নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Candle in the Wind

আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার ব্লগখানি কৌতুহল ভরে

মেহরাব শাহরিয়ার

তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিবনা কোলাহল করি সারা দিনমান, কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা।

মেহরাব শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক , দুই বা পাঁচ টাকার অর্থহীন গল্প

১৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৪৭

১ টাকার গল্প:

সেই যে রাজেক দাদু আমায় ফাঁকি দিয়ে হারিয়ে গেল , এক টাকার গল্পটা আর কখনোই ফুরোলো না । দাদু তোমার দিব্যি দিয়ে বলতে পারি , তোমার উপর অভিমানটা আজও কাটেনি । পুকুরের চালায় বসে

যে কথা তুমি দিয়েছিলে ,সে কথা না রেখে কি করে তুমি চলে গেলে ?



দু'মাসের জন্য দেশে এসেছি তখন । সালটা ৮৮ না , ৯০ ভাল করে মনে নেই , হয়ত সবটুকুন মনে রাখার মত বয়েস তখনও হয়নি বলেই ।শুধু মনে আছে নানা বাড়ির কোণে প্রকান্ড একটা গাছ ছিল সে গাছে প্রথম আম চিনেছিলাম, প্রতিবেলায় নতুন জামা কাপড় বেগুনি রসে রাঙিয়ে পাড়া-পড়শিকে জাম চেনাতাম , সবার অজান্তে বিকেলের পাগলামিতে ভর করে শহরের মাঝ আর নানার জানালার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ইছামতির বুকে চপ্পলজোড়া ছুঁড়ে দিতাম।



কোলে উঠার বয়েসটা তখনও আমার হারায়নি , বড় হওয়ার পণ করে কারও কোলেই উঠতে চাইতাম না । প্রতিজ্ঞা ভাঙিয়েছিল আমার সবচাইতে প্রিয় বন্ধুটি .....আমার ছোট চাচা। চাচার কোলে চড়ে দিব্যি উঠোন জুড়ে ঘুরে বেড়াতাম , পুকুর চালায় যেতাম । বেলায় বেলায় ছোট চাচার কাছ থেকে মিলত সাদা ধবধবে পাড়ের হরিণ রাঙা ১ টাকার নোট ।খামে জমানো নোটগুলো কখনও দৃষ্টির আড়াল হতে দিতাম না , ভাঁজ পড়তে দিতাম না , নোটের খামটা সাথে নিয়েই ঘুমোতে যেতাম , রাতভর স্বপ্নের মাঝেও নোটের ছবিতে আঁকা হরিণগুলোই দেখতাম ।



আমার খামভরা ১৯ টাকার গল্প তদ্দিনে পিচ্চিদের মাঝে বুঝি ছড়িয়ে গিয়েছিল । এক বিকেলে আমার সমবয়েসী গাঁয়ের দস্যিদল খেলাচ্ছলে আমাকে ঝুপড়ি দোকানের সন্ধান দিল। ছোট্ট টং দোকানের ভেতরটায় গুটিসুটি মেরে সারাটা দিন এক বৃদ্ধ বসে থাকতে দেখতাম । গাঁয়ের সবাই সবার চেনা , সবাই সবার আত্মীয় , বুড়ো মানুষটি সেদিন থেকে আমার রাজেক দাদু হয়ে গেল ।



বিকেল বেলায় আমার দাদা বাড়ির পুকুর চালায় রাজেক দাদু হাঁটু ভেঙে বসে থাকতেন । আমার মোটরগাড়ি আঁকা সাদা রঙা গেঞ্জিটা পড়ে দাদুর সামনে গেলেই দাদু গেঞ্জিটা নেবার আব্দার করতেন । শতবার দাদুকে বোঝাতাম গেঞ্জিটা দাদুর গায়ে লাগবে না , দাদু কিছুতেই যেন বুঝতে চাইতেন না ।



দাদু নিজেই চানাচুর বানিয়ে ছোট্ট প্যাকেটে করে বেচতেন ।এক টাকা দিলেই ছোট প্যাকেট মিলত । আমরা পিচ্চিরা দাদুর ঝুপড়ির চানাচুরের প্রেমে পড়ে গেলাম ।চানাচুরের নেশায় আমার ১৮/১৯ টি চকচকে নোট ফুরোতে সময় লাগল না ।



দেখতে দেখতে ইরান ফেরার সময় হয়ে গেল , এক বিকেলে আমার হারানো নোটগুলোর জন্য বুক ফেঁটে কান্না আসল , হরিণগুলোর জন্য ভীষণ মায়া হল । পুকুর চালায় গিয়ে রাজেক দাদুকে পেলাম , আজ দাদুর আব্দার ফেললাম না , আমার চকচকে ১ টাকার নোটগুলোর বিনিময়ে আমার গেঞ্জিটা দিয়ে দিতে চাইলাম । দাদু খুব হেসে আমায় সবক'টা টাকা ফিরিয়ে দেবার কথা বললেন । পরের দিন ভোরে ঢাকায় রওনা হওয়ার সময় দাদুর দেখা পাইনি ।



অপেক্ষার দীর্ঘ দু'টি বছর কাটিয়ে আবার যখন গাঁয়ে ফিরে যাই ,তখনও আমার অবুঝ শৈশব শেষ হয়নি , রাজেক দাদু তখন চিরতরে হারিয়ে গেছেন ।



