নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলা জানালার মতো আমর ব্লগটাও সেই ভাবে আছে

আমর সম্পর্কে লেখার মতো এখনো কিছু তৈরি হই নাই ।

মেহেদী হাসান সোহান

আসোলে আমর সম্পর্কে লেখার মতো এখনো তেমন কিছুই তৈরি হই নাই । :)

মেহেদী হাসান সোহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বৃষ্টি হবে

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

ছেলেটার নাম জামিল শাফায়েত বন্ধু মহলে তাকে সবাই শাফায়েত নামেই বেশি জানে, খুবই শান্ত মেজাজের একটা ছেলে কারো সাথে খুব একটা মিশে না হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধু তার। শাফায়েত দেখতে অনেকটা হলিউডের হিরোদের মতো এইটা তার বন্ধুদের উক্তি। শাফায়েত মেয়েদের সাথে মিশতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না তাই তার কোন মেয়ে বন্ধু নাই বলা চলে।
শাফায়েত বৃষ্টি খুব ভালোবাসে। তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিনে আকাশ থেকে যেন এক পশলা ভালোবাসার বৃষ্টি নেমেছিলো। সেদিন ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিলো রাস্তায় একটি মাত্রই রিকশা ছিলো, রাস্তায় একটি মেয়েও দাঁড়িয়ে ছিলো রিকশার জন্য। শাফায়েত রিকশায় উঠার আগেই মেয়েটি উঠে পড়লো কিন্তু প্রচুর বৃষ্টি দেখে মেয়েটি শাফায়েতকে জিজ্ঞাসা করলো কোথায় যাবে শাফায়েত বলল ৯ নাম্বার রোড, মেয়েটি শুনে বলল আমি ওই দিকেই যাচ্ছি আপনি চাইলে যেতে পারেন, শাফায়েত বৃষ্টির অবস্থা দেখে অনীহা সত্ত্বেও গেলো বৃষ্টিতে দুই জনই ভিজে গেছে যেতে যেতে দু-একটা কথা বলল দু জনে শাফায়েত বাসার কাছে এসে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলো। পরের দিন ক্যাম্পাসে দেখা হলো মেয়েটির সাথে কিন্তু না চেনার মতো পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিলো মেয়েটিই শাফায়েতকে ডাক দিলো আরেহ কি অবস্থা কেমন আছেন জ্বর আসে নাই শাফায়েত এক কথায় বলে দিলো না। মেয়েটার সাথে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেখা হয় শাফায়েতের, মেয়েদের প্রতি একটা অনীহা থাকলেও মেয়েটিকে দেখতে ভালই লাগে আজকাল। মেয়েটার সাথে মাঝে মাঝে কথাও হয় শাফায়েতের মেয়েটার নাম মুনিয়া। এক দিন দু দিন করতে করতে ওরা দু জনে ভালো বন্ধুতে পরিণত হয়েছে আর মেয়েটাও অনেকটা শাফায়েতের মতো ছিলো মানুষের সাথে কম মিশত। শাফায়েত এক সময় বুঝতে পারে সে মেয়েটাকে অনেক পছন্দ করে কিন্তু তা কখনো বলাই হই নাই।
এ ভাবেই ওদের দুজনের কেটে যায় চারটি বছর।
আজ ভার্সিটি লাইফের শেষ দিন। নীল শাড়ি, নীল টিপ আর নীল কাচের চুড়ি মুনিয়াকে আজ নীল পরীর মতো লাগছে। সেই বৃষ্টিতে দেখা মেয়েটাকে আজও বলি বলি করে মনের কথাটা বলতে পারলো না শাফায়েত। তারপর, দুজনের একসাথে পথচলার রাস্তাটা কেন যেন হঠাৎ করেই বেরসিকের মতো আলাদা হয়ে গেল। যাওয়ার আগে শাফায়েত একবারও বলে যেতে পারলো না - তোমার মুখের ঐ নিস্পাপ হাসিটা অন্তত একটি বার আমার জন্য হোক।
সময়ের ব্যবধানে পথচলা বদলের মতো করে বদলে গেছে দুজনের জীবনের পথও। মেয়েটা রয়ে গেলো তাদের সেই পুরোনো শান্তশিষ্ট শহরে। আর শাফায়েত জীবন নামক প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চলে গেল পৃথিবীর অন্য প্রান্তে।এখন আর দেখা হয় না তাদের কেন জানি এখন শাফায়েতের মনে হয় একই পৃথিবীতে থেকেও যেন এটা আলদা পৃথিবী দুজনের। শাফায়েত এখন এদেশেই প্রতিষ্ঠিত, মাঝে সে দেশে গিয়েছিলো কিন্তু মুনিয়ার কোন খোজ সে পাইনি।
এক দিন মেনের খেয়ালে রাস্তা দিয়ে হাটছে শাফায়েত রাস্তার দু পাশে বড় বড় পাইন গাছের সারি হঠ্যাৎ শুরু হয় টিপটিপ বৃষ্টি আর এর ভেতরই ওর সেলফোনটা বেজে ওঠে রিসিভ করার পর শাফায়েত অবাক বিস্ময়ে শুনতে পেল, "আজ আমাদের এখানে অঝোর-ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। আমি একা একা সেই বৃষ্টিতে ভিজছি। এখন কেন যেন তোর কথা খুব মনে পড়ছে, তাই ফোন দিলাম। আচ্ছা, তোদের ওখানে কি এখন বৃষ্টি পড়ছে ?"
এইমাত্র ঘুম ভেঙ্গে গেলো শাফায়েতের। ভীষন রকম মন খারাপ হয়ে গেল তার। না সে কোন রাস্তা দিয়ে হাটছে না, সে তার নিজের বেডেই আছে । স্বপ্লভঙ্গের এক বুক বেদনা নিয়ে অবাক শাফায়েত তার বাসার ছাদে এসে দাঁড়ালো। আকাশের দিকে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকালো সে। আজ আকাশের মন খারাপ, বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির জলে ধূয়ে যাবে তার জমাট বাঁধা সব কষ্ট, সাথে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা।
আর তাকিয়ে থাকলো সেলফোনটার দিকে যদি সত্যিই সে বলে...
/:)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০১

নিলু বলেছেন: বেশ ভালো , লিখে যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.