![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সন্তান শিক্ষিত না হলে অপরের সন্তান নিয়ে গর্ব করা যায় কিন্তু নিজের বলে দাবী করা যায় না। যেমন মা'এর মতো হলেও কিন্তু 'মা' নয়। এই সহজ হিসেব না বুঝলে যা হয়...
একথা কেন বলছি এবার শুনুন। গনজাগরন মঞ্চ হবার পরে বিএনপি প্রথমদিকে একেকজন একেক কথা বলে যাওয়ার নীতি নিয়েছিল। মানে যাতে যেকোন দিকে যাওয়া যায় সেই রাস্তা ঠিক রেখেছিল। একপর্যায়ে তারা আধাআধি সমর্থন দিল। তারা ভেবেছিল এটা বুঝি আমাদেরই সমর্থক গোষ্ঠীদের কাজ-কারবার। ফলে সমর্থন দিয়ে হয়ত তরুনদেরকে ধীরে ধীরে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীকে গৌণ দাবীতে পরিণত করা যাবে। এদেরকে দিয়েই ক্ষমতায় আরোহনের পথ পরিষ্কারের দাবীতে নিয়ে যাওয়া যাবে। সেই চেষ্টা থেকেই তারা শাহবাগের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল এটা ক্লিয়ার।
কিন্তু হায় পরক্ষনেই দেখলো যে, এটাতো সর্বনাশা খেলা! শাহবাগের তরুনরা তাদের সাগরেদদের(রাজাকার) বিচারের দাবীতে অনড়। এর বাইরে তরুনদের আর কোন বক্তব্য নাই। এই যখন অবস্থা তখন তারা পিছু হটলো। আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্ধ লাগাইল। মাহমুদুর রহমানকে দিয়ে খেলিয়ে সারা বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দিলো। এরপরে নিজেরাই নাস্তিকতার সনদ দিতে শুরু করলো তরুনদেরকে। যা এখনো অব্যহত রেখেছে। অপরাজনীতির নির্মমতা ও প্রতিহিংসা কত ভয়ংকর সেটা আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করতে থাকলাম।
এরপরে এখন শুরু করেছে নতুন খেলা। হেফাজতে ইসলাম বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন করছে। বেশিরভাগ দাবীই হয়ত জামাত-বিএনপির ১৮ দলীয় জোটের দাবীও। সেজন্য তারা দু'দিন আগে সমর্থন দিল। ভেবেছিল এবার পেয়েছি মওকা। এদের উপরে ভর করেই ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। ভেবেছিল হয়ত যে, এরাও হয়ত রাজাকারের মুক্তি চাইবে। কিন্তু না তারা অন্যান্য দাবীর সঙ্গে রাজাকারের বিচারের প্রশ্নে অনড়। এবং তারাও মওদুদীবাদের কট্টর বিরোধী। ফলে এখানে সমর্থন দিয়ে জামাত-বিএনপি জোট আবারও বিপাকে পড়েছে। উপরন্তু হেফাজতের ভিতরে তাদের লোকদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েও তেমন সুবিধা হচ্ছে বলে মনে হয়না। কারন সমর্থন দিয়েও আজকে পত্রিকায় দেখলাম তারা ক্রমেই পিছু হটছে। এখন বলছে তারা লং মার্চে নয় বরং হেফাজতের দাবীগুলোর প্রতি শুধু নৈতিক সমর্থন দিয়েছে কিন্তু একাত্মতা নয় ইত্যাদি। মানে তারা এখন 'ভাষার' ও 'শব্দের' খেলায় নানারকম কথা বলে বিভিন্ন পথ খোলা রাখছে। যখন যেদিকে যাওয়া যায় আর কি!!
