নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারপাশের সব অসাধারণ প্রতিভাবানদের ভিড়ে অতি সাধারন একজন। ভালোবাসি বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টিকে অনুভব করতে, ভালোবাসি কোন এক জোছনা রাতে আঁধারে মিশে যেতে, ভালোবাসি বন্ধুত্ব, প্রান খোলা হাসি, গান, কবিতা আর আঁধারে হারিয়ে যাওয়া একাকী।

শূন্যভুবনের মেহেদী

অজস্র শব্দমালার বিবর্ণ এপিটাফের ছোট্ট এক বিন্দু

শূন্যভুবনের মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলিফ লায়লার সেই রাক্ষসীরা এখন কোথায় ??? আপনার বা আমার ঘরেই তো !

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৭

ছোটকালে আলিফ লায়লা'তে দেখতাম খুবই সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনার পর ঘরের সব মানুষ রহস্যজনক ভাবে মারা যেতো অথবা গুম হয়ে যেতো । মাঝে মাঝে এই বিয়েটা হতো যখন রাজা একা একা বনে ঘুরতেন তখন এক রহস্যময়ীর রহস্যের জালে আটকিয়ে । আধুনিক যুগে এই বিয়েটাকে আমরা ''লাভ ম্যারেজ'' বলি । আবার পরিবারের লোকেরাও পছন্দ করে একটি মেয়েকে নিয়ে আসতেন । এটাকে আমরা এখন ''এরেঞ্জ ম্যারেজ'' বলি । একটি পরিবারে তারা যেভাবেই আসুক না কেন, তাদের কাজ কিন্তু একটাই । কি সেটা ??? পরিবারের সবাইকে খুন করা । অথবা তাদের খেয়ে ফেলা ।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে অতীতের সেই রাক্ষসীগুলি এখন অনেক বেড়ে গেছে । বর্তমানে যেন প্রতি ঘরেই সেই রাক্ষসীদের আনাগোনা ! এরা তো অতীতের সেই রাক্ষসীদের চেয়ে হাজারগুণ বেশী ভয়ংকর । এরা মানুষদের খায়ও না, মেরেও ফেলে না । অর্থাৎ জীবিত রেখেই খাওয়া শুরু করে ।
অনেক তো রূপক বললাম । এবার বলি বাস্তব । রাক্ষসীর জায়গায় আপনার পরিচিত কোন এক বাসার অথবা কোন এক আত্মীয়র নতুন / পুরানো বিয়ে করা বউকে চিন্তা করুন । কি পুরোপুরি মিলে গেছে না ??? মিলে যে যাবে আমি জানতাম । :)
এই যুগের রাক্ষসীগুলি যে ডিজিটাল, তাই তারা সেইইই স্মার্ট । ফ্যামিলিতে ঢুকেই তাদের প্রথম চিন্তা থাকে কিভাবে সবাইকে আলাদা করা যায় । এরপর আয়েশ করে রক্ত চুষে খাওয়া যায় ! এরা পারেও । এরা এত্তো কিছু পারে, এত্তো কিছু বুঝে, এত্তো কিছু করে - কিন্তু পরিবারের বৃদ্ধ বা প্রবীণদের গুরুত্ব এরা বুঝল না ! আফসোস !!! :(
আপনার পরিবারটি যেই বাড়ির উপর দাড়িয়ে, সেই বাড়ির মূল স্তম্ভ কে জানেন ? আপনার বাসার সেই সেকেলে বর্ষীয়ান বৃদ্ধ মানুষটাই । এরা যদি পৃথিবীতে না থাকতো, এরা যদি আপনার বা আমার বাসায় না থেকে ''ওল্ড হাউজ'' বা ''বৃদ্ধাশ্রমে'' থাকতো তাহলে কিন্তু পৃথিবী থাকতো না । থাকা সম্ভব না । কারণ বৃদ্ধ এই মানুষগুলিই কিন্তু আপনাকে বা আমাকে নিজেদের পিঠে তুলে বড় করেছেন, কথা বলতে শিখিয়েছেন, হাঁসতে শিখিয়েছেন, মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন । আর মায়া, ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবী তো তাসের ঘরের চেয়েও নগণ্য । আমাদের কালচার আমরা তো উনাদের কাছ থেকেই শিখি । অতীত থেকে বর্তমান আর বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে যাওয়ার সেতু হচ্ছেন এই বৃদ্ধ মানুষগুলি । উনারা যদি আমাদের সাথে না থেকে কোন এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাহলে আমাদের দেশ থেকে যে কোন অনুষ্ঠান উঠে যাবে, মানুষ ভালো কিছু দেখে হাঁসি দেওয়া ভুলে যাবে, মানুষে মানুষে কোন ভালোবাসাই থাকবে না, পছন্দ বা মন মতো ভালো খাবার তো কল্পনাই করা যাবে না, ছোট্ট বাচ্চারা ঘুমের ভিতর কোন পরী দেখবে না, দেখবে না কথা বলা ছোট্ট প্রজাপতি বা অসুখী কোন এক রানী মায়ের কষ্ট মাখা মুখ - তাদের সব স্বপ্ন মেটালিক এলিয়েনদের ফাঁদে পরে ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে উঠবে ।
শোন রাক্ষসী, রাক্ষসী থেকে মানুষ হয়ে যা । নাহলে একদিন তোর ছেলেও তোর জন্য রাক্ষসী নিয়া আসবে । তখন সে আর তোরে তোর পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করবে না, তোর রক্ত দিয়ে জুস বানিয়ে খাবে মনে রাখিস ! /:)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

নতুন বলেছেন: এই যুগের রাক্ষসীগুলি যে ডিজিটাল, তাই তারা সেইইই স্মার্ট । ফ্যামিলিতে ঢুকেই তাদের প্রথম চিন্তা থাকে কিভাবে সবাইকে আলাদা করা যায় ।

এটা মেয়েটি কিন্তু তার পরিবার থেকেই শেখে। অনেক ক্ষেত্রে মা মেয়েকে শেখায় কিভাবে শশুর বাড়ীতে সবকিছু কবজা করতে হবে। পরামশ দেয় আলাদা সংসারের

অপর দিকে শশুর বাড়ীর সবাই কিন্তু নতুন বউকে নিজের মেয়ের মতন দেখে না। তার সবকিছুতেই দোষ কিন্তু সেই একই কাজ নিজের মেয়ে করলে কোন সমস্যাই না। << এই রকমের অনেক সমস্যায় নতুন বউ দূরে সরে যায় ফলে চিন্তা করে নিজের আলাদা সংসার।

আমাদের সমাজই দায়ী.. কোন মেয়েই ঠিক বিয়ের পরেই এইসব স্বপ্নে দেখে শেখে না। এই সবের বীজ অনেক আগেই মেয়েটির মনে রোপন করে সমাজ।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৪

ধমনী বলেছেন: সমস্যাটা হলো ছেলের পরিবার চায় মেয়েটা তাদের হয়ে যাক আর মেয়ের পরিবার চায় ছেলেটা তাদের হয়ে যাক। ফলে কেউই তৃপ্ত হতে পারে না।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

শূন্যভুবনের মেহেদী বলেছেন: আসলে এখানে আমি পরিবারে বৃদ্ধদের গুরুত্বতে ফোকাস করেছি । আর বৃদ্ধাশ্রম বেড়ে যাওয়ার পিছে কিন্তু ছেলেরা বেশী দায়ী । কারণ তারাই তো বউর কথা শুনে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.