তারপর আরও অনেক দিন টং দোকানটা রয়ে যায় , তার ঝাপি আর খোলে না । দাদা বাড়ির পুকুর ঘাট ভেঙে নতুন ঘাট হয় , রাজেক দাদুকে কোথাও দেখিনা ।প্রথম চেনা নানাবাড়ির রসগোল্লা সাইজের মিস্টি পাকা সেই জামের সাথে এখন কোথাও জাম মেলেনা , কোণের দিকে তাকালে শুকনো গাছটায় আম মেলেনা , গতি হারানো ইছামতির

একটা ক্ষণেও ঘুম ভাঙে না ।শৈশব হারাই , কৈশোরবেলা কেটে যায় আমার ১ টাকার গল্প কখনও ফুরোয় না .............



২ টাকার গল্প.....

২ টাকার গল্পটা যখন ডানা মেলতে শুরু করে , তখন আমি দূর-প্রবাসে ইরানে । দেহে ভাঙেনি শৈশবের শেকল , মনে ভাঙেনি ১ টাকার সে বিরহ।



মাত্র ২০ টি বছর আগের সে সময়টিতেও বিদেশে চিঠি দেয়া নেয়াটা মোটেও সহজ নয় । ফি মাসে দেড়টি বা দু'টো চিঠি মেলে বাংলাদেশ থেকে। ছোট্ট মেহরাবের অপেক্ষার অনেক প্রহরগুলো কাটে ছোট চাচার চিঠির নেশায়। চিঠির ভেতর সেঁটে দেয়া থাকে কমলা আভার দোয়েল আঁকা দু'টাকার নোট । একটা দু'টো করে নোট জায়গা পায় আমার সংগ্রহশালায়। এবারের সংগ্রহশালাটাও বিচিত্র , আব্বুর মোটা একটা মেডিসিন বইয়ের ভেতর।



আমরা থাকি একটা বাসার দোতালায় , নীচ থেকে দোতলা অব্দি উঠে যাওয়ার সিড়িটার পুরোটাই খোলা আকাশের নিচে , সিঁড়ি দিয়ে উঠার পর দেখা মেলে একটা লম্বা ঝুল বারান্দার। পাশের বাসার ছাদটা বারান্দা লাগোয়া , ইচ্ছে করলেই অনায়াসে লাফিয়ে বারান্দা আর আর পাশের বাড়ির ছাদের মাঝে যাওয়া আসা করা যায় ।আব্বুর চোখা রাঙানি এড়িয়ে ত্রিং ব্রিং লাফিয়ে ছাদ-বারান্দা পারাপার চলে সারাবেলা।



শহরটির নাম নাম জাভানরুদ, সবুজের সমরোহ নেই , আছে পাথুরে রুক্ষতা , সে রুক্ষতার মাঝেও শহরজুড়ে কোন দীর্ঘশ্বাসের ছায়া মেলে না । পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা সে শহরে সারা রাত বাসার দরজা খোলা থাকলেও চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না , নিঃস্তব্ধ শহরে সারা রাত দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও আতঙ্ক ভর করে না। সে সুযোগটা আমরা কাজে লাগাই পুরোদমেই , গ্রীষ্মে তাই বলতে গেলে ঘরের দ্বার কখনোই রুদ্ধ হয় না ।



এমনই এক গ্রীষ্মের দিন শেষে রাত নেমে আসে। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে প্রকান্ড ডাক্তারি বইটা খুলে দেখি সবক'টা নোট হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে । বুঝতে বাকি থাকে না কার কাজ। পাশের বাসার সমবয়েসী ছেলেটিকে একবার নোটগুলো দেখিয়েছিলাম , রাতে আমাদের খাবার সময় ছাদ দিয়ে এসে সব নিয়ে গেছে ।



টাকার মায়া তখনও বুঝতে শিখিনি , বুকের খাঁচায় ভীষণ ব্যাথা হয় আমার দোয়েলগুলোর জন্য । ছেলেটি আর স্বীকার করেনা , আজ ১৭ টি বছর পর ওর জন্য কোন অভিমানও জমা থাকেনা, তবুও মনে পড়ে সে রাতটির কথা , যে রাতে কমলা রঙে রঙিন দুই টাকার দোয়েলেরা আত্মহত্যা করে ।



৫ টাকার গল্প:

দু'টাকার গল্পের সে রাতের দেড় যুগ পরের বাষ্পে ভেজা এক রাত , ২ রা অক্টোবর , ২০০৮ । ঈদের পরেরদিনের ঝুমঝুম বৃষ্টিবেলার এই রাতে হঠাৎ করেই একজনের কাছে ঈদী পাই .......... মামুলি ৫ টি টাকা । কেন জানি ,ছোটবেলা থেকে পাওয়া আমার সবক'টা ঈদীর নোট এই নোট টির কাছে ম্লান লাগে , সে রহস্য ভেদ করা হয়ে ওঠে না।



নতুন চকচকে নোটটা পাঞ্জাবির পকেটে রেখে দিই , ভুলেও যাই সে কথা। সাতটা দিন নোটটি লুকিয়ে থাকে । অষ্টম দিনে ড্রয়ারে ঝোলানো পাঞ্জাবীর পকেট থেকে নোটটা যখন বেরিয়ে আসে , হঠাৎ করেই যেন নোটটা ভীষণ ভালবেসে ফেলি ।



