![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''মির্জা ফখরুল ইসলাম তার আজ বক্তব্যে অভিযোগ করেছেন, যদি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা জিয়া দায়িত্বে থাকার কারণে অভিযু্ক্ত হোন তবে পিলখানা সেনা হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাও অভিযুক্ত হবেন ।''
মির্জা ফখরুলের জানা উচিৎ বেগম জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময়ে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় নিজ দায়ীত্বে রেখে বাবর কে প্রতিমন্ত্রীর দায়ীত্ব দিয়ে রেখেছিলেন । আর সাক্ষ্যপ্রমাণে সাবেক ডিজিএফ.আই এর প্রধানে বক্তব্যে যা বেড়িয়ে এসেছে তাতে তিনি নিজেই ঐ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন আগে থেকেই এবং তদন্ত কাজে বাঁধা দিয়েছেন , সাথে সাথে হামলায় অভিযুক্ত মওলানা তাজউদ্দিনকে পাকিস্তান পাঠাতে রাস্ট্রীয় ভাবে সাহায্য করেছেন ।
অপর দিকে শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন মাত্র ৩৫ দিন, সেই সময়ে দেশের দুই সামরিক বাহিনী আর্মি ও বিডিআর দের মধ্যে ক্যু ঘটে । যেটি পূর্ব শত্রুতা বশত । আর একজন প্রধানমন্ত্রী কোন দেশের সামরীক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নয় । তাদের মধ্যো কোন বিরোধ থাকলে তা রাস্ট্রপতি দেখা কথা ।
দুই বাহিনী যখন ক্যু হয়েছে তখন সেই বাহিনীর দায়ীত্বে থাকায় যদি অভিযুক্ত হোন তবে সেটির জন্য তদানিন্ত রাস্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দীন সাহেব অভিযুক্ত হবেন । আর তাকে অভিযুক্ত করবেন ত আপনাদেরকেই জবাবদিহি হতে হবে , কেননা ড. ইয়াজ উদ্দিন ছিলেন জিয়া পরিষদের লোক এবং বিএনপি কর্তৃক নির্বাচিত রাস্ট্রপতি । আপনাদের হাতে গড়া ইয়াজ উদ্দিন, মইন উদ্দিন আর ফখরোদ্দিনরা মিলে যখন টানা দুই বছর ক্ষমতায় ছিল তখনই ত বিপত্তি টা শুরু হয় । সেই সময়ে বিজিবির নায্যমূল্যে টিসিবির প্রোডাক্ট বিক্রি করতে দিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে । আর তাতে যা লাভ হয়েছিল সেই লভ্যাংশের অর্থ নাকি সেনাবাহিনী নিয়েছে বলে বিজিবির অভিযোগ । সে থেকেই ত তারা ফুসে উঠে , আর তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল তারা তাদের অফিসার থেকে পদন্নতি দিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা নিযুক্ত করা । তারা বিদ্রোহের দিন মুখোস পড়ে মিডিয়াতে যা সাক্ষ্য দিয়েছে তা আরেকবার শুনুন ।
জিয়ার সময়ে ২৭ টি ক্যু হয়েছে, এরশাদের সময়ে হয়ে কোনটার বিচার হয়নি । বরং ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত করতেই জিয়া নির্দোষদের ফাঁসিতে চড়িয়েছেন । শুধুমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাসে বিডিআর বিদ্রোহের মত বিদ্রোহের বিচার হয়েছে, এবং সেনাদের দাবিতে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার হয়েছে । বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অপরাধীর শাস্তি হয়েছে একসঙ্গে । বিচার এড়িয়ে যাননি শেখ হাসিনা । জননেত্রী শেখ হাসিনা আর্মিদের সাথে বিদ্রোহের পরের দিন বৈঠকে ওয়াদা করে এসেছিলেন যে বিচার হবে এবং সুষ্ঠু বিচার হবে । আইন করে শাস্তি বাড়িয়ে বিচার করা হয়েছে । জর্জ মিয়ার মত নাটক হয়নি, তদন্তের নামে টালবাহানা হয়নি, আলামত নষ্ট করা হয়নি , আসামীদের পালিয়ে বিদেশ পাঠানো হয়নি ।
নিয়ে আসুন ইয়াজ উদ্দিনকে যাকে রাস্ট্রপতি করেছিলেন, দায় ত তারই সামরীক বাহিনীর প্রধান হিসেবে । বাহিনী ত তারই হাতে ছিল । এর দায় দায়ীত্ব ত প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর নয়।
অপরাধীদের ত আপনারাই ক্ষমতায় বসান , তাদের দিয়ে বড় বড় অপরাধ করিয়ে নেয়ার জন্য ।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টে একটা লাইক প্রাপ্য
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ফখরুল সাহেব হুদাই চিল্লাছেন। কোনো লাভ হবে না।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
কে ত ন বলেছেন: তেলাপোকাও একটা পাখি, ফখরুলও একটা মানুষ, আপনিও একটা ব্লগার - এরকম একজনের ফাউল কথার প্রতিক্রিয়ায় আস্ত ব্লগ লিখে ফেলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইতিহাস বলবে , সার্বজনীন সত্য কি ছিল ।