![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।
পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণ: সফরের মজার স্মৃতি ১
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে লিখছি। যদিও ধারাবাহিক লিখনি চাচ্চেন অনেকে। কিন্তু ধারাবাহিক লিখনির জন্য লেখার কলেবর বৃদ্ধি পাবে। অনলাইনে বড়ো লেখা পড়ার অভ্যাস পাঠকের নেই। না থাকাই স্বাভাবিক। এসব দিক বিবেচনা করে সফরের স্মৃতিগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপনার প্রয়াসই হলো আজকের এই লেখা। কেউ যদি ভ্রমনের পুরো বৃত্তান্ত জানতে চান তাহলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বইমেলা পর্যন্ত।
জেলা পঞ্চগড়
লাউ শাকের ভাবি
তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে। রাস্তার একেবারে পাশেই একটা বাড়ি। তাতে সুন্দর ঘানি। গরুর দ্বারা তাতে সরিষা ভাঙা হচ্ছে। আমিও তাতে যোগ দিয়ে সরিষা ভাঙলাম। এক গৃহবধু তার ছোট দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে এই কাজ করছে। তখন পড়ন্ত বিকেল, কর্তা হয়তো মাঠে নয়তো হাটে। কথায় কথায় ভাবি ভাত খাওয়ার জন্য জোরাজুরি শুরু করলেন বললাম না ভাবি ভাত খেয়েছি। তবুও ভাবি বল্লেন আজ আমাদের বাসায় থাকেন নইলে চারটা খেয়ে যান লাউ শাক দিয়ে আলু দিয়ে রান্না করেছি। বল্লাম ইশ কেন বল্লেন লাউ শাকের কথা এবারতো সত্যি সত্যি খেতে মন চাইছে। ভাবি সত্যি ভাত নিয়ে এলেন, বল্লাম মজা করলাম। কিন্তু কে শোনে কার কথা শেষে এতটুকুন লাউশাক আর আলু শুধু শুধু খেয়ে ভাবির রান্নার প্রশংসা করে তবেই রক্ষা।
খেলার ছলে ছোট বন্ধুদের সাথে
মিজান ভাইদের ঘরের সামনেই প্রাইমারী স্কুল। সেদিন আবার স্কুলের খেলাধুলা। আবার মাঠের পাশ দিয়েই আমাদের চলার পথ। আমাকে দেখেই সব শিশুরা হাজির। মিজানভাইর ছোটবোন জবামনিও এই স্কুলে পড়ে। প্রথম ছেলের দলের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম। আমি ফেল। যে প্রথম হলো তাকে দিনরাত্রি ডট কম এর পক্ষ থেকে একটি ক্যাপ পুরষ্কার দিলাম। তারপর মেয়ের দলের সাথে আমার দড়িলাফ। যথারীতি আমি ফেল, যে পাস করলো তাকে দিলাম খাবার স্যালাইন। মিজানভাইর ছোটবোন জবামনি তার দড়ি নেই বলে সে অংশ নিতে পারেনি। আমার একটা লাফদড়ি ছিলো ব্যায়াম করার জন্য সে দড়িটা তাকে উপহার দিলাম তারপর শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় করে পথে উঠে গেলাম। পথে মানে মহাসড়কে তখন বেলা দশটা বাজে। একটু দেরীই হয়ে গেলো।
তারাগঞ্জে ফুটবল ম্যাচ
২০ ফ্রেব্রুয়ারী সৈয়দপুর থেকে রংপুর যেতে তারাগঞ্জে প্রবেশ পথেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজকের দিনটি ছিলো বেশ গরম, খুব রৌদ্রতপ্ত আর ভীষণ উমতেলা। উমতেলা শব্দটা আমাদের আঞ্চলিক শব্দ। ভ্যাপসা গরম এর একটা প্রতিশব্দ হতে পারে। যাই হোক তবুও তারাগঞ্জে ঢুকে দেখি ফুটবল খেলছে দূরন্ত ছেলের দল তাদের সাথে নেমে গেলাম। চারজন খেলোয়াড় দেয়া হলো আমাকে বাকী সব বিপক্ষ দলে, প্রতিপক্ষযে কতজন তার কোনো হিসেবে নেই। ১৫/ ১৬ জনতো হবে। তিন চার গোলো ম্যাচ জিতলাম, খুব ভয়ে ভয়ে খেলতে হলো যাতে আমার জুতায় কারো খালি পা’র কোনো সমস্যা না হয়। তারাও হয়তো কিছুটা ভীত ছিলো এজন্য জিতলাম। ম্যাচের ছবি তুলতে দিয়েছিলাম একজনকে সে তুলতে পারেনি। ম্যাচ শেষে একটা সেলফিই শুধু স্বাক্ষী।
