![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতিন মিয়া সেভ করতে বসেছেন বারান্দাতে । কিন্তু এটাকে তার বারান্দা বলতে ইচ্ছা করেনা। দুই হাত পাশ গ্রিলে আবদ্ধ যায়গাটা অনেক টা খাচার মনা।ত। বারান্দা থিকে পাশের বাড়ির দেয়ালের নোনা ধরা আস্তর ছাড়া কিছু দেখা যায়না। মতিন মিয়ার এই বয়সের শখ বলতে একটাই আকাশ দেখা। বারান্দা দিয়ে আর যাই হোক আকাশ টা উনি দেখতে পান না। অনেক দিনের ইচ্ছে বড় দখিনা বারান্দা সহ এক টা ফ্ল্যাট উনি ভারা করবেন। ইন্সুরেন্সের দালালি করে পুরান ঢাকার সাব্লেট এই রুম টাই তার এখন পর্যন্ত ভাড়া থাকা সব বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে আভিজাত্য পূর্ণ। মতিন মিয়া সাবান মেখে বসে আছেন আয়নার দিকে তাকিয়ে। আয়না টা ভাঙ্গা।চাইলেই ফুটপাথ থিকে ২০ টাকা দিয়ে নতুন আয়না কিনে নিয়ে আসতে পারেন। কিনবো কিনবো করেও কেনা হয় না। আয়না টা রহিমার অনেক প্রিয় ছিলো। গত দুই যুগ বছর ধরে এই আয়না টাই মতিন মিয়ার একাকিত্য জীবনের সঙ্গি। জীবনে কাউকেই তো ধরে রাখতে পারলেন না, এই বয়সে এসে আয়নাটাকে তিনি চাইলেও হাতছাড়া করতেচান না। আয়না আর যাইহোক বিশ্বাস ঘাতকতা তো করবো না।
©somewhere in net ltd.