নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেরুদণ্ড হীন

আমি একটা আস্তাকুরের ঘোড়া জন্ম থিকেই একটি ছাড়া সবগুলো পা খোঁড়া

মেরুদণ্ড হীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুচি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৩

রুচি ব্যাপারটা বড়ই আজব একখানা চিড়িয়া। এক জনের টা যেন পন করেছে আরেকজনের টার সাথে কখনই মিলবে না। রুচি বিষয়ক এক খানা নিদারুন ঘটনা আজকে মনের বাগানে খোঁচা দিচ্ছে।
সে বেশ অনেক বছর আগের কথা।সৃতির পাতায় বেশ কয়েক পরত ধুলার আস্তর পরে গেছে। সকলের সৃতির ভাণ্ডারে হয়তো খুজেও বের করা সম্ভব হবে না। এক বন্ধু প্রবরের শ্রদ্ধেয় জ্যেষ্ঠ বোনের বিবাহ অনুষ্ঠান। আবেগের নদীতে অবগহন করিয়া দুই বন্ধু সংকল্প করে ফেললাম আমাদের ক্রয় কৃত উপহার অন্য সকলের থিকে ভিন্ন ও আকর্ষণীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক সপ্তাহ ব্যাপক পরিমানে নিউরনে অনুররন ঘটিয়ে সিধান্ত নিলাম প্রমান আকারের এক খানা চিত্র-কর্ম উপহার দেব। দুই জনই আমরা বিপুল মাত্রায় খুশি কেউ ধারনাই করতে পারবে না আমরা কি দিচ্ছি।দাঁত ক্যেলাতে ক্যেলাতে টাকা নিয়ে বিয়ের আগের দিন চলে গেলাম দৃষ্টি নন্দন চিত্র-কর্ম ক্রয়ের অভিলাশে। ব্যাপক মেধা খাটিয়ে হাজার খানেক টাকায় মনের মত এক খানা ছবি ক্রয় করে ফেললাম। তারপরে শুরু হল জার্নি টু হোম। ছবি খানা এতই বড় ছিল বাসে বা সি এন জী তে তা আঁটানো কোন পক্ষেই সম্ভবপর হোলনা। এদিকে আবেগের ধাক্কায় পকেট উজাড় করেই ছবিটা কেনা হয়েছিল। পঞ্চাস টাকা সম্বল করে আগপিছ ভেবে সৃষ্টি কর্তার নাম স্মরণ করে দুইজন বাসার দিকে রওনা করলাম প্রায় বারো কিলো রাস্তা রিক্সা ও পা সম্বল করে সন্ধ্যা নাগাদ মাথার ঘাম শরীরের বিভিন্ন আনাচে কানাচে ঘুরে কমদামি জুতার ডেবে যাওয়া অংশে জমা করে বাসায় সহি সালামত ফেরত আসি। পরেরদিন বুক ফুলিয়ে উপহার হাত বদল করে আমরা বিজয়ীর মত খাবার পেটে পাচার করে মহা আনন্দে বাসায় চলে আসি। পুনশ্চঃ এক সপ্তহা পরে বন্ধুর বাসার সামনের আস্তাকুরে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে গিয়ে বিমোহিত হয়ে দশ মিনিট পার করি। বন্ধু প্রবরের বাশার পাশের আস্তা কুরে ছবি খানা একটি নতুন ডাইমেন্সন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। মন হাহাকার করে বলে উঠলো ''রুচি ব্যাপারটা বড়ই আজব একখানা চিড়িয়া''।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.