নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনার জাগরণ নতুন দিনের বিষ্ফোরণ। আমরা গড়ব নতুন ভূবন, নতুন আশা মনে। এই কথাটির প্রতিধ্বনী বাজুক জনে জনে।

সবার মত গল্প কবিতা দিয়েই লেখালেখির শুরু, মুলত লোক সাহিত্যের বিষয়ক লেখা লিখে আমাদের লোকসাহিত্যের জন্য করতে চেয়েছি। বেশকিছু লেখা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে সবচে বেশী প্রসার ঘটেছে ই কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো। তবে দেশ সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কিছু লিখতে চাই।

› বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিপুত্র

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

ভুমিপূত্র
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

আমরা মনে করি আমরা যে ভূমিতে জন্মাই সেটা আমাদের মা। তাই আমি ভূমিপুত্র। কেউবা তার জন্মভিটায় এই ধারণাকে সীমাবদ্ধ করেন কেউবা সারা পৃথিবীকেই জন্মভূমি মনে করেন। আমরা যেমন বলি ‘‘যেদিন এই দুনিয়াতে আসি’’। আসলে সে অর্থে আমরা ‘‘বিশ্ব নাগরিক’’। কিন্তু মানুষের তৈরী নানা নিয়মের কাছে একথা একটা কথার কথা মাত্র।

যাচ্ছিলাম পদব্রজে কক্সবাজার। পথের ধারে বান্দরবানের রাস্তা পড়ে এবং বামপাশে বান্দরবান জেলা পড়ে। নাইক্ষংছড়ি যাওয়ার রাস্তা । আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তা দেখেই লোভ হয়। মনচায় এখনি ছুটে চলি। বান্দরবান থেকে তখনি এসে থামলো চাঁদের গাড়ি। লাড়কি কাঠাল একসাথে আরো কতো কিছু নিয়ে এলো। খুব অসহায় মনে হয়। নিজেকে কারণ আমি যে চাইলে বান্দরবানে একটা ঘর তুলতে পারবোনা । বা থাকতে পারবোনা। কারণ আমি পাহাড়ী বা উপজাতি বা স্থানীয় আদিবাসী নয়।

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্কের মাঝখানে আমার অবস্থান। আমি মনে করে বাংলাদেশে বাঙ্গালীরাই আদিবাসী। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। এটা তাদের হাজার বছর ধরে চষা ভূখন্ড। যেসব উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিকে আদিবাসী বলা হচ্ছে তারা মাত্র কয়েকশ বছর আগে বিভিন্ন অঞ্ছল থেকে এখানে এসেছে সেসব জায়গায় তারা প্রাকৃতিক বা কোনো যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে টিকতে পারছিলনা বলে। তবে যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের ছোট্ট্ এলাকার ভিত্তিতে বলি তাহলে বলতে হয় তারাই আদিবাসী সেখানকার কারণ তারা সেখানে কয়েকশ বছর আগে হলেও এসেছে। বাঙালীরা সাধারণত সমতলে বসাবাস করতে চায়। তারা কঠিন পাথর ডিঙিয়ে সেখানে যায়নি।

আমি দেশের যদি জলবায়ু জনিত ক্ষতির কারণে কখনো বাংলাদেশের নিচু এলাকা সমুদ্রসীমার নিচে চলে যায়। তাহলেও আমাদের মতো বরিশাল খুলনা নোয়াখালীর লোকদের কি হবে? মালদ্বীপ সরকার ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে কলোনি কিনে রেখেছে। না আমাদের জন্য নয়, তার দেশের লোকদের জন্য। দেশ ডুবে গেলে অস্ট্রেলিয়া।

নারে ভাই। জমির জন্য উতলা নই। আমি নিজে মনে করি। ভূমির মালিক মানুষ না হওয়াই ভালো। ভূমিতো মানুষ সৃষ্টি করেনি। এই জমি হাজার বছর আগেও ছিলো পরেও হয়তো থাকবে। সূতরাং ষাট বছরের আয়ু নিয়ে মানুষ কেন এর মালিক হবে। মানুষ সেটারই মালিক হবে যেটা মানুষ হাতে বানায় বা মানুষের জন্ম মৃত্য সময়ের মধ্যে সৃস্টি কিংবা ধ্বংস হয়ে যায়।

ভুমির মালিক সরকার হবে বা সম্পদের মালিক সরকার হবে এটা সমাজতান্ত্রিক কথা। যদিও আমি তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক নই। কিন্তু আমার মনে হয়, ভুমির মালিক কেউ নয়। একটা নিয়ম ঠিক করা থাকবে রাস্ট্রের পক্ষ থেকে। মানুষ সেই নিয়মে জমিকে ব্যবহার করবে। এবং পৃথিবীর সব মানুষ নূন্যতম ভূমির মালিক হতে পারবে জীবনকালে ব্যবহার করার জন্য মাত্র। সেটা পুথিবীর যেকোনো স্থানে হোক না কেন। যাইহোক দুনিয়ার মানুষতো আর আমার মত নিয়ে চলেনা। দুনিয়ার মতবাদও আমার বানানো নয়।

কেন আজ বাংলাদেশে এত মানুষ আর অস্ট্রেলিয়ার এত খালি জমি? এই প্রশ্নের জবাব কেউ দেবেনা। কেন রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভিটা থেকে অপসারণ করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবও আজ তিরোহিত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাববার মতো ভাবনা

ভাবনার লোক কই?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.