নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেহেদীহাসান-

"সত্যমে-ব-জয়তে"

মেহেদীহাসান- › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কওমী ও দেওবন্দই হল প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার মাধ্যম ।"

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দায়রায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর মান দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই ।
এটি কখনই আপোষের রাজনীতি নয়, বরং দীর্ঘদিনের চরম বঞ্চনার শিকারদের প্রতি ছায়া প্রদানের সিদ্ধান্ত মাত্র ।
কওমী মাদ্রাসাই হল প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার ক্ষেত্র । আলীয়া মাদ্রাসাতে আর কয়টা হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়, কওমী মাদ্রাসাতেই কোরান ও হাদিসের প্রকৃত রূপে শিক্ষা প্রদান করা হয় । আলীয়া কোন মাদ্রাসাই নয়, বরং এটি জেনারেলের সাথে সামান্য ইসলাম শিক্ষা মাত্র । কওমীদের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ, প্রকৃত ইতিহাস না জানলে মনে হতে পারে সরকার মৌলবাদিদের সাথে আপোষ করছে ।
বৃটিশ বিরোধী যে আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে সিপাহী বিদ্রোহ নামের তূমুল আন্দোলনের মূলে ছিল এই কওমি হুজুরগণ । যারা এই উপমহাদেশকে স্বদেশীদের দ্বারা শাসন ও স্বাধীনতার জন্য হিন্দু মুসলীমদের একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছিল । সেই সিপাহী বিদ্রোহ হল আসলে দেওবন্দী বিদ্রোহ, যা জওহর লাল নেহরুর ডিসকোভেরি অব ইন্ডিয়া বইতে বিস্তারিত লিখা আছে ।
বিভিন্ন ইতিহাস সাক্ষী, কওমীদের বা দেওবন্দী আন্দোলন রূখতে ব্যাপক দম নিপিড়ন চালানো হয় বৃটিশদের পক্ষ থেকে । সে সময় একদিকে দেওবন্দী আলেম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বড় বড় আলেমদের উপর অত্যাচার করা হল, অপরদিকে সাধারণ মানুষের চোখে ইসলাম বিদ্বেশী নয় সরকার এমন প্রমাণ করতে 'জামায়াতে ইসলামী' বা মওদুদীবাদ সৃষ্টি করে তাদের পৃষ্টপোষকতা দেয়া হচ্ছিল বৃটিশদের সহায়তায় ।
সে সময়ে মওদুদীবাদীদের ভীত শক্ত করে দিতেই দেওবন্দী মাদ্রাসাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হল আর ভারতের বিভিন্ন এলাকাতে আলীয়া মাদ্রাসা যা সরকার নিয়ন্ত্রিত তা প্রতিষ্ঠা করা হল । সেই থেকে সরকার নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাতে মওদুদীবাদ চরম ভাবে বিস্তার লাভ করতে থাকল ।
দেওবন্দিরা এক সময় আদালতে আলীয়া মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, যে আলীয়া প্রকৃত শিক্ষা নয় বরং দেওবন্দই হল প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার মাধ্যম কিন্তু বৃটিশ নিয়ন্ত্রীত আদালত দেওবন্দের মামলা খারিজ করে দিয়ে আলিয়ার পক্ষেই রায় দিল । সেই একটি রায়েই জামায়াত ইসলাম ও মওদুদীবাদ দেশের ধর্মের মাথায় চড়ে বসেছে । আজও দেশে আলিয়া মাদ্রাসাগুলই হল জামায়াত শিবির তৈরির কারখানা ।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত আলীয়া মাদ্রাসা থেকে মওদুদীবাদ চিন্তা চেতনা ও জামায়াতি করণ উঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি ।
এতদিনে হয়তো জননেত্রীর সু নজরে এসেছে দেওবন্দীদের শাখা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য । নেত্রীর নজর সর্ব দিকেই ।
আজ যারা ভাবছেন মৌলবাদীতা বৃদ্ধি পাবে, প্রশাসনের শাখায় শাখায় ধর্মপ্রাণের আবির্ভাব ঘটে যাবে তাদের বলতে চাই । যারা বৃটিশ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের আকিদাহগত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বঞ্চিত করার অধিকার কে দিয়েছে আমাদের ?
তারাও দেশের জাতির সেবা করার সুযোগ পাবে এটাই সবার কামনা হওয়া উচিত । তারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবে অথচ কোন অধিকার পাবেনা এজন্য ত দেশ স্বাধীন হয়নি ।
কেউ কেউ বলেন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সেকেলে ! হতে পারে, কারণ তারা ত ইহকালের জন্য শিক্ষা নেয় না, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই হল ১৫ শত বছরের ঐতিহ্যগত হাদিস কোরানের ভিত্তিতে, তারা যে সনাতনী পদ্ধতিতে টিকে আছে এটাই প্রমাণ করে তারা রূপ পাল্টিয়ে চলেনা ।
উপমহাদেশে যারাই দেওবন্দী বা কওমী শাখাতে লেখাপড়া করেছে অথবা দীনি তাবলীগ গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যেই আদর্শবান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে ।
উদাহরণ স্বরূপ, দেখবেন বহু এসপি ডিসি, ম্যজিস্ট্রেট , ডাক্তার আছেন যারা দাওয়াতে তাবলীগে সময় দেন, তারা দেওবন্দী পন্থী । এরা সবাই সৎ, এরা কেউ দূর্ণীতি করেনা । এই তাবলীগ পন্থী উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের দ্বারা প্রশাসন সহ বহু ক্ষেত্রে দেশ সেবা করানোর প্রয়োজন, তাহলেই দেশে দূর্ণীতি রোধ সম্ভব হবে ।
আসুন আমরা সবাই জননেত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"উদাহরণ স্বরূপ, দেখবেন বহু এসপি ডিসি, ম্যজিস্ট্রেট , ডাক্তার আছেন যারা দাওয়াতে তাবলীগে সময় দেন, তারা দেওবন্দী পন্থী । এরা সবাই সৎ, এরা কেউ দূর্ণীতি করেনা । এই তাবলীগ পন্থী উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের দ্বারা প্রশাসন সহ বহু ক্ষেত্রে দেশ সেবা করানোর প্রয়োজন, তাহলেই দেশে দূর্ণীতি রোধ সম্ভব হবে ।"

