![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিবনা কোলাহল করি সারা দিনমান, কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা।
আজ ১৯শে ফেব্রুয়ারি ,সারা দেশের মেট্রিক পরীক্ষার্থীরা বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে । এক দশক আগেও ফেব্রুয়ারী/মার্চ মাসের দিকে উদ্ভ্রান্ত , উস্কু খুস্কু ১৫/১৬ বছর বয়েসী কিশোর কিশোরীদের দেখে এসএসসি পরীক্ষার অবস্থানকাল নিয়ে সম্যকভাবে অবগত হওয়া যেত। দশক না ঘুরতেই দৃশ্যপটের ছন্দপতন হয়, কালের আবর্তে হারিয়ে যায় এসএসসি ভীতি । মেট্রিক পরীক্ষার দেখা মেলে এখন উৎসবে রঙে ,মধুর ঝংকার ওঠে তার চলার শব্দে। শুরু হয় গোটা দেশের প্রতিটা ছাত্রের প্রথম হওয়ার অপেক্ষার প্রহর ।
পুরনো মেট্রিক পরীক্ষার চিরাচরিত ভীতির ঐতিহ্যে "বাংলা" সবসময় বিশেষ স্থান অধিকার করে রাখত । "বাংলা" নিয়ে রহস্য ছিল বহুমাত্রিক।পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা ভাল না খারাপ হয়েছে , সেটা বলা ছিল দুঃসাধ্য । ভাল পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে খাদের অতলে নিজেকে আবিষ্কার করা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ।ভাগ্য বিধাতা রুপে শিক্ষক শিক্ষিকা আর তদীয় দয়া , মেজাজ , করুণা আর নিয়তি নির্ণয় করত পরীক্ষার ফলাফল ।
বাংলা পরীক্ষায় ভাল করার প্রাণান্তকর চেষ্টায় শরীক ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যাও নেহায়েৎ কম ছিল না । পীররুপী বাংলা শিক্ষকগণের কাছে মুরিদ হিসেবে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে বাইয়্যাত গ্রহন করতে দেখা যেত । বাংলা বিষয়ক মুশকিল আসানের জন্য শিক্ষকরা পানি পড়ার সমতুল্য তাদের মহামূল্য নোট সরবরাহ করতেন । মুরিদানের দায়িত্ব ছিল তেল চুপচুপে সেসব নোট আগা গোড়া উগড়ে দিয়ে দ্বীন-দুনিয়ায় অশেষ মার্কস হাসিল করা ।
এ প্রক্রিয়ায় ঘাত প্রতিঘাতও কম ছিল না । বড় বড় বিদ্যালয়ে ৯/১০ জন পর্যন্ত বুজুর্গ শিক্ষক অবস্থান করতেন । "এক ঘরমে দশ পীর" কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার হাতে নাতে প্রমাণ মিলত খাতা দেয়ার পর । পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষা করেছেন যে শিক্ষক তার অনুসারী মুরিদান ব্যাতিত অন্য কারও কপালে নেমে আসত অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ।
শৈশবকাল থেকেই গলাধঃকরণ আর উগড়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় আমার প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র । সে কারণেই কারও বাইয়্যাত গ্রহনের সৌভাগ্য কখনও আমার হয়নি । তারপরও জীবন বাঁচানোর স্বার্থে পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে অসংখ্য স্তুতিবাক্য সম্বলিত পান্ডুলিপি প্রস্তুত করতে হত । একেবারেই তাৎক্ষণিকভাবে লিখতাম বলে , মস্তিষ্কের উপর ঝড়ের সময়কালটা কেবল পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই আবদ্ধ থাকত ।
উত্তর লেখার পূর্বশর্ত ছিল লেখক বা কবির লেখকী ঢংয়ের তুমুল প্রশংসা , তার চিন্তাধারার জয়োধ্বোনি , কাব্যিক প্রতিভায় মুগ্ধ হওয়ার অবিরাম ভান করে চলা ।
মধ্যযুগীয় কবি আলাওল , শাহ মুহম্মদ সগীর যে কি অসম্ভব জনপ্রিয় তার প্রমাণ মিলত পরীক্ষার খাতায়। মনোমুগ্ধ পাঠক হওয়ার দাবী করে বিহ্বল হতাম, লিখতাম তাদের মানবিক প্রেমাপখ্যানের কথা ।আহ্লাদিত হয়ে উঠতাম আরাকান রাজসভায় আলাওলের বাংলার জয়গানের কথা বলে । শিল্পমূল্যের বিচারে কেউবা তাদের আখ্যা দিত সহস্রাব্দের বাংলা কাব্যিক জাগরণের অগ্রপথিক হিসেবে ।
প্রয়াত স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লেখা বেগম সুফিয়া কামালের "তাহাকেই পড়ে মনে" কবিতাটির আলোচনাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো চাপা মাতম শুরু হত । কবির স্বামীকে হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ কিশোরেরা শক্ত চোয়াল আর মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে লিখে যেত তাদের হৃদয়ের গভীর ক্ষতের কথা । শোকের তীব্রতায় কাতর হয়ে পড়ার লক্ষণ মিললেই কেবল ভাল নম্বরের আশা করা যেত , এমন চাপ বিরাজ করত পুরোটা সময় ।
ফররুখ আহমেদের লেখা কোন কবিতার প্রশ্নোত্তর আমাদের স্থলভাগ ছাড়িয়ে নিয়ে যেত অকূল সমুদ্রে । উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে আমরা সহসা আঁধার দেখতে পেতাম । তীব্র গর্জনে শোনা যেত কিশতির মাস্তুল ভেঙে পড়ার আওয়াজ । তসবির , মার্জান , মর্মর , দরিয়া সহ উজাড় করে দিতাম আরবী ফার্সি ভাষার সমস্ত প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক শব্দ । আকুতি জানাতাম পাঞ্জেরিকে সে যেন দিক দেখায় ।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই সবাই মোহাবিষ্ট হতাম তাঁর ছন্দের জাদুতে । সুজনেরা তার দু'একটি ছন্দ তুলে দিয়ে বিরাট বিস্ময়ের ঘোরে আবদ্ধ হয়ে পড়ত ।
কেউ লিখত :
পাষাণেরা স্নেহধারা!তুষারের বিন্দু
ডাকে তোরে চিত-লোল উতরোল সিন্ধু ।
এভাবে উত্তরের অর্ধেক জুড়ে থাকত তার ছন্দের প্রশংসামালা ।
সুকান্ত ভট্টাচার্য কবিতায় কি লিখেছেন সেটার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর অকাল প্রয়াণের কথা । তার অকাল মৃত্যু বাংলা সাহিত্যাঙ্গন কি অসম্ভব ক্ষতির শিকার সে কথা লিখতেই লেগে যেত ২/৩ পাতা । মূল আলোচনায় থাকত বিদ্রোহ , শেকল ভাঙার প্রতিজ্ঞার শপথ । সুকান্তের কবিতার উত্তর লিখলে নজরুলের কবিতার উত্তর লেখাটা ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করতাম । পরীক্ষার খাতায় তাদের দু'জনের বিদ্রোহের কাঠামো ছিল হুবুহু একই রকম , দু'টো প্রশ্নের উত্তরকে আলাদা সত্ত্বা দিতে গিয়ে পেঁচিয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল প্রবল ।
নজরুলের কবিতার উত্তর লিখতে গেলে কবিতার প্রসংগে কথা বলা হত কদাচিত । পরাধীনতা , অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ , মানবমর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনাবোধ সমন্বিত করণের কথা বলতে গিয়ে সময় ফুরাতো । অকুতোভয় বলিষ্ঠ যে নেতৃত্ব কবি খুঁজে গেছেন , সে কথা পুনরোল্লেখ করে নেতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপর কখনও বা বিরাট ভাষণ দিয়ে ফেলতাম। বাংলাসাহিত্য গগনে তাকে তুলনা দেবার নক্ষত্র খুঁজে বের করতে কেউ কেউ হত হয়রান ।
কবিগুরুর কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে মূল লক্ষ্য থাকত উপাধির ভারে কবিকে কোণঠাসা করে ফেলা । সে আলোচনায় বিশ্বদরবারে বাংলা সাহিত্য , গৌরব , সৃষ্টি আকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু হয়ে চলে যেত জ্যোতির্বিদ্যার দিকে । কেউ বলতাম রবি , কেউ ডাকতাম নক্ষত্র , কেউবা বাংলা সাহিত্যের দরবার দেখতে গিয়ে চোখে ছায়াপথ দেখতাম , রবিবাবু সেখানে উজ্জল জোতিষ্ক হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ।
আল মাহমুদ বা শামসুর রাহমান যে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় দু'জন কবি সে কথা লিখে লিখে শিক্ষকদের রীতিমত বিরক্ত করে ফেলার আপ্রাণে প্রয়াসে মত্ত হত সবাই । ক্লাশের যে ছেলেটি সারাটি বছর ফাঁকি দিয়ে শেষমেশ আল-মাহমুদ বা শামসুর রাহমানের কবিতাটি রিডিং পড়ার সময় পায়নি সেও বিরাট ভূমিকায় লিখত স্বাধীনতা শক্তি বা শৌর্য অবলোকনে এ দু'জন কবির বলদীপ্ততার কথা । দীর্ঘ ভূমিকা শেষে তুলে দিত তার একমাত্র সম্বল মুখস্থ দু'টি লাইন .......
