নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঘেরদেশ

আমার মাঝে আলো আধার । তোমার মত করে খুজে নাও.। :)

মেঘেরদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার বৃষ্টি (গল্প)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫













‘এই সোনিয়া দেখ দেখ সেই ছেলেটা,আজকেও কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে’ জানালার পাশ থেকে ফারিহা ডাক দেয়।বেশ কিছুদিন ধরেই ছেলেটা কে দেখছে ওদের পেছনে ঘুরঘুর করছে।কিন্তু মজার ব্যাপার হল কার পেছনে ঘুরছে সেটা বের করতে পারছে না ওরা চার বান্ধবী।কারন ওরা চার জনই এক সাথে কলেজে আসে আবার এক সাথেই বের হয়ে যায়,ঘুরতে গেলেও একসাথে।তাই ছেলেটা ওদের কে যখনই দেখে এক সাথে। কাকে পছন্দ করে সেটা একে অন্যের উপরে চাপিয়ে দিলেও মনে সূক্ষ আশা ছেলেটা যেন তার পেছনে ঘুরে।ফারিহার ডাক শুনে সোনিয়া,তন্বী দৌড়ে আসে।মীম যেখানে ছিল সেখানেই বসেই থাকে।দেখছে ছেলেটাকে,বুঝলি সোনিয়া ছেলেটার মোটেও ড্রেস সেন্স ভাল না,দেখছিস কি পড়ে আছে,ক্ষেত কোথাকার,তন্বী বলে উঠে।আরে ধুর এই ছেলের আবার ড্রেস সেন্স।কি যে বলিস,সায় দেয় সোনিয়া।এই মীম তুই বসে বসে কি করছিস,বিদ্যাসাগরের ছোট বোন হতে চাস? এদিকে আয় ছেলেটা কে দেখ,মনে হয় তার আর কাপড় নেই,বলে হিহি করে হেসে উঠে ফারিয়া।বিরক্ত হয় মীম।ফারিহা দেখতে অনেক সুন্দর,সম্ভবত কলেজের সেরা সুন্দরী।প্রায়ই দেখা যায় কিছু ছেলে পেলে ওর পেছুনে ঘুরছে।তাতে অবশ্য ফারিয়া বেশ মজাই পায়।অনিচ্ছাসত্ত্বেও জানালার পাশে গিয়ে দাড়ায়।ছেলেটা ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে।দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না তারপরও মীম এর কাছে ছেলেটাকে অনেক কিউট লাগল।মীম ফারিহার মত আহামরি সুন্দর না হলেও আট দশটা মেয়ের সাথে দাড়ালে ওকে আলাদাই লাগবে।



ক্লাস শেষ করে ওরা যখন কলেজ থেকে বের হচ্ছে তখনও ছেলেটি সেই একি জায়গায় দাড়িয়ে।চল ওকে গিয়ে ধমক দেই,প্রস্তাব দেয় সোনিয়া।তন্বী,ফারিহা তো এক পায়ে খাড়া,বাধা দেয় মীম।আরে বাদ দে।বাসায় কাজ আছে,চল চলে যাই।এই দাড়া,তুই এত ভীতু কেন রে মীম?ছেলেটাকে ভড়কে দিব, অনেক মজা হবে ।তন্বী বলে উঠে।কি আর করা ইচ্ছে না থাকলেও মীমকে যেতে হয়।



এই আপনি আমাদের পিছু নেন কেন? কলেজের সামনেও প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকেন,আপনার সমস্যাটা কি? আপনি জানেন ইভটিজার বলে আপনাকে পুলিশে দিতে পারি? সোনিয়া বেশ রাগী রাগী ভাব নিয়ে বলল,আশা করল ছেলেটা ভয় পাবে।



কিন্তু ছেলেটা ভয় তো পেলই না বরং ওদের অবাক করে দিয়ে হাসল।বলল না আপনারা পারেন না,কারন আমি তো ইভটিজিং করিনি বরং আপনারা এখানে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।জানেন আপনাদের বিরুদ্ধে ১৫৭ ধারার কেস করতে পারি? নিরহ একটা ছেলেকে হুমকি দেবার অজুহাতে।থতমত খেয়ে যায় সোনিয়া।চুপ করে থাকে।



