নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দ-পঠন

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

মেহেদী হাসান মঞ্জুর

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই।

মেহেদী হাসান মঞ্জুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোনের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও মৃত্যু পরবর্তী প্রভাব

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

স্যার উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোন(১০ জুলাই ১৭২৩- ১৪ ফেব্রুয়ারী১৭৮০) আঠারশ শতকের একজন ইংরেজ আইনজ্ঞ, বিচারক এবং টরি(Tory) পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। তার লিখিত কমেন্টারিস অন দ্যা ল’স অব ইংল্যান্ড ( Commentaries on the Laws of England) বইটির জন্য তিনি সবচেয়ে বেশী আলোচিত। লন্ডনের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা ব্ল্যাকস্টোন চার্টারহাউস স্কুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার পর ১৭৩৮ সালে অক্সফোর্ডের পেমব্রোক কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। কলেজ পরিবর্তন করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অল সোলস কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ (Bachelor of Civil Law ) ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি ১৭৪৩ সালের ২ নভেম্বর ঐ একই কলেজের ফেলো নিযুক্ত হন। এর পর মিডল টেম্পলে ( Middle Temple) ভর্তি হন এবং ১৭৪৬ সালে সেখানকার বার থেকে আহ্বান লাভ করেন। ব্যারিস্টার হিসেবে তার পেশায় কম মনোযোগ দিয়ে ব্ল্যাকস্টোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হিসাবরক্ষক ও কোষাধ্যক্ষ হওয়ার পর তিনি ১৭৪৬ সালের ২৮ নভেম্বর অর্থপাল এবং ১৭৫০ সালে সিনিয়র অর্থপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। মনে করা হয় তারই তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠে কড্রিংটন লাইব্রেরী ও ওয়ারটন ভবন এবং কলেজের জটিল হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা সরলায়িত হয়। ১৭৫৩ সালের ৩ জুলাই তিনি ব্যারিস্টার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন ব্যবসা থেকে সরে আসেন এবং পরিবর্তে ইংলিশ ল’ এর উপর সিরিজ বক্তব্য দেয়া শুরু করেন, এই ধরনের বক্তব্য এই প্রথম শুরু হয়। এগুলো ব্যাপক সফলতা অর্জন করে এবং এর ফলে তার আয় হয় মোট ৪৫৩ পাউন্ড (২০১৮ সালের হিসেবে তা ৬৫,০০০ পাউন্ড), এবং ১৭৫৬ সালে এই বক্তব্যগুলোর সমন্বয়ে এন এনালাইসিস অব দ্যা ল’স অব ইংল্যান্ড (An Analysis of the Laws of England ) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটি এত বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করে যে প্রতিটি মুদ্রণের সকল কপি বিক্রী হয়ে যায় এবং এটা হয়ে উঠে তার পরবর্তী কাজ সমূহের পূর্বাভাস।

১৭৫৮ সালের ২০ অক্টোবর ব্ল্যাকস্টোন প্রথম ভিনেরিয়ান প্রফেসর অব ইংলিশ ল’( Vinerian Professor of English Law) হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। এবং এর পরপরই অন্য একটি সিরিজ বক্তব্য দেয়া শুরু করেন এবং এগুলোর সমন্বয়ে এ ডিসকোর্স অন দ্যা স্টাডি অব দ্যা ল’( A Discourse on the Study of the Law) শিরোনামে একই রকম সফল আরেকটি বই প্রকাশ করেন। খ্যাতিমান হয়ে উঠতে থাকা ব্ল্যাকস্টোন সফলভাবে বারে ফিরে আসেন এবং বেশ জমজমাট আইন ব্যবসা চালিয়ে যান। ১৭৬১ সালের ৩০ মার্চ তিনি রটেন বরোফ অব হিন্ডন(rotten borough of Hindon ) থেকে টরি পার্টির(Tory) পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। চার খন্ডে প্রকাশিত কমেন্টারিস অন দ্যা ল’স অব ইংল্যান্ড( Commentaries on the Laws of England ) বইয়ের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ১৭৬৫ সালের নভেম্বরে। এই বইটাকে গণ্য তার সবচেয়ে মহৎ কাজ হিসেবে। এই পুরো বইটা থেকে তার মোট উপার্জন হয় ১৪,০০ পাউন্ড(২০১৮ সালের হিসেবে তা ১,৭৮৭,০০০ পাউন্ড)। যাহোক, ববারবার ব্যর্থ হওয়ার পর ১৭৭০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী তিনি সফলভাবে দ্যা কোর্ট অব কিংস বেঞ্চ ( Court of King's Bench ) এর একজন বিচারক হিসেব নিয়োগ পান। এরপর একই বছরের ২৫ জুন এডওয়ার্ড ক্লাইভ এর জায়গায় দ্যা কমন প্লীস এর বিচারক (Justice of the Common Pleas ) হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৭৮০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।