-এরা মানুষ ভালো, তবে দক্ষতার দিক থেকে তাম্রযুগের মানুষ। এদের মত লোকই আফগানিস্তান, সুদান, ইয়েমেন চালিয়ে এসেছেন।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: সেই একটি রায়েই জামায়াত ইসলাম ও মওদুদীবাদ দেশের ধর্মের মাথায় চড়ে বসেছে । আজও দেশে আলিয়া মাদ্রাসাগুলই হল জামায়াত শিবির তৈরির কারখানা । - একমত । আলিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে এক পরিচিত শিক্ষক যিনি কওমি থেকে লেখাপড়া করেছেন এবং আলিয়া থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি ধারী বলেছিলেন, ' আলিয়াগুলো না হয় গাধা, না হয় গরু।' সরকারকে ধন্যবাদ কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য আর আপনাকেও এ বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য ।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



মেহেদীহাসান বলেছেন- #কওমী মাদ্রাসাই হল প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার ক্ষেত্র । আলীয়া মাদ্রাসাতে আর কয়টা হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়, কওমী মাদ্রাসাতেই কোরান ও হাদিসের প্রকৃত রূপে শিক্ষা প্রদান করা হয় । আলীয়া কোন মাদ্রাসাই নয়, বরং এটি জেনারেলের সাথে সামান্য ইসলাম শিক্ষা মাত্র ।#

- একটু যোগ করি:

মেহেদীহাসান,
প্রথমেই সামুতে একজন পুরনো ব্লগার হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন এবং সালাম। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।

আপনি খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন, বলে ধন্যবাদ।

আপনার পুরো পোস্ট বিশ্লেষন করা সময় সাপেক্ষ। শুধু কয়েকটি কথা নিয়ে একটু ক্লিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে বলছি-

অাপনি বলেছেন- কওমী মাদ্রাসাই হল প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার ক্ষেত্র ।

জানতে চাই, কওমী মাদ্রাসা যখন ছিল না, মানে- ১৮৬৬ সালে মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি রহ. মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গোহি রহ. ও হাজি সাইদ আবিদ হুসাইন রহ. প্রমুখ বিশিষ্ট ভারতীয় ইসলামিক ব্যক্তিত্বগন কর্তৃক ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে কওমি মাদ্রাসা স্থাপনের পূর্বে পৃথিবীতে কি আদৌ প্রকৃত ইসলাম শিক্ষার ক্ষেত্র আর ছিল না?

অাপনি বলেছেন- আলীয়া মাদ্রাসাতে আর কয়টা হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়, কওমী মাদ্রাসাতেই কোরান ও হাদিসের প্রকৃত রূপে শিক্ষা প্রদান করা হয় ।

জানতে চাই, বিষয়টা আপনার কাছ থেকেই জেনে নিতে চাই। দয়া করে আপনিই বলুন, আলীয়া মাদ্রাসায় কয়টা হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়? আর 'কওমী মাদ্রাসাতেই কোরান ও হাদিসের প্রকৃত রূপে শিক্ষা প্রদান করা হয়' কথাটা প্রমান করে দেখাতে পারবেন?

