নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

জ্বলে উঠার অপেক্ষায় নিভু নিভু প্রদীপ।

শফিউল আলম ইমন

জীবনের দৈর্ঘ্য নয় তীব্রতাই হচ্ছে জীবনের সবকিছু। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা নয়, প্রচন্ড উত্তাপে ছারখার করে দেয়ায় হচ্ছে জীবন। খুবই সাধারন একজন। স্বপ্নময় জগতে বসবাস করি।

শফিউল আলম ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লন্ডনে বৈশাখী মেলা এবং একটি পর্যালোচনা...\ ইমন

১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:০৭

প্রায় দু তিন সপ্তাহ আগে থেকেই মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছর মে মাসে বৈশাখী মেলা হয়ে আসছে। এবার লন্ডন মেয়রের অনুমতি না পাওয়ায় প্রথমে মেলা হবে না বলে শুনেছিলাম। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে নাকি অনুমতি দেয়া হয়নি। মেলা কমিটির সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা অনেকটা নাছোড়বান্দা ছিলেন বলেই পরে অনুমতি পাওয়া গেছে। আমার তো মনে হয় অনুমতি দেওয়া নিয়ে নাটক করার কারণেই কেন লিভিংস্টন এবারের মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। কারণ টাওয়ার হ্যমলেটসের বাঙ্গালী কমুনিটির ভোটে অনেক কিছু নির্ভর করে। হতে পারে অন্য কারণ।



যাইহোক, মেলায় ফিরে আসি। আমার বন্ধুরা সবাই আগে থেকেই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নিয়েছিল (একমাত্র রাসেল ছাড়া)। মেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকা স্বত্ত্বেও শনিবার রাতে আমি কিছুটা সিদ্ধান্ধহীনতায় ছিলাম। কারণ পরেরদিন চেলসির ফুটবল ম্যাচ। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধান্ত নিলাম মেলাতেই যাবো। প্রতিবছর এই একটা দিন ই তো বাঙ্গালীদের মেলা হয়। দুপুর একটায় রেডি হওয়ার জন্য সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করলাম। আমি ফেডেড জিন্সের সাথে কালো টি শার্ট পরে মাথায় চেলসি ক্যাপ দিয়ে রেডি হয়ে গেলাম। হাতে সানগ্লাসটাও নিলাম। কিন্তু বের হওয়ার আগমুহুর্তে বাবর ভাই এসে বাধালো বিপত্তি। বাবর ভাই বলেন 'তুই ক্যাপ পরিস না তোকে এমনিতেই ভালো লাগছে'। চুলে জেল দেওয়া আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয় তাই মাঝে মাঝে ক্যাপ পরে বাসা থেকে বের হয়। এতে চুল নিয়ে সময় অপচয় করতে হয় না। কাজে গেলে অবশ্য অন্যকথা। বাবর ভাই মুরুব্বি মানুষ। তাছাড়া উনার মাথা পকপকা। মানে অনেক আগেই জাতীয় স্টেডিয়াম হয়ে গেছে। তাই আমি ও বললাম ঠিক আছে, চেলসি ক্যাপ নাহয় নাই নিলাম কিন্তু চুলে তো জেল দিতে হয়। তারপর জেল দিয়ে যখন দ্বিতীয়বারের মত রেডি হলাম তখন তৌহিদ এসে বলে 'কালো টি শার্ট পড়িস না, সাদা কোন শার্ট নেই?'। লন্ডনে এখন ঠান্ডা তো নেই বরং গরমে কাহিল অবস্থা। ক্লাস সেভেনের বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছিলাম কালো কাপড় সুর্য্যের তাপ শোষণ করে কিন্তু ছাড়তে পারে না। যার কারণে বেশি গরম লাগার কথা। বাংলাদেশ থেকে চার বছর আগে সাদা ফুরফুরে টাইপের একটা ফতোয়া কিনে এনেছিলাম। এটা ঠিক গতানুগতিক ফতোয়াও না। খুবই স্টাইলিশ এবং আরামের হওয়ায় কেনার পর থেকেই এটা আমার খুবই প্রিয়। তারপর সেটা পরে বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে গেলাম।



