নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

মুলার গল্প

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

মুলার গল্প
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

দিনাজপুরের ধুলি উড়ানো পথ ধরে এগিয়ে চলেছি সৈয়দপুরের দিকে। বলছিলাম পায়ে হেঁটে দেশভ্রমনের স্মৃতি থেকে। ১২ ফ্রেব্রুয়ারী থেকে ২৮ মার্চ সময়ের মধ্যে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফে ১১৭৬ কিলোমিটারের ভ্রমনের টুকরো স্মৃতির একটা অংশ। বলা বাহুল্য এই স্মৃতিটা মূলা নিয়ে। শোনা যাক সে গল্প।

দিনটা ছিলো ১৯ ফ্রেব্রুয়ারী। সাইফুল নামে এক যুবক রানীর বন্দর দিনাজপুর এগিয়ে এসে পরিচিত হলেন। ছবি তুলে বিদায় নিলেন তখন পড়ন্ত বিকেল। কিছুক্ষণ পর একটি বাইকে করে তিনবন্ধুকে নিয়ে ফিরে এলেন। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলাম। তাদের চোখের দিকে চেয়ে তেমন কোনো খারাপ আভাস না পেয়ে স্বস্তি পেলাম। তারা নানা কিছু জানতে চায় কিন্তু বসে কথা বলার সময় আমার নেই। আমি এক রকম হুলুস্থুল গতিতে হেঁটে চলছি আর কথা বলছি। অগত্যা ওরা উপায় না দেখে মোটর সাইকেলটা রাস্তার ধারে রেখে আমার সাথে হাটা শুরু করলো। ২ কিলোমিটারের বেশী পথ হাটলো ওরা। পরে একটি বাজারে এসে চা খেলাম আমি অবশ্য বিকেলের নাস্তা হিসেবে একটা কাঁচামুলো খেয়ে নিলাম। ফেব্রুয়ারী মাসের ১৯ তারিখ দিনে কিছুটা গরম হলেও রাতে ভরপুর ঠান্ডা।

আমার কাঁচা সব্জি খাওয়াকে লোকেরা একটা বিনোদন হিসেবে নিয়েছিলো। যেমন কাঁচা লাউ, কাঁচা সব্জি, কাচা শুটকি ইত্যাদি।
আমাকে কাঁচামুলা খেতে দেখে অনেকে অবাক হলো। একেবারেই সাধারণ লোক যারা। যারা দুনিয়ার অতো খবর রাখেন না। তারা ধরেই নিলো যে আমি যে এলাকার লোক সে এলাকার মানুষ সব সবজি কাঁচা খায়। দুএকজন মন্তব্য করলো। তবে প্রিয় পাঠক মুলা খাওয়ার ব্যাপারটাতে আপনাদের কেউ যেন অবাক না হন সেজন্য আসুন আপনাদের একটা মুলার গল্প শুনিয়ে দেই।

মুলার গল্প
মুলা নিয়ে এক কলিগ এর কাছ থেকে শোনা একটা ছুটকি বলি। জামাই এসেছে শ্বশুর বাড়িতে। প্রথমে মুলার কুচি কুচি কাটা দিয়ে আচাঁরসহ নাস্তা দেয়া হলো। খেতে ভালোই লাগলো। দুপুরে মুলা দিয়ে মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়ালো। রাতে মুলা ভর্তা আর মুলা দিয়ে গোছ দিয়ে রান্না। সকালে মুলাভাজি আর চিনি দিয়ে মূলার খাট্টা। দুপুরে আবার মুলা দিয়ে তরকারী, রাতের মুলার স্যূফ, আর মূলার সালাদ, পরের দিন সকালে আমার মূলার জুস, আর মূলা ফ্রাই। জামাই বিরক্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। ঘর থেকে বিদায় নেবেন এমন সময় শ্বশুর মশাই হাজির একবস্তা মুলা নিয়ে। তার মুখে আফসোসের সুর। বস্তা রেখে জামাইকে বললেন কি আর করবো বাবা মুলার দিনেতো আসলেন না। আপনাকে মূলা দিয়ে মেহমানদারী করবো সে সাধ্যতো নেই। এই একবস্তা মূলা নিয়ে যান বেহাই বেহাইনকে দেবেন।

কি বুঝলেন? সবাই মুলা ঝুলিয়ে রাখে না। কেউ কেউ মূলা খাইয়ে ছাড়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.