নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারীভাবে জনশক্তি রপ্তানী ও আমাদের মুনাফাখোর বণিক

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

কয়েকদিন ধরে জনশক্তি ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এবং জনশক্তি রপ্তানীকারকদের সংগঠন 'বায়রা' বাহাসে লিপ্ত। অবশেষে বায়রা ধর্মঘটে গিয়েছে।



কারন, সরকার স্বল্প খরচে মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে শ্রমিক পাঠাচ্ছে। এতে এই লোভী বনিকদের আতেঁ ঘা লেগেছে।



বায়রার সদস্যরা শ্রমিক রপ্তানী করে প্রায় "টু থাউজেন্ড পারসেন্ট" ব্যবসা করে। মানে জনগনের অঢেল টাকা লুট করে। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই তাদের এই কর্মবিরতি।



এদেশের নিম্নবিত্ত থেকে গজিয়ে উঠা মধ্যবিত্ত এবং লোভী মধ্যবিত্ত থেকে বেড়ে উঠা লুটেরা উচ্চবিত্তের চরিত্রের বিশেষ গুন হলো তারা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিভিন্ন ধর্মের মানুষ হলেও টাকা লুটের ক্ষেত্রে তারা একই ধর্ম মেনে চলে। অর্থাৎ কবি নিমলেন্দু গুনের ভাষায় টাকার কোন ধর্ম নাই। এমনকি ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হলেও টাকা লুটের ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।



সরকার শ্রমিক পাঠানোর কারনে জনগনের যে উপকার হবে সেটা এই বনীক সমাজ উপলব্ধি করতে পারবে না কোনদিন। কারন তাদের দরকার টাকা। জনগনের কী হবে এটা তাদের ভাবার অবকাশ কোথায়?



আমি নিশ্চিত বায়রার পক্ষে এই অসহযোগীতা অবশ্যই টাকা লুট করতে দেয়ার সুযোগ না দেওয়ায়। এখন অবশ্য আরো কিছু অন্যান্য কারন উপস্থিত করছে কিন্তু আসল কারন মাত্র একটি। টাকা লুট করতে না দেওয়া। সরকার নিজেরাই শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা আজকে বন্ধ করে দিক, দেখবেন কাল থেকেই তারা মহাখুশিতে ডগমগ করছে।



এদেরকে অন্যায়ের সুযোগ না দিলেই মন বেজার করে, অভিমান করে, রাগ করে, একসময়ে তারা বিক্ষুব্ধ আচরন শুরু করে। এটা বনিকদের চিরকালীন অভ্যাস। এদেশে অবশ্য কতিপয় রাজনৈতিক দল ও নেতাদেরও একই অভ্যাস হয়েছে। অন্যায় করতে না দিলেই তারা নানান হুমকি ধামকি আর অসহযোগিতা শুরু করে।



এক্ষেত্রে বিএনপি সরকারের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের একটি ঘটনার উল্লেখ করছি। সাত্তারের সময়ে একটি ব্যাংকের কিছু কর্মচারী/কর্মকতা কর্মবিরতিসহ নানান অসহযোগিতা শুরু করেছিল। সম্ভবত সম্পুর্ণ অযৌক্তিক দাবীতে। সাত্তার সাহেব বারবার অনুরোধ করার পরেও যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে সম্মত না হওয়ায়, তখন সাত্তার সাহেব বলেছিলেন, আপনারা যদি আগামীকাল থেকে কাজে যোগ না দেন তাহলে আমি নতুন লোক নিয়োগ করবো। দেশে অসংখ্য বেকার মানুষ আছে। কাজেই স্বিদ্ধান্ত নিন।



এতেই কাজ হলো। অনেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগ দিল। যারা দেয়নি তারা আজও আফসোস করে। সাত্তার সাহেব আমার মনে হয় সঠিক স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।



শেষকথাঃ এদেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা কম নয়। ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কম নয়। এত ঘনতিপুর্ণ একটি দেশে কোন শুন্যতা জনবলের অভাবে অপুর্ণ থাকতে পারেনা। এটা দ্রুত বুঝতে পারা উচিত এই লুটেরা বনিকদের।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭

হাসানুর বলেছেন: এই সুযোগ যদি তারা পেত আমি শিওর তারা জনপ্রতি ৩ লক্ষ টাকা করে নিত ! সরকারকে সাধুবাদ জানাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.