স্বাধীনতা তুমি
ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি ।
স্বাধীনতা তুমি
চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ ।
কায়কোবাদের কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সিংহভাগ সময় কাটতো তার মহাকবি হওয়ার মহিমা , আর তাহার কাব্যিক শক্তির ব্যবচ্ছেদ নিয়ে । শিক্ষকরা কিছু বুঝতে না পেরে নম্বর দিয়ে ছেড়ে যেন দেন , সে উদ্দেশ্যে দুর্বোধ্য ভাষায় লেখার চেষ্টাটা থাকত পুরোদমে ।
জসিমউদ্দিনের কবিতার উত্তর লেখার আগে হুহু করে গাঁয়ের জন্য কেঁদে উঠতাম । বাঁশীর সুর , রাখালের গান আর অনন্ত সবুজের বর্ণনায় মুল প্রসঙ্গ থেকে সরে যেতাম বহু ক্রোশ দূরে ।
আহসান হাবীব , সৈয়দ আলী আহসান , আব্দুল কাদির কমবেশি তারুণ্যের জয়গান গাইতেন । তাদের কবিতার উত্তর লেখার প্রারম্ভেই সদলবলে বার্ধক্য , জরা , হতাশার উপর ঝাঁপিয়ে পড়া হত ।
যাদের স্মৃতিশক্তি ভাল , তারা অনেকগুলো কবিতা আগা-গোড়া ঠোঁটস্থ করে যেতেন , উত্তর লেখার ফাঁকে ক্ষণে ক্ষণে কবিতার দু'চারটি লাইন ঝেড়ে দিতেন ।
মুখস্থ করতে পারি না বলে আমাকে ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হত । শেষমেশ দাঁতে দাঁত চেপে কবিতা থেকে দু'টো গিলে যেতাম । কায়কোবাদ বাংলার সবুজ প্রকৃতির কেমন বর্ণনা দিয়েছেন , এমন প্রশ্নের জওয়াবে ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করতাম হাওয়ায় কি করে গাছের পাতা নড়া , গাছের তলায় কিরুপ শীতলতার সন্ধান মেলে , তারপর ছুঁড়ে দিতাম আমার মোক্ষম হাতিয়ার নীলমনি অপ্রাসঙ্গিক দু'টো লাইন
বাংলার হওয়া , বাংলার জল
হৃদয় আমার , করে সুশীতল
এত সুখ-শান্তি , এত পরিমল
পরীক্ষায় নম্বর নির্ধারিত হত অনেককিছুর উপর ।মোটা খাতায় নম্বর বেশি , এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে কেউ কেউ প্রতি পৃষ্ঠায় দানা দানা আকৃতির ৩/৪ টির বেশি শব্দ লিখতে অস্বস্তি বোধ করত । কবিকুলের প্রশংসায় সবচাইতে তেল চুপচুপে খাতার নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত বেশি । বাজারে গাইড বই থেকে যারা উগড়ে দিত , তারা ভয়ে থাকত একাধিক জনের তেল কমন পড়ে যাবার । এক শিক্ষকের সরবরাহকৃত তৈল সামগ্রী অন্য শিক্ষকের আগুনে ঘি হয়ে জ্বলে উঠত । সে কারণে এক শিক্ষকের মুরিদানরা আতঙ্কিত হত অন্য শিক্ষকের রোষের শিকার হওয়ার ।
এত আয়োজনের পরও বাংলায় নম্বর পাওয়া ছিল জগতের দুষ্কর কাজগুলোর অন্যতম । ইন্টারমিডিয়েটে পরীক্ষায় পুরো বাংলাদেশের মাটিতে একজন মুরিদও লেটার পাবার মত যথেষ্ট মন গলাতে সক্ষম হত না ।
পীরদের প্রতাপ আগের মত নেই , মুরিদানদের এখন তারা দোয়া করেন দু'হাত ভরে । বাংলা পরীক্ষায় লেটার প্রাপ্তদের আজ দেখা মেলে আনাচে কানাচে , পথে প্রান্তরে ।তারা আজ কাতারে কাতারে , বিপুল পরিমাণ , বেশুমার ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:১৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: রাগিব ভাই , আমিও সেই একই পথের যাত্রী । তখন মাঝে মাঝে আফসোস হত কেন নোট করি না , মুখস্থ করতে পারি না এসব ভেবে । এখন ভাবলে দারুণ আমোদিত হই ।
আমার হাতের লেখার ছিল বেশ চমৎকার , কিন্তু চরম স্লো । শেষমেশ একজন শিক্ষক পরামর্শ দেন তাড়াহুড়া করে লেখা খারাপ করে ফেললে দু'কূলই হারানোর সম্ভাবনা আছে , তাই লেখাটা সুন্দর রেখে অল্প লিখেছি ।
পরীক্ষায় লিখতে লিখতে কোন কঠিন বাংলা শব্দ মাথায় আসলে সিস্টেম করে সেটা ঠিকই কোন না কোন লাইনে ঢুকিয়ে দিতাম
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:২৬
রনি রাজশাহী বলেছেন: হ ভাই। আমিও একই ভূমিকা লাগাইতাম সব প্রশ্নে।
এ পিলাচ পাইছিলাম...............
হি......... হি্............... হি.....................
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন:
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বাংলা কি জিনিস সেটা হাড়ে হাড়ে সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছে , এসএসসি ০১ / ইন্টার ০৩ এর ছাত্রছাত্রীরা । টিচাররা আগের স্টাইলেই খাতা দেখার কারণে গ্রেডিং সিস্টেমের প্রথম ব্যাচটায় এ+ এর রীতিমত খরা ছিল
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:২৯
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: আমাদের সময় বাংলা অন্যতম কঠিন পেপার ছিলো .. .. আমি স্টার পাই নাই বাংলায় , কোনদিন আশাও করি নাই।
এখনো মনে আছে বাংলাটা সবচেয়ে ভীতিকর না হলেও কমও ছিলো না ।
মেহরাব ইন্টার কোন ব্যাচ ?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমি ইন্টার ০২ ব্যাচ , গ্রেড পয়েন্ট আসার আগে শেষ ব্যাচ ।
কথা ঠিক , কেউ আশাও করত না । ইন্টারে কেউ দুই পেপার মিলিয়ে ১৪০ পেলে দশদিকে নামডাক হয়ে যেত । এসএসসিতে অবশ্য লেটার পাওয়া যেত , তাও খুব কম ।
ভীতিটা ছিল অন্য জায়গায় । কে কত পাবে কিছুই বুঝার উপায় ছিল না । ভাল বাংলা পরীক্ষা দিয়েও দেখা যেত কোন সেন্টারের সবাই পাইসে ৬০/৬২ । অন্য সেন্টারে পাইসে ৭০/৭২ ।
আমাদের স্কুলে আমাদের আগের ব্যাচে রেজাল্ট বিপর্যয় হইল , যেখানে প্রতিবছর ১৫/২০ টা স্ট্যান্ড করে সেবার করল মাত্র ২ টা । মার্কস আসার পর দেখা গেল , স্কুলের টপ ১৫ জন ছাত্রের সাবজেক্টিভে হায়েস্ট মার্ক ৫০ এ ২৪
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪০
মিঠাই বলেছেন: হালাই হাতের লিখা যে স্লো ছিল, বাংলা ফার্স্ট পেপার আর ভুগোল পরীক্ষার দিন গাও কাঁপায়া জর আসতো। এহন চিন্তা করতেসি, এমনে কম্পুটারে বাংলা টাইপের সুযুগ পাইলে লেটার ঠেকাইতো কিডা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বাংলায় ৫০ অ্যান্সার করা আমার জন্য রীতিমত অবিশ্বাস্য ব্যাপার ।সময়ের অভাবে সবসময় ৪৬ অ্যান্সার করতে হত । প্রশ্ন দেখতাম কেবল একবার , প্রশ্নের দিকে সেকেন্ড টাইম তাকানোরও সুযোগ হত না ।
দুইবার এমন ঘটনা ঘটেছে যে এক কবিতার ব্রড কোশ্চেনের বদলের আমি অন্য কবিতার টা লিখে আসছি । ভাল করে প্রশ্নও পড়ে দেখি নাই । পরীক্ষার পর আঙ্গুল নাড়াতে পারতাম না , কলম ধরতাম খুব শক্ত করে , ফলে আঙ্গুল বাঁকা ত্যাড়া হয়ে একটা আরেকটার মধ্যে ফিক্সড হয়ে যেত
বাংলা পরীক্ষা নিয়ে বেশ কয়েকটা দুঃস্বপ্নের কথাও মনে পড়ছে
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৪
মিঠাই বলেছেন: কুমিল্লা বোর্ডের মফসলের পুলাপান ধরা। চিটাগং কুমিল্লা বা সিলেটের বড় শহরের বড় স্কুলে মফসলের খাতা গেলে গড়ে বেম্বু খাইতো সব। আর বড় স্কুলের খাতা আইলে মফসলের পরিক্ষকরা নেংটি ইন্দুয়রের মত ডরে ডরে বেশি মার্ক দিত, যাতে পরের বার আবার খাতা পাওয়ার সুযুগ না হারায় বা বেম্বু খাওনের পরিস্থিতি না তৈয়ায়ার হইয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চিটাগাং বোর্ডে মার্কস কম আসত , মনে আছে ।
এখন অবশ্য চেইনজ হয়ে গেছে , চিটাগাংয়েই রেজাল্ট ভাল হয় বেশি
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬
বিডি আইডল বলেছেন: রাগীব ওই ৫ জনের মধ্যে আমি ছিলাম
পুরো চাপাবাজির উপর দিয়া আর পপি গাইডের নোট পড়ে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ইয়ে আমিও ,
:!> :#> , আমার অবশ্য ঢাকা বোর্ড , ২০০০ সালে
কি যে লিখছিলাম আমি জানি আর আল্লাহ মাবুদ জানে , এখনও ভাবলে জিভ কাটি ।
ইংলিশে লেটার পাওয়াও কঠিন কাজ ছিল , ওখানে লেটার পাই নাই
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭
মিঠাই বলেছেন: আরে বিডি আইডল দেখি হীরকখন্ড, বাংলায় লেটার?
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫১
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ম্যাবস এর নোট পড়ে তখন আমরা বাংলা সমাজ ধর্ম পার করেছি। আর শেষে গ্লোব টেস্ট পেপারের সাজেশন রীতিমত ভেজে খেয়েছি। ফার্স্ট পেপারের দিন আমাদের এক্সাম হল গভঃমেন্ট ল্যাব স্কুলে আসলেন এম পি হাজি সেলিম। এম পি সাহেবের বডিগার্ড এর দিকে ৫-৬ মিনিট হা করে তাকায় থাকার ফলাফল একটা ব্যাখ্যা লিখতে না পারা! তারপর ভুয়া জিপিএ সিস্টেমের প্রথম ব্যাচ আমরা।রেসাল্ট হবার দিন সকালেও জানিনা কি ফিগার আসতে পারে। যথারীতি বাংলা ছাড়া সব কিছুতে এ প্লাস। এখনো অনেক বাংলা বানান জানিনা ! কিন্তু সারাজীবন বাংলা পদ্য বইটার পদ্য গুলোর কথা ভুলবনা।
এবার আমাদের পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য এস এস সি দিচ্ছে। সকালে বাংলা পরীক্ষা দিতে যাবে, কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম থেকে বাংলা মিডিয়ামে আসার কারনে ও খুবি দুর্বল বাংলা লেখাতে। কিছুটা টেনশন হচ্ছে।
আপনার লেখাটা পুরোণো কত কিছু যে মনে করিয়ে দিল!!!ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: উপরে দেখুন আপনার কথাই লিখেছি , বেচারা ব্যাচ
আমাদের লেটারের খোঁজ কেউ রাখে নাই । কিন্তু জিপিএ-৫ এর এখনকার জলোচ্ছাস দেখলে ম্যাট্রিকে'০১ এর জন্য একটু খারাপই লাগে । ৪.৫ পেয়েছিল বেশিরভাগ ।
বাংলা পদ্যে একবার আসলো আব্দুল কাদেরের জয়যাত্রা , আর আমি সূচনায় কবি আহসান হাবীবের বিরাট প্রশংসা করলাম , কখনও ভুলব না সেটা । সাজেশন না দেখার বদ অভ্যাসটা আমি কোনও দিনও আর দুর করতে পারিনি । বাংলায় অবশ্য ভয় লাগত না একদম , মনে জোর ছিল , কারণ চাপা ছাড়া আমার কোন সম্বলই ছিল না
আমাদের পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য গতবার এসএসসি দিল , ওকে দেখে মনে হল যে এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে ।
আপনাদের কনিষ্ঠ সদস্যের জন্য শুভকামনা রইল অনেক অনেক
শুভেচ্ছা আপনাকেও
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫১
রনি রাজশাহী বলেছেন: Congrats বিডি আইডল ভাই।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৪
মিঠাই বলেছেন: আমার স্লো হাতের লিখা টেনশানে আরো স্লো হইয়ে যেত। আর আংগুলের বেথা, উহ! শালার কি সময়টাই না পার করসি লাইফে। এখনো ্সপ্ন দেখি বাংলা পরীক্ষার একদিন আগেও কোন কবির কোন কবিতা সেইটাই জানি না। উহ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চিটাগাংয়ে খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম ২০০০ এ । এক রাতে স্বপ্ন দেখলাম বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছি , অনন্তসময় ধরে চললো সেই পরীক্ষা , প্রাণপণে লিখলাম । ঘন্টা যখন বাজল ৫০ এর মধ্যে ২০ উত্তর করেছি আমি ।
খানিক পর ঘুম ভাঙলো , আমার সারা শরীরে ব্যথা
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৭
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: এখন মনে পরলো যে আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষার সময় "গ্লোব" না , "কম্পিউটার" টেস্ট পেপার টা পড়েছিলাম !এক্সট্রা ছিল আদিল এরটা ।
গ্লোব কিনেছিলাম ইন্টার এর সময়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমাদের স্কুলেও আদিল গাইড সাজেস্ট করেছিল । গাইডটা আসলেই ভাল ছিল যতদূর মনে পড়ে ।
সাবজেকটিভ অংশে যেহেতু টেস্ট পেপার দেখতাম না , তাই ইন্টারে আর টেস্ট পেপার কিনি নাই ।
কোন স্কুলে ছিলেন আপনি ? ঢাকার কোন স্কুল ?
