![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের দৈর্ঘ্য নয় তীব্রতাই হচ্ছে জীবনের সবকিছু। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা নয়, প্রচন্ড উত্তাপে ছারখার করে দেয়ায় হচ্ছে জীবন। খুবই সাধারন একজন। স্বপ্নময় জগতে বসবাস করি।
আজ বাইরে মেঘলা আকাশ। সাদা মেঘগুলোকে নগ্ন নারীর একপায়ে লেপ্টে থাকা মোজার মতো দেখাচ্ছে। জানালার ফাঁক দিয়ে থিরথির বাতাস এসে গায়ে লাগছে। বৃষ্টি নামবে নামবে করছে কিন্তু এখনো নামছে না। মাঝে মাঝে হঠাৎ আবার রুপালী রোদের ছটা এসে মেঘ তাড়ানো খেলা খেলছে। মেঘলা আকাশ আমার অনেক অনেক প্রিয়। এ দেশের বৃষ্টির আওয়াজে টিপটপ শব্দ পায় না। কাদা মাখামাখির সুযোগও সে দেয় না। তাই প্রিয় বৃষ্টির সাথে ছয় বছর পূর্বে আড়ি দিয়েছিলাম এখনো ফিরিয়ে নিতে পারিনি। এখানের ছাদে এক ধরণের অপার্থিবতা থাকে বটে কিন্তু দেশের মতো কোন পার্থিবতা নেই। চিরুনির মতো এন্টিনা, রেলিঙের গায়ে সারি সারি কাকের বিষ্ঠা, ভেজা লাল কালো ব্লাউজ, শিশুর মূত্রসিন্চিত হরেক রকমের রঙ্গীন কাপড় কোনটিই নেই। তাই ঘরে বসে আপাতত কাব্যিক মনটাকে জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করাটাই শ্রেয়। না, সেটাও আজ হবে না। আজ যা ইচ্ছে তা লিখতে ইচ্ছে করছে। আমার মহামূল্যবান ড্রয়ার খুলে কিছু পুরোনো জিনিসপত্র ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে হলো। তাই করলাম। মহামূল্যবান ড্রয়ার বলাতে কি আছে সেখানে সেটা জানার ইচ্ছে হচ্ছে তাইনা? আসলে এই ড্রয়ারে কিছু পুরোনো চিঠিপত্র আর বন্ধুদের পাঠানো জন্মদিনের কার্ড সযত্নে রেখেছি। ড্রয়ার খুলে মাঝে মাঝে সাদাকালো ইউনিফর্মের অন্তরালের সেসব রঙ্গীন দিনগুলোকে খুঁজি। হলুদ খামের একটি চিঠিতে চোখ আটকে গেলে খুলে পড়তে শুরু করি.....