বুকশেলফের ওপরে রাখা কাঁচখন্ডের নিচে নোটটা আলোর ছোঁয়ায় নতুন স্পন্দন খুঁজে পায় । প্রতিদিন আমার সাথে নোটটির চোখাচোখি হয়।



এক বিকেলে অফিস শেষে ঘরে ফিরে খেয়াল হয় , রিকশাভাড়ার সমপরিমাণ টাকা আমার পকেটে নেই । ৫ টাকা নেয়ার জন্য বাসায় এসে দেখি বাসায় কেউ নেই , বাইরে যাবার আগে তালাবদ্ধ করে রেখে যাওয়া বেশির ভাগ রুম, চাবির খোঁজটাও মেলে না, ফোনেও কাউকে পাই না। তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফেলি আমার ঘরের সবকিছু , কোথাও একটা কড়িরও সন্ধান মেলে না । হঠাৎ করে চোখ পড়ে পাঁচ টাকার নোটটির উপর , কাঁচ সরিয়ে নোটটা হাতে নিই



কাঁচের ভারে ভাঁজ হারানো জীবন্ত নোটটাকে হঠাৎ করেই যেন অনেক বিষন্ন হয়ে ওঠে। ভারী হয়ে ওঠা আবেগের কাছে আমাকে আত্মসমর্পন করতেই হয়। লজ্জার মাথা খেয়ে পাশের বাসা থেকে ৫ টাকা ধার করে ভাড়া শোধ করি ।



এরপর কেটে যায় আরও ৬ টি মাস , নোটটি রয়ে যায় সেই কাঁচের নিচেই । একদিন কি ভেবে মানিব্যাগের বিশেষ কুঠুরিতে নোটটির বসত বানিয়ে দিই । আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গ পেয়ে নোটটার মাঝে বিচিত্র রঙ খেলা করে ।



বর্ষার এক বিকেলে শাপলা চত্তরে আকস্মিকভাবে এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় । রিকশা ভাড়া না দিতে পেরে অপেক্ষারত বন্ধু আমার কাছে ৫ টি টাকা চায় ।



মানিব্যাগ বের করার সাথে সাথে ৫ টাকার নোটটি উঁকি মেরে বন্ধুকে দেখা দেয় । ওটা ছাড়া ছোট আর কোন নোটের খোঁজ মেলে না । আমি প্রমাদ গুনি , ভীষণ কষ্ট হয় । দু'টো/ চারটি মুহূর্ত দ্বিধা করি । কিছু বলতে না পেরে ভীষণ কষ্টে ওর দিকে নোটটা বাড়িয়ে দিই । মূহুর্তের নিস্তব্ধতা চূর্ণ করে কোথায় যেন কলরব শুনতে পাই , রিকশাওয়ালা কোথা থেকে যেন ভাঙতি জোগাড় করে আনে ।



পাঁচ টাকার পটে আরেকবার জীবনের ছবি আঁকা হয়। যুগান্তরের জীবনের আর গল্পের স্বপ্ন বুনে পাঁচ টাকা বেঁচে রয় ।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +৪০/-১

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৫২

ত্রিভুজ বলেছেন: ২০০৯ সালে এসে ৫ টাকা ঈদি? দারুণ ব্যপার তো!

পাঁট টাকাটা এখনো আছে?

১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:০০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আছে বলেই তো লিখলাম ত্রিভুজ ভাই , কেন যেন মনে হয় এই নোটটা কখনও হারাতে দেব না । তারপরও দু'বার নোটটা হারাতে বসেছি ।

অন্তত যেদিন আমার অন্য সবকিছু শুন্য থাকবে , সেদিনও এই নোটটা থাকবে । কখনও কেউ আমাকে কপর্দকশুন্য বলতে পারবে না

২| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:০৭

নিবেদীতা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল..

+++++

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর দেখছি আপনাকে
কেমন আছেন ?

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: টাচি লেখা। +++

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭

সবাক বলেছেন: আপনাকে পড়ে ভালো লাগলো।

শুভ রাত

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সকালে রিপ্লাই দিলাম ,
শুভ সকাল
ভাল থাকবেন

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:০০

অমাবশ্যার চামচিকা বলেছেন: অপূর্ব স্মৃতিকথন।+

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:০০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:০২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: স্মৃতিরোমন্থন চমৎকার

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৮

মমমম১২ বলেছেন: বাহ
ভাল লাগলো

২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: প্রেরণা পেলাম

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:২৪

বিডি আইডল বলেছেন: জটিল লেখনী ++ শৈশব সর্বদাই স্মৃতি কাতর করে

২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:০১

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: শৈশবের দিনগুলো এত জটিলতামুক্ত ছিল , খুব আক্ষেপ হয় , অনেক বেশি

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:৩১

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: কখন কোথায় কে হারিয়ে যাবে, আগে থেকে কি আর জানা যায়?