ব্ল্যাকস্টোনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হল তার কমেন্টারিস(Commentaries)। ইংলিশ ল’ এর সম্পূর্ণ সারসংক্ষেপ তুলে ধরার উদ্দেশ্যে লিখিত চার খন্ডের এই বইটি ১৭৭০, ১৭৭৩, ১৭৭৪, ১৭৭৫ ও ১৭৭৮ প্রকাশিত হয় এবং ১৭৮৩ সালে বের হয় বইটির একটি মরনোত্তর সংস্করণ। ঐতিহ্যগত নয় বরঞ্চ ব্যবহারিক প্রয়োজনে ইংল্যান্ডে এবং ওয়ালসে বইটির প্রথম সংস্করণের পুনঃমুদ্রণ ১৮৭০ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। এবং হেনরি জন স্টিফেনের করা বইটির ওয়ার্কিং ভার্সন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪১ সালে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পর্যন্ত পুনঃমুদ্রিত হতে থাকে। ইংল্যান্ডে আইন শিক্ষা যখন এক পর্যায়ে থেমে যায় তখন ব্ল্যাকস্টোনের কাজ আইনকে দান করেছিল অন্তত পান্ডিত্যপূর্ণ সন্মানের মোড়ক। ব্ল্যাকস্টোনের পরবর্তী ভিনেরিয়ান প্রফেসরদের মধ্যে একজন উইলিয়াম স্কারলে হোল্ডসওর্থ বলেন, “ঠিক ঐ সময় যদি কমেন্টারীস(Commentaries) লেখা না হত তাহলে, আমার মনে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ইংরেজী ভাষী দেশগুলো বৈশ্বিকভাবে কমন ল’ কে গ্রহণ করত কিনা তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই কমেন্টারিস আলেক্সেন্ডার হ্যামিল্টন, জন মার্শাল, জেমস উইলসন, জন জায়, জন এডামস, জেমস কেন্ট এবং আব্রাহাম লিঙ্কনকে প্রভাবিত করে এবং এখনও বার বার উদ্ধৃত হয় সুপ্রীম কোর্টের দেয়া সিদ্ধান্তগুলোতে।


লিগাসি/ উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোনের মৃত্যু পরবর্তী প্রভাব

