![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রক্তের কালিতে লিখেদেই ভালবাসা মানেনা কোন ভয়। প্রেমেজর্জর বুকে আশা জাগে বারবার নিজেকে করতে ক্ষয় । আমি বুকের রক্তে এঁকেছি ফুলের গায়ে লাল আল্পনা,বিজয়ের গদ্য। খাল-বিলে জেগে উঠা প্রতিটি শাপলায় লেখা আমার প্রেমের পদ্য ।
ইরাক ও আফগান যুদ্ধের পর আমেরিকা ও তার দুসর ইউরোপিয় ইউনিয়ন , জাতি সঙ্ঘ , বিশ্ব ব্যাঙ্ক , ন্যটু এবং এদের নিয়ন্ত্রক ইয়াহুদিরা ভালভাবে আনুধাবন কিরতে পেরেছে যে মুসলিম জাতিকে চাইলেই নিশ্চিন্য করা যায় না বা যাবে না । টন কে টন বম্বিং করেও আফগান বা ইরাকে নিজেদের কর্তৃত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই বরং নিজেরাই দেওলিয়া হওয়ার অবস্থা । ঋণের ভারে জর্জরিত । ন্যটু সদস্যরা বাহিনি দিতে চাচ্ছে না ।এ অবস্থায় তাদের জন্য ইসলামী বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য নতুন কোন পন্থার দরকার ছিল ।এরা যদিও গনতন্ত্র গনতন্ত্র বলে চিৎকার করে তাই বলে মুসলিম বিশ্বে কোন ইসলাম পন্থি দল গনতাতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতায় এসে ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে কাজ করবে এটা তাদের পক্ষে হজম করা কঠিন । এরা সর্বোচ্চ নিজেদের লালিত পালিত কোন দালাল কে হজম করতে পারে ।মিশরের গন অভ্যুত্থানের পর ইসলাম পন্থি কোন দল ক্ষমতায় আসবে না এ ব্যপারে তারা নিশ্চিত ছিল ।তাই অভ্যুত্থানকে স্বাগিত জানিয়ে ছিল , কিন্তু ইসলাম পন্থি মুরসি ক্ষমতায় আসার পর এরা প্রচণ্ড শক পায় । তাদের স্বপ্ন ছিল নিজেদের পালা কুকুর আল-বারদেই এর মত কাওকে ক্ষমতায় বসান । যাতে দূরে বসেই রাজ করা যায়। মুরসির ক্ষমতা গ্রহন তাদের স্বপ্নকে ধুলিস্বাত করে দেয় । তখন থেকেই এরা পরিকল্পনা করে ক্যু-এর মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা চ্যুত করে নিজেদের অনুগত ব্যক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা । তাদের পরিকল্পনা মত আল-বারদেই এর মত কুলাংগার সাথে মিশরিয় খৃষ্টান সংখ্যা লঘুদের নিয়ে ইখওয়ান ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই ক্যুর জন্য সেনা বাহিনিকে উস্কানি দিয়ে আসছিল । সাম্রাজ্যবাদীদের ক্রমাগত চাপ আর দেশীয় গাদ্ধারদের প্ররচনায় অবশেষে সেনাবাহিনী নির্বাচিত মুরসি সরকার কে ক্ষমতা চ্যুত করে আল-বারদেইকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার উপক্রম করেছে ।সাথে যোগ দিয়েছে স্বৈরাচার হোসনে মোবারকের সঙ্গী সাথীরা । সাম্রাজ্যবাদীরা নিজেদের কাল নকশা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে মিশরকে ঠেলে দিয়েছে এক দীর্ঘস্থায়ী গৃহ যুদ্ধে । ইখোওয়ানের হাতে এখন সম্ভবত সংগ্রামের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া করার কিছুই নাই । মুফতি সাহেবরা হয়ত এ পরিস্থিতিতে জীহাদকে ফরজ ঘোসনা দিবেন । কি সুন্দর করে একটা মুসলিম রাষ্ট্রে গৃহ যুদ্ধ লাগিয়ে দিল । নিজেরা নিজেরা মারামারি করে মুসলিমরা দূর্বল হয়ে যাবে । সাম্রাজ্যবাদীদের নিজেদের এসে লোকবল, আর্থবল , ইমেজের কোনরুপ ক্ষতি না করেই ইসলাম পন্থী একটি মুসলিম সরকারকে ক্ষমতা চ্যুত করে দূর্বল করে দেওয়ার এই আসাধরন প্ল্যান । পাশাপাশি ইসরাইলের জন্য একটি বন্ধু রাষ্ট্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা । এ যেন এক ডিলে একঝাক পাখি মারা। ইরাক আফগান যুদ্ধে ধরা খাওয়ার পর অন্যকোন মুসলিম দেশে সরাসরি আক্রমন করার কোন চিন্তা এদের নেই । বরং লিজেদের মধ্যে গৃহ যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়া বা অনুগত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নামিয়া দেয়ার সহজ পন্থা গ্রহন করেছে । সুদান , সিরিয়া , তুরস্ক এর জলন্ত প্রমাণ । এর ফলে আমরা হয়ত তৃতীয় একতা বিশ্ব যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি , উরাও হয় ত তাই চাচ্ছে । যেখানে মুসলমানরাই একটি পক্ষ হিসাবে গন্য হবে । মুসলমানরা ভুলে গেলেও খৃষ্টান রা যেমন ক্রুসেড ছারে নাই তামনি ইয়াহুদিরাও ধর্ম যুদ্ধ ত্যাগ করে নাই । কমিওনিজম এর সাথেও ইসলামের সংঘাত কমিওনিজম’র জন্ম লগ্ন থেকেই ।এক ঝাক প্রতিপক্ষ । সাথে দালাল, অর্থ নারী আর ক্ষমতা লোভী মুসলিম নামধারী রাজা বাদশা আর এদের চামচারা তো আছেনই । আজকে যেই সংগ্রাম মিশরে চলছে আগামীকাল তা আমাকে গ্রাস করবে না এর নিশ্চয়তা কোথায় ? আরব আর আফ্রিকা বিপ্লবের এই ঢেউ যে মুসলিম বিশ্বের জন্য নতুন দিনের বার্তা বয়ে আনবেনা তাই বা কে জানে । সুবহে সাদিক আতি নিকটে বলেই হয়ত এত মেঘের ঘনঘটা । সুহাসিনী ভোর এই এল বলে ।
©somewhere in net ltd.