প্রথম দেখাতেই ভালবাসা বিশ্বাস করেন? ফারিহার দিকে তাকিয়ে বলল।উত্তরের আশায় না থেকে নিজেই জবাব দিল আমিও করতাম না,কিন্তু এখন করতে বাধ্য হচ্ছি,তাকে দেখার পর থেকে লাইফ টা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে,অন্যরকম অনুভূতিতে ছেয়ে আছে মন,চিন্তা ভাবনা যেন তাকে কেন্দ্র করে বৃত্ত হয়ে চারপাশে ঘুরছে।রাতগুলো নির্ঘুম,স্বপ্নগুলো কেমন জানি এলমেলো।মনে হচ্ছে তার জন্য সব কিছু করা যায়,হা সব কিছু।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি,সে আসবে বলে,আমায় বলবে,এই অনেক হয়েছে এখন হাতটা ধর,দেখতো টিপটা ঠিকমত হয়েছে কিনা? বলতে বলতে ছেলেটার চোখ দুটো স্বপ্নিল হয়ে উঠে।দেখতে ভালই লাগে ওদের।



আপনি কাকে পছন্দ করেন? সোনিয়ার প্রশ্নে থামে ছেলেটা।যদিও ওরা ভেবে নিয়েছে কে হতে পারে।



সরি তার নাম বলা যাবে না,আমি চাচ্ছি সে যাতে নিজেই সেটা বোঝতে পারে কাকে আমি ভালবেসেছি। অনেকের মাঝে থেকেও আমার অনুভূতি গুলো যেন সে ধরতে পারে।ততদিন পর্যন্ত আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকব তার পথ চেয়ে।আচ্ছা আমি আপনাদের দেরী করিয়ে দিচ্ছি,সরি ।যদিও আমার খুব ভাল লাগছে।বাই দা ওয়ে আমি বৃত্ত।



এই চল যেতে হবে বকবক শুনলে হবে না।ফারিহা ওদের টেনে নিয়ে আসে।ফারিহা দেখছিস ও কত্ত রোমান্টিক? রাস্তার পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে তন্বী বলে।ইস আমাদের তন্বী সেই খেত ছেলের প্রেমে পরে গেল,হায় প্রেম! কিছুক্ষন আগেও যার ড্রেস সেন্স নিয়া প্রশ্ন ছিল,এখন কিনা তার প্রেমেই পরে গেল।পাশ থেকে সোনিয়া বলে উঠে।এবার তন্বী খেপে যায়।বলে আমি না হয় ড্রেস সেন্স নিয়া বলছি,আর তুই সাহসী সিংহী,ছেলেটার সামনে গিয়ে এমন বিলাই হইলি কিভাবে?? হুম?বল বল?

আরে আমি কি জানতাম নাকি ও কিসব ধারা টারার কথা বলে আমাকে ভড়কে দিবে,বলে সোনিয়া,তাকিয়ে দেখে মীম হাসছে।কিরে এতক্ষন তো চুপ ছিলি এখন তোর কি হল?এত হাসির কি আছে।

এত সাহসী একজন কে ভয়ে সিধিয়ে যেতে দেখে ীব না,তোকে ছেলেটা বোকা বানাল বলে হাসছি।১৫৭ ধারা হইল পার্কিং ছাড়া রাস্তার পাশে গাড়ি রাখার কেস।মীম হেসে জবাব দেয়।



তুই জানলি কিভাবে? এবার তন্বী প্রশ্ন করে।আরে ওই দিন আমাদের গাড়ি এই কেস খায়,ট্রাফিক পুলিশ কে বলতে শুনছি।

তুই তখন বললি না কেন?ফাজিল কোথাকার।সোনিয়া রেগে যায়।হিহি আমি যদি বলে দিতাম তাহলে কি তোর ওই সাহসী রূপ দেখতে পারতাম?? হাহাহা ,হাসতে থাকে মীম।