২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কখনও কখনও হারিয়ে যাওয়াই নিয়তি , সমস্ত শক্তি দিয়েও ঠেকাতে পারি না ।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:০৯

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: এক টাকাই ভাল...মানে আর কি এক টাকার গল্পটাই ভাল, তবে দেখা হলে পাঁচ টাকাটাই নেব:P

২১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দিতে পারি , যদি ঠিকমত রাখতে পারো , আমার কাছে কেমন অনিরাপদ লাগছে

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৪০

অদ্রোহ বলেছেন: পুরনো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলে মনটা মাঝে মাঝেই বিষাদে ছেঁয়ে যায়............।

২১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি , আজকের এই দিনটাও তো একদিন পুরনো হবে । অনেকদিন পর কি আজকের বিষাদের দিনটাও পরম আকাঙ্ক্ষিত হবে ??

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

অপরিচিত_আবির বলেছেন: আমার মতো রোবট টাইপের মানুষের হাতে পড়লে দুই টাকা পাঁচ টাকা কবেই হারিয়ে যেত !!

২১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমিও কম রোবোট না :)
রোবোট আসলে বুঝে উঠতে পারে না মানবিক অনুভূতিগুলো কোথেকে উঁকি দেয় , যখন অনুভব করতে পারে তখন অনেক বেশি কাতর হয়ে পড়ে

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৫৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: ২ টাকা জটিল লাগতো। উদাস কেন?

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মন খারাপ

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩০

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: আমার একটা দুইটাকার গল্প ছিল .........

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: গল্পটা শোনার অপেক্ষায় ..... কবে পাচ্ছি ?

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০

হীরণ্ময় বলেছেন: আমার কোন টাকার গল্প নেই ! কারণ আমরা গরীব ছিলাম !

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার অবস্থাটা ? এমনই গরীব যে ৫ টাকাই সম্বল , ওটা হারালে নিঃস্ব :(

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৪১

দীপান্বিতা বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল......কেমন আছেন?

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

উমম ...... সত্যি কথা বলতে কি অস্থির আছি , ভীষণ ভীষণ ।
কেমন আছেন আপনি ?

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: দারুন। অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন। দেখি কিছু লিখা যায় নাকি।

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মনে করিয়ে দিতে পেরে ভাল লাগছে , তবে স্বার্থক হবে যদি তাড়াতাড়ি আপনার লেখাটা পাওয়া যায় ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৩

দীপান্বিতা বলেছেন: আমি ভালই......কাজের চাপ, নাকি!!!

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারছি না আসলে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , আপনার সহানুভূতি স্বস্তি দিল

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা মুভি রিভিউ দিলাম। সময় পেলে দেখবেন।
Click This Link

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হু , অনেক আলোচনা হইল ওখানে

২০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৯

একরামুল হক শামীম বলেছেন: ৫ টাকার ঈদীর ঘটনা কি??? কে দিয়েছে?

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: শামীম ভাই , একটা কথা বলি , আপনি যা ভাবছেন তা হয়ত ঠিক না , কিন্তু তারপরও আপনি প্রচন্ড প্রচন্ড বিচক্ষণ লোক , জনগণরে তো পুরা বেইজ্জতি করে দিবেন :)

২১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:১৭

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: স্মৃতি আর সম্পর্ক ছাড়া জীবনে আর কিছুই নাই উপার্জন - আমি বললাম।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৪৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: স্মৃতিটাই , সেই টাকার কিন্তু ভ্যালুটা সেরকম ছিল না । আমারও সেই স্মৃতিটাই সম্বল , উপার্জনও

২২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৩৭

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: কাবুলিওয়ালা আর মিনির গল্প টাও মনে পড়েছে ......

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৪৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমিও ভাবছি ..
তোমারটা অনেক মজার ...... রহস্যময়

২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:২৭

অ্যামাটার বলেছেন: টাচি...
কেবল বলার জন্য বলছি না, আসলেই অসম্ভব ভাল লাগল।
বিশেষ করে দাদু'র অংশটা।
তবে পাঁচ টাকার ভালবাসাটা ঠিক মেলাতে পারছি না, প্রথমত, সময় ও উপলক্ষের সাপেক্ষে মূল্যমান, দ্বিতীয়ত আবেগের উচ্ছাস।
যা হোক, বিশেষত্ব বের করার চেষ্টা না করলেও বেলা শেষে হিসেব না মেলানোর আক্ষেপটা মেনে নিচ্ছি।

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

এক টাকা আর দু'টাকার গল্পের পটভূমিটা অনেক বেশি স্বচ্ছ । আবেগটাও সেখানে নির্মল , চাওয়াটাও আকাশ ছোঁয়া । কোন ভীতিহীন , আশঙ্কাহীন আকাঙ্ক্ষা , তারপর একদিন সব হারিয়ে যাওয়া ....

পাঁচ টাকার বেলায় খানিক ধোঁয়াশা , অপ্রাপ্তি , হারানোর আশঙ্কা , চাওয়া টা এখানেও আকাশ ছুঁয়ে যায় , কিন্তু পাওয়ার হিসেব মেলে না । অল্পতেই দীর্ঘশ্বাস , সামান্য প্রাপ্তিই এখানে বেঁচে থাকার বিরাট অবলম্বন ।

২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৪০

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আমি এটা গল্প হিসেবে পাঠ করলাম। অনেক দৃঢ় অথচ স্পর্শী।

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার কম্প্লিমেন্টস বড় পাওয়া ,

ভাল লাগল অনেক

২৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৪৬

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মেহরাব ফাটাফাটি লিখছো। আমি নাকি খুব বদা টাইপের ছিলাম। টাকা চিনতে আমার পাঁচবছর লাগছে।:) আমার বাপে টাকা বইলা আমার হাতে কোন কিছুর রশিদ ধরায়ে দিতো, ওটাতেই আমি খুশি হয়ে যেতাম।

১৮ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:২০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কি শুনাইলা ,
হাহাহাহা :)

২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬

আকাশচুরি বলেছেন: মন খারাপ...