বৈশাখি মেলা বসে পূর্ব লন্ডনের বিশাল জায়গা নিয়ে। অন্যান্যবার দু'টি মাঠে স্টেজ করা হত। এবার একটি করা হয়েছে। আমরা মাঠে গিয়ে প্রথমে স্টেজের দিকে অগ্রসর হলাম। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ ভিড় করেছে।



স্টেজের কাছাকাছি গিয়ে কিছুক্ষণ দেখার পর বিরক্তি ভাব চলে আসছিল। একে তো কাঠপাটা রোদ দ্বিতীয়ত উপস্থাপকের বাংরেজী (বাংলার সাথে ইংরেজী) শুনে মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। তারপর ও ধরে নিলাম বিদেশীদের বুঝতে সুবিধা হওয়ার জন্য তারা ইংরেজী বলছেন। কিন্তু উপস্থাপিকার অতিরিক্ত মাত্রায় ন্যাকামোর সাথে অশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ তো মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া উপস্থাপক এবং উপস্থাপিকা দুজনের মধ্যে কোন বোঝাপড়া দেখলাম না। একজন কথা শেষ করার আগেই আরেকজন কথা শুরু করেন। এতো বড় একটি অনুষ্টানের জন্য দুজন ভালো উপস্থাপকের অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। তারপরও বিনামূল্যে যখন এসেছি আফসোস না করে দেখার চেষ্টা করছি।



তারপর ‌র‌্যাপ গান নিয়ে হাজির হলো এখানের দুজন ব্রিটিশ বর্ন বাংলাদেশী। যাদেরকে আমাদের মত বাংলাদেশীরা সংক্ষেপে বিবিসিডি (ব্রিটিশ বর্ন কনফিউসড দেশী) বলে। এটার পেছনে অবশ্য কারণও আছে। আমি যখন নিজেকে বাংলাদেশী বলে দাবী করি তখন কোন কনফিউশন থাকে না, ভেতর থেকেই আসে। কিন্তু এরা নিজেদের বাংলাদেশী বলতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে বলে মনে হয় না। যাইহোক ফিরে আসি গানের কথায়। এই কাউয়াতাড়ানো র‌্যাপ গান শুনে এখানকার ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা মনে হয় একটু বেশী উত্তেজিত হয়ে গিয়েছেন। কারণ আমাদের সামনে দেখলাম কিছু ছেলেদের সাথে হাতাহাতি হচ্ছে। খেয়াল করে দেখি শাড়ী পরিহিত এক মহিলা সাথে আরেক কিশোরী মিলে দুজনকে চড় থাপ্পড় মারছেন এবং গালি দিচ্ছেন। ধাক্কাধাক্কির কারণে মহিলা চটেছেন। এসব দেখে আমার অন্য বন্ধুরা বলল 'দোস্ত, চল পেছনে চলে যায়'। কি আর করা আস্তে আস্তে আমরা পেছনে ভাগলাম। এরপর একটা গাছের শীতল ছায়ার নিচে অবস্থান নিলাম।



অনুষ্টানের একপর্যায়ে হিন্দী গান শুনে আমি কান খাড়া করে ভালো করে বুঝতে চেষ্টা করলাম, আসলেই কি হিন্দী গান নাকি আমার শুনার ভুল। না, উঠে দেখলাম হিন্দী গানের সাথে নাচছে কিছু তরুণ তরুনী। আমাদের পাশে বসা একজন বলে উঠল 'বাংলা মেলায় হিন্দী গান কেন?' সেই প্রশ্নটি আমার মাথায়ও ঘুরপাক করছিল। মেলা কমিটির সদস্য না হওয়ায় এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। তারপও হিন্দী গানের বিষয়টি কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। যাইহোক, অনুষ্টানের একপর্যায়ে উপস্থাপক তারকা খ্যাতি পাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে নিজেই গান গাইতে শুরু করলেন। কথায় আছে না গাইতে গাইতে গায়েন।