বর্তমান সময়ে বহু কওমি সার্টিফিকেটধারী অজ্ঞ যেমন অহরহ, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আলিয়ায় পড়াশোনা করা বহু হক্কানী রব্বানীও এ সমাজে বর্তমান। সুতরাং ভাল মন্দ দু'জায়গাতেই রয়েছে। পড়ালেখাও অনুরুপ। দু'টোতেই আছে। হয়তো আপনার দৃষ্টিতে আপনি যেটা দেখেছেন তাই ব্যক্ত করেছেন। তবু বলব, একচোখা না হয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, ক্ষুদ্রতা পরিহার করে বৃহত্তর এবং জাতীয় পর্যায়ে সকলের আসন-অবদান ইত্যাদি বিচার করলে সেটাই এসব ক্ষেত্রে সমতা এবং ন্যায়ানুবর্তিতার অধিকতর নিকটবর্তী বলে মনে করি।

অাপনি বলেছেন- আলীয়া কোন মাদ্রাসাই নয়, বরং এটি জেনারেলের সাথে সামান্য ইসলাম শিক্ষা মাত্র ।

জানতে চাই, আপনি অন্ধভাবে আলীয়াকে জেনারেল শিক্ষার সাথে তুলনা করেছেন। আপনি কি আলীয়ার সিলেবাস দেখেছেন কখনও? নাকি শুনে শুনে মুসলমান? আগে দেখুন, জানুন, পর্যবেক্ষন করুন, তুলনা তারপরেই মানায়। না জেনেই ঢালাও মন্তব্য অজ্ঞতার পরিচায়ক বৈ কিছুই নয়।

পরিশেষে বলতে চাই,
আপনাকে বিশেষ কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে এই লেখাগুলো লিখছি না। মনে রাখতে হবে, সত্যিকার মুসলমান মাত্রই আখিরাতের জবাবদিহীর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অন্তর।

সুতরাং, আমরা আলীয়াকে সম্মান করি, এদেশে হাজারো আলীয়া পড়ুয়া যোগ্য মুহাক্কিক আবেদ জাহিদ উলামা মাশায়েখের জন্ম হয়েছে। তাদের অকাতর খেদমতের বদৌলতে দ্বীনের আলোকোচ্ছটায় উজ্জিবিত হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি।

আমরা কওমি ধারাকে শ্রদ্ধা করি, এই পথ ধরে উঠে এসেছেন অগনিত আলেমে দ্বীন, নায়েবে নবী। আর তাদের জান প্রান কোরবানের মাধ্যমে এ জাতি সঠিক দ্বীনি দিক নির্দেশনা পেয়ে হয়েছে ধন্য।

অতএব, একতরফা কাউকে খাটো করে, কারও অবদানকে পাশ কাটিয়ে, অন্যকে উর্দ্ধে তুলে ধরার মধ্যে আর যাই থাক বা না থাক, প্রকৃত সত্যের অপলাপ থেকেই যায়।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে মাফ করুন। ভাল থাকবেন, ভাই।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ইফতি সৌরভ বলেছেন: আলিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে এক পরিচিত শিক্ষক যিনি কওমি থেকে লেখাপড়া করেছেন এবং আলিয়া থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি ধারী বলেছিলেন, ' আলিয়াগুলো না হয় গাধা, না হয় গরু।'

-ইফতি সৌরভ,
বিনীতভাবে বলতে চাই, যিনি এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তিনি নিজে জিনিষটা কি, একটু চিন্তা করে দেখুন তো! মানুষ নিজে যেমন, অন্যকেও সেই দৃষ্টিতে সাধারনত মূল্যায়ন করতে ভালবাসেন। সুতরাং, যেহেতু তিনি অন্যদের গরু গাধা মনে করেন। তাই কওমি পাশ করা আলিয়ার ডিগ্রিধারী আপনার কথিত শিক্ষক মহোদয় কোন পর্যায়ের গাধা কিংবা কোন মানের গরু তিনি নিজেকে মনে করে থাকেন, তা তিনিই হয়তো ভাল বলতে পারবেন।

মক্কা শরীফেও আবু জাহেলদের জন্ম হতে পারে। মদীনা শরীফেও আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর মত দুরাচার দু'চারটে থাকতে পারে।

তবে, ভিন্নমতের এবং পথের মানুষজনদের যারা গরু গাধা জ্ঞান করেন, তাদের প্রকৃত মানুষ হতে আরও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে হয়তো। যদিও তারা নিজেদের অনেক জ্ঞানী ভেবে থাকেন। মূল কথা হল, অন্যকে হেয় করার এই নিকৃষ্ট স্বভাব কোনক্রমেই কোন মুসলমানের চরিত্রে স্থান পেতে পারে না।

ভাল থাকবেন, ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.