এই তোরা থামতো।কি সব শুরু করছিস।ফালতু একটা ছেলেকে নিয়া হাসাহাসি।ফারিহা কৃত্রিম রাগ দেখায়।ওর কথা শুনে বাকিরা ফিক করে হেসে দেয়।তন্বী বলে,আসলেই কত ফালতু ছেলে নইলে কি আর ধবল রোগির প্রেম এ পরে?আমরা কি ছিলাম না হে হে।আসলেই,রোগির জন্য বেচারার ঘুম নষ্ট,দিন রাত খালি পাউডার আপার স্বপ্ন,সোনিয়া যোগ করে।এই খবরদার ফাজলামি করবি না।ফালতু কথা শুনতে একদমই ভাল লাগে না।হয় তোরা চুপ কর নইলে আমি গেলাম।ফারিহা এবার সত্যই রেগে যায়।আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আর তোকে খেপাব না,তবে এটা ঠিক তোর কপাল ভাল।এত কিউট,রোমান্টিক একটা ছেলে তোকে পছন্দ করে,এত দিন ধরে তোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে,কল্পনা করা যায়,তাও আবার এই যুগে,যেখানে ২ মিনিটে প্রেম আর ৪ মিনিটে ব্রেক-আপ।তুই স্পেসাল রে দোস্ত।আসলেই স্পেসাল।আমার জন্য দাড়ালে তো এক পায়ে রাজি হতাম,বলে মীম।অফ যা তো তোরা বললেও শুনতে ভালই লাগছিল ফারিহার।



পরদিন কলেজ ছুটির পর আবার বৃত্তের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় ওরা।ফারিহাই শুরু করে,ভাব নিয়ে বলে দেখুন আপনার মত ছেলে অনেক দেখেছি,সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার পেছনে ঘুর ঘুর করেন,তার প্রেমে পরে যান,তার জন্য হেন করবেন তেন করবেন।যতসব সস্তা মেন্টালিটি।শুনুন প্লিজ আমাদের আর ডিস্টার্ব করবেন না।নাহলে আমরা স্যারদের জানাতে বাধ্য হব।

‘আপনার কেন মনে হল যে আমি সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার প্রেম এ পরে যাই,আর এমন যদি হত তাহলে তো আমি সবার আগে আপনার প্রেম এ পরতাম।কিন্তু আমি তো আপনাকে পছন্দ করি না।আমি ভালবাসি মীম কে।মীম আমি জানি না তোমার জবাব কি হবে,তবে যাই হোক আমি আর পারছি না।এভাবে দিনের পর দিন তোমার অপেক্ষায় থেকে আমি ক্লান্ত।আমি আগামি কাল ঠিক এসময় তোমার জবাবের অপেক্ষায় থাকব,বলে হাটা শুরু করে বৃত্ত।হতভম্ব মীম তার দিকে তাকিয়ে থাকে।কান দিয়ে যেন ধোঁয়া বের হচ্ছে।ও স্বপ্নেও ভাবেনি ফারিহাকে বাদ দিয়ে বৃত্ত ওকে প্রপোজ করবে ।





একটা ছেলে ওকে এত ভালবাসে,এত দিন ধরে ওর জন্য অপেক্ষা করছে ভাবতেই কেমন জানি লাগে।বুকের বাম পাশে কেমন জানি অচেনা অনুভূতি।এ অনুভূতির সাথে সে কখনোই পরিচিত না।কিশোরী একটা মেয়ের জন্য এই অনুভূতির মুল্য অনেক।রাতের আকাশ দেখতে ভাল লাগছে,গুন গুন করে গান গাইতে ইচ্ছে করছে।মন ভরে আছে অচেনা এক ভাল লাগায়।কখন সকাল হবে কখন কলেজে যাবে এই চিন্তায় ঘুম আসছে না ওর ,নিষ্ঠুর রাত যেন ফোরাতেই চাচ্ছে না।সোনিয়া কল দিয়েছিল,জানতে চেয়েছিল ওর জবাব কি হবে,মীম সত্য কথায় বলে দিয়েছে।এতক্ষনে নিশ্চই সব বান্ধবীরা জেনে গেছে ব্যাপার টা,সোনিয়াটা যা ফাজিল।আপন মনে হাসে মীম।





ফিজিক্স ক্লাস শেষ হতেই ফারিহার ডাক,তুই নাকি হা বলবি?ছেলেটার ব্যাপারে জানিস কিছু ? নাকি এমনি তেই প্রেম এ পরে গেলি।তুই কি আজীবন গাধীই থাকবি?

