নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দ-পঠন

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

মেহেদী হাসান মঞ্জুর

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই।

মেহেদী হাসান মঞ্জুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐশীর সুইসাইডাল নোট- নিশ্চিতভাবেই অন্যকারো তৈরী করে দেয়া

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯





ঐশীর সুইসাইডাল নোটকে ভুয়া বলে মনে হচ্ছে। মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা থাকা- নেশাগ্রস্ত, বেপরোয়া জীবনের অধিকারী, একটি তরুণী মেয়ের থাকা সম্ভব বলে মনে হয় না। ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হলে অনেক সাধনা করা প্রয়োজন, সবসময় যে মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডদের সাথে ডিজে ক্লাবে ঘুরে বেড়ায় সে সাধনা করার সময় কোথায় পেল। আবার যদি ধরেও নেই মেয়েটি আসলেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করেছে, তাহলে তাকে অবশ্যই আসতে হয়েছিল বাংলা সাহিত্যের কাছে- পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে সে নিশ্চয় ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা অর্জন করেনি। বাংলা সাহিত্যের মান নিশ্চয় এত জঘন্য নয় যে, তার উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক পড়া একটি মেয়ে অবলীলায়, ঠান্ডা মাথায় খুন করে ফেলতে পারে।



আরেকটি বিষয় হল, আমরা যতদূর জানি- ঐশীর ধরনের একটি মেয়ে বাংলায় কথা বলার সময় যথেচ্ছ পরিমানে ইংরেজী শব্দ ব্যাবহার করে থাকে। এই অভ্যাসটা ঐ ধরনের মেয়েদের অনেকটা মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে। অবাক করা বিষয় তার সুসাইডাল নোটে একটি ইংরেজী শব্দেরও অনুপ্রবেশ নেই। অতি সতর্কতার সাথে ইংরেজী শব্দকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যাতে করে মার্জিত, বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে আস্থা স্থাপন কারী শহুরে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের মনে ঐশীর প্রতি একধরনের সহানূভূতি তৈরী হতে পারে সহজেই। সুইসাইডাল নোটে প্রচুর পরিমান ইংরেজী শব্দের অনুপ্রবেশ থাকলে এদের কাছ থেকে এই সহানুভুতি পাওয়াটা সম্ভব ছিল না, তারা ঐশীকে দূরের একজন কেউ মনে করত।



ঐশীর এই ভুয়া সুইসাইডাল নোটে কার কি লাভ হচ্ছে- কোন উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এটি তৈরী করা হয়েছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না, তবে পত্রিকাগুলোর কাটতি যে বেশ বেড়ে গেছে তা নিশ্চয় করে বলা যায়। বাঙ্গালী সংস্কৃতি ধারন করে শহুরে মধ্যবিত্ত পত্রিকার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, ঐশীর ভুয়া সুইসাইডাল নোট পড়ার জন্য।

ঐশীর সুইসাইডাল নোট বলে চালিয়ে দেওয়া রচনাটি যে তৈরী করেছে সে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, অনেক ভালমানের চিঠি-সাহিত্য তিনি রচনা করতে পেরেছেন। এই চিঠি সাহিত্যের ভেতরে আবেগের পারদের উঠা-নামা, যে দক্ষতার সাথে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তা এক কথায় অসাধারণ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি যখন পড়েছি তখন আমারও এমন মনে হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: আমি নিশ্চিত যে, ঐ সুইসাইডাল নোটটি অন্যকারো রচনা।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মো:ফয়সাল আবেদিন বলেছেন: আমারো সন্দেহ আছে এই সুসাইডিয়াল নোট সর্মপকে ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ঐ সুইসাইডাল নোটটি যে পড়বে তার মনেই এধরনের সন্দেহ দেখা দিবে।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

তৌহিদ আলম বলেছেন: নোট পড়ে আমার মতও অনেকটা একই রকম।আমরা, আমাদের দেশ কোনদিকে যাচ্ছে আন্দাজ করা যাচ্ছে না। একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে এরকম প্রবাহমান ঘটনার অবসান যে কবে হবে.......

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা ভুয়া।
এই সুইসাইডাল নোট ওর লেখা নয়। ভালো বাংলা জানে এমন কারো লেখা।

ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করাটা ডালভাত। তার সুইসাইডাল নোটে কোন ইংরেজি শব্দ নয়। এটা একটা বিরাট অস্বাভাবিকতা।

মেয়েটি যে কথায় কথায় ইংরেজি ব্যবহার করে তার প্রমাণ এই নিউজটি :

Click This Link

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাজোকা শামীম, আপনার দেওয়া এই লিঙ্কটি ঐশীর বলে চালিয়ে দেওয়া সুইসাইডাল নোটটি ভুয়া প্রমান করতে সাহায্য করবে।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪

মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: কয়েকটি লাইন পড়ার পরই ধারনা করেছিলাম....