'দোস্ত, আমার শুভেচ্ছা নিস। তারপর কেমন আছিস? সুজন, আরাফাত, সুমনা, নাজনীন ওদের খবর কি? আমি ঢাকায় এসেছি প্রায় ছয়মাস হয়ে গেলো অথচ তুই আমার কোন খবর নিস নি।
মাঝখানে মার্কশীট আনতে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও তোর বাসায় যেতে পারিনি। তারপরও যতদিন চট্টগ্রামে ছিলাম প্রতিদিনই কলেজে যেতাম কারণ মার্কশীট নিতে হয়ত তুই কলেজে আসবি কিন্তু তাও আসলি না। তোর রেজাল্টের খবর শুনলাম। তুই নাকি অনেক ভালো করেছিস। আমি কোনভাবে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে এই যাত্রায় পাশ করেছি। তারপর এখন কি করবি ভাবছিস? কোথায় এ্যডমিশন নিবি? নাকি দেশের বাইরে চলে যাবি? তোরা তো ভাই 'পয়সাওয়ালার পোয়া'। আমাকে দেশেই থাকতে হবে। খুব ইচ্ছে আছে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার কিন্তু মনে হচ্ছে আমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে রে। আচ্ছা, বলতো এতোদিন হয়ে গেলো অথচ তুই আমাকে চিঠি লিখিস নি কেন? আমি ভেবেছিলাম আর কেউ না হোক অন্তত তুই আমার সাথে যোগাযোগ রাখবি। মোয়াজ্জেমের সাথে চিঠিতে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। ওকে বলেছিলাম তোর খোঁজখবর জানাতে কিন্তু ছাগলটা তোর বাসায় যায়নি। আর তুই ব্যটা গাধা আমার এতো প্রিয় বন্ধু হয়েও কোন যোগাযোগ করিস না। সামনে পেলে তোকে একটা লাথি দিতাম। এবারের মতো বেঁচে গেলি।
তারপর ঈদ কেমন কাটালি? সুজন, সুমনা, নাজনীন আর তোর পারভীনের সাথে তোর যোগাযোগ আছে কি? ওদের আমার শুভেচ্ছা জানাস। সুজন বলদটাকে বলিস আমাকে চিঠি লিখতে। তোর বাবা মাকে আমার শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম জানিয়ে দোয়া করতে বলিস। যাইহোক, তোর অনেক সময় নষ্ট করলাম। অবশ্যই আমার কাছে লিখবি। সবশেষে ভালো থাকিস।
ইতি,
তোর সেই পুরোনো বন্ধু নজরুল।
এই চিঠি ছিলো আমার বন্ধু নজরুলের শেষ চিঠি। এরপর তার সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে শেষবারের মতো দেখা হয়েছিল। আমার বাসার কাছে এসেও বাসায় আসেনি বলে সেদিন অনেক রাগ করেছিলাম। প্রথমে কিছুক্ষণ তো ওর সাথে কথাই বলি নি। কিন্তু তখনো জানতাম না ওর সাথে আমার আর কোনদিন কথা হবে না। ভিসা পাওয়ার তিন দিন পরেই আমি নির্বাসিত হতে পাড়ি জমালাম বিলেতে। ওর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল না বলে বলতে ও পারিনি আমি পরবাসে যাচ্ছি। ওর বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলো বলে সময় অসময়ে ওদের স্থানান্তরিত হতে হতো।