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: খুব বেশি :(

২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

নাজনীন খলিল বলেছেন: আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আমি এটা গল্প হিসেবে পাঠ করলাম। অনেক দৃঢ় অথচ স্পর্শী।

গল্প হিসেবে পাঠ করলেও চলে---গল্প অথবা স্মৃতি রোমন্থন যাই হোক লেখাটি চমৎকার।

৫টাকার নোটটা বিশেষ কেউ দিয়েছিল মনে হয়।:)

শুভেচ্ছা।

২৩ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:১৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক প্রেরণা পেলাম ।

সম্ভবত তাই, হিরন্ময় , হিমিকা সম :) ...

অনেক ধন্যবাদ

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কাঠগোলাপ বলেছেন: নাজনীন খলিল বলেছেন: ৫টাকার নোটটা বিশেষ কেউ দিয়েছিল মনে হয়।:)
:P

লেখা জটিল হইসে as usual +

২৫ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: :)

থ্যাংকস অ্যা লট

২৯| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০৭

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: গল্প হোক আর স্মৃতিরোমন্থন হোক চমৎকার লিখেছেন।
ভালো থাকুন।

২০ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ চিটি আপু ,
আপনার উপস্থিতি প্রেরণা যোগায়

৩০| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

মুনিয়া বলেছেন: অসাধারণ স্মৃতিচারণ...
বাংলাদেশে এসে হরিণওয়ালা এক টাকার নোটের উপর আমারও দারুণ মায়া পড়েছিল... অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মনে উঁকি দেয়া কথাগুলো শেয়ার করুন আমাদের সাথে ।
এক টাকার নোটটা আসলেই চমৎকার ছিল

৩১| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
কিছু গল্প স্মৃতিচারণএর মত.........
কিছু স্মৃতি গল্পের মত......................
সবই ছুঁয়ে যায়.........

ভালো লাগলো মেহরাব।
মাঝে মাঝে মন খারাপ না হলে এমন লেখা আসবে কি করে?
মন খারাপের মেঘে বৃষ্টি হলে ,সেই বৃষ্টিধারায় সব কষ্ট ধুঁয়ে মুছে যায়।

শুভেচ্ছা রইলো।

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৪৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এত দেরি হল এত চমৎকার একটা কমেন্টের রিপ্লাই দিতে আমার !!

আমার স্মৃতিগুলো সবসময় গল্পের মত রেখে দিই । স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যায় বেশি , গল্পগুলো রয়ে যায় ।

দুপুর বেলায় কয়েকটা মুহুর্তের জন্য যখন ঝুমঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল , কষ্টের মুছে যাবার ছবিটা এঁকে চলছিলাম ........

সে অনুভূতিটার জন্ম এই কমেন্টের সূত্র ধরেই , সেজন্য কৃতজ্ঞতা নিরন্তর

৩২| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৫

ফেরারী পাখি বলেছেন: ওহ! কি দারুণ মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। খুব ভালো লাগলো আমার।

আপনি ইরানে ছিলেন। আমি ইরানী ছবির খুব খুব খুব ভক্ত। আপনার আগের পোষ্টে ছবিগুলো সংগ্রহে আছে।

আমাকে আরও কিছু ইরানী ছবির নাম দেবেন তো!

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:২৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল । অনেক বড় লেখা , কষ্ট করে পড়েছেন , সেজন্য কৃতজ্ঞতা

আপনার ব্লগে কিছু মুভির নাম লিখে আসছি

৩৩| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪২

সহেলী বলেছেন: ১ , ২ আর ৫ টাকা গুলো মনে হচ্ছে অনেক টাকার চেয়ে বেশী ।

আট টাকার চেয়ে ভারী হয়ে গেল লেখাটা !

২২ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৪০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার অনুভূতিটা অনুভব করতে পেরেছ । অর্থের দিকে যে টানটা কোনদিন জন্মেনি , সেটা হয়ত কখনও জন্মাবেও না । শুধু জানি , এই ১ , ২ টাকা অনেক আক্ষেপ রেখে যাবে সারাটা জীবন । কিংবা ৫ টাকার জন্য লক্ষ টাকা বিসর্জন দিতেও হয়ত কুন্ঠিত হব না ।

অনেক অনেক ভারী , অনেক

৩৪| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

জনৈক আরাফাত বলেছেন: তোমার লেখাগুলোর সরলতা মুগ্ধ করে। :)

২২ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৪২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দুর্জনেরা বলে এর চাইতে বেশি লেখার ক্ষমতা নাই আমার :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩৫| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯

কোলাহল বলেছেন: আহা রে ...

