![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎসবে সরকারি-বেসরকারি-আধাসরকারি-সামরিক সকল ক্ষেত্রেই বিশেষ করে ঈদ ও পুজাসহ শুধু ধর্মীয় উৎসবে 'উৎসব ভাতা' দেয়া হয়। কিন্তু এই উৎসবগুলোর কোনটিই একইসঙ্গে সকল ধর্মের মানুষের নয়। আলাদা আলাদা উৎসব আলাদা ধর্মের মানুষের। এটাই স্বাভাবিক এবং বোনাস দেয়াও যুক্তিসঙ্গত। আমি শুধু এসবের সঙ্গে আরেকটি বিষয় যোগ করার দাবি করছি।
কিন্তু আমাদের এই দেশের সকল মানুষের আরো কয়েকটি জাতীয় উৎসব আছে। আছে সরকারি ছুটিও। তারমধ্যে উৎসব বিবেচনায় সবথেকে বড় হলো "পহেলা বৈশাখ" এবং তারপরেই ষোল ডিসেম্ভরের বিজয় দিবসের উৎসব।
সমগ্র সমাজ কাঠামো যদি একটি সাংস্কৃতিক কাঠামোতে গড়ে উঠে তাহলে পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রধান সাংস্কৃতিক আনন্দের সুতিকাগার। আর রাজনীতি যদি হয় সংস্কৃতিক একটি পরিশাখা তবে ষোলই ডিসেম্ভর সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রধান অবকাঠামো।
এই দেশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে স্বাধীনতা লাভ করেছে। আর সেই বাঙালি আয়োজনের সবথেকে বড় উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ। বাঙালিয়ানার উৎসবকে কেন্দ্র করে সারাদেশ আনন্দে মেতে উঠে। আজকের এই মাতোয়ারা উৎসব যুগ শতাব্দী পেরিয়ে সহস্রাধিক বছরের অধিককালের বিবর্তনের ফল।
এটাকেই আমরা সার্বজনীন উৎসব হিসেবে লালন করছি ও পালন করছি।
তাই বাঙালিয়ানার এই উৎসবে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বের চলমান উৎসব ভাতার সঙ্গে আরেকটি উৎসব ভাতার আওতায় নেয়ার দাবী করছি।
সোজা কথায় আমি মুলত পহেলা বৈশাখেও একটি 'বোনাস' দেয়া হোক, সরকারি এমন একটি স্বিদ্ধান্ত দাবি করছি; প্রত্যাশা করছি। এতে "বাঙালি এবং আদিবাসি বাঙালি জাতীয়তাবাদী" রাষ্ট্রে দিবসটির গুরুত্ব শুধু বৃদ্ধিই পাবে না, মানুষ আরো গভীরভাবে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব উপলব্ধি করার প্রয়াস পাবে।
©somewhere in net ltd.