মাঠের একপাশে 'হট্টোমালা'র স্টল থেকে গানের আওয়াজ ভেসে আসছিল। উকি মারতে গিয়ে মিঠু ভাইকে ( বাংলাদেশ থেকে পরিচিত ) মাইকে চিল্লাইতে দেখলাম। মিঠু ভাই দেশে থিয়েটার করতেন। খুবই ভালো অভিনয় করেন। তার কাছে জানতে চাইলাম বিষয় কি? তিনি একটি লিফলেট বাড়িয়ে বললেন সামনের মাসে সেন্ট্রাল লন্ডনের 'দি ব্লুমসবারি থিয়েটার' এ তারা 'হট্টোমালা' নামে বাংলা নাটক করতে যাচ্ছেন। তারপর বললেন তুমি চলে আসো। যদি কোথাও অংশ নিতে চাও ব্যবস্থাও হতে পারে। আরো বললেন উনারা মিলে লন্ডনে একটি চলচ্চিত্র ও বানাতে যাচ্ছেন। মিঠু ভাইয়ের কথা শুনে মনে মনে তারকা হওয়ার সাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। দেশে থাকতে একসময় চুরি করে আমি স্টেজ প্রোগ্রাম করতাম। চুরি করে করতাম কারণ আমার বাবা মা এসব মোটেও পছন্দ করতেন না। পরে অবশ্য কয়েকবার ধরা খেয়ে বকা খেতে হয়েছিল। বেশীর ভাগ সময় উপস্থাপক হিসেবে যেতাম। মাঝে মাঝে অভিনয়ও করেছিলাম। অনেক ছোট বয়স থেকেই সংগীত এবং সংস্কৃতিতে আমার অগাধ আগ্রহ। এতোদিন পরে কি তাহলে সেটা আবার মনের ভেতরে উকি দিচ্ছে? সামনের মাসে আমার পরীক্ষা তারপরও যাওয়ার ইচ্ছে আছে। হাজার হোক বাংলাদেশী থিয়েটার। আমাদের আ্যপ্রেসিয়েট করা উচিত।





এবার 'রুপবানে নাচে কোমর দোলাইয়া' গান নিয়ে স্টেজে আসলেন 'কুইন'। এর আগে কখনো নাম শুনেছি বলে মনে পড়ছে না। তাতে কি? কোমর দোলাইয়া গানের সাথে অনেকে কোমর দোলাচ্ছেন।

রুপবানের কোমর দোলাইয়া নাচের সাথে আমার কিছু বন্ধুও বেশ নাচানাচি করেছিল এক পর্যায়ে আমিও অংশগ্রহণ করেছি। আমরা আট দশজনের নাচানানাচি দেখে অনেকে কৌতুহল নিয়ে দেখে মজা পাচ্ছিল। ক্যামেরাম্যান ও বসে ছিলেন না। তিনি আমাদের নাচানাচি সারা বিশ্বে এটিএন বাংলার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করছেন দেখে আমাদের লাফালাফি আরো বেড়ে গিয়েছিল। তারকাখ্যাতি বলে কথা।





অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে সিরাজ চৌধুরী (বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি) এসে একে একে স্পন্সরস, লন্ডনের ডেপুটি মেয়র এটিএন বাংলার মাহফুজুর রহমান সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের স্টেজে আসতে বললেন। উনারা স্টেজে আসলে সামনে থেকে উশৃংখল কিছু ব্যাক্তি বোতল ছুড়লেন। বিদেশীদের চোখে এই ব্যাপারটি মোটেও শোভন বিষয় তো নয় বরং আমার কাছেও অশোভন মনে হয়েছে। উনারা এই কর্মটি করে কি আনন্দ পেয়েছেন তা বোধগম্য হল না।



মাহফুজুর রহমানকে দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম যে জনপ্রিয়(!) শিল্পী ইভা রহমান স্টেজে আসবেন। কতটুকু জনপ্রিয় সেটা আমি বলতে পারব না। তবে এটিএন বাংলা যারা দেখেন তারা ইতিমধ্যে ইভা রহমানের জনপ্রিয়তা দেখেছেন। উনি 'জল পড়ে পাতা নড়ে' গান দিয়ে শুরু করে দুটি গান পরিবেশন করে চলে গেলে উপস্থাপিকা তাকে আবার স্টেজে আসতে বললেন। পরে 'নাচে নাচে মন নাচেরে' দিয়ে সবাইরে আরেকটু নাচাইয়া গেলেন।