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০১
মিঠাই বলেছেন: বাংলা রচনা কম্পুটার মুখস্থ করসিলাম। সেইটা ইন্টারমিডিয়েটের কথা, পুরানা দিন ১৯৯৫। আল্লাহর রহমতে কম্পুটার কি জিনিস চোখে দেখি নাই মফসলের পুলা হিসাবে। হালাই, কিমনে যে মুখস্থ করসিলাম অই জিনিস, গড নোস।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: খিকজ , আপনাদের আমলে কম্পিউটার ব্যাপক হিট ছিল
আমি নটরডেম কলেজে এসে ইন্টারনেট রচনা পড়তে বাধ্য হয়েছিলাম । এখন ভাবলে রুমের দরজা বন্ধ করে হাসি । হাবিজাবি একগাদা প্রটোকলের নাম মুখস্থ করতে হয়েছিল , যেগুলো লেখার কোন মানেই নাই । স্যার রাও বুঝত না , আমরাও না ।
ম্যাট্রিকে অনেকেই ২০/২৫ টা রচনা মুখস্থ করে গিয়েছিল ।
আমি অনেক গবেষণা করে মুখস্থ করলাম ১ টা রচনা .....বিজ্ঞানের অবদান । সাথে আরও দুইটার পয়েন্ট দেখে গেলাম ...... কৃষিকার্যে বিজ্ঞান আর চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান । আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে পরীক্ষার হলে গেলাম , রচনা লিখতে অনেক কষ্ট হইত ।
প্রশ্ন পাওয়ার সাথে সাথে খুশিতে পারলে লাফ দেই । একটা রচনাও চেনা জানা না , তার মানে কারও কমন পড়ে নাই , হুররে
পরে গালে হাত দিয়ে দিয়ে "গৃহস্থালী কাজে বিজ্ঞান" লিখেছিলাম । কিছুই মাথায় আসে না । ওভেন , টিভি , ফ্যান , এসি , ওয়াশিং ম্যাশিন দিয়ে আর কয় পৃষ্ঠাই বা লেখা যায় ?
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৪
বিডি আইডল বলেছেন: মিঠাই বলেছেন: আরে বিডি আইডল দেখি হীরকখন্ড, বাংলায় লেটার?
বেয়াকুফ ভাই...পপি গাইডের নোট দিয়া কেমনে লেটার পাইলাম সেটা আমার কাছেও রহস্য...ইতং-বিতং বানাইয়া লিখতাম...৩ মার্কের জন্য ইংলিশ টা মিচ করছি...নচেৎ সবই লেটার আচিল
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৯
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ০১ এস এস সি আর ০৩ এইচ এস সি , আমরা ব্যাচটাই গিনিপিগ। সব কিছু শুরু হয় আমাদের দিয়ে ,নতুন সিলেবাস ,নতুন সিস্টেম। ফোর্থ পেপার এর নাম্বার যোগ হবেনা দেখে বায়োলজী পড়া বাদ দিলাম! এম্নিতেও বোরিং জিনিশ লাগতো ! তারপর বুয়েট এ বিশাল ধরা খাবার পর এতিম অবস্থা ,কই পড়বো !! প্রথমবারের মত নিয়ম... সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা কোথাও দেয়া যাবেনা। মেডিক্যালের কিছুই জানিনা ,ইচ্ছাও ছিলোনা আর ঢাবির প্রতি ছিল চরম বিতৃষ্ণা। কি কি নতুন নতুন নিয়ম আসে , সেই ভয়ে অস্থির থাকতে হতো আমাদের। এখনো আমরা নিজেদের কুফা ব্যাচ বলি। যেখানে এখন পড়ছি ,সেখানেও নতুন সিলেবাস আর নতুন কোর্স পদ্ধতির শুভ উদ্ভোদক আমরা।
আগের কথা ভাবলে হাসি ই পায়। শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে হাসি পায়। কি পরিমাণ সিরিয়াস ছিলাম পড়াশুনায় তা ভাবলেও হাসি পায়। সেই সিরিয়াসনেস এর কিছুই আর অবশিষ্ঠ নেই ! :-)
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হায়রে , আমার দুঃখে কান্না আসে । সেই আমলেও আমি খামখেয়ালি ছিলাম , কিন্তু সেটাও এখনকার চাইতে ১০০০ গুণ বেশি সিরিয়াস ।
আমার প্রচন্ড হাসি পায় অন্য কথা ভাবলে , ছেলেদের কেউ কেউ নোট লুকিয়ে রাখত , কেউ কেউ বই লুকিয়ে রাখত । মেয়েদের বেলায় এটা হওয়ার কথা আরও বেশি
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৩
ম. রহমান বলেছেন: কে তুমি উৎসক পথিক! শুনিবে আমার বাংলার কথা... কেহই তো ইতিপূর্বে আমার বাংলা বিষয়ের কথা শুনিতে চাহে নাই... দেখ সেই ইন্টারমিডিয়েটে কুবেরের চরিএ লিখে ইনভিজিলেটরের মন জয় করেছিলাম কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শিক্ষকের মন জয় করতে পারিনি...তাই চিঠিপএ পাওয়া তো দূরের কথা, কাছাকাছি যেতে ও পারিনি...
(উপরের অংশটুকু একটি বিখ্যাত বইয়ের একটি রচনা কে কপি করা হয়েছে)...
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চমৎকার হয়েছে
একটি গাছের আত্মকাহিনী ?
নাকি একটি পথের আত্মকাহিনী ?
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৫
অন্যকোথাও বলেছেন: এস. এস. সি. এর আগে স্কুল এ টেস্ট পরীক্ষায় বাংলা রচনায় ২০ এ ১৫ পাইছিলাম। রচনায় হাইয়েস্ট মার্ক। সেকেন্ড হাইয়েস্ট পাইসিলো ৬। আমার সাফল্যের রহস্য জানতে চান?
বাংলা ম্যাডাম আসিলো স্কুলের লাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট ইনচার্জ এবং (মাহশাল্লা) নাদুস-নুদুস। তাই একটু রিস্ক নিয়া ২৩ পৃষ্ঠার "নৌকাভ্রমন" রচনার মধ্যে ১৭ পৃষ্ঠাই ব্যয় করসি ভ্রমনকালীন খাওয়া-দাওয়ার বিশদ বিবরণ দিয়া। ফলাফল হাতে-নাতে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হাসতে হাসতে হাত পা .....
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: এইটা ঠিক আমাদের সময়ে চট্টগ্রামের টিচাররা একদম নাম্বার দিতে চাইত না। এস ইফ তাদের পকেট থেকে দিতে হইত।
ক্লাস নাইনে থাকতে বাংলাতে ফেল করসিলাম। ১২/৫০। ফাইনালে আমি কোনরকম সত্তরের কৌটায় পোছাইছিলাম। এ্যকাউন্টিং এ বোর্ডে সর্বোচ্চ নাম্বার পাইছিলাম।
আমার মত আমার বোন গতবারের পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়তে এ পাইছে। এই একটার জন্য গোল্ডেন এ+ টা মিস করল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: খিক
আমি একবার আব্দুল কাদেরের কবিতায় আহসান হাবীবের প্রশংসা করসিলাম ,৭ মার্কের ব্রডকোশ্চেনে ০ পেলাম , ফুল অ্যান্সারও করতে পারি নাই , ৪/৫ ছাড়তে হল । শেষমেশ কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল
আমার কানের পাশ দিয়ে একবার গুলি গেছে , ১৭/৫০
এসএসসিতে বাংলায় বেশ ভালই মার্কস ছিল , অবজেক্টিভে ৫০/৫০
১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছোটবেলার কতা মনে পৈরা গেল।ক্লাস ওয়ানে থাকতে গরুর রচনা মুকস্ত করার প্রানান্তকর চেষ্টা।মুকস্ত সিস্টেম এমুনভাবে গাঁইথা বইছিলো,যে কমন না পড়া প্রশ্ন এক লাইন ও লিকতে পারতামনা।পরে সিনারিও চেন্জ হৈছে।ইন্টার পরিক্ষার সময় বাংলা রচনা একটাও পইড়া যাইনাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: , ক্লাস ৫ এর আগে স্কুলে ভর্তি হই নাই । তবে গরু রচনা মুখস্থ করেছিলাম ।
৮ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে রচনা মুখস্থ করতেই হত । নাইনে এসে সিলেবাস ওপেন হয়ে গেল , তারপর থেকেই চাপার জোর দিয়ে চালিয়েছি । যেসব কোশ্চেন একদমই চেনা থাকত না , সেগুলো লিখতাম সবচেয়ে বেশি । এই চাপা , সেই চাপা । অঢেল সময় থাকলে ঘন্টার পর ঘন্টা লিখে যেতে পারতাম
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৮
রাশেদ বলেছেন: খাইছে! বাংলা লেটারধারীও দেখি আছে এইখানে।
আমি মেট্রিকেরটা মনে নাই। ইন্টারে দুই পেপার মিলিয়ে ৯৬ বা ১০৫ মনে হয় পাইছিলাম।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এইখানে তো বেশিরভাগই পিচ্চি পোলাপাইন , তাদের সবারই লেটার আছে । তবে বিরল কিছু লেটারের দেখা মিলল , রাগিব ভাই , বিডি আইডল ।
গ্রেড সিস্টেম চালু হওয়ার আগে বাংলা বিহার উড়িষ্যায় ইন্টারে বাংলা লেটার মসনদে আসীন কোন নবাবের খোঁজ পাওয়া কি সম্ভব কিনা খুঁজছি
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪০
রাশেদ বলেছেন: আমাদের ইন্টারে বাংলাতে রচনা আসছিলো আনকমন একটা। তিতুমীরে সিট পড়ছিলো দেখে সমস্যা হয় নাই। কয়েক বন্ধু মিলে আলোচনা করে লিখেছিলাম (আস্তে আস্তে অবশ্য)।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার কপাল চরম খারাপ , আমার বেঞ্চ , সামনের , পেছনের তিনটাই ছিল মেগা সাইজের বেঞ্চ , কিন্তু বসেছি দু'জন করে । চক্ষুলজ্জার কারণে দেখাদেখির অ্যাটেম্পট নেয়া যায় নাই
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪৭
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: পড়াশুনা নিয়ে মেয়েরা সব সময় ই একটু বেশি ই সিরিয়াস, কিন্তু যেটা হয়,যত গর্জে তত বর্ষে না!! তেমন সিরিয়াস আমিও সেই বয়সে ছিলাম। অন্যরা আমার চে বেশি পড়ে ফেলছে ,ভাল স্যার এর নোট পেয়েছে অমুক , তমুকের এক্স বার রিভিশন দেয়া শেষ , এসব নিয়ে পরশ্রীকাতরতায় ভোগা ,এগুলা মনে হয় স্বাভাবিক প্রবনতা! কলেজ পর্যন্ত মেয়েরা তখন পড়াশুনার বাইরের দুনিয়াটা কম ই দেখার সুযোগ পেত। এখনের ব্যাপার আলাদা। তবে ব্যাসিক্যালি কোন একটা কিছু শেখার ব্যাপারে ছেলে আর মেয়েদের পদ্ধতিতে ভালই পার্থক্য !
