![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুই বন্ধু ঝগড়া মারামারি করে একাকার অবস্থা। অবশেষে একজন হাসপাতালে আরেকজন সুস্থ। পাঠক এবার বুঝতেই পারছেন ঘটনার দৌরাত্ম্য;
অন্যায় নিশ্চয়ই দু'জন যুগপৎ করেনি। একজনের একটি অন্যায়ের প্রতি-উত্তরেই এই মারামারির ঘটনা। এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু শুধু মারামারি নয়, একসময়ে দেখা গেলো একজন মারলো আরেকজন জখম হয়ে হাসপাতালে। শেষ নাগাদ ব্যাপার হইল, যে মারলো সে-ই অপরাধী, সাধারনের চোখে।
এখন কী হবে???
দু'জনের কাছের বন্ধু ও পরিচিতজনেরা কোন পক্ষ নিবে?
যে জখম হয়ে হাসপাতালে সে কিন্তু চাইবে আইনের আশ্রয় নিতে। অথবা পক্ষান্তরে যে মারলো সে কিন্তু চুপ হয়ে বসে থাকবে না। সবার কাছেই যাবে। ক্ষমা চাইবে, তৈল মর্দন করবে। দু'জনের কাছের বন্ধু ও পরিচিতজনেরাও একটা পক্ষ নিবে। উভয়কুল রক্ষা করবে কয়জন সুবিধাবাদী। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা কেউ করবে কি-না সন্দেহ, তবে কাউকে পাওয়া গেলে যেতেও পারে, নিরপেক্ষ।
মাইর খেয়ে সে যদি হাসপাতালে নাও যেতো তবুও বিষয়টি দাঁড়াবে এরকম যে,
বাদবাকী সবাই কিন্তু তাঁর পক্ষেই যাবে যে আগে তাঁদের কাছে পৌছাঁতে পারবে।
মোদ্দাকথা, আমরা সবসময়েই তার পক্ষ নিই যে ন্যায়-অন্যায় যা-ই করুক আমার কাছে আগে আসবে। নালিশ করবে অথবা সাহায্য চাইবে। এটা আমাদের আবেগি অবস্থান নিঃসন্দেহে।
এর কারন নৈতিক ভিত্তির উপরে মানুষের মনন এবং বেড়ে উঠা না হলে মানুষ এরকম-ই হয়। এমন আচরন করবে এটাই স্বাভাবিক। এভাবেই আমাদের সমাজের মধ্যে মানুষে মানুষে বিভক্তির সূচনা সম্ভবত।
আবেগি বাঙালি, হুজুগে বাঙালি ইত্যাদি রসালো কথা বোধহয় এজন্যই আমাদের জন্য।
©somewhere in net ltd.