তারপর স্টেজে আসলেন এটিএন তারকাদের তারকা ওবায়েদ । আমি না চিনলে কি হবে তারকা বলে কথা। তিনি কোন গান গেয়েছিলেন এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না তবে গান তিনি গেয়েছেন এতটুকু বলতে পারি।



সবার শেষে কালো কোর্ট পরে স্টেজে আসলেন রবী চৌধুরী। এত গরমে আমাদের যখন জান বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম তখন তিনি কিভাবে কোর্ট পরে আছেন তা আমার বোধগম্য হয় নি। ততক্ষণে অনুষ্ঠান শেষের দিকে। আমরাও আস্তে আস্তে ঘরমুখী হলাম।



এই ছিল আমার মেলা অভিজ্ঞতা। অনুষ্টানে উপভোগ করার মত আহামরি কিছু ছিল বলে মনে হয়নি তবে, মেলাতে লাখো বাঙ্গালীর মিলনমেলা দেখে আমি পুলকিত হয়েছি। বাবা মা'দের সাথে মাথায় লাল সবুজ পতাকা বেঁধে অনেক বাচ্চারা এসেছিল। বাচ্চাদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখে ভালো লাগল। একসাথে অনেক বাঙ্গালী দেখে একদিনের জন্য হলেও মনে হচ্ছিল আমি বাংলাদেশে চলে গেছি। তাছাড়া অনেক পরিচিতদের সাথেও সাক্ষাত হয়ে গেল। তবে বাংলা মেলায় আর কতদিন হিন্দী গান দেখতে হবে সেটা দেখার বিষয়।



এখানে একটা ভিডিও আছে ইউটিউব থেকে নেয়া

কাউয়াতাড়ানো র‌্যাপ গানের ভিডিও দেখতে চাইলে ক্লিক করুন।

(ছবিকৃতজ্ঞাতা: ছবিগুলো আরিফুর রহমান এর পোষ্ট থেকে নিয়েছি)

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:১০

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:

মাইনাস

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৯

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: সমস্যা নেই তয় মাইনাস দিতে আপনি ভুলে গেছেন মনে হয়:)
ভাইজান কি ভালো লাগেনি বললে ভালো হত।
বেশী সমালোচনা হয়ে গেলো এটাই কি??
কিছু করার নেই সত্য বলেছি। আমি বাড়িয়ে কিছুই বলিনি।

২| ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৪৬

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: কোমর দুলানো নাচ ভালোই দেখলা।আমি এটিএনে পাইছিলাম দেখি হিন্দী গানের সাথে দুই পোলা নাচে।
কি বিরক্তিকর।
ভালো লাগলো পড়ে।

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৮

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: শান্ত কোমর দোলাইয়া কোমরে ব্যাথা হয়ে গেছে।:)
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:২৯

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: এটিএন এ হচ্ছিল , কিন্তু দেখা হয়নি , ইমনকে দেখা গেলো না , মিস বলতে এটাই ।

ইভা রহমান কিন্তু কিছুদিন আগে একটা হিন্দি গানের অ্যালবাম বের করেছে ।বাপ্পী লাহিড়ি ইভা রহমানের গায়কী কন্ঠ শুনে মোড়ক উন্মোচন করতে ঢাকায় ছুটে এসেছিলেন (ধুর , মাহফুজ সাহেবের অভিনয় একদম কাঁচা হয়েছে , লাহিড়ীকে এত টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছেন , তাও আমার সব বুঝে ফেললাম ;) )।

ওহ , ইভা টেলিভিশনের মালিক মাহফুজ সাহবে তো ডঃ মাহফুজুর রহমান । উনি এমনই কাচা , নিজের অপরাধটা লুকোতে গিয়ে বললেন , "ইভার হিন্দি অ্যালবাম বিশ্ব সংগীত চর্চায় বাংলাদেশীদের উদ্বুদ্ধ করবে"(আরে মিয়া , সব বিশ্ব সংগীত হিন্দিতে কেন ? সোয়াহিলি বা মাওরি ভাষায় ইভা গাইলে কি বেশি ভালো হতো না ? )।

