নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিশ্রান্ত

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আাসে কই মুখে

নেজাদ

অন্যরকম

নেজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরে গেলাম নাকি আমাকে হারিয়ে দেয়া হল?

২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। কিন্তু এই শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ বাতাস। আর এই বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সচেতন হতে হবে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থের যথাযথ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে। তবে বাস্তবতা হল, সর্বত্রই আজ আমরা এগুলোর অব্যবস্থাপনায় বেশী সচেতন। আমাদের জীবনকে নিরাপদ, সুন্দর করতে আজ আমরা কত কিনা করছি, প্রয়োজনে ভবিষ্যতে হুমকি হতে পারে বলে মনে হয় এমন দেশকে আক্রমণ করছি। জীবনের জন্য এতকিছু করছি কিন্তু জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে যে নির্মল বায়ুর কোন বিকল্প নেই সে বিষয়ে আমাদের কোন ভাবনা নেই বা যথাযথ পদক্ষেপ নেই।

অমি জা.বি.’র মীর মশাররফ হলের বাসিন্দ। মাঝে মাঝে যখন ঢাকাতে আসি তখন একটা উৎসব খুব চোখে পড়ার মত, সেটা হল রাস্তার দু’ধারে ময়লা ফেলার মহোৎসব। কিন্তু এই সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষ তার উপর অর্পিত কাজের বদলে ঠিক কি ধরণের উৎসব করেন তা আমার এই ভাবুক মনকে কৌতূহলী করে তোলে ক্ষণে ক্ষণে। মাঝে ভাবলাম যাই পৌরসভাতে গিয়ে বিষয়টা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু কথায় আছে না নিজে ভালো হয়ে পরে অন্যকে উপদেশ দিতে হয়, তাই যখন দেখলাম প্রতিদিন হলের গেটের সামনে আমার রুমের কাছেই ময়লা ফেলা হয় তখন হল থেকেই এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যেগ নিলাম।প্রথমে সাধারণ কর্মচারিদের সাথে কথাবললাম কিন্তু তারা বলল, হল অফিস থেকে যেহেতু কোন ডাস্টবিন সরবরাহ করা হয় না সেহেতু আমাদের এখানে ময়লা ফেলা ছাড়া আর উপায় কি? বেশ বলেছেন তারা, অতএব অফিসে যোগাযোগ করলাম। তাদেরকে বুঝাতে চাইলাম যে এখানে পলিথিন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সমস্ত ময়লা ফেলা হয় তা এখানকার পরিবেশকে বিনষ্ট করবে। তাছাড়া যখন এগুলোকে আগুনে পোড়ানো হয় তখন এর থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া আশেপাশের বাতাসকে দূষিত করে। আর এর ফলে হতে পারে লাং ক্যান্সার, এ্যাজমা ইত্যাদির মত মারাত্নক সব রোগ। অতএব ছাত্রদের স্বার্থ বিবেচনা করে আপনাদের উচিৎ বর্জ ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা।হল অফিস হতে জানানো হল, পরে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু পরের কথা পরেই রয়ে গেল, কারণ আজও আমি যদি অফিসে যায় সেক্ষেত্রে আমাকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা তো সেই পরে জানানো হবে। অতএব বিষয়টি নিয়ে প্রায় তিন মাস কেটে গেল কিন্তু সেই ‘পরে’ এটি কোন দিন বর্তমানে দেখা দিল না। অবশেষে সাধারণ কর্মচারীদের উপর চাপ দিতে লাগলাম ময়লা না ফেলার বিষয়ে আর বললাম অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে যে আমরা কোথায় ময়লা ফেলব।এর মাঝে সরাসরি হলের প্রভোস্টের সাথে এবিষয়ে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, আমি পরিবেশ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন যেহেতু আমি জীববিঞ্জানের একজন শিক্ষক আর এবিষয় নিয়ে বিভিন্ন কাজও করে থাকি ।অতএব এ বিষয়ে তোমার আর উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।আর এভাবেই কেটে গেল কিছুদিন কিন্তু কোন পরিবর্তন দেখা গেল না। হঠাৎ একদিন শুনি স্যার আমাকে স্মরণ করেছেন, কিন্তু কেন? ভাবলাম সমাধানের বিষয়ে সরাসরি আমাকে জানানো হবে কারণ স্যারের মত আমিও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন।

কিন্তু না, যা ভেবেছিলাম সেটা নয়, ঘটল তার সম্পূর্ণ উল্টো। আমাকে বলা হল, আমি যেন কর্মচারীদের সাথে আর কোন তর্কে লিপ্ত না হই, কারণ আমি বিশ্ববিদ্যালযের একজন ছাত্র ফলে এরূপ আচরণ তিনি আশা করেন না। এরপর জানতে চাইলাম ময়লা ফেলার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তিনি বললেন- সিদ্ধান্ত হল, ময়লা আগে যেখানে ফেলা হত সেখানেই ফেলা হবে এবং তুমি কর্মচারিীদেরকে কিছু বলতে পারবে না, যা বলার অফিসে বলবে।

আজ আমি সত্যি খুব কষ্ট পেয়েছি ঠিক ততখানি যদি এবিষয়ে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেওয়া হত আর সে ক্ষেত্রে আমি যতখানি খুশি হতাম। ভারাক্রান্ত এই মনে এখন একটাই জিঙ্গাসা---- আমি কি হেরে গেলাম নাকি আমাকে হারিয়ে দেয়া হল?

মেহেদী হাছান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ফার্মেসী বিভাগ



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.