চিরন্তন সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের এক চিরন্তন রুপ ধরা পড়লো এখানে। সড়কে পাশে দিগন্ত বিস্তৃত ধানের ক্ষেত, খাল আর নদীর উপর কিছুক্ষণ পর পর লোহার সেতু, রাস্তার ধারে শিমুল ফুলের বাহার পুরনো কড়ই গাছের সারি আর কৌতুহলি মানুষের দল। সিরাজগঞ্জের সবচে বেশী মানুষ প্রশ্ন করেছিলো এবং জানতে চেয়েছিলো। বিকেল বেলায় এক দোকানে বসে নাস্তা করছিলাম স্থানীয় এক যুবক বলেলন ‘‘সব পাগল সিরাজগঞ্জে’’ বল্লাম কেন? পথে পথে আপনাকে সব আজগুবি প্রশ্ন করবে। তখনো একজন আসলে আজগুবি প্রশ্ন করছিলো। আসলে তার কাছে আজগুবি প্রশ্ন হলেও আমার কাছে এটাই স্বাভাবিক ছিলো। সাধারণ মানুষের নানারকম জিজ্ঞাসা ও কৌতুহল থাকে তারা প্রশ্ন করতেই পারে আমিতো উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত। বরং সিরাজগঞ্জে আমার এই সফরকে নেতিবাচক ভাবে নিয়েছে এমন একজন মানুষও পাইনি।
রিয়েল টাইম ট্র্যাকার
ভ্রমনের সময় দিনরাত্রি ডট কম এর সৌজন্যে আমাকে ট্র্যাকিং সার্ভিস দেয়া হয়েছে। http://www.dinratri.com/shovon লিংক থেকে আমাকে ট্রাক করা যেত। এতে করে দেখা যেত যে আমি কোথায় অবস্থান করছি। এমনকি দূরত্ব ও সময় হিসেব করে আমার গতি নির্ণয় করাও খুব সহজ ছিলো। এক উৎসাহি ব্যক্তি সেদিন আমাকে ট্রাক করছিলো। সন্ধ্যায় উনি আমাকে ট্রাক করতে করতে একেবারে দিনাজপুর চারুবাবুর মোড়ে যে হোটেল সেখানে চলে আসেন। আরো মজার ব্যাপার হলো এই লোকটার সাথে দুইদিন পরে রংপুর ভিন্নজগতে দেখা হয়েছে আমার। তিনি সেখানে পিকনিকে গিয়েছিলেন।
কত রঙ্গ জানো রে মানু
সাঁওতাল পাড়ার চিত্র যেমন গল্পের আকা পটচিত্র। নকশিকরা মাটির ঘর, সামনে বেঁধে রাখা শুকর এক ভিন্নতর জীবনের চিহ্ন বয়ে রাখছে বটে। এখানে পরিচয় হয়েছে হাজি রাজেদুর রহমানের সাথে। একমিনিটের পরিচয় তিনি ভাই বন্ধু বানিয়ে তার সাথে দিনাজপুরে স্থায়ীভাবে থেকে গিয়ে ব্যবসায় বানিজ্য করার জন্য অনুরোধ করলেন। হায়রে মানুষের সরলতা। আহা ভালোবাসা।
পিকনিক
গাইবান্দার পলাশবাড়িতে সকালবেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা এসে জড়ো হয়ে বাসে উঠছে। বাসের সাথে ব্যানার লাগানো,লাগানো আছে মাইকও তারা শিক্ষাসফরে যাচ্ছে। একে একে এসে গাড়ীতে উঠছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং স্কুলের পিয়ন দারোয়ান। তো আমি সেখানে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে মজা করছিলাম। এক পর্যায়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা গান গাওয়ার অনুরোধ করলে নিচের গানটা শুনিয়ে দেই। আর গানের কথাগুলো এরকম
বাসি কি না বাসি বন্ধু টেরাই করো আমারে, কতো ভালোবাসি তোমারে
ওরে কাউয়া যেমন ভালোবাসে পঁচা বাসি খানারে
তেমনি আমি ভালোবাসি পরান বন্ধু তোমারে।
শকুন যেমন ভালোবাসে মরা গরুর হাড্ডিরে
তেমনি আমি ভালোবাসি পরান বন্ধু তোমারে।
বাসি কি না বাসি বন্ধু টেরাই করো আমারে , কতো ভালো বাসি তোমারে
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৮
বলেছেন: নিরাপত্তা কোনো সমস্যা নয়। মুসাফির কারো শত্রু নয়। তাছাড়া নিজে সতর্ক থাকতে হয়। আর আর্থিক বিষয়টা আছে। তবে সবচে বড়ো বিষয় হলো মনোবল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমারও অনেক দিনের ইচ্ছা পুরো দেশটা ঘুরে দেখার। কিন্তু আর্থিক সঙ্কট আর নিরাপত্তা ইস্যুতে চিন্তিত।