২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: থেমে গেলেন কেন কোলাহল ? অনেকদিন পর দেখা মিলল আপনার

৩৬| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: তুমি তো অনেক অনেক ভালো একজন লেখক।

২২ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: লজ্জা পেলাম
অনেক ধন্যবাদ আপু

৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:১১

আবু সালেহ বলেছেন: স্মৃতিরোমন্থন কিংবা গল্পকথন যাহাই হোক না...কেন
টাচি লেখা হয়েছে...

+++

২২ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম
কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ

৩৮| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

নুশেরা বলেছেন: অদ্ভুত ভালো লাগলো। সবারই বোধহয় এমন কিছু স্মৃতি থাকে... তেমন বিশেষ কিছু না তারপরও নিজস্ব বিশেষত্ব নিয়ে... কিন্তু ক'জনে এমন করে লিখতে পারে!

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:০০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নুশেরা আপু , মাঝে মাঝে মনে হয় আপনারা কয়েকজন কমেন্ট না করলে আমার পোস্টগুলো একদমই অপূর্ণ থেকে যায় । প্রশংসা পেলে ভীষণ লজ্জা পেয়ে যাই .......

অনেক ভাললাগা থাকল আপু । কেমন আছেন আপনি ?

৩৯| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: আজকে অফিসে বেশ আজাইরা বসে আছি। টাইম নিয়ে পুরা লেখাটা পড়লাম। তোমার অন্য লেখাগুলোর চাইতে এর ধরণ একেবারে আলাদা। স্মৃতিচারণমূলক যে কোন পোস্টই আমার ভালো লাগে। এই টা আরো বেশি ভালো লাগলো।
প্রিয়তে।

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৩৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমারও মনে হয় এমন লেখাগুলো লিখতে সবচেয়ে ভাল লাগে ।
লেখার সময় নিজে খুব বেশি মিশে যাই লেখার সাথে , জানিনা অনুভূতিটা অন্যদের ছুঁয়ে দিতে পারি কিনা

৪০| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩

মানবী বলেছেন: অসাধারন সুন্দর একটি লেখা! মেহরাব পুরোপুরি লেখক হয়ে গেছেন ভাইয়া :-)
এমন চমৎকার লেখার ধারা অব্যহত থাকলে অচিরেই বাংলা সাহিত্যের আকাশে নতুন নক্ষত্র হিসেবে আপনার নাম ঝলমল করবে ইনশাহ্‌আল্লাহ্।


খুব ভালো লেগেছে লেখাটি পড়ে, ধন্যবাদ ভাইয়া।


*** ৫ টাকার নোট দাতা/দাত্রীকে লেখাটি পড়ানো সম্ভব হলে পরবর্তী ঈদে ৫০০ টাকার নোট লাভের সম্ভাবনা হতে পারে :)

আরেকট কথা, মানব্যিাগের বিশেষ স্থানটিতে দ্বিতীয় আরকেটি ৫ টাকার নোট চিহ্নিত রাখা সম্ভব হলে ভবিষ্যতে এই বিশেষ নোটটির প্রতি হুমকীর সম্ভাবনা কমবে আশা করি!!***

২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:২১

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি , সকালটা ভালো লাগা দিয়ে শুরু হল , কেমন আছেন আপু ?

কমেন্টের শেষ অংশটা পড়ে হেসেই চলেছি । ৫ টাকার নোটেরই নিরাপত্তা দিতে পারছি না , ৫০০ বয়ে বেড়ানো কত বড় ঝক্কি হবে ? :)
অবশ্য আরেকটি ৫ টাকার নোট রেখে দেবার কথাটা মনে ধরল ।

আপনার কম্প্লিমেন্টস সবসময় অন্যরকম ভাল লাগে , ভাল লাগাটা লুকোব না । ভীষণ লজ্জাও পেলাম । আমার নিজের কাছে আমার লেখা একদমই আনকোড়া লাগে , খেয়ালের বশে কিছু লিখি । কিন্তু আপনি যখন ভাল লাগা জানিয়ে গেলেন , অন্তত এই সময়টুকুর জন্য লেখাটাকে ভালবেসে ফেলি ।

আপনার লেখনীগুলো ভীষণ ভাল লাগত , ব্লগ আপনাকে মিস করে ।

অনেক ধন্যবাদ আপু

৪১| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭

মেহবুবা বলেছেন: তোমার টাকার কথাগুলো জেনে ভাল লছে , কত কিছু আমাদের কাছে দামী হয়ে যায় পরিস্থিতি আর তার পরিবেশ , পরিচর্যার কারনে ।

২৫ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:৫০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ছোট ছোট জিনিসগুলো আমাকে মনে হয় সবসময় বেশি নাড়া দেয় । কোন কিছুর মূল্য কেমন হবে সময় সেটা অনেকটাই বলে দেয় ।

ধন্যবাদ আপনাকে , অনেক ধন্যবাদ

৪২| ২৫ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

সোহানা মাহবুব বলেছেন: অ-সা-ধা-র-ণ। একটাকা আর দু"টাকার হরিণ-দোয়েলের মায়াবী মুখ আর হারিয়ে যাওয়া রাজেক দাদুর জন্য এক বুক কষ্ট নিয়ে গেলাম।রেখে গেলাম পাঁচটাকার নোটটির খুশিভরা মনের জন্য ভাললাগা।

আপনি চমৎকার লেখেন।এবার থেকে নিয়মিত আপনার ব্লগে ঢুঁ মারতে হবে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
+++

