নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবাগী মন ফিরে নাকো কভু আট কুঠুরির পিঞ্জিরে।বনের পাখিরে পেরেছে কখনো বাধিতে কেহ জিঞ্জীরে?ঘাড়ভাঙা যার স্বভাবদোষ, দোরে কি-বা আসে যায়!ভাষাহীন মায়ার দাবীতে কেন বাধিতে চাও অবেলায়?

ক্বাবার পথে

আমি রক্তের কালিতে লিখেদেই ভালবাসা মানেনা কোন ভয়। প্রেমেজর্জর বুকে আশা জাগে বারবার নিজেকে করতে ক্ষয় । আমি বুকের রক্তে এঁকেছি ফুলের গায়ে লাল আল্পনা,বিজয়ের গদ্য। খাল-বিলে জেগে উঠা প্রতিটি শাপলায় লেখা আমার প্রেমের পদ্য ।

ক্বাবার পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল মাকে উৎসর্গ.।.।।

১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:১২

মধুর আমার মায়ের হাসি, চাদের মুখে ঝরে।। মাকে মনে পরে ………।

মায়ের শাড়ীর আচলে লেগে থাকা ঘামের ঘন্ধ আপনার মনে আছে কি? নাকি বড় হওয়ার পর তা হারিয়ে ফেলেছেন । কিছু কিছু বিষয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে হারিয়ে যায়। আমার মনে আছে যখন ছোট ছিলাম তখন বাহির থাকে খেলাধুলা শেষে বা এমনিতেই বাহির থেকে আসলে মা বকতে থাকতেন কেন বাহিরে যাই , কেন ঘেমে নেয়ে খেলাধুলা করি , আর আচল দিয়ে ঘসে ঘষে মাথা মুখ পিঠ মুছে দিতেন তখন কিযে একটা ভাল লাগত , কি এক ঘ্রানে , কিএক ভালবাসায় সারা দিনের সব ক্লান্তি , খেলায় হারার কষ্ট সব কোথায় যেন হারিয়ে যেত । আজ আনেক দিন হয়ে গেছে , মায়ের যে কোলে ছিল আমার একক আধিপত্য সে কোলের এখন অনেক ভাগিদার। ছেলে ছেলের বঊ, মেয়ে মেয়ের জামাই , এক গাদা নাতি নাতনি। যে ছেলের চুল দাড়ীতে পাক ধরেছে সেই ছেলেক ত আর চাইলেই কোলে নি বসে থাকা যায় না বা কোলবালিশ বানিয়ে কোলে নিয়ে শুয়ে বা বসে থাকা যায় না ।নাতি নাতকরের সামনে মাও ত লজ্জা পান। বাড়ী ছেরে আসছি আজ কত দিন হয়ে গেল । আগে যেখানে প্রতিদিন ১৫-২০ বার মাতৃ দর্শন না হলে আস্থির লাগত এখন মা’র সাথে দেখা হয় সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে , মাঝে মাঝে মাসে । সারা দিন অফিস করে ,১৫০ কিমিঃ জার্নি করে ঘেমে নেয়ে ক্লান্ত হয়ে মধ্য রাতে যখন মায়ের কোল ফিরি , এক বার নক করার সঙ্গে সঙ্গে মা কে যখন দেখি আমার আপেক্ষায় নীচ তলায় দরজার সামনে বসে আছেন তখন সারা দিনের দুঃখ কষ্ট গুলি কোথায় যেন হারিয়ে যায়। মায়ের হেসে সালাম দেয়া , কাধ থেকে ব্যাগ নেয়া , আন্য হাতে মোবাইল মানি ব্যাগ নেয়া , ফ্যনের নীচে বসানো, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা লেবুর শরবত খেতে খেতে কোশল জিজ্ঞাসা , মাথায় গায়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া , এ এক আবিশ্যাস্য আনন্দ। মাকে ছাড়া থাকার সব কষ্ট , মেছে খেয়ে না খেয়ে থাকার কষ্ট, সময়মত ও মনমত না খাওয়ার কষ্ট, চলাচলের কষ্ট সব যেন এক নিমিষেই হারিয়ে যায়। কিন্তু শাড়ীর আচল দিয়ে শরীর মুছার সময় মার শরীরের যে ঘ্রান আমার মন মস্তিস্ককে আন্দোলিত করে তার আভাব মন থেকে যায় না । আমি বাসায় যেয়েই ছোট বোনের হাত থেকে টাওয়েল নিয়ে ওয়শ রুমে যাই , বাসার সবাইকে দস্তরখানায় যেতে বলি । সবাই এক সাথে খাব বলে মা সবাইকে এত রাত অব্দি বসিয়ে রেখাছেন। ওয়াশ রুম থেকে ইচ্ছা করেই মাথা শরীর না মূছে শুধু কাপর চেঞ্জ করে মার পাশে এসে বসি । মা রেগে বলেন মাথা মুছিসনি কেন ? আমি বলি টাওয়েল ত দেয় নাই । মা ছোট বোনকে বকা দিতে দিতে আচল দিয়ে মাথা মুখ পিঠ মুছে দেন আর আমি অপরাধির মত মুখ করে ছোট বোনের দিকে চেয়ে থাকি। মার শরীরের ঘ্রানে আমার মন শান্ত হয় । সব চাওয়া পাওয়া , না পাওয়া, দুঃখ কষ্ট হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। মার হাতে ধরে আমার রুমে যাই । আমার বিছানায় মার কোলে শুয়ে ঢাকার গল্প করি। মা আমাকে এলাকার কথা শুনান । মাঝে মাঝে ছাদে পাটি বিছিয়ে আমি মা , ছোট বোন ভাতিজা ভাতিজি নিয়ে রাতের আকাশ দেখি , এল মেল গান গাই।মাঝে মাঝে ভাইয়াও আমাদের সাথে যোগ দেন । এক সময় ভাবি আর বাবার বকা বকিতে শুতে যাই । ছোট বোন মশারি লাগিয়ে গুজে দিয়ে , কাথা কোলবালিশ আছে কিনা দেখে বাতি নিভিয়ে দিয়ে যায় । আল্লাহর দেয়া এই আফুরন্ত নেয়ামতের শুকরিয়ে আদায় করতে করতে ক্লান্ত আমি হারিয়ে যাই এক আচিন রাজ্যে । আল্লাহ আমার বাবা মা , পুরু পরিবারকে হায়াতে তাইয়্যেবা নসিব করুন ।আমীন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

আজীব ০০৭ বলেছেন: পৃথিবীর সব মা কে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.