ব্ল্যাকস্টোনের মৃত্যু পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে তার লিখিত কাজ, বিশেষ করে তার লেখা কমেন্টারিস অন দ্যা ল’স অব ইংল্যান্ড (Commentaries on the Laws of England) । উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে বইটির পুনঃমুদ্রন, সংক্ষেপিত এবং ভাষান্তরিত ভার্সনগুলোর চাহিদা ছিল ব্যাপক। যদিও পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্বের উপর কমেন্টারিসের গুরুত্বারোপ জনমনে ক্রোধের সঞ্চার ঘটাত। আলেক্সিস ডি টকভিল ( Alexis de Tocqueville) ব্ল্যাকস্টোনকে বর্ণনা করেন একজন নিম্নমানের লেখক হিসেবে, যার মধ্যে মননশীলতা অথবা চিন্তার গভীরতা নেই। তবে অন্যান্যরা এই ধরণের মন্তব্যের বিরোধীতা করে; একজন তাকে আখ্যায়িত করে ব্রিটিশ এনলাইটমেন্টের একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তি হিসেবে। এবং তাকে তুলনা করে মন্তেস্কু, ব্যাকারিয়া, এবং ভলতেয়ার সাথে। শিক্ষাবিদরা বলে থাকেন ইংরেজী আইনকে ঘটনা প্রবাহের(Actions) উপর নির্ভরশীল ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে এনে স্বতন্ত্র আইন ব্যবস্থায় রুপান্তরিত করতে ব্ল্যাকস্টোনের কমেন্টারিসের ভূমিকা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বইটি প্রকাশের সময় কোন না কোন ভাবে কমন ল’ অব ইংল্যান্ড (common law of England ) এর অস্তিত্ব ছিল, তবে এটা ছিল তার শৈশব অবস্থায়। এবং আইনটির বিষয়বস্তু সমন্ধে লোকজনের তেমন কোন ধারণা ছিল না। তার কমেন্টারীস আইনগত চিন্তাকে সংহত করতে সুনির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। ঠিক সেই সময় আইন শিক্ষা থেমে গিয়েছিল এবং ব্ল্যাকস্টোনের কাজ আইনকে দিয়েছিল অন্তত পান্ডিত্যপূর্ণ সন্মানের মোড়ক। ব্ল্যাকস্টোনের পরবর্তী ভিনেরিয়ান প্রফেসরদের একজন উইলিয়াম স্কারলে হোল্ডসওর্থ বলেন, “ঠিক ঐ সময় যদি কমেন্টারীস(Commentaries) লেখা না হত তাহলে, আমার মনে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ইংরেজী ভাষী দেশগুলো বৈশ্বিকভাবে কমন ল’ কে গ্রহণ করত কিনা তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই কমেন্টারীসের বিশেষ রকম প্রভাব আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম কোর্টের সহকারী বিচারক জেমস ইরেডেল বলেন, “তার বইগুলো পরিকল্পিতভাবে তরুণ ছাত্রদের জন্য লিখিত হলেও সত্যিকার অর্থে অধিক জানাশোনা ব্যক্তিদেরকে দিক নির্দেশনা দেয়---এখানে আনন্দ ও শিক্ষা চলে হাত ধরাধরি করে ।” প্রথমবার যখন কমেন্টারিস উত্তর আমেরিকাতে মুদ্রিত হয় শুধু ফিলাডেলফিয়া শহরের জন্যই অর্ডার করা হয়েছিল ১,৪০০ কপি। শিক্ষাবিদরা আরো উল্লেখ করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেই সময় আইনগত উপাদানের অভাবের কারনেই সম্ভবত প্রথম দিকে কমেন্টারীসের উপর দেশটির সুপ্রীম কোর্টের নির্ভরতা গড়ে উঠে। মার্কিন শিক্ষাবিদ রবার্ট ফারগুসন জানান যে আমাদের সকল গঠনমূলক দলিলসমূহ যেমন: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিবিধান এবং জন মার্শালের অধীনে সুপ্রীম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ এবং পরবর্তীতে প্রভাব তৈরীকারী সিদ্ধান্ত সমূহ এমনসব আইনজীবীদের দ্বারা তৈরী হয়েছিল যারা স্যার উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোনের কমেন্টারীস অন দ্যা ল’স অব ইংল্যান্ড ( Commentaries on the Laws of England) বইয়ে নিমগ্ন হয়ে থাকত। ব্যাপারটা এমনই ছিল যে আমেরিকান প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর প্রভাবের জায়গায় পবিত্র বাইবেলের পরই ছিল কমেন্টারীস অবস্থান। এমনকি ইদানিং কালেও, সুপ্রীম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলোতে কমেন্টারীস একবছরে অন্ততপক্ষে ১০-১২ বার উদ্ধৃত হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আইন ব্যবসা এবং সেই সাথে বিচার বিভাগের মধ্যে কমেন্টারীসের বড় রকমের প্রভাব আছে । আইন সংক্রান্ত বইয়ের চরম ঘাটতি থাকার ফলে এগুলো প্রকাশিত হওয়ার একশ বছর পর্যন্ত শুধু ল’ স্কুল এবং ল’ লাইব্রেরীতে কেবলমাত্র এগুলো দিয়েই ভরা ছিল যেখানে আমেরিকার অধিকাংশ আইনজীবী আইন শিক্ষা গ্রহণ করত। ব্ল্যাকস্টোন শুধুমাত্র আইন শিক্ষার একটা স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিল এবং তা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট পেশও করেছিল। তবে পরিকল্পনাটি যখন প্রত্যাখ্যাত হয় তখন এটা তার কমেন্টারীসের মধ্যে স্থান লাভ করে। সেই পরিকল্পনা থেকেই আমেরিকান অাধুনিক ল’ স্কুল ব্যবস্থার উৎপত্তি।

১৯২০ সালের প্রথম দিকে আমেরিকান বার এসোসিয়েশন ইংলিশ বার এসোসিয়েশনকে ব্ল্যাকস্টোনের একটা ভাস্কর্য উপহার দেয়। যাহোক, ভাস্কর্যটি এত বেশী লম্বা ছিল যে সেই সময় সেটাকে লন্ডনে অবস্থিত রয়্যাল কোর্ট অব জাস্টিস চত্বরে স্থাপন করা সম্ভব ছিল না। পল ওয়েল্যান্ড বারটেল্ট এর নকশায় তৈরী ভাস্কর্যটিকে অবশেষে ইউরোপে প্রেরণ করা হয় এবং এরপর প্রদর্শনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়। আমেরিকান কংগ্রেস ভাস্কর্যটিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থাপনের অনুমতি প্রদান করে এবং এটার স্থাপনা ব্যায়ের জন্য ১০,০০০ মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ব্রোঞ্জের তৈরী এই ভাস্কর্যটি বিচার বিভাগীয় গাউন এবং লম্বা কোকড়ানো পরচুলা পরা এবং কমেন্টারীসের একটা কপি হাতে ধরা ব্ল্যাকস্টোনের নয় ফুট (২.৭ মিটার) লম্বা একটা মূর্তি। এটাকে গ্রানাইটের তৈরী একটা লম্বা ভিত্তির উপর স্থাপন করা হয়েছে। এবং এটা দাঁড়িয়ে আছে কনস্টিটিউশন এ্যাভেনিও & থার্ড স্ট্রীট এনডব্লিউতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেটে অবস্থিত ব্ল্যাকস্টোন শহরটির নামকরণ করা হয়েছে তার নামেই।

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের সাথে উইলিয়ামের একটা ছবি দিলে সমস্যা কি ছিল?

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোনের ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.