এখন আমার ভাইদের আমার পাচ ভাগের একভাগ পরিশ্রম করে এ প্লাস পেতে দেখছি।
তবে আফসোস হয়না আর এ জন্য যে অনেক বেশি চড়াই উতরাই যেকোন মানুষের চিন্তা ভাবনাকে অনেক ডাইমেনশন দেয় ,অনেক স্মার্টলি ভাবতে শেখায়। স্বাভাবিক ভাবেই তার দক্ষতা তো অন্যদেরচে বেশি হবার কথা !!!! :-)
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এসএসসি , এইচএসসির রেজাল্ট ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া ছাড়া পরবর্তী জীবনে আর কোনই কি প্রভাব ফেলে ? আমার তো মনে হয় না । ভার্সিটি লাইফটা একদমই ডিফারেন্ট , একদম নতুন করে সবকিছু শুরু হয় । দুঃখের ব্যাপার হল , লাইফটা যত সিরিয়াস হতে থাকে , আমাদের আচরণ তার সাথে সাথে লাইট হতে শুরু করল যেন ।
আপনাকে অন্য প্রসংগের একটা গল্প বলি :
এসএসসি রেজাল্টের পর কয়েকজন গার্জেন এসেছিলেন নোট সংগ্রহ করতে । এক আন্টির কথা মনে আছে , যিনি তার মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন । আমি যখন বললাম , আমার কাছে কোন বাংলা নোট নেই , এমনভাবে তিনি তাকালেন যেন আমি জগতের সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী । মনে মনে ভাবছিলাম আন্টি আর উনার মেয়ে আমাকে কত বড় হিংসুটে ভাবছেন
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:২৭
সূর্য বলেছেন: ২০০৯ এর সেরা পোস্ট।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৩২
টুশকি বলেছেন: আমি মেট্রিক পরীক্ষা দি নাই এখনো। এসএসসি, এইচএসসির বাংলা বই অবশ্য পড়া আছে, ভাইয়া আপুদের বই নিয়ে পড়েছি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনি না স্টোনি ব্রুকে ? :-০
এসএসসি দিয়ে আপনার কাজ নাই
২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: টুশকি বলেছেন: আমি মেট্রিক পরীক্ষা দি নাই এখনো। এসএসসি, এইচএসসির বাংলা বই অবশ্য পড়া আছে, ভাইয়া আপুদের বই নিয়ে পড়েছি। এ্যা????
টুশকি কোন ক্লাসে পড়?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ইমন সাবধান ,
টুশকি স্টোনি ব্রুকের
২৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৮
নুশেরা বলেছেন: চমৎকার লেখা; যথারীতি মেহরাবীয়। রম্য হলেও বড় কঠিন সত্য আছে লেখাটাতে।
আমি তো বহুযুগ আগের পরীক্ষার্থী। এসএসসির কথা মনে নেই, এইচএসসিতে বাংলা দুই পেপারে ৬৮+৭২ পেয়েছিলাম। এটা মনে থাকার হল সেবছর কুমিল্লাবোর্ডে নাকি এটা বাংলার হাইয়েস্ট মার্কস ছিল, আর সেজন্য রগকর্তনে বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন একটা গ্রুপের কোচিং সেন্টার থেকে আমাকে বাংলা পড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নুশেরা আপু , অ্যাটেনশন প্লিজ
"ইন্টারে কেউ দুই পেপার মিলিয়ে ১৪০ পেলে দশদিকে নামডাক হয়ে যেত ।"
দেখেছেন তো ??আপনিও ১৪০ , আর নামডাক !!
আমার কথা একদম হাতে নাতে ফলে গেল
অনেক অনেক ভাল লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে । নতুন লেখা দেবেন না ? আপনিও দিনে দিনে আমার মত টেস্ট ব্যাটসম্যান হয়ে উঠছেন
২৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০০
রাগিব বলেছেন: @বিডি আইডল, হা হা, ঐ ৫ জনের মধ্যে আমি আর জারিয়া ২ জন ছিলাম, তুমি সহ দেখি ৩ জন বেরিয়ে গেলো। ... বাকি ২ জনকেও চিনি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: রাগিব ভাই , নিচে আরেকজনকে পাওয়া গেছে , পুরো রুপকথা
২৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০৯
ম. রহমান বলেছেন: আমার সবচেয়ে আদুরের আম্মু যে ১২ বছর আগে আমার পরিক্ষার মাঝে ওর আম্মু কে ভুলে এক মাস আমাদের বাসায় ছিলো, তখন ওর বয়স ছিলো মাএ ৪ বছর... সব সময় বলতো মামার পরিক্ষা শেষ না হলে আমি বাসায় যাবো না... ও এবার এস.এস.সি দিচ্ছে...আম্মু, তোমার পরিক্ষার মাঝে যেতে পারলাম না হাজার হাজার মাইল দূরে থাকার সুবাদে...আজকের পরিক্ষার জন্য দোয়া করবেন আমার আম্মুর জন্য...আজকের উপর ই নাকি নির্ভর করছে ওর সোনালী এ প্লাস...!!!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দোয়া থাকল , আপনার আম্মুর জন্য । এত দূর থেকে যে মামা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে , তার স্বপ্ন সত্য হোক
২৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১১
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: বাংলা মানেই কাব্যিক চাপাবাজি! নানা কাব্যময় চাপা মেরে খাতা ভড়ার মহড়া!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন:
ইসলামিয়াতেও বাংলা নোটের ভাষা প্রয়োগ করতে শুরু করেছিলাম এক সময়
২৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১৫
অ্যামাটার বলেছেন: হুমম...অনেক দিন পর এরকম একটা লেখা পেলাম...!!
মেট্রিকে বাংলা ১মপত্র...আহা...কত স্মৃতি...
সত্যি বলতে কি...স্কুলে এই নির্দিষ্ট পত্রের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়াটা ছিল সবচেয়ে এন্টার্টেইনিং...অন্যগুলোর মত মাথা জ্যাম হয়ে থাকত না...
আর পুরো পরীক্ষাটাই চালাতাম দৃশ্যমান প্রত্যক্ষ ও অদৃশ্যমান পরোক্ষ চাপার উপর দিয়ে...
যে কোনও ব্যাখ্যা আর কবিতার বড় সব প্রশ্নের প্রথম দু'-একটা লাইন একটু বলের লাইনে ব্যাট রাখার চেষ্টা করতাম, প্রথম ওভারটা পার হলেই শুরু কর্তাম মনের মাধুরি মিশিয়ে সাহিত্যকম্ম এখনও বিশ্বাস করি আমর সাহিত্যযজ্ঞের নীচে চাপা পড়ে পরীক্ষক যে শুধুমাত্র প্রথম প্যারাটা পড়ার পর বাকি অংশটাতে আর চোখও বুলাতেন না....
আর পরোক্ষ চাপাটা ছিল লেখার ফন্ট!! ঢাউস সাইজের ফন্টে লিখে সেই দিন 'স্যার/ম্যাম ল্যুজশিট' ডাকে ইনভিজিলেটরকে এতই ব্যাস্ত রাখটাম, যে সেইদিন মনেহয় বেচারাদের জ্বর আসত...
তবে আমার চাপাগুলো বৃথা যায়নি, একখানা 'তারকা' আদায় করিয়াছিলাম, চামে এক্টু নিজের ঢোল পিটাইলাম যদিও পরবর্তী পাবলিক পরীক্ষাতে আমার এই প্রত্যক্ষ & পরোক্ষ চাপাও যথেষ্ট ছিলনা তারকা আদায় করতে
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কনগ্র্যাটস
বাংলা পরীক্ষার হল মানেই .......লুজ শিটের মেলা , হাহাহা
৩০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২২
বিডি আইডল বলেছেন: @রাগীব..জারিয়াও ছিল ওই লিস্টে!
আমি জানতাম না মাত্র ৫ জন পেয়েছে লেটার..তবে সেবার প্রশ্নফাসের কারনে বেশ কড়াকড়ি হয়েছিল মনে হয় মার্কিং এ।
৩১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩৯
ম. রহমান বলেছেন: দেখি আমার লিস্টে কেউ আছেন কি/না???
এস.এস.সি তে ১ টা পরিক্ষা ২ বার দিছি( ১মাসের মাঝে)... একটু বিরক্ত লাগছিলো ২য় বার দেবার সময়...
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কি ?
৩২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৫
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: বাংলা সাবজেক্টটা কখনও ভালোভাবে পড়া হয়নাই ... এসএসসি পর্যন্ত সব প্রশ্নের উত্তরে কি কি পয়েন্টে আলোচনা করবো তার একটা লিস্ট লেখা থাকতো খাতায় ... গল্প তো পড়া থাকতোই ... হলে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতাম ...
এক ঘরমে দশ পীর প্রসঙ্গে মনে পড়লো ... আমাদের ব্যাচে বাংলার একপীর ধরা খেলেন, মানে সেবছর ক্লাস টেনের আর কেউ তাঁর কাছে পড়তে গেলোনা ... ফলাফল হইছিলো প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় বাংলার সাবজেক্টিভে সবাই ফেল ... ২৫ এ হায়েস্ট উঠছিলো ৬/৭ টাইপের কিছু ... আমি পাইছিলাম সাড়ে তিন
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার দুঃখ , আর দেখেন আমি কত হাসছি , কত জনকে বলেও দিয়েছি আপনার সাড়ে তিন পাবার কথা
৩৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩৭
ওয়ার হিরো বলেছেন: হে হে..
আমি ২ ডাতেই এ পেলাচ পাইচিলাম। তাইলে বুঝেন আমি কিরম তেল দিবার পারি!!!
লেকা কিন্তু আগের মতই জুশ হইছে, মিয়া বাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: গ্রেডিং সিস্টেম আসার পর ইজি হয়ে গেছে , এখন তো ডালভাত
মার্কস সিস্টেমে জিনিসটা আসলেই ভয়াবহ কঠিন ছিল
৩৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩৯
মাহবুব সুমন বলেছেন:
১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন:
৩৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
মাকসুদুল আলম বলেছেন: অসাধারন লেখা।
বাংলায় আমার ভীতি চীরকালীন। মুখস্ত কখনো ধাতে ছিলনা। কাজেই বাংলা কোনমতে পার করা নিয়েই চিন্তা ছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে বাংলা ১ম পরীক্ষার সময় হাত চরম কাঁপাকাঁপি করছিল... প্রথম ৩০ মিনিট তেমন কিছুই লিখতে পারিনি। কোনমতে পার করেছি আরকি।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তোমাকে বাংলা পড়ানোটা পুরো একটা অপচয় ।
তুমি যে লেভেলে টেকনোলজির বস , অন্যদেশে হলে এদ্দিনে তুমি যে কি কি আবিষ্কার করে ফেলতে !!
