষয় তারা খুব সুন্দর ভাবে মোকাবেলা করেন। তুমুল প্রতিযোগিতা হয় বলে বিজয়ী নির্বাচনেও তাদের হিমসিম খেতে হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারা এসব পরীক্ষায় উৎরে যান। ফলে দিন দিন এসব অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হয়।
গত অক্টোবরে (২০১৪)বাংলাদেশী মেয়ে সাবাহ পারফর্ম করে। তার পারফর্ম এরপর বিচারকরা মেয়েটিকে ৫ মিনিট ধরে ইনসাল্ট করলো। শুধু তাই নয় তাকে বলা হলো লজ্জায় মিশে যেতে। মেয়েটাকে খুব বেশী বড় মনে হলো না। অথবা সে জানে না। কিভাবে মিশে যেতে হয়। মেয়েটি বুঝতে পারছেনা কিভাবে মিশে যেতে হবে? তারপর পরানদা বলল ‘‘এটাও দেখিয়ে দিতে হবে? তারপর অর্ণব উঠে এসে তাকে বলল, ‘‘মাটিতে আছাড় খেতে খেতে কাঁদ’’ মেয়েটি বুঝতে পারছেনা কিভাবে স্টেজে আছাড় খেতে হয়, তারপর আবার পরান গঙ্গোপাধ্যায় আবার মেয়েটিকে নিষ্ঠুরভাবে ঝাড়ি দিলো। মেয়েটা কেঁদে ফেলল এই চরম অপমানে আর সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে সেটা উপভোগ করলো।
সর্বপ্রথম শুরু করলো শ্রীলেখা মিত্র, যিনি একসময় বাংলাদেশেও যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করেছেন। মেয়েটোকে সরাসরি আপসেট করে বললেন। ‘‘সাবা এমন কি বলেছে যে হাসতে হবে।? তারপর প্রাণদা, আর রনিদা সবাই যোগ দিল। ৮ মিনিটের এপিসোডে ৫ মিনিটেই সবাই মিলে মেয়েটাকে ইনসাল্ট করলো। দর্শকের সামনে একটি তরুনি মেয়েক এভাবে অপমান করার সাহস তারা পায় কোথায়? মেয়েটি বাংলাদেশের বলে? তাহলে ওরা বাংলাদেশকে এভাবে অপমান করবে? পরিকল্পিত ভাবে এসব করার কারণ কি? আজ ১ বছর হলো কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। ভিডিওটি দেখুন?
(জাহাঙ্গীর আলম শোভন)
ইউটিউবে : Mirakkel 8 - October 8, 2014 - Sabah
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
শায়মা বলেছেন: ভিডিওটা দেখলাম।
মেয়েটার উচিৎ ছিলো জুতা ছুড়ে মারা ঐ তিনজনের মুখে। নিজের দুপায়ের দুইটা আর ওর পাশে দাঁড়ানো গাধাটার জুতা খুলে আরেকটা আরেকটার মুখে।
তানা বোকার মত সেও আবার বললো মিরাক্কেলকে ভালোবাসে।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: এটি ইচ্ছা করে দেখানো হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের উচিৎ প্রতিবাদ করা এবং বর্জন করা।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১
শুভকবি বলেছেন: ভারতীয়রা বরাবরই আমাদের নিচু চোখে দেখে। তাদের ভাষায় আমরা "বাঙ্গাল"< কাঙাল
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অপমানিত হবার পরেও শিক্ষা হয় নাই। নির্লজ্জ মেয়ে।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
এম হেলাল আহমদ বলেছেন: ভাই সেটা অনেক আগে দেখেছি , ইন্ডিয়ানরা সবসময় আমাদের কে উপহাস , অপমান করে চলছে এটা নতুন কিছু নয়। তবে এই অপমানের পিছনে সাবার একটা নোংরা জোকস রয়েছে " বয় ফ্রেন্ড জিজ্ঞাসা করছে তুমি কি করছো ? সাবার উত্তর আমি দেবের মুভি বুনোহাঁস দেখছি । প্রেমিকঃ আর এই দিকে আমার বন মুরুগ যে ছটফট করছে ******** বন মুরুগ বলতে কি বুঝিয়েছে বুঝে নিন। সেখানে কিছুটা নোংরা জোকস থাকে কিন্তু এটার মতো নোংরা নয়।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০