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩১

শায়মা বলেছেন: আমারও মনে হয়েছে ঐ নোট বানোয়াট।



এই রকম মানষিক অস্থিরতায় ভোগা মেয়েরা এত ঠান্ডা মাথায় এত কিছু লিখতে পারেনা। যদি তা হাবিজাবি, নিজেকে সাফাই গাইবার প্রচেষ্টা তবুও সেটা তার লেখা হতেই পারেনা।


কেনো পারেনা তার পক্ষে আমার একশো একটা যুক্তি আছে তবে ওর কথা ভাবতেও আমার ইচ্ছে করেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৯

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: আরো অনেক অজানা তথ্য খুঁজে বের করতে আমাদেরকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। আর আমাদের পুলিশি রাষ্ট্রব্যাবস্থার ভন্ডামীকে সকলের সামনে তুলে ধরতে এর প্রয়োজনীয়তা আছে। এখন আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কি উদ্দেশ্যে অন্যকে দিয়ে লেখানো একটা রচনা ঐশীর সুইসাইডাল নোট বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২

সোমহেপি বলেছেন: বদমাইসি করবে ইংরাজি পড়ে আর বাঁচার জন্য বাঙলার উপর চড়ে বসবে?তা হবে না।
তার সর্বনাশ চাই।বখে যাওয়া প্রজন্মের শিক্ষার উপকরণের জন্য।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১২

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: যে মেয়ে কথায় কথায় ইংরেজী ব্যাবহার করে তার পক্ষে ঠান্ডা মাথায়ও এ ধরনের ইংরেজীবিহীন রচনা লেখা সম্ভব নয়। এরকম আরো অনেক যুক্তি আছে যার দ্বারা সহজেই প্রমানিত হয়ে পড়ে ঐ সুইসাইডাল নোটটি ঐশীর নিজের নয়।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

ড. জেকিল বলেছেন: আমারও লিখা পড়ে কেমন জানি মনে হয়েছিলো, এটা একটা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ের লিখা হতে পারেনা। এখন দেখছি শুধু আমি না, অনেকেই এই সন্দেহ পোষন করছেন।
একেবারে অসম্ভব আমি সেকথা বলছিনা, তবে ঐ নোটটি যে ধরনের ভাষায় লিখা হয়েছে তা অনেক বেশি জানা লোকের লিখা মনে হয়েছে।
যদি সত্যি লিখাটা ঐশির হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে সে অনেক ভালো মাপের লেখক।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ঐ লেখাটা ঐশীর হওয়ার কোন ধরনের সম্ভাবনাই নেই। খুব সহজ স্বাভাবিক যুক্তিগুলো আমাদের তাই বলে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: আমার প্রথমেই সন্দেহ হয়েছে। আমার ভাগিনা অক্সফোর্ডে ও লেভেলে পড়ে। সারাদিন বাংলা-ইংলিশ মিলিয়ে কথা বলতে থাকে। ঐশী নোটে এত সুন্দর ভাষা ব্যবহার আমাকে চমকিত করেছে!
পড়ুন ঐশী আমার আদরের মেয়ে!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: চমতকৃত আমরা সকলেই হয়েছি, এই কারনে যে কি উদ্দেশ্যে অন্য কাউকে দিয়ে লিখিয়ে রচনাটিকে ঐশীর সুইসাইডাল নোট বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এখন ঠিক ঠাক সব পড়ে জানলাম সে মাত্র ২০১১ তে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি হয়েছে তার আগে এতগুলো বছর সে ছিলো মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে মানে বাংলা মিডিয়ামে। কাজেই লেখাটা সে লিখতেই পারে।


মাত্র এ কটাদিন ইংলিশ মিডিয়াম আর এতগুলো বছর বাংলা মিডিয়ামে পড়ার কাড়নেই সে বাংলায় এত বড় দীর্ঘ চিঠি লিখতে পেরেছে। নতুন ইংলিশ মিডিয়ামে আজীবন পড়া একটা মেয়ে বা ছেলে এত বড় দীর্ঘ চিঠি বাংলায় লিখতে পারবে না তা নয় তবে অবশ্যই সে ইংলিশে লিখতে কমফোর্ট ফিল করবে।

এখন বুঝা গেল ঐশী মাত্র কটাদিন ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি হওয়ায় ইংলিশের চাইতে আজীবন পড়ে আসা বাংলাতেই দক্ষ ও সচ্ছন্দ ছিলো বেশি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: কোন মিডিয়ামে সে পড়েছে তার চেয়ে বড় কথা হল- এধরনের তরুন-তরুনীরা কথায় কথায় ইংরেজী শব্দের ব্যাবহার করে। কথিত সুইসাইডাল নোটের মধ্যে ভুলেও একটাও ইংরেজী শব্দ এসে পড়ে নি। লেখাজোকা শামীম এখানে একটা লিঙ্ক শেয়ার করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মেয়েটি কথায় কথায় ইংরেজী বলছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে ঐ নোটে যে ভাষাগত দক্ষতা ব্যাবহার করা হয়েছে, তাতে সেটি একটি চিঠি সাহিত্যে পরিণত হয়েছে- এমন ধরনের দক্ষতা দেখানোর জন্য বেশ ভালো রকমের সাধনা দরকার লেখালেখিতে। বেপরোয়া জীবনের অধিকারী একজন মেয়ে এ ধরনের সাধনা করার সময় পেল কোথায়! যা হোক আমি আমার মূল লেখায় বিষয়গুলো আনার চেষ্টা করেছি।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২০

শায়মা বলেছেন: নতুন ইংলিশ মিডিয়ামে আজীবন পড়া একটা মেয়ে বা ছেলে এত বড় দীর্ঘ চিঠি বাংলায় লিখতে পারবে না তা নয় তবে অবশ্যই সে ইংলিশে লিখতে কমফোর্ট ফিল করবে।


নতুন কথাটা ভুল এসেছে।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে মেয়ে কথায় কথায় ইংরেজী ব্যাবহার করে তার পক্ষে ঠান্ডা মাথায়ও এ ধরনের ইংরেজীবিহীন রচনা লেখা সম্ভব নয়। এরকম আরো অনেক যুক্তি আছে যার দ্বারা সহজেই প্রমানিত হয়ে পড়ে ঐ সুইসাইডাল নোটটি ঐশীর নিজের নয়।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: হুম ঠিক

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ধন্যবাদ-কামরুল ইসলাম রুবেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.