![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এদেশে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়াপন্থীরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনাপন্থীদের দুরত্ব তৈরি করে চীনাপন্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে দেয় নাই। এই দুরত্ব চীন-রাশিয়া দুই ভাগে বিভক্তির পর থেকেই শুরু। অবশ্যই সকল চীনাপন্থী গ্রুপ-উপগ্রুপ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মেনে যোগ দিতেও চায় নাই। নকশালপন্থীরা যোগ দেবেনা একথা কে না জানে! আওয়ামী লীগের উপরে ভর করে নিজেদের মনোবাঞ্চা পুরনের ইচ্ছে আর কি! হয়েছেও তাই-ই।
মুক্তিযুদ্ধের পরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ক্ষেত্রেও আগের ধারা বহাল রইল। রুশপন্থী বামেরা আওয়ামী লীগের উপরে ভর করে চীনাপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার থেকে দূরে সরিয়ে দিলো। চীনাপন্থীরা শুরু করলো অপপ্রচার আর মিথ্যা প্রপাগান্ডা। মুসলিম লীগের পয়সায় পরিচালিত জাসদের ভুমিকা হয়ে উঠলো আরো জঘন্য। সারাদেশে নকশালপন্থী, গনবাহিনী ও সর্বহারাদের তান্ডবে নবগঠিত দেশের অবস্থাকে করে তুললো নাজুক। এরসঙ্গে পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার অবিরত।
এই অপপ্রচারের দলিলগুলোই পুজি হয়ে দাড়ালো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের। পচাত্তর পরবতী সময়ে আগের অপপ্রচারগুলোর পত্রিকার দলিল দস্তাবেজ ব্যাপক প্রচারিত হলো রাষ্ট্রীয় সহায়তায়। একটান চলল ২১ বছর। এমনিতেই যারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তারা বিশ্বাস করছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে নানা কারনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের উপরে অভিমান করে থাকা অনেক দেশপ্রেমিক মানুষও বিশ্বাস করেছে। ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার প্রশ্নে অনেকে বিশ্বাস করে নাই, কিন্তু সেই অপপ্রচারকে সত্য বলে আরো অধিক হারে প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। গোয়েবলসের উক্তির মতোই বিষয়টি।
আজকে যুদ্ধাপরাধী, তাদের দোসর ও ছাগুছানা থেকে শুরু করে ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্ধীরাও সেইসব অপপ্রচারকে আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করতে নির্বিচারে ব্যবহার করে যাচ্ছে। যুক্তি ও নৈতিকতা এক্ষেত্রে সুদুর পরাহত।
আসলে থিসিসের বিপরীতে এন্টি-থিসিস অনেকদিন ধরে চলতে থাকলে সেটাকে মানুষের মগজ থেকে সরানো খুব কঠিন। ফেসবুক ও ব্লগ এক্ষেত্রে দারুন ভুমিকা রাখছে। কিন্তু তবুও কিছুটা থেকেই যাবে যে!
বাস্তবতা হলো, সেই সব অপপ্রচারের হোতাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে একজোটে এসেছে, কিন্তু সর্বনাশের আগুনে এখন তারাও পুড়ছে, জ্বলছে।
রবি ঠাকুরের ভাষায়... পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি-রে হায়...
নির্মম সত্য হলো, আওয়ামী লীগকে একাই পথ চলতে হয় অবশেষে।
কেননা, এখনো এদেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল একমাত্র আওয়ামী লীগ। কারন, এদেশে জনমুখী রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। এজন্য আওয়ামী লীগ নিজেদের অতীত নিয়ে অহংকার করতেই পারে। মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়কত্ব করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের কারিগরির নেতৃত্ব দিয়েছে। হ্যা, বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বিষয় ও ঘটনার প্রেক্ষিতে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু অর্জন এত বেশি যে, স্বাধীন বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা যতকাল থাকবে অহংকার করার মতো অহংবোধ আওয়ামী লীগের থাকবেই।
যদিও স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতিতে নানান মেরুকরন ও ঘটনাপ্রবাহ নানান নতুনত্বের জন্ম দিয়েছে। এসবের ক্ষেত্রে 'সবাই সমান' এহেন তকমার যতই হুড়োহুড়িময় গদ্য রচনা করা হোক না কেন একটি দলের সমগ্র জীবনকালের মুল্যায়নই হলো প্রকৃত সত্য। খন্ডিত মুল্যায়ন আক্ষরিক অর্থেই ভিত্তিহীন।
হ্যা, আওয়ামী লীগের মতো আরো কয়েকটি দলের জাতীয়তাবোধের বিকাশ ও মুক্তিযুদ্ধের ভুমিকা নিয়ে গর্ব করার অহংকার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু জনমুখী অর্থাৎ ক্ষমতামুখী রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রধান ও অপ্রতিদ্বন্ধী দল, যাদের রয়েছে অহংকার করার মতো অহংবোধ।
স্যালুট আওয়ামী লীগ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
মিলন পাঠান বলেছেন: আপনি হেসে আত্মসুখ পেতেই পারেন।
জিয়ার জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগ দেয়া মাওলানা মতিন কে ছিলেন একটু খোজ নিবেন। মতিনের দলের নাম বাংলাদেশ লেবার পাটি।
জাসদ যে একজন রাজাকারের মুক্তির পরে ফুলের মালা দিয়েছিল সেটা কেন করেছিল একটু খোজ নিবেন।
বাশির লাঠি তৈরি কর
বাংলাদেশ স্বাধীন কর। এই ছিল স্লোগান।
আপনার কাছেই একরকম উদ্ভট তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বাংলার হাসান বলেছেন: মুসলিম লীগের পয়সায় পরিচালিত জাসদের ভুমিকা হয়ে উঠলো আরো জঘন্য। মুসলিম লীগের পয়সায় জাসদ পরিচালিত কথাটা পড়ে না হেসে পারলাম না। আপনার লেখার আলোচনা সমালোচনা কোনটাই করলাম না। যাষ্ট একটা তথ্য দেই, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে আওয়ামী লীগের একটা স্লোগান ছিল। বাঁশের লাঠি তৈরী কর, বিপ্লবীদের খতম কর। এই স্লোগানটা কাদের উদ্দেশ্য করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ দিত, একটু খোঁজ করুন। দেখবে আবার কেঁচো খুড়তে যেয়ে বেরিয়ে অজগর দেখে ভয় পাবেন না যেন। ইতিহাস নিয়ে কিছু লিখলে সত্যটা লিখার চেষ্টা করবেন।
ভাল থাকবেন,শুভ কামনা রইল।