নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক ইসলামী দর্শনের সঙ্গে ধর্ম প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের কোন সম্পর্ক নাই

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

গনতান্ত্রিক দেশে যে কেউ রাজনীতি করতে পারেন। নতুন দল গঠন করতে পারেন। এটা নাগরিক মৌলিক অধিকার। সংবিধানে স্বীকৃত হয় এমন যে কোন রাজনৈতিক দর্শনকে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করতে পারেন। এগুলো ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা, মুক্তমত ও সংগঠনের স্বাধীনতা থেকেই করতে পারে নাগিরকগন।



সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে ভাষা ও সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী, সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ শীর্ষক আদর্শের অধীন রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল ক্রিয়াশীল। এছাড়াও সংশোধনবাদী, সংস্কারবাদী ও আধাখেচড়া নানান অ-দর্শনের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের এমিবাসুলভ তৎপরতা চক্ষুষ্মান হয়।



আমার বক্তব্য এখানে অত বিস্তারিত নয়। নয় সকল রাজনৈতিক দর্শনের তত্ত্বীয় আলোকপাতের ইচ্ছা।



আজকের কথা শুধুই ধর্মকে যারা গ্রহন করে রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে তাঁদের নিয়ে।



ব্রিটিশ ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমলেও দেখা গেছে এই আদর্শবাদীরা সঠিক সময়ে বেঠিক স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে।



যার ধারাবাহিকতায় তাঁরা একাত্তরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের বিরোধীতা করে বাঙালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। খুন, গুম, লুট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এরকম নানান কুকর্ম করে তাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশে নিজেদের রাজনীতি করার অধিকার নৈতিকভাবে হারান। খোদ তাঁদের ধর্ম বিশ্বাসই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এমনকি তাঁরা ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে অনেকেই এমন মনে করেন। ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর সরকার আইনীভাবে নিষিদ্ধ করেন সময়ের প্রয়োজনে।



কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে আধাখেচড়া অ-দর্শনের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থানে পুনরায় তাঁরা রাজনীতিতে ফিরেন। ইতোমধ্যে তাঁরা ফুলেফেপে বেশ মোটাতাজা হয়েছে।



বন্ধ করার কথা আলোচিত হচ্ছে। যা তাঁদের কর্মের কারনেই হচ্ছে।

একাত্তরেও তাঁরা ধর্মের নামে অ-ধর্মের কাজ করায় বিতর্কিত এবং অপরাধী। বর্তমানেও একই কাজে লিপ্ত হওয়ায় একই দোষে দুষ্ট।



ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারকারী এই দলগুলো মুলত পবিত্র ইসলামকে রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে গ্রহন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশে জনগনের ভিতরে প্রবেশ করতে সুবিধা নিতে। তাঁদের উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোই প্রমান করে যে, এই রাজনৈতিক ইসলামী দর্শনের সঙ্গে ধর্ম প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের কোন সম্পর্ক থাকতে পারেনা। বরং যেখানে মানুষ আগে থেকেই ধার্মিক সেখানে তাঁরা ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিকতায় এই দর্শনকে গ্রহন করে।



খেয়াল করলে দেখা যাবে, ইসলামী রাজনৈতিক দর্শন মতবাদের রাজনীতি শুধু মুসলিম প্রধান দেশে এবং শুধুই মুসলমানদের মধ্যে। ঠিক তেমনি অন্যান্য ধর্মের প্রাধান্য অনুযায়ী সেসব দেশেও তাঁদের ধর্মীয় রাজনৈতিক দর্শন ক্রিয়াশীল। রাজনৈতিক দর্শন হিসেবেই এটাকে গ্রহন করেছে তাঁদের নেতারা। ধর্ম প্রতিষ্ঠা বা প্রচারের জন্য নয়। মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির দুর্বলতা এর মুল এবং মৌলিক কেন্দ্র। স্বভুমির জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে যেমন থাকে সংস্কৃতি ও অর্থনীতি মুল ও মৌলিক কেন্দ্র।



বর্তমান পৃথিবীতে কারো পতনের জন্য অন্যের কিছু করতে হয় না। নিজেই নিজের পতনের জন্য এনাফ... এনাফ... এনাফ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: "বর্তমান পৃথিবীতে কারো পতনের জন্য অন্যের কিছু করতে হয় না। নিজেই নিজের পতনের জন্য এনাফ"............ সহমত

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

মিলন পাঠান বলেছেন: ধইন্যা হয়ে গেলাম।

ধন্যবাদ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.