বন্ধু, কত কথা কতো গান মনে পড়ে গেলো। তুই ভালো আছিস তো? তুই কি এখনো গীটার হাতে গলা ছেড়ে গান গাস? মনে আছে একদিন তুই আর আমি ভাটিয়ারীর একটা ব্রীজে বসে গলা ছেড়ে গান গাচ্ছিলাম। তারপর এক মানুষ পকেট থেকে বের করে পাঁচটা টাকা দিয়েছিল। এটা দেখে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে টাকাটা নিতে অস্বিকৃতি জানালে তিনি বলেছিলেন ' বাবা আমি খেটে খাওয়া মানুষ, আপনাদের গান শুনে ভালো লাগল। সামর্থ্য নেই বলে আপনাদের দুটি চায়ের দাম দিচ্ছি, নেন চা খাবেন।' এরপর আমরা আর কিছু বলতে পারিনি। সেই খেটে খাওয়া ভাটিয়ালী হাসির মানুষটির পাঁচটাকার মূল্য আজকের পাঁচশত কোটি টাকার লোভী যন্ত্রমানবরা কি দিতে পারবে? যাক সে কথা বাদ দে। ছোট ভাইয়ের কাছে শুনেছিলাম আমি চলে আসার পরে তুই নাকি বাসায় গিয়েছিলি। কিন্তু তুই ব্যাটা গাধা যোগাযোগের কোন নাম্বার রেখে আসিস নি। আর আমার ভাইকে তো চিনিসই। সেও তোর কোন নাম্বার চেয়ে নেয়নি। এরপর থেকে যতবারই বাসায় ফোন করতাম তোর কথা জিগ্গেস করতাম। যদি একবার এসে ফোন নাম্বারটা দিয়ে যাস এই আশায়। কিন্তু এরপর তুই আর বাসায়ই যাস নি। তোকে খুব মনে পড়ে দোস্ত। তোর মতো খুব কম বন্ধুকে এই জীবনে পেয়েছি। তোর কবিতা লেখালেখি কেমন চলছে? আর আঁকাআঁকি কি এখনো করিস? নাকি ব্যস্ততার অজুহাতে এসব ছেড়ে দিয়েছিস? মনে আছে একবার তোর কিছু পেন্সিল স্কেচ আমি করেছি বলে ক্লাসে চালিয়ে দিয়েছিলাম। তোর এসব দেখে আমার খুব ঈর্ষা হতো। তারপর তুই এখন কোথায় আছিস? তুই এভাবে উধাও হয়ে যাবি ভাবতেও পারিনি। জানলে তোর সাথে বন্ধুত্বই করতাম না। সেটাই ভালো হতো। এখন সেসব দিনের কথা মনে করে চোখের কোণে নোনাজল জমা হতো না। গতবার দেশে গিয়ে সবার সাথে দেখা হলো। শুধু তোর সাথে দেখা হলো না। তোর খবরও কেউ জানে না যে যোগাযোগ করব। জানিস, আরাফাত ছ্যাঁকা খেয়ে মাঝখানে দাড়ি টাড়ি রেখে দেবদাস হয়ে গিয়েছিল। পরে মামার ব্যবসা দেখতে ঢাকায় গিয়ে সে ব্যাটাও উধাও হয়ে গেলো। তারপরও দেশে গেলে তাকে খুঁজে বের করা যাবে। যে লাকির জন্য বেচারা পড়ালেখা মাথায় তুলেছিল সে নাকি এখন ফার্ষ্ট ক্লাস সিটিজেনকে বিয়ে করে আমেরিকাতে সংসার করছে। হায়রে ভালবাসা রে। আর সুজন তো এখন পুরোদুস্তর ব্যবসায়ী। ঐ শালা নাকি আমি দেশে গেলে বিয়ে করবে। আর পারভীনের বিয়ে হয়ে গেছে সেই কবেই। এতোদিনে হয়তো দু তিনটে বাচ্চাও আছে। মনে আছে, তোরা ওকে আমার বউ বলে চেতাতিস। নাজনীনের কথা জানি না। স্বামী সংসার নিয়ে সুখেই আছে হয়তো। মনে আছে তোর, কলেজের ফেয়ারওয়েল এর দিনে আমরা সবাই মিলে 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা' গেয়েছিলাম। তখনও এই গান ভিতরে নাড়া দিতো না। এখন শুনলে সেসব দিনের কথা চোখে ভেসে আসে। তোর কি মনে আছে সেসব কথা, ক্যান্টিনে গিয়ে সিঙ্গারা সমুচা নিয়ে কতো হাতাহাতি করেছি। কিনে খাওয়ার সামর্থ্য সবার ছিলো কিন্তু কাড়াকাড়িতে কতো আনন্দই না পেতাম। একবার তো এ নিয়ে তোর সাথে সুজনের রাগারাগি ও হয়েছিল। খুব ইচ্ছে করে একটা সিঙ্গারা কিনে দু তিনজনে ভাগাভাগি করে খেতে। আমরা যখন হুমায়ুন স্যারের বাসায় পড়তে যেতাম, আমি স্যারের বাসার ফ্রিজ থেকে বীরের মতো চুরি করে সন্দেশ মিষ্টি নিয়ে এসে তোদেরকে খেতে দিতাম। তোর কি সেসব কথা মনে আছে?