২৬ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৪২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কমেন্টটা যখন করছি , বাঁয়ে তাকালেই পাঁচ টাকাটা দেখছি .. ভাল লাগার রেশটা টের পেলাম ।

রাজেক দাদুর কথা যখন ভাবছি , গাঁয়ের কথা মনে পড়ছে , পুকুর চালাটা সেরকম আর নেই , বাড়ির বাইরের বিশাল খোলা ছায়াঘেরা অংশে অনেকগুলো ঘর উঠেছে । দাদুর বসে থাকার জায়গাটায় সুপারি গাছ ছিল , চোখ বন্ধ করে সেসবের দেখাও মিলছে না । দাদুর ৩ ভাইয়ের কথাও মনে পড়ে কষ্ট হচ্ছে । দু'বছর অন্তর অন্তর সবাই ক্যান্সারে ভুগে মারা যান ।

দু'টাকার নোটের সাথে নিত্যদিনের বসবাস আমার , সকাল থেকে রাত । কিন্তু অমন রংটা কোথাও পাই না , কোথাও না । পুরনো সব দু'টাকায় শতবার জোড়াতালির চিহ্ন , আর কালশিটে দাগের নিচে দোয়েল ঢাকা পড়ে যায় । ঢাকার কংক্রিট উপত্যকায় দোয়েলেরও দেখা মেলে না ..


অনেক ভাল লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে , অনেক ভাল থাকবেন আপনিও

৪৩| ২৬ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:০৯

সোহানা মাহবুব বলেছেন: অমন দোয়েল আর কি কখনও পাবেন বলুন? শৈশবটাই যে হারিয়ে গেছে ওর মায়াবী মুখ নিয়ে! ঢাকার কংক্রিট উপত্যকার মায়াহীন নিরেট আঁকিবুকি দোয়েলের নোটের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সত্তার ওপরও ওর নখরের দাগ কেটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।দিন যাবে,আরও হারাবে সবকিছু।হঠাৎ একদিন খেয়াল করবেন,পাঁচটাকার খুশিভরা মুখের সেই জৌলুস আর নেই।মলিন হয়ে গেছে।জীবনটা এমনই।রবিবাবুর একটা গানের লাইন আছেনা,"আর কি কখনও কবে,এমনও সন্ধ্যা হবে?" সেই সন্ধ্যা,সেই হরিণ,সেই দোয়েল আর সেই রাজেক দাদুর আর কখনই ফেরা হয়না।তবু আমরা বেঁচে থাকি নতুন পাঁচটাকার খুশিভরা হাসিমুখের ক্ষণিক জৌলুস নিয়ে।

অনেক লম্বা একটা মন্তব্য করে ফেললাম।আশা করি বিরক্ত হবেননা।আসলে লেখাটা মনে খুব দাগ কেটেছে।
ভাল থাকুন।আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইল।

২৮ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মন্তব্য যত লম্বা হয় , প্রভাবটা হয় তত বেশি । মন্তব্য লম্বা হওয়ার অর্থ লেখাটা নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু , ভাবার আছে অনেক কিছু । সত্যি কথা বলতে কি এমন দু'টো মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগাটা লুকোবার সাধ্য আমার নেই :) ...... আন্তরিক শুভকামনা আপনার জন্যও

পুরনো দিনগুলো সত্যি ফিরে আসে না .... মিছেমিছিও না , যখন এমনটা মনে হয় অসহায়ত্ব ভর করে । আমি সবসময় পেছনে ফিরে তাকানোদের দলে , ছোটবেলায় বড় হতে চাইতাম , কিন্তু যেই মাত্র একটু বুঝতে শিখলাম , সামনে যাবার চাইতে পেছনে ফিরতে ইচ্ছে হত খুব বেশি । কেন যেন মনে হয় , সামনে যতই যাব , কষ্টের বোঝাটাই বাড়বে । দিব্যদৃষ্টিতে দেখি , পাঁচ টাকাও একদিন গভীর ক্ষত রেখে যাবে এই বুকে ...

৪৪| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

ফেরারী পাখি বলেছেন: মেহরাব লিখ কিছু একটা। পড়ি।

২৮ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আজকের সাগরে সাঁতরানো মতান্তরে হাবিয়া দোজখে গমন নিয়ে কিছু লিখতে পারি আপু

সারাদিন এমন কষ্ট শেষে একটা কমেন্ট পেয়ে ভাল লেগে গেল , রাতে লেখার চেষ্টা থাকবে

৪৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৫৯

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমিতো ব্লগে এখনও অনেক ছোট। আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছিনা। অনেক অনেক অনেক অনেক ভাল লেগেছে। ছোটবেলার অনেক কিছু মনে পরে গেছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৫২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভয় কেন, নতুনদের লেখা নিষেধ নাকি ?

