![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।
হাজার বছর আগে
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
( ইসলামের ইতিহাসে শক্তিশালি তথ্যপ্রমানসহ ঘটনাই বেশী, আছে দূর্বল অসমর্থিত অনেক কিছু, তেমনি আছে বানোয়াট অনেক গল্প। এই ঘটনাটি দূর্বল সূত্র দ্বারা প্রচলিত। তাই এটা মিথ্যেও হতে পারে, হতেপারে সত্য আবার হতে পারে আংশিক সত্য। আমরা এই ঘটনাটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে পাঠ করতে পারি, পড়তে পারি একটি ¯্রফে গল্প হিসেবেও কারণ এই প্রিয়নবী (স) এর আগমনের ১০০০ বছর পূর্বের এই ঘটনা বিশ্বাস অবিশ্বাস এর সাথে ঈমান ও আকীদার কোনোরুপ সম্পর্ক নেই)
মহানবী (স.) জন্মের হাজার বছর পূর্বের কথা। তখন ইঞ্জিল বর্তমান বাইবেল কিতাবের উপর মানুষের বিশ^াস ছিল। তারা জানত যে কোন এক সময় পৃথিবীতে সাইয়েদুল মুরসালিন রাহমাতোল্লিল আলামীন খাতামান নাবীয়্যীন মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আগমন ঘটবে। এবং তা আরব মরুতে। অনেকে অধীর আগ্রহে বিশ^ নবীর আগমনের প্রহর গুনছিলেন।
তখন ইয়ামেনের বাদশাহ ছিলেন তবয়া আউয়াল হামিরী একদা তিনি বত্রিশ লক্ষ্য সৈন্য আর বার হাজার আলেম বুজুর্গ জ্ঞানি গুনি নিয়ে ভ্রমনে বের হলেন। চলতে চলতে তিনি মক্কা নগরীতে এসে উপস্থিত। বিভিন্ন স্থানে মানুষ, জীবনযাত্রা, দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি তিনি অবলোকন করছেন। তদ্রুপ মক্কায় এসেও তিনি এখানকার সবকিছু প্রত্যক্ষ করছিলেন। তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে যেখানেই গিয়েছেন সেখানকার লোকজন দলে দলে তার বিশাল আয়োজন দেখেছে। বাহবা দিয়েছে এমন কি সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। তিনি দেশ ভ্রমনে এসেও মহা আনন্দেই ছিলেন।
কিন্তু মক্কায় পদার্পন করে তার আনন্দ সাগরে ভাটা পড়েগেল। এখানে ঘটল সম্পূর্ণ তার বিপরীত। মক্কার লোকেরা সবাই নিজ নিজ কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকল। বাদশাহর সম্মুখে আসার প্রয়োজনও কেউ অনুভব করেনি। সবাই নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করছে। কেউ তাকে এতটুকু মর্যাদাবান হিসেবে দেখেনি বরং খুবি সাধারণ ভাবে নিয়েছে। ইয়ামমেনপতি এদৃশ্য দেখেতো রেগে কলাপাতার মত কাঁপতে লাগলেন, লক্ষ লক্ষ সেনা আর বার হাজার বিদ্যান লোকের এতবড় কাফেলা মক্কার লোকদের কাছ কি কিছুইনা? তিনি ক্রদ্ধ হয়ে তার প্রধানমšী¿র কাছে এর কারণ জানতে চাইলেন। মন্ত্রী মহোদ্ভয় সবিনয়ে পেশ করলেন ‘‘হে বাদশাহ নামদার- এখানে বায়তুল্লাহ নামে একটি ঘর আছে। এটা এখানকার লোকদের জন্য পবিত্র ও সম্মানিত। এরা এটাকে অধিক মর্যাদাবান মনে করে। এবং এর সাথে জড়িতদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি করে তাদের কাছে এই বায়তুল্লাহ ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন কিছুই তাদের নিকট শ্রদ্ধার বস্তু নহে। তাই আপনার এই বিশাল আয়োজন আর আগমন তাদের নিকট খুবই তুচ্ছ।’’
বাদশাহ এই বক্তব্য শুনে আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে না পেরে বললেন। ‘‘আমি এখুনি সেই বায়তুল্লাহ ভেংগে ফেলবো এবং এর অনুসারীদের ও কেটে টুকরা টুকরা করবো। এত বড় স্পর্ধা! আমার বার হাজার আলেমের চেয়েও তারা তাদের বায়তুল্লাহকে অধিক শ্রদ্ধ করে। এই কথা বলার সংগে সংগে বাদশাহর নাক, মুখ, চোখ, কান দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করলো এবং নাক দিয়ে এমন তরল পদার্থ আর দুর্গন্ধ বের হতে লাগল, যার গন্ধে তার কাছে থাকাই দুরুহ হয়ে পড়ল। কেউ এর কোন কিছুই বুঝতে না পেরে কবিরাজ বৈদ্য লাগিয়ে দিলেন। কিন্তু বাদশাহর অবস্থার কোন পরিবর্তন হলনা। আলেমদের মধ্যে সন্ধা বেলায় যে কজন বাদশাহকে সঙ্গ দিতে আসলেন তাদের মেধ্যে প্রধান বুজুর্গ বললেন বেয়াদবি মাফ করবেন জাহাপনা নিশ্চয়ই আপনি কোন বদ নিয়ত করেছেন তার ফল এই। এই মুহুর্তে আপনি যদি খালেশ নিয়তে তওবা করেন তাহলে হয়তো আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
বাদশাহ হামিরী আবার জ্ঞানীর সমাদর জানতেন। তাদের মানতেন এবং বিশ^াস করতেন। তাই তিনি তাদের সংগে নিয়েই ভ্রমনে বেরিয়েছেন। আলেমের কথামত তিনি বায়তুল্লাহ ভাঙ্গা ও এর অনুসারীদের কতল করার যে নিয়ত করেছেন, তা তিনি খালেস নিয়তে তওবা করেন। সাথে সাথে বাদশাহ সুস্থতা লাভ করেন। তখন বাদশাহর অন্তর্চক্ষ খুলে যায়। তিনি সবাইকে নিয়ে বায়তুল্লাহ কাবাঘর তওয়াফ করেন। ইয়ামেনের বাদশাহ এ ব্যাপারে কৌতুহলি হয়ে পড়লেন সেখান থেকে সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে গমন করলেন মদীনা। এরই মধ্যে বিজ্ঞ আলেম পরিষধ বিভিন্ন তথ্যের সমৃদ্ধিতে গবেষনা করে আবিষ্কার করলেন আখেরী নবী (স.) আগমনের আলামত।
(তথ্যসূত্র: আমার নিজের স্কুল জীবনের লেখা এটা, বোধকরি ১৯৯৭ সালের দিকে হবে: কোনো একটি বইতে পড়েছিলাম ঘটনাটি, এখন আর মনে নেই।)
©somewhere in net ltd.