কেন কি হয়েছে?ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে মীম।

আরে বলিস না ওই ছেলে দুনিয়ার বদ,ওর কাজ ই হচ্ছে সহজ সরল মেয়েদের মিস্টি কথা বলে পটানো,কত মেয়ের যে সর্বনাশ করছে।আর তুই কিনা ওর প্রেমে পরে গেছিস।কয়েক দিন আগে দেখিস নি এক RJ কে লাইভ প্রোগ্রামে একটা মেয়ে জিজ্ঞেস করল আর কয়টা মেয়ের সর্বনাশ করবা তুমি? এরা হচ্ছে মুখোশধারী শয়তান।এদের মিস্টি কথায় বিশ্বাস করতে নেই।



ফারিহার কথায় যেন পায়ের নিচে মাটি সরে গেল মীমের।এও সম্ভব?ছেলেটা কে তো এমন মনে হয়নি।মনটাই খারাপ হয়ে গেল ওর।অনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করল,তুই সিউর তো?



আমি কি তোর সাথে মিথ্যে বলব? তুই বি সেকশনের ইলা কে চিনিস না?ওকেও প্রপোজ করেছে।দাড়া ইলা কে ডেকে আনি।বলে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেল ফারিহা।



ভীষণ কান্না পাচ্ছে মীমের।ঠোট কামড়ে কান্না চাপার চেস্টা।কেন এমন হল? সাজানো স্বপ্নগুলো তাই বলে এভাবে ভেঙ্গে যাবে? ভালবাসা ছিল না জীবনে ভালই তো ছিল সে,কেন ভালবাস তে গেল? কেন একটা মানুষের নিষ্ঠুর খেলায় সে কষ্ট পাবে।অভিমান গুলো একসময় প্রচন্ড ক্ষোভ এ পরিনত হয়।ইলা এসে কি বলল তার কিছুই মাথায় ঢুকেনি।বেশ কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে হয়ত ভাল হত।



কলেজ ছুটির পর বের হবে হঠাৎ ঝুপ বৃস্টি।কি আর করা যাদের কাছে ছাতা নেই সবাই গেট এর পাশের ছাউনি তে আশ্রয় নিল।এই মীম দেখ বদমাশটা ছাতা হাতে এদিকে আসছে,ফাজিল কোথাকার,একটা শিক্ষা দিতে পারলে ভাল হত।মীম পারবি ব্যাটাকে একটা চরম শিক্ষা দিতে? ফারিহা উৎসাহের সাথে বলল।এই না না বাদ দে তো এসব,আমার ভাল লাগছে না,প্রতিবাদ করল সোনিয়া।এই হাঁদারামটাকে আজকে না তোর জবাব দেয়ার কথা? যা জবাব দিয়ে আয়।দেখিস আবার রাজি হয়ে না যাস।কত্ত কিউট ছেলে রে,খোচা মারে ফারিহা।ফারিহার কথা শুনে মাথায় আগুন ধরে যায় মীমের,বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে ওর দিকে এগিয়ে যায়।দূর থেকে দেখে ফারিহা,ছেলেটা ছাতা হাতে দৌড়ে আসে,মীম এর উপর ছাতা ধরে,তখনি এক ঝটকায় ছাতা টা ফেলে দেয় মীম।মীম উত্তেজিত ভাবে কি যেন বলে বৃত্তকে, বৃত্ত ও কিছু বলে জবাব দেয়।ফারিহা সোনিয়া স্তব্দ হয়ে যায় যখন দেখল মীম ছেলেটা কে চর মেরেছে।ছেলেটার দৃষ্টিই বলে দিচ্ছিল সে কতটা অবাক হয়েছে।