কালীদাস বলেছেন: একজন বাংলাদেশি হিসাবে ঐ প্রোগ্রামে ঐ মেয়ের অংশ নেয়াটাকেই ভাল চোখে দেখতে পারলাম না। দোষ তো আমাদেরই বেশি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক রিচ ওপাড় বাংলার খবিসগুলোর চেয়ে। কেন, আমাদের দেশে এজাতীয় কিছু চালু করা গেল না? না থাকলে দরকার হয় ঈর্ষান্বিত হব, তবুও পার্টিসিপেট করাটা কোনভাবেই সাপোর্ট করতে পারলাম না।
সবখানে এই ভারত-তোয়াজ নীতি দেখে দেখে চরম বিরক্ত। সুস্মিতা এসেছে, প্রথমআলোর চামচামি দেখলে গায়ে আগুন ধরে যায়। আমাদের এই মেরুদন্ডহীনতা যতদিন থাকবে ততদিন সবাই এভাবে অপমান করবে।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
amitanmoy বলেছেন: ভারতীয়রা সব সময় বাংলাদেশিদের উপহাস, অপমান নিন্দা করে। কলকাতার পথে ঘাটে চলতেও অনেকেই নিগৃহিত হয় যদি জানতে পারে ইনি বাংলাদেশি।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
মিথ্যা প্রেমের গল্প বলেছেন: শালার ইন্ডার কাছ থেকে মিরাক্কেল এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আনছিলাম।
.
সেটা তে ওদের অনেক ফাটছিল। কিছু করতে পারে নাই
.
সেই জ্বাল মিটাতে হবে নাহ??????
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
শুভকবি বলেছেন: ভিডিওটা দেখলাম, অথচ সাবা যখন পারফর্ম করতেছিল সবাই মজা পাচ্ছিল ( আমিও কোথাও খুত দেখিনি ) পারফর্ম শেষে ওদের অভিব্যাক্তি দেখে অবাক হয়েছি, মনে হয়েছে ওরাও হয়ত ফান করছে.।.।.।.।.।.।.।.।.।। পুরা ব্যাপারটাই ছিল পরিকল্পিত। যার মূল উদ্দেশ্য হল, অপমান। লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল।শায়মার মত করে বলি, "মেয়েটার উচিৎ ছিলো জুতা ছুড়ে মারা ঐ তিনজনের মুখে"
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০
সাফকাত আজিজ বলেছেন: যদি কোনো বিতর্কে নাও যাই তবেও বলা যায়; "এইসবই .......................পার্থক্যটা গড়ে দেয়"...!
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
শায়মা বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: একজন বাংলাদেশি হিসাবে ঐ প্রোগ্রামে ঐ মেয়ের অংশ নেয়াটাকেই ভাল চোখে দেখতে পারলাম না। দোষ তো আমাদেরই বেশি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক রিচ ওপাড় বাংলার খবিসগুলোর চেয়ে। কেন, আমাদের দেশে এজাতীয় কিছু চালু করা গেল না? না থাকলে দরকার হয় ঈর্ষান্বিত হব, তবুও পার্টিসিপেট করাটা কোনভাবেই সাপোর্ট করতে পারলাম না।
সবখানে এই ভারত-তোয়াজ নীতি দেখে দেখে চরম বিরক্ত। সুস্মিতা এসেছে, প্রথমআলোর চামচামি দেখলে গায়ে আগুন ধরে যায়। আমাদের এই মেরুদন্ডহীনতা যতদিন থাকবে ততদিন সবাই এভাবে অপমান করবে।
এই কথাটাও ঠিক কোনোমতেই তার উচিৎ হয়নিঐ বেআক্কেল প্রোগ্রামে দৌড়ানো আর মিরাক্কেল একটা প্রোগ্রাম হলো!!
বেআক্কেল হলেই ভালো হত ওটার নাম!