ঝটপট স্মৃতিগুলো নিয়ে কিছু লিখে ফেলুন ..... অপেক্ষায় থাকব আমরা

কৃতজ্ঞতা কমেন্টের জন্য

৪৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২১

রিমি (স. ম.) বলেছেন: তোমার এই লেখাটা আমার খুব ভাল লেগেছে। বিশেষ করে এক টাকার গল্পটা। আজকেই প্রথম কমেন্ট করার অনুমতি পেলাম। ভাল লাগাটা জানাতে পেরে ভাল লাগছে। :)

১৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৬

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কৃতার্থ বোধ করছি , ভাল লেগেছে যেন খুব ভাল লাগছে আমরও। অনেক দেরি হল তোমার প্রথম পাতায় আসতে , অভিনন্দন জানাই ।

এই লেখাটার প্রেক্ষাপটটা অন্যরকম , অনেক অন্যরকম । আর কিছু না হোক , লেখাটার মাঝে সেই অনুভূতিটা বারবার ছুঁয়ে যায় আমাকে । হয়ত ব্লগটা যতদিন বেঁচে থাকবে , অমলিন সে অনুভূতিটা এ লেখায় ভর করে আমায় হৃদয়ে আঁচড় কাটবে ।লেখাটা আমারও পরম আরাধ্য ...

৪৭| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:২৫

অন্যরকম বলেছেন: পড়িয়া নির্বাক +

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:৩৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কেন ভাই ?

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ

৪৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩২

শিশিরবিন্দু বলেছেন: কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু একটা লাইনও মাথায় আসছেনা। ভাল লাগা কয়টা লাইন লিখে যাই,

" ছিল সবুজ রঙের আকাশ আমার এক,
ছিল হলুদ রঙের কত গাংচিল,
ছিল নীল রঙের কোকিল,
লাল রঙের কাক,
গেল কোথায়, গেল কোথায়
পেন্সিল,
আমার ছেলেবেলার রঙ পেন্সিল।।"

- মায়াভরা ছেলেবেলাটা এভাবেই হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে যায়। মনের অজান্তেই রঙ হারিয়ে সব যে কখন ঘোলাটে হয়ে যায়... তবু এই ঘোলাটে জীবনের ক্যানভাসে কিছু কিছু স্মৃতি মাঝে মাঝে লালচে রঙের ছোপ ফেলে যায়। এই ছোপ ছোপ রঙগুলো নিয়েই বেঁচে থাকা নিরন্তর।

ভাল লাগল।
শুভকামনা।।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অসম্ভব ছুঁয়ে যাওয়া কোন কথার প্রত্যুত্তরে শব্দ খুঁজে ফেরা অহর্নিশ , অনুক্ত বচনের নিঃশব্দে উচ্চারণে যখন রঙিন গ্রন্থনা , অতঃপর এলোমেলো কতগুলো উদীরণ :

নিকয নিশির ঘোর কেটে দেয়া ......
রোশনাই সাদা পট.....
বালুকাবেলার তপ্ত প্রহর
একাকী চলা দীর্ঘ তট ...

ঠিক যেন তিমিরের বুক চেরা দুরাকাশের অরণী
জনান্তিকের অস্ফূট বচন .....
এধারে অপেক্ষা , ওপাশে অরতি

এ ধারে শুভ্র পটে এক টুকরো লাল ....
ওধারে নির্মিলীত নয়ন .....

হঠাৎ ভীষণ বনানীর ইচ্ছে
এক ফালি করুণা , অবহেলায় কখন সবুজ ?...

অষ্টপ্রহরের অপেক্ষার অবসান ...
আরণ্যক সবুজের হঠাৎ প্রস্থান ..

অতলান্তিকের বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মানস কাহন
ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে ওঠা শুভ্র পটে দীপ্রবিভা ম্রিয়মান...


...
...

৪৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩

শিশিরবিন্দু বলেছেন: নির্বাক।
প্রিয়তে।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অর্থহীন গল্পটা প্রথম যেন খানিক অর্থ পেল

কৃতজ্ঞতা

৫০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২৩

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা । আগে পড়া হয় নাই :(
প্রিয়তে ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:২২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ বো.কথ

প্রিয়তে জায়গা পাওয়াটা সৌভাগ্যের ব্যাপার

৫১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

রুদমী বলেছেন: আমারো ২ টাকার একটা গল্প আছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৭

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ২ টাকার গল্প দেখছি বেশ কয়েকজনের আছে :)

৫২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২০

রাগ ইমন বলেছেন: ইন্টার্নীর সময় ১০ টাকা বখশিশ পেয়েছিলাম । ঐ দশ টাকা রয়ে গেছে , আমার প্রথম স্বীকৃতি ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অবাক লাগে .....
হাজার টাকার নোট ছুঁয়ে কোন অনুভূতি হয় না

অথচ পাঁচ টাকার ঐ নোটে কি ভীষণ মায়া .....

মানুষের আবেগগুলো অনেকসময় বেঁচে থাকার অবলম্বন ...

...
...
...

৫৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৯

ভাঙ্গন বলেছেন: অনেক টাচি একটা লেখা। গল্প হিসেবেই ভাবতে ভাবতে লেখাটা শুরু করেছিলাম। গল্পের সকল রসদ আছে।
হোক স্মৃতিচারণ! অসাধারণ করে আপনি এঁকে তুলেছেন।
শুভ কামনা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৫

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নতুন করে স্মৃ্তিকথাটা পড়লাম , পটভূমিটা মনে পড়ল , লেখার সময়টার কথা মনে পড়ল ।

ইচ্ছে হল লেখাটা স্মৃ্তিকে ছাড়িয়ে যেন গল্পই হয়ে যায় । সবকিছু একদিন যে গল্পই হয়ে যায়

শুভকামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.