এতে একটি বিষয় ক্লিয়ার যে, কোন দলের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শন না থাকলে প্রকৃতপ্রস্তাবে কোন 'রাজনৈতিক দল' হয়না। এরপরে যদি প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী না থাকে, সুসংগঠিত দলীয় কাঠামো না থাকে, বাস্তবতার নিরিখে কর্মসুচীর পরিকল্পনা গ্রহন করতে না পারে এবং সমকালীন ও সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষনে স্বিদ্ধান্ত গ্রহন করতে না পারলে এবং জনগনের আকাংখাকে সম্মান করে দল পরিচালনা করতে না পারলে অপরের কাধে ভর করে এক পা আগাইলে ঠিক দুই পা পিছাইতে হয়। আর শুধুই বিভ্রান্ত হতে হয়। জাতিকেও বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। দলের নেতারাও বিভ্রান্তিতে পড়ে। এটা বিএনপির নিজস্ব কর্মসুচীর উপরে দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহন না থাকায় এবং সাধারন মানুষের ন্যুনতম প্রত্যাশা পুরন করার কর্মসুচি দিতে না পারায় জনগনের কোন সমর্থন না পাওয়ায় আজকে সত্য কথা বলতে দলের অবস্থা বেশ নাজুক। যার ফলে ভোগান্তি হচ্ছে দেশবাসির। এটা রাজনৈতিক অদুরদর্শিতা এবং দেউলিয়াত্ব বটে!
বিদ্র: বিএনপির বন্ধুরা এই পোষ্ট পড়ে আমার উপরে না ক্ষেপে গিয়ে বাস্তবতা ভেবে গালি দিবেন আশাকরি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
মিলন পাঠান বলেছেন: হেফাজতের ১৩টি দাবীর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধের বিষয়টি নাই। কিন্তু তারা মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে। এবং আগে বিভিন্ন জনের বক্তব্যে বিচারের বিষয়ে বলেছেন, 'আমরাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই' কিন্তু ইসলাম অবমাননাকারীদের সঙ্গে একত্রে নয়। এমন কথা বলেছেন। সেজন্যই আমি মনে করি তারা জামাত-বিএনপির কথায় চলবে না। যা ইতোমধ্যে প্রকাশ হতেও শুরু করেছে।
আসলে কোন দল নিজেরা কোন যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলনে যেতে না পারলে, সরাসরি দলের আন্দোলন না হলে সেখান থেকে সুফল্টুকু পকেটে নেয়া খুব কঠিন। এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: পুরাই সত্য! আসলে বিএনপি কোন সময়েই সুসংগঠিত রাজনৈতিক মতার্দশের দল ছিল না। বিএনপির জন্ম হয়েছিল সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার শাসনকে গণতান্ত্রিক অনুমোদন দেয়ার জন্য, যা ছিল একটি অগণতান্ত্রিক দুর্নিতি। পরবর্তিতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের হাওয়াতে পাল উড়িয়ে দেশের সাধারন মানুষের বিশ্বাসকে পুজি করে ক্ষমতায় এসেছে ৯১এ। এরপর আবার আওয়ামি লীগের অপরাজনীতির ফলস্বরূপ এসেছে ২০০১এ। তারপর যে দু:শাসন চালিয়েছে তাতে আর ক্ষমতায় আসার কথা না। সেটা তারা নিজেরাও জানে। তাই এখন কি পুজি করে পরবর্তি ক্ষমতায আসবে তা নিয়েই খাবি খাচ্ছে। এরই ফলশ্রুতি এরকম ছুটে বেড়ানো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
মিলন পাঠান বলেছেন: জটিল কইসেন
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
মোঃ নাহিদ হাসান লিটু বলেছেন: জানিনা বাংলা মায়ের বুকে কবে আবার শান্তি ফিরে আসবে। সবাই সেটার জন্য চেষ্টা করি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
মিলন পাঠান বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: আও্য়ামীলীগ যেমন গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলন থেকে ফল নিতে পারেনি ।
বিএনপি-জামাতও হেফাজতকে হেফাজত করতে গিয়ে বড় ধরাই খাবে।
হেফাজত যেদিন জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবী তুলবে সে দিন তাদের কি অবস্থান হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।