নাহ , তোমাকে চিরকাল আমি গুরু মানব
৩৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: বাংলা রচনার কথা মনে পড়ে। রচনা আমি কখনো পড়ে যাইনা তবে ট্র্যাকে পড়ে প্রতিবারই। তো আমাডের এসএসসিতে ট্র্যাকে কিছু পাই না। পরে বেছে নিলাম বাংলাদেশের ফুল। যথারীতি নদী রচনায় নদীতে গরু নামিয়ে গরু রচনা লেখারে মত ষড়ঋতুর রচনা লিখে ফেললাম। যার প্রথমেই কবিতা ছিল (অবশ্যই স্বরচিত)
বাংলাদেশের এত ফুল
নাকি দেখার ভুল।
আল্লাহই জানে কার হয়াতে খাতা পড়ছিল কিন্তু তারপরেও নাম্বার ভালাই আসছিল। কিন্তু প্রথম পত্রে আমার জারি ফাঁস হয়া গেছিল যার ফল শুঢু ২৩ সাবজেক্টিভে।
যা হোক মেহরাব, কিছু কথা বলে একটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা ছিল। তার চেয়ে তার মূল কথাটা এখানে বলে যাই। সেটা হলো এযুগে বাংলা পরার যে অবস্থা আমার ছোট ভ্রাতার দেখলাম তা আসলেই আৎকে উঠার মত। জাফর ইকবাল সাহেব গণিত অলিপম্পিয়াড করে বেড়ান অঙক ভীতি দূর করতে অথচ সাহিত্য প্রীতি তৈরি করতে কারো কোন প্রচেষ্টা নেই। অথচ সাহিত্য বেশি জরুরী গণিতের চেয়ে অন্তত সুস্থ ও আলোকিত মানুষ গঠনে। পোস্ট দিবো নাকি? কী বলো?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বাংলাদেশের এত ফুল
নাকি দেখার ভুল।
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল । আমার মত গৃহস্থালী কাজে বিজ্ঞান লিখতে পারতা । পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে , মনে হয়েছিল যে একজন মহামানবের জীবনী লেখা যাইত ।
পোস্ট দাও শিগগির । তবে ডিপ্লোম্যাটিক দাও । লোকে যেন না ক্ষেপে
৩৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
মানুষ বলেছেন: পুরান কথা মনে পড়ে গেল। ব্লগে যারা কবিকুলের গুষ্টি উদ্ধার করে তারা পরীক্ষার খাতায় কি লিখেছিল বড় জানতে ইচ্ছা করে।
গল্প, উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষন নিয়ে মেলা কাহিনী আছে। চরিত্রগুলো সত্যি হলে অত্মহত্যা করত।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চরিত্র বিশ্লেষনের বেলায় বেশির ভাগ লোকের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র হত । কেউ খারাপ হলে ইনিয়ে বিনিয়ে এটা সেটা বলা হত , তবে কু-চরিত্রে কথা লেখার কোন সুযোগ ছিল না
ব্লগে কবিকুলের গোষ্ঠি উদ্ধারকারীরা এক সময় কবিদের তেলের সাগরে ভাসিয়ে দিত , শিওর থাকেন
৩৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭
তিতিয়ানাতান্তা বলেছেন: আমি এ+ পেয়েছিলাম । ২ পেপারে ৮ অবজেকটিভ ভুলের পরও
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আগে বলুন কোন ব্যাচ ?
সেকেন্ড পেপারে আমার চারটা ভুল গিয়েছিল , আফসুস
৩৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
অহরিত বলেছেন: ভুল না হলে আপনার ব্যাচে স্কুল থেকে ১৫জন স্ট্যান্ড করেছিলো।আগের ব্যাচ যে এত খারাপ করছিলো তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা স্কুলে এস.এস.সি পরীক্ষার সেই দিনগুলোর কথা ভুলার মত না।
কেমন আছেন ভাইয়া?বাংলা পড়াতো যে কাদের স্যার উনি শুনলাম মারা গেছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ঠিক ধরেছ , আমিও সৌভাগ্যপ্রাপ্তদের একজন হতে পেরেছিলাম
কোন ব্যাচ তুমি ? কোথায় আছ এখন ?
৪০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৫
কিরণময়ী বলেছেন: দারুন তো! বাংলার কথা শুনলেই আমার মনে পড়ে ফেরদৌসি মিস এর কথা। ওনার কাছে কলেজে পড়ার সময় বাংলা পড়েছি! ভি এন স্যার অনেক পপুলার ম্যাম! আর ফেখা (ঢাকা কলেজের টিচার মনে হয় ছিলেন ) ,ওনার নোটস!
স্কুলে থাকতে একটা কবিতা ছিলনা , বৃক্ষ ? মনে পড়ছেনা এখন!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নেটে সার্চ দিলাম :
অন্ধ ভূমিগর্ভ হতে শুনেছিলে সূর্যের আহবান
প্রাণের প্রথম জাগরণে , তুমি বৃক্ষ , আদিপ্রাণ .........
মনে পড়ছে ?
ফেরদৌসি ম্যাডামের কাছে এক মাসের জন্য ভর্তি হয়েছিলাম একেবারে শেষ বেলায় , হাতের লেখা ফাস্ট করার জন্য , আর ইনস্ট্যান্ট লেখার ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর জন্য । ফেখার নাম মনে হয় সবার জানা , অনেক শুনতাম উনার নাম
কোন কলেজে পড়তেন আপনি ?
৪১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:২৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
শৈশবকাল থেকেই গলাধঃকরণ আর উগড়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় আমার প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র । সে কারণেই কারও বাইয়্যাত গ্রহনের সৌভাগ্য কখনও আমার হয়নি । তারপরও জীবন বাঁচানোর স্বার্থে পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে অসংখ্য স্তুতিবাক্য সম্বলিত পান্ডুলিপি প্রস্তুত করতে হত । একেবারেই তাৎক্ষণিকভাবে লিখতাম বলে , মস্তিষ্কের উপর ঝড়ের সময়কালটা কেবল পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই আবদ্ধ থাকত ।
এই অংশটুকুর সাথে আমার মিল খুঁজে পেয়ে পুরানো অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: প্রসন্ন অনুভব করছি শামীম ভাই
৪২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩৩
কঁাকন বলেছেন: হ কিসব দিন আছিলো
দ্বিতীয় পত্রেও চাপাবাজি কম করি নাই
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: রচনায় কতগুলো পয়েন্ট দিয়েছিলেন ?
ভাব-সম্প্রসারণ .................... একদম অফিসিয়ালি রেকগনাইজড ভাব প্রকাশের জায়গায় ,সবার বেলাতেই এখানে এসে ভাবের বিস্ফোরণ হত
৪৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩৬
নুশেরা বলেছেন: মেহরাব, টেস্ট না; এখন শুধু নেট প্র্যাকটিসেই আছি
এই লেখাটা আসলেই দুর্দান্ত হয়েছে; এখন আবার পড়লাম, আবারও উপভোগ করলাম।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: টোয়েন্টি-টোয়েন্টি , টেস্ট , ওয়ানডে খেলেও কেউ আপনার মত এত নিখুঁত ব্যাটসম্যান হতে পারল না , জনপ্রিয়তাতেও যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে গেছেন । নেটে খেলে এত কিছুর রহস্য কি ?
আপনার কথাটা শুনে , আমি লেখাটা একবার পড়ে দেখলাম
আবারও কৃতজ্ঞতা
৪৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: "ইন্টারে কেউ দুই পেপার মিলিয়ে ১৪০ পেলে দশদিকে নামডাক হয়ে যেত ।"
দেখেছেন তো ??আপনিও ১৪০ , আর নামডাক !!
আমার কথা একদম হাতে নাতে ফলে গেল
হুম। বড়ই দুঃখ , আমি দুই পেপার মিলিয়ে ১৪১ পাইয়াও তেমন কোন নামডাক হইলো না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বিরাট সব কামেল লোকের সমাবেশ হয়ে গেল দেখা যাচ্ছে ,
লাক খারাপ দেখা যাচ্ছে তোমার ।আমি এসএসসির বাংলা মার্কস নিয়ে বিরাট নাম প্রতিপত্তির অধিকারী হয়েছিলাম , হিহিহিহি
তবে তোমার প্রতিভা নিয়ে ফ্রেন্ড সার্কেলে আমরা কিন্তু কম আলাপ করি না । বাংলা কবিতা যে কয়টা দিলাম , ছোটবোনের কাছে শুনে :-p
তুমি হলে তো একটা পর একটা মুখস্থ বলতে পারতা
কোথায় আছ আজ ??
৪৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
রুখসানা তাজীন বলেছেন: এই প্যারাটা সবচেয়ে মারত্মক হইছে।
কী অপূর্ব যোগাযোগ! আমার দেখা দু;স্বপ্নের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা পরীক্ষায় আমি কোন কবিতা বা প্রবন্ধ কার লেখা, এটা বেমালুম ভুলে গেছি। বাস্তবে কখনো এমনটা না ঘটলেও মস্তিষ্কের কোন গোপন খেলায় এমনটা দেখি, জানিনা। কাল রাতেও একই স্বপ্ন দেখলাম আর আজকেই এ পোস্ট পড়লাম
আমিতো বাংলায় চিঠি পেয়েছিলাম, রাগিবের ব্যাচে, কুমিল্লা বোর্ডে। আমি কি তবে সেই পাঁচজনের একজন? আতঙ্কে হাত পা......
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার !!!!!!!!
৫ম জনের কথা ভাবতেই
আতঙ্কে হাত পা ............................................................
৪৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪০
রুখসানা তাজীন বলেছেন: প্রয়াত স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লেখা বেগম সুফিয়া কামালের "তাহাকেই পড়ে মনে" কবিতাটির আলোচনাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো চাপা মাতম শুরু হত । কবির স্বামীকে হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ কিশোরেরা শক্ত চোয়াল আর মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে লিখে যেত তাদের হৃদয়ের গভীর ক্ষতের কথা । শোকের তীব্রতায় কাতর হয়ে পড়ার লক্ষণ মিললেই কেবল ভাল নম্বরের আশা করা যেত , এমন চাপ বিরাজ করত পুরোটা সময় ।
----এই প্যারার কথা বলছিলাম।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: রুখসানা আপু ,
কো-ইনসিডেন্স গুলো সত্যি অবাক করে । আপনি এই কমেন্ট করার জাস্ট ৫ সেকেন্ড আগে একজন মেসেন্জারে লিখে পাঠালো .......
"এই প্যারাটা সবচেয়ে মারত্মক হইছে"
আপনার কমেন্ট দেখে সত্যিই টাশকি খেলাম । একই কথা , একই সময় দু'জন বলল
আতঙ্কে হাত পা ....................................