যাই হোক , অনেক গীবত গেয়ে ফেললাম ইভার নামে (সাউন্ড অফ করে ইভার গান শুনতে অবশ্য ভালোই লাগে আমার :) )।

ওহ , লেখার কথাটা বলা হলো না , অনেক প্রাণবন্ত লেখা হয়েছে । থ্যাংকস :) (এই কথায় কোন ভেজাল নেই , একদম দিল থেকে বলা )

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ভাইজান খবরদার পর্দাপাটানো (এটিএন এর পর্দা) তারকারে নিয়ে মশকরা কইরেন না:)
লেখা পড়েছেন তাতে প্রীত হইলাম।
প্রাণবন্ত লেখা এখনো লিখতে শিখিনি তবে আপনাদের লেখা পড়ে ভবিষ্যতে হয়ত লিখতে পারবো।
ভালো থাকুন।

৪| ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:৪১

হট্টগোল বলেছেন:

হট্টগোলের স্টল না মনে হয়। হবে হট্টোমালা

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হা হা হা...হট্টোমেলা লিখতে গিয়ে আপনার নাম লিখে ফেলছি। বলার জন্য ধন্যবাদ।:)

৫| ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: সব বিশ্ব সংগীত হিন্দিতে কেন ? সোয়াহিলি বা মাওরি ভাষায় ইভা গাইলে কি বেশি ভালো হতো না ?হেহেহে:)
ভাল কথা,যেমনে কালো টশার্ট,জেল,ক্যাপ,ফতুয়া নিয়া বর্ণনা শুরু করসিলেন,আমি তো ভাবসিলাম আপনে গান গাইতে যাইতাসেন মেলাতে:)

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৫

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হা হা হা.....ফারহাম কি যে কও? গান গাওয়ার সে বয়েস কি আমার আছে??;)
মেহরাবের কথা ঠিক। বস মানুষ খাঁটি কথাই বলেন।:)

৬| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫৪

রাশেদ বলেছেন: মজা পাইলাম পইড়া। হিন্দী গানও তাইলে হয় বাংলা মেলাতে! হায়রে!

১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম প্রতিবছরই হিন্দী গান বাজাই বেটারা।
দিনকাল কেমন যাইতেছে??
ভালো থাকুন।

৭| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫৯

হট্টগোল বলেছেন:

হিন্দির একটা ব্যাখ্যা আছে। মেলার ড়্যালীতে অনেক ইন্ডিয়ান (বাদ্যবাদক) অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও কিছু রেডিও/সংস্থা আছে তারা স্পন্সর করে। সো তাদের হিন্দিকে একটু জায়গা দিতে হয়।

১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:০৮

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হবে হয়তো। ব্যাখ্যা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
তারপরও বাঙ্গালী হয়ে বাংলা মেলায় হিন্দী গান মেনে নিতে পারছি না।

৮| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:৫৯

আরিফুর রহমান বলেছেন: লেখা কাছাকাছি হয়েছে বাস্তবের। ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:০৬

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছবিগুলো আপনার পোষ্ট থেকে নিয়েছি। আশা করি মাইন্ড করেন নি।

৯| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:১১

রাশেদ বলেছেন: দিনকাল যাইতাছে ভালোই। তবে ব্যস্ত খুব। তাই ব্লগে আসি না তেমন।

১০| ১৫ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৩১

আরিফুর রহমান বলেছেন: নাহ্‌ ব্যাপার না।

আমার লেখার সময় ছিলো না, এতো ডিটেইলসে বলতেও পারতাম না।

১৬ ই মে, ২০০৮ সকাল ৭:০০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:১৯

মুকুল বলেছেন: সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন + :)

১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:২৫

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হা হা হা হা....
সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।:)

১২| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৩:০৭

মুজিব মেহদী বলেছেন: ফেসবুকে পোস্টকৃত লন্ডনী সচল তানভীর আহমেদের একটা অ্যালবাম থেকে এ মেলা সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। ইমনের লেখাটা ধারণাটিকে আরো পোক্ত করল।

এটা পরিষ্কার যে কিছু অবাঙালি ব্যাপার-স্যাপার ওই মেলায় ছিল। আর ছিল ইভাযন্ত্রণা। এই সুন্দরী মেয়েটাকে আর কীভাবে প্রদর্শন করবেন মাহফুজ সাহেব? উনি কেন বোঝেন না যে ইভার গান কেউ শোনে না, বরং সবাই ওর শরীর দেখে?

