নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত: ইসলামের দৃষ্টিতে ধনীদের সম্পদে গরীবের অধিকার

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

যাকাত: ইসলামের দৃষ্টিতে ধনীদের সম্পদে গরীবের অধিকার
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
যাকাত ধনীদের পক্ষ থেকে দান বা অনুগ্রহ নয়। বরং যাকাত পরিশোধ করা বিত্তবানদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য বা ফরয। যাকাত দেয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজীদে অলংঘনীয় নির্দেশ নাযিল করেছেন। তাছাড়া আল্লাহ তায়ালঅ নিজেই যাকাতকে ধনীদের সম্পদে অসহায় ও বঞ্চিতের অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন:
“আর তাদের ধন-দৌলতে বঞ্চিত ও প্রার্থীদের অধিকার রয়েছে”। (সূরা আয-যারিয়াত ঃ১৯)
অন্যত্র আল্লাহ ধনবান লোকদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন : “আর নিকট আতœীয়কে তার অধিকার দিয়ে দাও এবং মিসকীন আর মুসাফিরকেও। অপব্যয়-অপচয় করবে না।” (বনী ইসরাইল : ২৬)
যাকাতের আর্থ সামাজিক প্রভাব
যাকাত দরিদ্রের হক বা অধিকার। কারণ আল্লাহ পাক কুরআনে বলেন, যাদরে ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে দু:স্থ ও বঞ্চিতদের। (আল মা’আরিফ) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, সম্পদ যেন কেবল তোমাদের ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়। (সূরা হাশর) উপরোক্ত দুটি আয়াত থেকে বুঝা যায়, যাকাত দান করা ধণীদের জন্য ফরয। অন্যদিকে যাকাত গরীবদের অধিকার। দারিদ্র্য বলতে ফকীর, মিসকীন, দাসবন্দি ও ঋণগ্রস্থ এই শ্রেণীকে বিবেচনা করতে পারি। ইতিপূর্বে দারিদ্রতা সমস্যাকে সব সমস্যার মূল হিসাবে আখ্যায়িত করেছি। দারিদ্র্য বিমোচনে অন্য একটি খাত হল বেকার সমস্যার সমাধান। একটি দেশের ৪৫% লোক বেকার তা যে কত ভয়াবহ কঠিন সমস্যার তা একমাত্র বেকার শ্রেণীর লোকজন ছাড়া অন্য কেউ বুঝার কথা নয়। বাংলাদেশে প্রচুর শিক্ষিত বেকার রয়েছে। এ শ্রেণীর জন্য অবশ্যই যাকাত ব্যবহার করা যায়।
৮. যাকাত ও সুদ
যাকাত আল্লাহ প্রদত্ত অর্থ-ব্যবস্থার অপরিহার্য স্তম্ভ। পক্ষান্তরে সুদ এ অর্থ-ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত ও সংঘর্ষশীল এক ধ্বংসাতœক পদ্ধতি। যাকাতে রয়েছে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ। পক্ষান্তরে সুদ হচ্ছে মানবতা ধ্বংসকারী এক নিকৃষ্ট লেলিহান শিখা। আল্লাহ তায়ালার এরশাদ হচ্ছে:
“আল্লাহ সুদকে নির্মূল নিশ্চিহ্ন করে দেন আর সদকায় দান করেন ক্রমবৃদ্ধি। আর আল্লাহ (সুদখোর) অকৃতজ্ঞ ও পাপী লোকদের মাত্রই পছন্দ করেননা।” (সূরা বাকারা ঃ২৭৬)
“লোকদের অর্থ-সম্পদের সাথে শামিল হয়ে বৃদ্ধি পাবে এ জন্য তোমরা যে সুদ দাও তা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পায়না। আর আল্লাহর সন্তুুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তোমরা যে যাকাত দাও,মূলত এই যাকাতদানকারীরাই তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করে।” (সূরা আর-রুম : ৩৯)
৩. যাকাত ব্যবস্থা চালু করা ইসলামী সরকারের অপরিহার্য দায়িত্ব
আল্লাহর সাহায্যকারী প্রকৃত ইসলামী সরকারের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন ঃ
“তারা হচ্ছে সেইসব লোক যাদের আমি রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত-ব্যবস্থা চালু করবে, মানুষকে সৎকাজের আদেশ করবে এবং অন্যায়-অসৎ কাজ থেকে বেরিত রাখবে।” (সূরা আল-হজ্ব ঃ৪১)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.