৪৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমরা গ্রেডিং ব্যাচ, এবং যথারীতি জিপিএ ৫ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঘোষণাদানকারী ব্যাচ..............তাই আমরা যেটা পড়েছি সেটা হচ্ছে "ডিজিটাল বাংলা১মপত্র"।। অভিজ্ঞতা মিলবেনা।।।তবুও বলি, বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার সময় শুধু অবজেকটিভটাই পড়তাম আদ্যোপান্ত।।। সাবজেকটিভ অংশগুলোর জন্য গল্প-কবিতাগুলোর নাম-লেখকের নাম মনে রাখতাম, এরপর পরীক্ষার হলে পুরোটাই ইনস্ট্যান্ট পারফরমেন্স। পুরো ২ঘন্টা কেবল অবিরাম কলমবাজি করে যাওয়া। আমি লিখি "cello gripper' এ, এই কলমের সমস্যা হচ্ছে নিব পড়ে যায় ।। তো দেখা যেত, অধিকাংশ বাংলা পরীক্ষার সময়ই হঠাৎ করে নিব পড়ে যেত, আর কালি চুইয়ে খাতাটা রীতিমত 'ডিপজলীয় চেহারা" ধারণ করত।।। তবুও, A+ মহামারীতে কিভাবে যেন আক্রান্ত হয়েছিলাম।।।
ইণ্টারে যেহেতু অবজেকটিভ ছিলনা। তাই এক্ষেত্র কাজটা অনেক সহজ ছিল। উপন্যাসটা আগেই পড়া ছিল। এরপর সিলেবাসের গল্প-কবিতাগুলোর লেখক পরিচিতটা ভালমত শিখে রেখেছিলাম।।। এরপর দেখা যেত বাংলা পরীক্ষার আগেও নিশ্চিন্তে ;কেমিস্ট্রি" পড়ছি।।।
আর, আমার হাতের লেখা হচ্ছে 'abstract art' এ মত, "ক" দেখতে 'প" এর মত লাগে কারো কারো কাছে, আবার কারো কাছে "ঘ" এর মতও লাগে, ্রকম অবস্থা।।।।।।সবমিলিয়ে বাংলা পরীক্ষাটা ছিল একরকম আরকি।।। এখন বুয়েটের 'হিউম কোর্স' পড়ার সময মাঝে মাঝে সেইসব অভিজ্ঞতার রিপিটেশন চলে।।।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:১৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হিমেল ,
বাংলার আগে তুমি নিশ্চিন্ত মনে না কাটালে কে কাটাবে বল ?
তবে আমাদের সময়টা আসলেই খারাপ ছিল , অ্যনালগ পড়ে পড়ে ডিজিটাল ব্যম্বু খাওয়ার সুযোগটা ছিল পুরোদমে ।
তোমার অভিজ্ঞতাটা তারপরও মজার লাগল
৪৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪০
কাঠগোলাপ বলেছেন: কি লিখলেন ভাই...পুরানো সব স্মৃতি মনে পইড়া গেল...'বিজ্ঞানের অবদান'->'গৃহস্থালী কাজে বিজ্ঞান'...স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি...
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: একই ব্যাচের নাকি ??
শেয়ার করুন
৪৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আমি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যকরণের জন্য দুইমাস টিউটরিং এ ভর্তি হয়েছিলাম।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আশরাফ ,
আপনার বাংলার দক্ষতা আমাকে ঈর্ষাপরায়ণ করে তুলে , মনের কথাটা বলে দিলাম
৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫১
অহরিত বলেছেন: আমি আপনার ২ বছর জুনিয়র ব্যাচ ভাইয়া।আপনার আর আমার কলেজটাও এক।বিদ্যুৎ মিস্ত্রিগিরি পড়া শেষ করেছি MIST থেকে আগের বছর।
এই পুরো ব্লগে আপনাকে শুধু নিজের স্কুলের পেলাম আর আপনি সেই ১৫ জনের একজন ব্রিলিয়ান্ট জেনে খুব ভাল লাগছে।ভাইয়া এখন কি করছেন?
আমার জন্য দোয়া করবেন।আর আপনিও অনেক ভালো থাকবেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল্লাগলো তোমার কথা শুনেও । ব্লগে বেশ কয়েকজন আছে , ফারহান দাউদ , জ্বীনের বাদশাহ , ভাঙা পেনসিল
বছর খানেক আগে বুয়েট থেকে সিএসই শেষ করে এখন সফটওয়্যার ফার্মে ।
ভাল থেকো অনেক
৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৪
রোবোট বলেছেন: ২২ বছর আগের পরীক্ষা। নোট করতাম না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আবহমান কাল ধরে তাহলে চাপাবাজি চলছে !!
৫২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৭
পারভেজ বলেছেন: আমি সনাতন ব্যাচ সেই ৮৮ এর।
হাতের লেখা ভয়াবহ
তিন লাইন মুখস্ত করলে প্রথম লাইন আর মনে থাকতো না। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হাতের লেখা এতো ছোট ছিল, কখনোই পরীক্ষার পাতা সব ভরতে পারতাম না; এক্সট্রা পেইজ নেয়া তো অনেক দূরের কথা। কানের পাশ দিয়ে গেছে প্রথম পত্র
এস এস সিতেও, এইচ এস সিতেও।
টিক চিহ্ন ওয়ালাদের দেখে ইর্ষায় ভুগি
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার লেখার হাত কিন্তু চমৎকার । হাতের লেখা ঢাকতে লেখার হাত কাজে লাগাত অনেকেই ।
আমার বেলায় উল্টো হয়েছে , লেখা স্লো , তাই হাতের লেখাটা যত্নে লিখে মার্কস তুলতে হত ।
টিক চিহ্ন পান নাই , তার মানে তো অনেক সিনিয়র , চেহারা দেখে বুঝার উপায় নাই
৫৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:১৫
শিট সুজি বলেছেন: কবিতার মাঝখানে গ্যাটিস দিতাম আর্টসেলের গানের লাইনগুলা
এজন্যই কবি গেয়ে উঠেছেন ::
আর্তনাদে হিচড়ে পড়ছে বেদনা
সমাজের কলুষতা বিষাক্ততায়
দূষিত করেছে আমাকে
সমাজের নিত্য চাপে....
কবি গেয়ে উঠেছেন ::
যা দেখ বা দেখ না
ভাঙে যত অনুভুতি
চেনা অচেনা.....
কিংবা জেমসের গান
কবি গেয়ে উঠেছেন ::
তুমি বিসৃত লগ্নমাধুরীর জলেভেজা কবিতা....
এমনকি ইংরেজী কোটেশন হিসেবে LINKIN PARK এর লিরিকস এ্যাবস্ট্রাক্ট হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার ও রেকর্ড আছে ।
আমাদের কলেজের বাংলা ডিপার্টমেন্ট কার্টুন টাইপের ছিল। পৃষ্ঠা ভরাইতে হবে আর মাঝখানে নীল কালি দিয়ে কোটেশন দিতে হবে। ভেতরের লেখাতে কিছুই যায় আসে না । পরীক্ষার পর বাংলা খাতা দেওয়ার পর কে কতগুলা ফাউল কোটেশন দিছে এইটা ছিল বিশাল একটা ক্রেডিটের ব্যাপার। ব্যাপক হাসাহাসি হইত ।
আর ইসলাম শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞানের কথা তো বাদ । ম্যাকাইভার পেজ কিংবা বিশিষ্ট অপরাধ বিজ্ঞানী আবুল হাসনাত এইসব দেখলে সিওর আত্মহত্যা করতেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তোমার এই কমেন্ট পড়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । যেই পড়তেসে , তারই হাসতে হাসতে হাত পা ..............
=)) (এই ইমোটিকন টা ইয়াহু মেসেন্জারে বসাও)
৫৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭
রেজওয়ান শুভ বলেছেন: শিট সুজি র কমেন্টে +++++++++++++++++
৫৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
মুনিয়া বলেছেন: এত্ত কিছু মনে আছে? কার কার যে লেখা পড়তে হয়েছে নামই ভুলে গেছি!
তবে বর্ণনা দারুণ হয়েছে। একদম ক্লাস টেন থেকে ঘুরে এলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ
আমারও মনে নাই তেমন , যাদের নাম দিলাম তারা তো খুব পরিচিত ছিল , তাই না ?
৫৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০০
সহেলী বলেছেন: সুকান্ত ভট্টাচার্য কবিতায় কি লিখেছেন সেটার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর অকাল প্রয়াণের কথা .... এটা তো আমার এখনো হয় ওনার ব্যাপারে । জীবনানন্দের বেলাতেও ।
এতবড় একটা লেখা সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কষ্ট করে এত বড় লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
জীবনানন্দের কথা কি করে বাদ দিলাম , হায়
উনার কবিতা থেকে সবসময় উত্তর লিখতাম , মাধুরী মেশানোর অফুরন্ত সুযোগ ছিল
৫৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: শিট শুজির কমেন্টস পরে হাসতে হাসতে মারা গেলাম !
আমার বাংলা খাতা ছিল লাল নীল বেগুনী! পয়েন্টস গুলার ফন্ট সাইয বেশি থাকতো! একটা উপন্যাস ছিলনা , হাযার বছর ধরে ? ক্লাস টেন এ এক্সট্রা ম্যারিটাল রিলেশনের উপন্যাস হলেও , জহীর রায়হান ছিলেন জাস্ট বস।
লাস্ট লাইন পরে হাহাকার হতো ...
চাঁদ হেলে পড়ে
রাত বাড়ে
হাযার বছরের পুরোণো সেই রাত...
তাইনা, এমন না লাইনটা ??
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অফিসে আমি সবাইকে ওর কমেন্টটা পেস্ট করে পাঠিয়েছিলাম , হাসতে হাসতে সবার হাত পা .................
শিট সুজি আমার জুনিয়র , একই ডিপার্টমেন্টের + আমার হলের রুমমেট । ছেলেটা একটা কঠিন জিনিয়াস , দিন দিন আরও স্পষ্ট হচ্ছে
৫৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: এহে রে,সুজি'র মত পারলে ভাল মার্কস আসতো। আশরাফ ভাই কার কাসে পড়সিলেন জানা দরকার,এইরকম ব্যাকরণে দক্ষতা যার-তার আসে না।
৫৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০০
ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম,মেহরাব একবার কোন ইসলামিয়াত পরীক্ষায় মিশরের তথাকথিত গ্র্যান্ড মুফতির (সেইটা কি জিনিস এখনো জানতে পারলাম না) উক্তি দিয়া ব্যাপক পয়েন্ট কামাইসিলো,সুজি'র কথায় মনে পড়লো।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হুমমমমম
৬০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
রোবোট বলেছেন: ইসলামিয়াতে ভালো কথা সব হাদিস হিসেবে চালানো হত। নবীজি বলেছেন, "নিশচয়ই কমপিউটারে ভাইরাস ক্লিন করা উত্তম" এরকম কথা বললেও মনে হয় হুজুররা ধরতে পারতেন না।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: খাইসে , বলেন কি ?
আমাদের ইসলামিয়াত টিচাররা অবশ্য পন্ডিত ছিল খানিক , চাপা ঠিকমত না মেরে ধরা খেলে বেত একটাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হত না
৬১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮
শিট সুজি বলেছেন: উপরের কমেন্টটা বাংলা ২য় পত্রের জন্য বেশি প্রযোজ্য । বাংলা ১ম পত্রে খুব একটা অসুবিধা হত না । প্রায় সব কবিতার কী পয়েন্টের কয়েকটা লাইন মুখস্ত থাকত। আর গদ্যের কাহিনী তো জানা । একটু এদিক ওদিক করে মেরে দিতাম । কোটেশন দেওয়া ছিল খুব গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার ।
লেখার কথা আর কি বলব ? অসাধারন মেহরাবীয় স্টাইল ।
+++++++++++++
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তোমাকে আর দেখি না কেন ?