১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: অপমানিত হবার পরেও শিক্ষা হয় নাই। নির্লজ্জ মেয়ে।
১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২
নতুন বলেছেন: বন মুরুগ যে ছটফট করছে জোকসটা ভাল লাগেনাই। এটার জন্যই সবাই হয়তো রিয়েক্ট করেছে।
কিন্তু জোকস নিশ্চয় সে একা সিলেক্ট করেনাই। তাই এর জন্য তাকে এতো বেশি বলা এবং আছাড় খেতে খেতে কাদতে বলা এক রকমের নাকে খত দেবার মতন বিষয় করতে বলা বেশ বাড়াবাড়ী।
১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৬
বিজন শররমা বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গের সংস্কৃতি যেটুকু ভালো ছিল তাও নষ্ট করেছে মীর। যৌনতা ছাড়া এই ব্যাটা আর কিছু জানে না ।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
কাবিল বলেছেন:
ধিক্কার জানায়।
সাবাহকে আগের অনুষ্ঠানেও সূক্ষ্মভাবে টর্চার করা হয়েছিল সেটা সাবাহ হয়তো বুঝতে পারিরিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=copHt4m0740
১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: একজন বাংলাদেশি হিসাবে ঐ প্রোগ্রামে ঐ মেয়ের অংশ নেয়াটাকেই ভাল চোখে দেখতে পারলাম না। দোষ তো আমাদেরই বেশি, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক রিচ ওপাড় বাংলার খবিসগুলোর চেয়ে। কেন, আমাদের দেশে এজাতীয় কিছু চালু করা গেল না? না থাকলে দরকার হয় ঈর্ষান্বিত হব, তবুও পার্টিসিপেট করাটা কোনভাবেই সাপোর্ট করতে পারলাম না।
সবখানে এই ভারত-তোয়াজ নীতি দেখে দেখে চরম বিরক্ত। সুস্মিতা এসেছে, প্রথমআলোর চামচামি দেখলে গায়ে আগুন ধরে যায়। আমাদের এই মেরুদন্ডহীনতা যতদিন থাকবে ততদিন সবাই এভাবে অপমান করবে।
তারপরও আমাদের বোকা মেয়েরা দেবের জন্য পাগল আর পাখির জন্য গলায় দড়ি দেয়!
আর এর পেছনে দায়ী কথিত বাংলা মিডিয়া মুঘলদের অজ্ঞতা, দেশেপ্রেমের অভাব নিজের সংস্কৃতিকে উচুতে তুলে দরেত না পারা!
এই অপমানের দায় এদের সবার!
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: লুল , মিরাক্কেল ও একটা অনুষ্ঠান আর zee bangla-ও একটা চ্যানেল। এসব সস্তা jokes শুইনাও মানুষ মজা পায় , আজাইরা ! একটা বাচ্চা পোলারে পাঠায়ে দিলেও আরো উন্নতমানের jokes শুনাইতে পারব !
১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমরা এত চিল্লাচিল্লি করি কিন্তু তাদেরকে বর্জন করিন না কেন? কেন তাদেরকে তোয়াজ করতে যাই?
আমার বাসায় কেহই সখ করে ভারতীয় চ্যানেল দেখি না। সত্যি বলতে কি আমি কোন হিন্দি সিনেমা সবটুকু দেখিনাই।
আমরা কেন তাদের পাল্লায় পড়ি আর তাদের দোষ ধরি?
এড়িয়ে চললেই তো পারি।
২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: লেখোয়াড় আর শায়মার মত আমিও বলি, আমরা এত চিল্লাচিল্লি করি কিন্তু তাদেরকে বর্জন করিন না কেন? বেআক্কেল হলেই ভালো হত ওটার নাম!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের গায়ক জেমস ভারতের হিন্দী সিনেমায় গান গেয়ে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পাবার সাথে সাথে তাঁকে ভারতের ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়- পত্রিকায় এমনটিই পড়েছিলাম।
দুঃখজনক হলেও সত্য পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়াকর্মীরা বাংলাদেশীদের নিয়ে হীনমণ্যতায় ভুগে, নিজের দেশের অন্যান্য স্টেট ওদের চেয়ে অনেক এগিয়ে সেবিষয়ে মাথা ব্যাথা নেই। ওদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করলে অপমানিত হলে কি খুব অবাক হবার কিছু আছে!
বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল ভারতে এ্যালাওড নয়, সেখানে আমাদের কোন ভাবেই ভারতীয় টিভি চ্যানেল বিশেষ করে ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দেখা অনুচিত।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে