নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারপাশের সব অসাধারণ প্রতিভাবানদের ভিড়ে অতি সাধারন একজন। ভালোবাসি বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টিকে অনুভব করতে, ভালোবাসি কোন এক জোছনা রাতে আঁধারে মিশে যেতে, ভালোবাসি বন্ধুত্ব, প্রান খোলা হাসি, গান, কবিতা আর আঁধারে হারিয়ে যাওয়া একাকী।

শূন্যভুবনের মেহেদী

অজস্র শব্দমালার বিবর্ণ এপিটাফের ছোট্ট এক বিন্দু

শূন্যভুবনের মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষাদময় অনুভূতির বিস্বাদ প্রকাশ - হুমায়ূন আহমেদ স্যার স্মরণে !

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩০



ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। গত ৩/৪ দিন আগেই দেখেছিলাম চাঁদটা পুরো চাঁদ না হয়ে চাঁদের একটা টুকরা ছিল। এরপর ব্যস্ততার কারণে আর আকাশটাও দেখতে পারিনি। বিশাল একটা আকশের নীচে কতো শত মানুষ। যেখানেই যাই আকাশটা ছাঁদ হয়ে থাকে। কি অদ্ভুত - এই ছাঁদটার দিকে তাকানোর সময় পর্যন্ত পাইনি! আজ হঠাৎ করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম ! মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলা পূর্ণ-চন্দ্র ! কি অদ্ভুত সুন্দর! কি অদ্ভুত সুন্দর! আজ এই নিশিতে চাঁদটা যেন তার পুরনো খোলস খুলে নতুন হয়ে গেছে। এর পিছনে কি প্রকৃতির কোন বিশেষ উদ্দেশ্য আছে ? কে জানে ! থাক না কিছু অজানা..!
.

প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার,

চাঁদের এই অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখা শিখেছি আপনার কাছে।

অপার্থিব ভ্রমের মাঝেও থেকেও কি করে জোছনার আলোকে
ধু-ধু প্রান্তর বানিয়ে হেঁটে চলা যায় সেটাও শিখিয়েছেন আপনি।

আমি এখন গাঢ় অন্ধকারেও আলো খুঁজে পাই।

বিশ্বাস করবেন - আমি এখন হঠাৎ হঠাৎ করে
তীব্র মায়াকেও একপাশে ফেলে রাখতে পারি ?

ঝুম বরষায় বৃষ্টিতে ভিজে প্রিয় একজনের স্পর্শের জন্য
অপেক্ষা করা যে কতোটা মধুর আমি সেটাও জানি।

তীব্র গরমে যখন সবার ত্রাহি অবস্থা হয়ে যায় তখন আমি
হিমুর নদীটা ধার নেই একটুক্ষণের জন্য। নদীটার তীরে হাঁটি।

উথাল-পাথাল জোছনায় আমি মোহগ্রস্থ হয়ে যাই।
এই মোহের মায়া অনেক কঠিন মায়া।
মায়াটা কিন্তু আমার মতো শত শত মানুষের মনে আপনিই খুব তীব্রভাবে প্রবেশ করিয়েছেন।

আজ এই মায়াটা আমাদের খুউব কষ্ট দিচ্ছে। খুউব বেশী . . . !
একমাত্র আপনিই পারতেন এই কষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি দিতে . ।

যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন - সারাক্ষণ, সবসময় . ! :)
.

চাঁদটা মেঘের আড়াল থেকে বের হয়েছে। খুব সম্ভবত হুমায়ূন স্যারের প্রিয় গৃহত্যাগী জোছনা। চারিদিকে এক হাহাকার ধ্বনি ধ্বনিত হচ্ছে। বাইরের অসীম শুন্যতা আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু আমি মায়ার বাঁধনে আটকে আছি। ভালোবাসার তীব্র এই বাঁধন থেকে বের হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই আমি আমার ছোট্ট বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিশাল আকাশটা দেখছি। মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদটা বড় হচ্ছে। চারদিকে থৈ থৈ করছে অবাক জোছনা। চাঁদটা নেমে আসলে একটু ছুঁয়ে দেখবো। আমি অপেক্ষা করে আছি..। কতক্ষণ ?? হয়তো আর একটু ! হয়তো আরও এক সহস্র বছর !

দূরে কোথাও বেজে উঠলোঃ
❝জনম জনম তব তরে কাঁদিব,
যতই হানিবে হেলা ততই সাধিব
জনম জনম তব তরে কাঁদিব..।❞

বি.দ্রঃ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ৪র্থ প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আমার ধূসর অনুভূতির সামান্য মাত্র প্রকাশ । লেখাটা ১৯ জুলাই রাতেই লিখেছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ওই দিন দিতে পারিনি তাই আজকেই দিয়ে দিলাম :)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন, চমৎকার আপনার লেখার ভঙ্গিমা | মুগ্ধ হয়ে এক নি:শ্বাসে পড়ে নিলাম | এমন শ্রদ্ধাঞ্জলি পেয়ে হুমায়ুন আহমেদও অনেক খুশি হবেন |

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: লেখকের প্রতি আপনার অমায়িক ভালবাসা ফুটে উঠেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.