৬২| ০২ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
মুক্ত বয়ান বলেছেন: মেহরাব ভাই, আপনি তো দেখি টেস্ট খেলেন এখনকারটা না। আগের টা। এখন তো তাও পাঁচ দিনে শেষ হয়, আগেরটা তো যতদিন লাগে লাগুক!!
এতদিন পর পর একটা একটা পোস্ট দেন!! আর যথারীতি মেহরাবীয় স্টাইল!!
বাংলার কথা আর কি বলব? পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে সব ছেলেপিলে আমার সাথে অবজেকটিভ মিলাইয়া সিওর হয় কয়টা হইল, আর আমি শেষ-মেশ পিলাচ পাইলাম না
যাই হোক, তবে এইটা শান্তি সমাজে মিস হয়নাই। ৪২ টা অবজেকটিভ ঠিক কইরাও +!!
এইবার চিন্তা করেন, ম্যাকাইভার আর পেজ সাহেবের সাথে আমার খাতির!!!
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সমাজবিজ্ঞানী মুক্তবয়ান , আপনাকে ধন্যবাদ
এখন কিন্তু ঘনঘন পোস্ট দিই
৬৩| ০৩ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:৫৮
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: @ ফারহান ভাই,
ভর্তি হয়েছিলাম, মাগার কিছু শিখি নাই। সব ভুলে গেছি। ভুল কিছু শব্দ শিখলাম, এই যা। তবে আমাদের ব্যকরণ স্যার ছিল প্রেমিক-পুরুষ, যুবা-বয়সী। আমার জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ "রস-কস" সমৃদ্ধ একজন শিক্ষক। পড়ানো যে একটা শিল্প হতে পারে তা বুঝেছিলাম। নাম আজিজ (আমরা এই নামেই ডাকতাম)। পুরো নাম বোধহয় আজিজুল হক (ভুলে গেছি
)
৬৪| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৫:৩০
রাজর্ষী বলেছেন: সেইরকম মজার লেখা আর কমেন্টস সব। আমারও মনে পড়ে গেলো অবজেক্টিভের যুগে বাংলায় লেটার পাইসিলাম পুরা চাপা মাইরা। আমি নোট, গাইড ও পড়তাম না, খারার উপ্রে চাপা মারতাম। ঢাকা বোর্ড।
০৯ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৬:৪৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মিলে গেল
৬৫| ০৯ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
আকাশনীল বলেছেন: এই পোস্টে কখন ঢুকছি মনে নাই, আর বের হতে পারতেসি না। এমন মজা বহুদিন পাই না। বাংলা আমার সবথেকে প্রিয় সাব্জেক্ট ছিল, কখনো এটা নিয়ে লিখবো ভাবসিলাম। এই পোস্ট আর কমেন্টগুলোর পর আর কিছু লাগে না। প্রিয়র মধ্যে প্রিয় কিছু থাকলে তাতে লেখাটা নিব।
গ্রেডিং ২য় বর্ষ হোয়ায় বাংলায় প্লাস পাবো ভাবছিলাম, পরে শুধু এটাতে মিস হয়ে দুঃখে কলিজা হাডি যাবার মত অবস্থা হইছিল।
আমি খালি কোটেশন মুখস্ত করতাম, এবং একটা ও বাদ রেখে খাতা জমা দিতাম না তা প্রশ্ন যাই হোক।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমরা রীতিমত প্রতিভাবান ।
শেরে বাংলা রচনা পড়ে গিয়ে দিব্যি সেটা শ্রমের মর্যাদায় কনভার্ট করে দিয়ে আসতে পারি ।
আর এখানে তো একই কবিতার লাইন
৬৬| ০৯ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
দিবাচর বলেছেন: ভাইরে 'কোটেশন' দিতে না পারার কারনে অনেক মাইর খাইছি ক্লাশে!
১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ইসলামিয়াতে বানোয়াট কোটেশন দেয়াটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলাম । বাংলায় কাজটা কঠিন , জেনেশুনে দিতে হয়
৬৭| ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:০৯
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: কেমন আছেন?
ভালো থাকুন।
৬৮| ১৭ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:২৯
কোলাহল বলেছেন: ভাগ্য বিধাতা রুপে শিক্ষক শিক্ষিকা আর তদীয় দয়া , মেজাজ , করুণা আর নিয়তি নির্ণয় করত পরীক্ষার ফলাফল ।
পঞ্চাশে পঁচিশ ছিলো কনফার্ম। সেটাকে আটাশ কিংবা নিদেনপক্ষে সাতাশে টেনে নেয়ার জন্যই ছিলো নানারকম চেস্টা সাধনা।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ২৫ থেকে ২৮ এ নেয়াটা কত কঠিন ছিল একটা উপমা দিলে পরিস্কার হবে ।
উসাইন বোল্টদের টাইমিং ৯.৬৯ থেকে ৯.৬৫ এ নিতে যেমন কষ্ট , আমাদেরটা তার চেয়ে কম ছিল না
৬৯| ১৭ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
সহেলী বলেছেন: সেই যে কবে আদি অকৃত্রিম চাপাবাজী , আর খবর নেই !
১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তোমার চাপাচাপিতেই তো ইদানিং এত লেখালেখি করা হয় , সেজন্য কৃতজ্ঞতা
৭০| ২০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:৪৫
জনৈক আরাফাত বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন! কেন জানি বাংলাতে বেশ ভালোই পেতাম!
চাপাবাজী ভালো ই জানতাম বোধহয়!
আপনার এই লেখাটি পাঠ্যপুস্তকে থাকলে কেমন হত?
১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: পাঠ্যপুস্তকে লেখাটা থাকলে বিরাট একটা প্যারাডক্স হয়ে যেত
৭১| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
তাহসিন আহমেদ বলেছেন: বাংলা বিষয়ে ভালো পেতাম কিনা বুঝতাম না...
১৩৪ পেয়েছিলাম এইচএসসি তে।বানিয়ে লিখতে পারতাম মোটামুটি।
অনেক পুরোন কথা মনে পরে গেল লেখা টা পড়ে।
০৮ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমিও ১৩৪
৭২| ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬
শীমুলতা বলেছেন: এক্কেবারে আমার মনের কথাগুলান
+
০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪৯
মাহবুবা আখতার বলেছেন: স্কুলে ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষায় এই ধরনের চাপাবাজির একটা সুযোগ ছিল। আমি বেশি একটা পারতাম না এই কাজটা, অবশ্য দুই পাশে দুই ইঞ্চি মার্জিন আর বার বার প্যারা করে কাগজ ভরিয়ে ফেলতাম। এই পরীক্ষাটা শেষে কেউ জিজ্ঞেস করত না কত অ্যানসার করেছিস, সবাই জানতে চাইত- কয়টা লুজ শিট নিয়েছিস?
অবশ্য নাহ... বাংলা খাতায় এধরনের চাপাবাজির দুঃসাহস কোনদিন হয়নি। আমাদের স্কুল আর কলেজ দু'টোরই বাংলা টিচার ছিলেন মারাত্মক কেয়ারফুল। মনে আছে একবার একটা রচনায় তাকে লিখতে গিয়ে চন্দ্রবিন্দুটা ছেড়ে গিয়েছিলাম, খাতায় বানান ভুল প্রায় হতইনা বলে ম্যাডামের লাল কালির চন্দ্রবিন্দুটা এখনো চোখে ভাসে। আজাইরা প্যাঁচাল লিখলে আধা নাম্বারও দিত না এই ম্যাডাম। প্রতিটা লাইন পড়ে নাম্বার দিত। গুলতানি লেখার কোন চান্সই ছিল না
। কলেজেও এরকম এক ম্যাডাম ছিল, খাতার ভুল বলে ক্লাসে হাসাহাসি করত (ওই ভয়েই ভুল করার সাহস হত না
)
অবশ্য এত ভালো টিচার পেয়েও সবাই যে ভালো শিখত তা না, এক মেয়ের খাতা বাসায় নিয়ে এসে পড়ে ভাই বোন শুদ্ধ হেসেছিলাম, সে বেচারী "ভ্যাকুয়াম প্যাক" কে লিখেছিল "ব্যাকুম প্যাক" ...আপনার লেখাটা পড়ে এইসব ধরনের যত লেখা নিজে লিখেছি এবং অন্যদের খাতায় দেখেছি সব মনে পড়ে গেল।
.......................
*লেখা বরাবরের মতই জোস।
০৮ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনি তো হারিয়েই গেলেন !!!
ইসলামিয়াতে আমি যে চাপাবাজি করছিলাম , সেটাও তো বিরাট ইতিহাস ।
৭৪| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:০৫
তেপান্তের মাঠ পেরিয়ে বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইলাম, কমেন্টগুলোও মজার। বাংলার মত আরেকটা সাবজেক্ট ছিলো সমাজ। ব্যাপক চাপা মাইরাও ২৩ এর বেশী উঠাইতে পারি নাই ।
০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৩৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তোমার লাক আসলেই খারাপ , সমাজে আমি মোটামুটি ভালই ছিলাম । সমাজ বিজ্ঞান পার্টটা শুধু চরম পেইন দিত । ম্যাকাইভার এন্ড পেজের কতগুলো সংজ্ঞা মুখস্থ করতে হত ??
কি , কোথায় এখন ? বিদেশে নাকি ?
৭৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৬
শীখা বলেছেন: মজারু + প্রিয়তে
৩০ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: থ্যাংকস অ্যা লট
৭৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯
সহেলী বলেছেন: শুভ নববর্ষ ।
৭৭| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩
সহেলী বলেছেন: এ দেখি অলস দি গ্রেট এর পোষ্ট ! সেই গত বছর এ লেখা , তারপরে খবর নাই !
৭৮| ২৯ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬
সোহানা মাহবুব বলেছেন: আপনার রসবোধ সত্যি অসাধারণ।+++
৩০ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার একটা লেখা পড়ে ভীষণ ভাল লেগেছিল , এরপর একটানা অনেকগুলো লেখা পড়েছি । আপনার কমপ্লিমেন্টস পেয়ে ভাল্লাগলো অনেক , অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
৭৯| ০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪৪
কালপুরুষ বলেছেন: লেখাটা খুব ভাল লাগলো। চমৎকার বর্ণনা ও বিশ্লেষণ। প্রিয়তে রেখে দিলাম।
০৮ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আবারও কৃতজ্ঞতা , আপনার স্বীকৃতি পেলে ভাল লাগে অনেক
৮০| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
হীরণ্ময় বলেছেন: অ..........সা..........ধা..........র..........ণ !
আমি ভাই বাংলায় একটু কাঁচা . . .
তাই সর্বোচ্ছ সুন্দর বোঝাতে যা বলি তা আউড়ে দিলাম . . .
প্রবাদে আছেনা . . .
"..............................................................."
ক্ষমা করে দাও দ............য়া..........ক...........রে
প্রবাদ_টা ভূলে গিয়েছি !
দাওয়াত রইলো আমার ব্লগে ।
কথা দিলাম আমি উপস্থিত থাকলে জোর করে হলেও এক কাপ "চা" খাওয়াবো !
১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর এমন উচ্ছসিত অনুভূতির কথা জেনে অনেক ভাল লাগল
ভাল থাকবেন অনেক
৮১| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০৬
হীরণ্ময় বলেছেন: ভালো না থেকে উপায় আছে ?
ভালো নেই বলার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় হাজার খানেক বিরক্তিকর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ............................