তানভীরের পোস্টটার লিংক
Click This Link

১৬ ই মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মুজিব ভাই লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বেশ কিছু বিরক্তিকর অবাঙ্গালী ব্যাপার ছিল। ইভাযন্ত্রণার ব্যাপারে আর কি বলবো। তিনি গানের 'গ' জানেন বলেও মনে হয়না। স্বামীর বদৌলতে তিনি জনপ্রিয়(!) হয়েছেন কিংবা হতে চাচ্ছেন।
পোষ্টের লিংকের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৩:১৯

একরামুল হক শামীম বলেছেন: প্রাণবন্ত লেখা হয়েছে :)

১৬ ই মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫১

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: দোস্ত পড়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
ভালো থেকো।

১৪| ১৬ ই মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫৫

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ভাল লেখা হয়েছে।

১৬ ই মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫৮

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: রন্টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কেমন আছো?

১৫| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:২০

মানব মানিক বলেছেন: ভালো হয়েছে ইমন ।
আমরা বাঙ্গালীরাই এমন....।

ভালো থাকবেন।

১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:২৮

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মানিক ভাই পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আছেন কেমন???

১৬| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:২৭

রেটিং বলেছেন: লেখা খুব ভাল হয়েছে। আসলে রিপোর্টিং করা কোন বিষয়ের উপর আমার কাছে অনেক কঠিন একটা ব্যপার মনে হয়। আগাগোড়া একটা প্রোগামকে চোখের সামনে নিয়ে আসে। খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৪০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আসলেই কঠিন। আমিও পারিনা, ধৈর্য্যে কুলায় না।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৭| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৩৬

মানব মানিক বলেছেন: ভালো আছি , খুব ভালো আছি ।
অনেক দিন আপনার সাথে কোন কথা হয় না । আপনার খবর বলবেন। মেইল করেন সময় থাকলে..........

আপনার দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি ।

১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৪৯

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মানিক ভাই আপনার মেইল এড্রেস কি দিয়েছিলেন???
আমাকে যদি এখন কষ্ট করে দিতে পারতেন কৃতগ্গ হতাম।
ধন্যবাদ।

১৮| ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:১২

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মানিক ভাই ধন্যবাদ। আমি এ্যড করে নিয়েছি। এড্রেসটি এখানে মুছে দিলাম। আশা করি কথা হবে।

১৯| ১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:২০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: দোস্ত কি খবর??

১৭ ই মে, ২০০৮ রাত ৩:০৪

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: এইতো মন্দের ভালো। তুই কেমন আছিস??

২০| ১৭ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১৬

ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
+
কেমন আছেন ইমন ভাই?

লেখাটি পড়ে বেশ মজা পাইলাম।

১৮ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৩৩

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ভাস্করদা এইতো ভালোই।
লেখা পড়েছেন শুনে প্রীত হইলাম।
ভালো থাকুন।

২১| ২২ শে মে, ২০০৮ ভোর ৫:৪৩

বিহঙ্গ বলেছেন: মেলার উপস্থাপনটা বেশ উপভোগ্য হয়েছে।
হ্যাঁ,ওরা সারেতেই থাকে।

২২ শে মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ বিহংগ ভাইয়া।
তাইলে সামনের মাসে আপনার সাথে দেখে হচ্ছে ইনশাল্লাহ।
ভালো থাকুন।

২২| ২৩ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৩:২২

ফারহান দাউদ বলেছেন: ম্যানইউ জিতসে,চেলসি হারসে,খিক খিক:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.