জ্বর নিয়ে বাসায় ফিরল মীম।বিছানায় পরে সারাদিন ই কাদল।কিছুতেই ব্যাপারটা ভুলতে পারছে না।জ্বরের কারনে কয়েকটা দিন কলেজে যাওয়া হয়নি।এ কয় দিনে মীম কেমন জানি হয়ে গেছে,শুকিয়ে একদম কাঠ।দল বেধে ওকে দেখতে আসল সোনিয়া,ফারিহা,তন্নি।ওর অবস্থা দেখে ফারিহার কান্না পেয়ে গেল।হিংসার বশীভূত হয়ে বান্ধবীর এর বড় ক্ষতি করে ফেলবে বুঝতেই পারেনি।ও তো বুঝতে পারেনি যে মীম ছেলেটা কে এত ভালবেসে ফেলবে।মীম কে সব খুলে বলল।ওরা ভাবতেও পারেনি ফারিহা এমন করতে পারে,বৃত্তের ব্যাপারে যা বলেছিল সব মিথ্যে।ফারিহা কে বাদ দিয়ে মীম কে প্রপোজ করায় সে জেলাস ফিল করে বলে এমন করেছে।ইলাকেও সে শিখিয়ে দিয়েছিল।ফারিহার কান্না দেখে মীম ওকে মাফ করে দেয়।যা হবার তো হয়েছেই।ফারিহা কথা দেয় সবাই মিলে ওরা বৃত্তকে খুজে বের করবে।শুধু নামটাই ওরা জানে, বৃত্ত কোথায় থাকে,কোন উনিতে পড়ে কিচ্ছু জানে না।তাই ফেসবুক ই এক মাত্র ভরশা।হাজার হাজার বৃত্ত,কিন্তু সেই বৃত্ত কে তো আর পাওয়া যায় না,সবার আবার প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি নেই।এভাবে সময় চলে যায় ওরাও এক সময় ক্ষান্ত দেয়।শুধু ভুলতে পারে না মীম।প্রথম ভালবাসা কি এত সহজে ভোলা যায়।হোক না সেটা একদিনের ভালবাসা।



প্রায় দুমাস পর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে চার বান্ধবী শপিং করে বের হবে এমন সময় তন্বী বলে এই দেখ তো ছেলেটা বৃত্ত না? আরে তাই তো, মীম দেখ, ফারিহা বলে।ভয়ে ভয়ে তাকায় মীম,যদি আশা ভেঙ্গে যায়।আসলেই তো ছেলেটা বৃত্তর মত দেখতে,তবে ভীষন রোগা,গায়ের রঙ টাও কেমন, বৃত্ত আরো ফর্সা।পাশের মেয়েটা কে আবার? সোনিয়া জিজ্ঞেস করল।



মীম অবশ্য এত কিছুর ধারে গেল না,সোজা সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,এত দিন কথায় ছিলে তুমি?জান ক্লাসের জানালার পাশে দাড়িয়ে কত অপেক্ষা করেছি তুমি আসবে বলে?এলে না কেন আমার রাগ ভাঙ্গাতে,জানি ভুল টা আমারি,কিন্তু ক্ষমা চাইবার সুযোগ তো দিবা।অস্রু টলমল চোখে মীম বলে।পাশের মেয়েটে হা করে তাকিয়ে থাকে।

আপনি আমাকে কিছু বলছেন?কই আমি তো আপনাকে চিনি না,ছেলেটা বলল।বৃত্ত কেন আমাকে আরও কষ্ট দিচ্ছ? আমার উপর তুমি এখনো রেগে আছ?গত দুটা মাস আমি কিভাবে যে কাটিয়েছি তা যদি বোঝাতে পারতাম।কান্নাভেজা কন্ঠে মীম বলে।



ও আপনি বৃত্তের পরিচিত? খুব অবাক হয় ছেলেটা ।ও আমার জমজ ভাই।দুমাস আগে একটা সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়,আস্তে আস্তে বলে ছেলেটা।







শুনে আর স্থির থাকতে পারে না মীম,মাথা ঘুরে আসে ওর।আকাশ যেন ভেঙ্গে পরছে ।মেঝেতে পরার আগেই ছেলেটা ধরে ফেলে ওকে,কানে কানে হেসে বলে এত ভালবাস আমাকে? আমি তো এতক্ষন মজা করলাম,ওইদিনের পর অবশ্য ভাবি নাই তুমি আমাকে ভালবাসতে পার,বলে বুকে জড়িয়ে ধরে বৃত্ত।সেই দিনের মত করে আজ ও বৃষ্টি নামে,হাত ধরে দুজন নেমে যায় বৃষ্টি ভিজবে বলে।পাশ থেকে সেই মেয়েটা বলে উঠে,ভাইয়া নিউমোনিয়া বাধিয়ে দুমাস বিছানায় ছিলা আবার থাকতে চাও।এই শব্দ গুলো কানে যায়না,ওরা বৃষ্টি ভেজায় মগ্ন।এ বৃষ্টি ভালবাসার বৃষ্টি,যা মুছে দেয় সব দুঃখ কষ্ট।চলুন না ওদের সাথে ভালবাসার বৃষ্টি তে ভিজি। :)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