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এই তো , মোটামুটি ...... এটা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করি
৮২| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৯
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমি ভাবতাম আমি একাই শুধু বানিয়ে বানিয়ে বাংলা লিখি। এখন দেখি সবাই !!!!!! সবারই অনেক মজার কাহিনী আছে।
আমাদের ম্যাম রচনাতে নাম্বার দিতেন পয়েন্ট দেখে। আমি কখনই ৯ তার বেশি পয়েন্ট লিখতে পারতাম মা। আমি তাই সব সময় ২০ এ ৯ পেতাম!!!
একবার ফুটবল ফাইনাল (ফ্রান্স আর ব্রাজিল ছিল সেবার) রাত জেগে দেখতে গিয়ে পরিক্ষা হলে যেতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। কোনরকম পাস করেছিলাম সেবার। আমি এস এস সি ০২ এর ব্যাচ। কিন্তু বাংলা তে তেমন ভাল হয়নি।
আপনার লেখা থেকে পুরনো পরা গুল আবার মনে পরল। এখন দেখি ভুলিনি!!!!!
অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমারও কিন্তু তাই ধারণা ছিল , এর পেছনে কারণও ছিল । আমার আশেপাশে যে ২০ টা ছেলে ছিল , তাদের প্রত্যেকের যোগ্যতা ছিল বোর্ডে কিছু একটা করে ফেলার । এসব ছেলেরা নোট ফোট মুখস্থ করবে , সেটাই স্বাভাবিক ।
কিন্তু আসল অবস্থাটা এখন বুঝতে পারছি , আমার মত ফাঁকিবাজই দেশে বেশি ।
ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালের পরের দিন পরীক্ষা ? কোন জুলুমবাজ স্কুল এটা ? সেদিন তো আমাদেরও পরীক্ষা ছিল , কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল ।
অনেক ধন্যবাদ
৮৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: জটিল বিশ্লেষণ!
আমার নম্বর ভালো উঠত না কারণ অতিরিক্ত কাগজ তেমন লাগত না।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ম্যাভেরিকদা ,
আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি ।
হাতের লেখা স্লো ছিল বলে আমিও লুজ শিটের কেরামতি তেমন দেখাতে পারতাম না । তবে , কেউ কেউ লুজ শিট নিয়ে রীতিমত মোটাসোটা একটা বই জমা দিত । বাংলা পরীক্ষায় খাতার বদলে বই জমা দেয়াটা বেশ কার্যকর ছিল
৮৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২১
অমিত০৯৭ বলেছেন: বাংলা বিষয়টা কলেজের পর আর পড়তে হয়নি। স্কুলে ভালো না লাগলেও কলেজে মোক্তার স্যারের কিছুটা অশ্লীল লেকচার গুলো জোস লাগতো। কুবেরের কাহিনী পড়ানোর সময় স্যারের " খাটো ধুতির নিচে এটা ওটা দেখা যায় " ভুলবো না। দিনগুলো কত তাড়াতাড়ি চলে যায়
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মোক্তার স্যারের ফেভারিট অংশটি সম্ভবত পদ্মা নদীর মাঝি । স্যারে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিটা অংশ পড়াতেন , আর কিছু হলেই সুড়সুড়ি দেয়া সেসব কথা তো ছিলই । এভাবে পড়াতে পড়াতে অর্ধেক শেষ হওয়ার আগেই সেকেন্ড ইয়ার শেষ হয়ে গেল । শেষ দিনে এসে আধা ঘন্টায় শেষ অর্ধাংশের সামারি বললেন ..... একদম শেষটা এমন ছিল ......
"কুবের কপিলা নৌকায় চেপে রওনা হল .......... খানিক দূর গিয়ে নৌকা স্থির , শুধু দুলছে , দুলছে , দুলছে ......."
রীতিমত .......
৮৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৪
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: মোক্তারের একটা ডায়ালোগ মনে পড়ল-
আজ আমরা বিলাসী ধরব। আর ছাড়বো না
বাংলায় এ+ পাওয়ার জন্য এখনো পোলাপান আতেল বইলা পচায়। আমি অবশ্য বেশ ভালো সিস্টেম জানি না পড়েই বাংলায় এ+ পাবার - আমার সিস্টেমগুলো ছিল-
১. ঝেড়ে কিছু ডায়ালোগ মুখস্ত করে যাওয়া আর নীল কালি দিয়ে লেখা, চান্স পেলে নিজের ডায়ালোগও জায়গা মত দিয়ে দিতাম সবচেয়ে মজা হত বাংলা ২য় পত্রে- ইংরেজি কোটেশনের জোয়াড়ে খাতা ভরে যেত। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ কোটেশনেরই প্রবক্তা মহান আমড়া কাঠের ঢেকি!
২। সারাজীবন খালি দুইটা রচনাই পড়ছি - কম্পিউটার আর পরিবেশ দূষণ। স্কুল কলেজে রচনা গুলো এমনভাবে আসতো এই দুইটার আশেপাশে দিয়ে যেত - যেমন বিজ্ঞানের অবদান আসলে টুকটাক ২ কথা বলে বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার কম্পিউটার.......
আর এমন কপাল, ফাইনাল পরীক্ষায় মেট্রিকে রচনা আসলো কম্পিউটার, আর ইন্টারে পরিবেশ দূষণ!
৩। এইচ.এস.সি তে বাংলায় এ+ কপাল জোড়েই পেয়ে গিয়েছিলাম- আমার সামনে আর পেছনে সব বাঘা বাঘা স্টুডেন্টদের সিট পড়ছিল- খাতা দেখার সময় আমার খাতাও ওদের মাঝে পড়ে সিস্টেমের জোড়ে এ+!
১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এই ব্লগটাকে কি বাংলা পরীক্ষার আগে প্রথম আলুর পড়াশোনা পাতায় ছাপানো যায় ? স্পেশালি তোমার কমেন্ট টা
রচনার ব্যাপারটা ব্যাপক লাগল । আমি এসএসসি তে একটা পড়েছিলাম ...... বিজ্ঞান । এরপর আসল এক আনকমন বিজ্ঞান ---------- গৃহস্থালী কাজে ।
বানায় লিখতে গিয়ে জান শেষ
৮৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩০
নিশীথ রাতের বাদলধারা বলেছেন:
ইস!! এই লেখাটা আগে পড়লে আমার এবার বাংলায় ৫ মিস হত না... টপিক ছেড়ে নড়তে পারি না দেখে ২ পৃষ্ঠার বেশি লেখা আগাতে পারি না, আর টপিকেও তো জ্ঞান মাশাআল্লাহ!
১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দরকার কি ?
প্রকৌশলে বাংলা কি ?
কেমন চলছে ?
৮৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৩২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
বাংলায় তো বেশীর ভাগ বানায় লিখতাম .......
কবি বলেছেন বলে নিজেই বানিয়ে লিখতাম কত কথা।
একবার বাংলা স্যার ধরলেন............(মেঘের বর্ণনা করতে গিয়ে কিছু লাইন বানিয়ে লিখেছিলাম)।
বললেন কবির নাম কি?
আমি তো চুপ............উনি ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলেন।
সেই স্যারের কাছে কেউ কখনো বাংলায় ৬০ এর বেশী পেতোনা..........আমি ৭৫ পেয়েছিলাম।
ভালো লাগলো মেহরাব............এত সুন্দর করে স্মৃতিচারণ করেছো।
নিজের ও কত কথা মনে পড়ে গেলো।
ভালো থেকো।
শুভকামনা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হত ......
সাজি আপুরা না জানি কত সাজিয়ে বাংলা লিখতেন ....... সে ভাবনার স্বীকৃতি মিলল । মেঘের কাব্যের কথা শুনে ভীষণ মজা পেলাম ......
স্যার বুঝতে পেরেছিলেন এমন অসাধারণ কিছু , ঠিক ওমন কবিতাটা তখন আপনার কলম চিরেই কেবল বেরুতে পারে ।
অনেক খুশি হলাম আপু
ভাল থাকবেন
৮৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৮
আহমেদ রাকিব বলেছেন: দেখে গেলাম একটা খুব ভালো পোষ্ট।
১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৮৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
রুদমী বলেছেন: পুরোনো কথা মনে পরে গেল। বাংলা নোটের কোনো লাইন হুবহু মুখস্ত করতে পারিনি।
আমাদের বাংলা ২য় পেপারের আপা সিলেবাসের রচনা গুলো ক্লাসে নিজের নোট থেকে পড়ে শোনাতেন, আর আমাদের বলেছিলেন উনি পড়ার সময় যতটা পারি যেন লিখে রাখি।উনার নোটের লাইন গুলো লিখলে নাকি বেশী marks দিবে। তাই উনি যেদিন রচনা পড়বেন আমরাতো লাইন লিখে রাখার জন্য হুমড়ি খে্য়ে পরতাম। আর উনার কাছে যারা পড়তে যেত তাদের দেখতাম কত শান্ত হয়ে বসে আছে। খুব রাগ হতো। আবার ভাবতাম আপা কতো ভালো মানুষ, টাকা ছাড়াই আমাদের এমন মহা মূল্যবান লাইন গুলো দিয়ে দিচ্ছেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যিকার পীর তো তাহলে তোমার আপাই ছিলেন ,
আমরা ছিলাম ব্যবসায়ী পীরদের ছত্রছায়ায়
৯০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৫
রাগ ইমন বলেছেন: এস এস সি এর কয়েক দিন আগে নিয়ম পালটে গেলো। রাগ করে আগের রাত সারারাত ধরে মাসুদ রানা পড়ে কাটিয়ে দিলাম। জানতাম, আমার হাতের লেখার যেই স্পিড তাতে জীবনেও ভালো নম্বর আশা করা যাবে না । সুতরাং শেষ বেলায় মাথা খারাপ না করে আমার সেই চিরাচরিত নিয়মে , হলে বসে উত্তর বানানোই শ্রেয় ।
তারপরেও বাংলায় লেটার । অবজেক্টিভ নামক এক কমেডির কারনে। তবে তখন এখনকার চেয়ে ভালো বাংলা জানতাম। শেখায় কোন ত্রুটি ছিলো না ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার সাথে অনেক অনেক আগে বাংলায় লেটের পাওয়া নিয়ে মৃদু কথা চালাচালি হয়েছিল , মনে আছে ?
বাংলা এমনই , কপালের জোর লাগে
৯১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪৮
িনদাল বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল। ভাষাটা অসাধারণ লেগেছে
৯২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৮
পথহারা সৈকত বলেছেন: কি আর বলব ভাই.............জোস হইছে। আমি মাঝে মাঝে খেলোয়ারদের নাম দিয়া কোটেশন দিতাম....
৯৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: রিভিশন দিলাম আবার
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:১২
রাগিব বলেছেন: আমার কিছু "সিস্টেম" ছিলো, সব রচনার প্রথম প্যারা একই, -- একটা কাব্যিক সূচনা বানিয়ে নিয়েছিলাম ঐটা যে কোনো রচনার আগে দেয়া যেতো, বাংলা ১ম পত্রেও বড় প্রশ্নে একই পদ্ধতি অবলম্বন করতাম।
আমার হাতের লেখা সম্ভবত পুরা স্কুলের সবচেয়ে ভয়াবহ ছিলো। তাই প্রেজেন্টেশনের উপরে অনেক জোর দিতাম।
আমরা অবজেকটিভের ব্যাচ হলেও এসএসসিতে আমাদের কুমিল্লা বোর্ডে বাংলাতে লেটার পেয়েছিলো মাত্র ৫ জন!