ফায়ারউলফ বলেছেন: সুপরিকল্পিতভাবে জাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে পশুসম্পদের অবদানকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য দুগ্ধ খামারের উন্নতিকল্পে একটি সুষ্ঠু প্রজনন নীতি অনুসরণের মাধ্যমে দেশি গাভী থেকে সংকর জাতের বাছুর উত্পাদন সর্বোত্তম। সাধারণত দু’ ধরনের পদ্ধতিতে সংকর জাতের বাছুর পালন করা যায়। ১) গাভীর সঙ্গে বাছুর পালন এবং ২) গাভী থেকে পৃথক রেখে বাছুর পালন।

গাভী থেকে পৃথক রেখে বাছুর পালন পদ্ধতিতে জন্মের প্রথম ৪ দিন বাছুরকে তার মায়ের শাল দুধ খাওয়ানোর পর মা হতে পৃথক করে রাখতে হয়। অবশ্য অনেক খামারে শাল দুধ থাকা পর্যন্ত বাছুরকে গাভীর সাথে রাখা হয়। পরে পৃথকভাবে দুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য যত্ন ও পরিচর্যা করা হয়। এ পদ্ধতিকে উয়িনিং পদ্ধতি বলে। খামারের পালিত বাছুরকে এ পদ্ধতিতে পালন করা হয়। এ পদ্ধতির সুবিধা হল বাছুরকে তার চাহিদামত দুধ খাওয়ানো যায়। প্রয়োজনে অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অপরদিকে গাভীকে বাছুরের সঙ্গে রাখলে বাছুর দিনে কতটুকু দুধ খায় তা সঠিকভাবে জানা যায় না। এ পদ্ধতিতে বাছুরের অন্ত্রের অনেক রোগ যেমন- ডায়রিয়া, কলিবেসিলসিস ইত্যাদি দমন করা যায়। উয়িনিং পদ্ধতিতে গাভীর প্রকৃত দুধ উত্পাদন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বাছুর ছাড়াই দুধ দোহনের ফলে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন দুধ পাওয়া যায়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৬

মেঘেরদেশ বলেছেন: এখানে কি করেন ভাই? মাঠে যান । :) :)

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: হা হা, চমৎকার একটা পরিপূর্ন গল্প লেখছো ভাইয়া। অনেক ানেক সুন্দর হইছে। কেমন আছো?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মেঘেরদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,আমি তো ভালই,আপনার কি অবস্থা?

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমি ভাবছিলাম বৃত্ত সত্যিই মারা গিয়েছিল। হা হা, আচ্ছা শেষের দিকে দেখলাম রাজীব, এটা কি ভুল করে এসেছে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মেঘেরদেশ বলেছেন: প্রথমে নাম রাজিব দিসিলাম,পরে বৃত্ত তাই আগের নাম টা রয়ে গেছে,এডিট করে নিচ্ছি,ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

দুঃখ বিলাসি বলেছেন: ভাল লাগলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১০

মেঘেরদেশ বলেছেন: হি হি,সব দোষ রিয়েল ডেমোন ভাইয়ার,উনার লেখা পরে কিছু লেখার সাহস পাই :)

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

আমি তানভীর বলেছেন: রাজীব আর বৃত্তের ব্যাপারটা বুঝলাম না, গল্প ভাল লাগছে :)

১ নং কমেন্টে ঝাঝা =p~ কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি /:)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৮

মেঘেরদেশ বলেছেন: প্রথমে নাম রাজিব দিসিলাম,পরে বৃত্ত তাই আগের নাম টা রয়ে গেছে,এডিট করে নিচ্ছি । ধন্যবাদ ভাইয়া

আমি নিজেও বুঝলাম না,উনি মনে করছেন এটা গো চারন ভুমি :P

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১

শিশিরের শব্দ বলেছেন: ভাল লাগল

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১১

মেঘেরদেশ বলেছেন: ভাল লাগা দেয়ার জন্য আপ্নাকেও ধন্যবাদ :)

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:২৭

হুমাযুন কবির সবুজ বলেছেন: Hammm. Valo hoyca. Good B-))

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৩

মেঘেরদেশ বলেছেন: thanku :)

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯

সকাল রয় বলেছেন:

আপনার লেখাটা অন্যরকম ভালো লাগা দিল

২৩ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০১

মেঘেরদেশ বলেছেন: হাহা :) আমি আপনার লেখার বিশাল ভক্ত,আপ্নাদের লেখা পড়ে কিছু লেখার আগ্রহ পাই :) ধন্যবাদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.