তুই আমার বাসায় গেলে মোটর বাইকে চড়তে চাইতিস। একবার বের হলে সন্ধ্যা করে বাসায় ফিরতাম। আমার মোটরবাইক ছিল দেখে তোর কতো ঈর্ষা হতো। আমার বাসায় তুই যতবারই আসতিস মা তোর সাথে প্রথমে আন্চলিক ভাষায় কথা বলে ফেলতো। তুই আমার দিকে আর আমি তোর দিকে তাকিয়ে হাসতাম। তোর কথা মা মাঝে মাঝে জিগ্গেস করতো। মার শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মার জন্য দোয়া করিস। তোর সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। এভাবে কতো কথা বলা যায়? দুটি বছর একই ছাদের নিচে বসে ক্লাস করতাম। আমাদের মধ্যে যে ক্লাসে আগে যেতাম পাশের সিটটা বই রেখে একজন আরেকজনের জন্য বরাদ্দ করে রাখতাম। এতো সব কথা কি এক চিঠিতে শেষ করা যায়? যায় না। তুই যেখানে থাকিস ভালো থাকিস রে দোস্ত।
ইতি,
তোর প্রিয় বন্ধু ইমন।
২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:২২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তামিম পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ।
কেমন আছো তুমি??
২| ২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:২১
ফারহান দাউদ বলেছেন: এখনো ভাগ্যবান,এখনো বন্ধুদের হারাইনি,ধরে রাখতে চাই আজীবন,সুখে-দুঃখে,হাসি-কান্নায়,মিলমিশ আর ঝগড়ায়।
২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:২৭
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আমার সব বন্ধুদের সাথেই যোগাযোগ হয় শুধু নজরুলের সাথে কোন যোগাযোগ নেই।
আমি আর ও অনেক কতো মজা করেছি। আসলে আমরা দুজনে ফাইজলামি করতে পারতাম প্রচুর। ওর সাথে এখানেই আমার মিলে।
তারপর কেমন আছো তুমি? রাসিয়া তো জিতল। আমার ভালোই লাগছে। হল্যান্ড আজকে একদম বাজে খেলছে। রাসিয়া ভালো খেলেই জিতছে।
৩| ২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:২৮
তামিম ইরফান বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া
আপনি কেমন আছেন?.....নিয়মিত লেখা দেন না কেন?
২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:৫১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আমিও ভালো আছি। আসলে এতোদিন নিয়মিত লেখা না দেয়ার জন্য পরীক্ষার অজুহাত দিতাম কিন্তু ইদানীং কাজ নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে গেছি। তাছাড়া আমি লিখে যখন লেখাটা ভালো না লাগে আর এখানে দিতে ইচ্ছে হয় না।
ভালো থেকো।
৪| ২২ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৪:৩৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব মন দিয়ে পড়লাম...........।
অনেকদিন কারো চিঠি পাইনা।
দেশের সব বন্ধুদের কথা মনে পড়ে গেলো..............
৫/৬ বছর আগে সবাইকে একটা করে চিঠি পাঠিয়েছিলাম.........যাদের ঠিকানা ছিলো।
২/১ জন উত্ত র দিয়েছিলো..........।
আসলে দুরের হয়ে গেছি অনেক।সুতো ছেড়া ঘুড়ির মত...........
আকাশেই আছি কিন্তু কেমন যেন ........
চাইলেও আর যোগাযোগ টা থাকেনা।
দারুণ লিখেছো ইমন।
অনেক অনুভূতিশীল লেখা।
তোমার বন্ধু চিঠিটা পেলে খুব কাঁদবে কিছুক্ষন।
যে যেখানেই থাক ভালো থাক.........এই প্রার্থণা।
ভালো থেকো.............।অনেক শুভেচ্ছা/
২২ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৪:৫৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: নস্টালজিক লেখা। মন খারাপ করে দিলে দুঃখিত।
এ বন্ধুটাকে অনেক মিস করি।
অনুভূতি শেয়ার করার এবং মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
তুমিও ভালো থেকো আপু।
৫| ২২ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৬:০৬
মানবী বলেছেন: ভাটিয়ারীর একটা ব্রীজে বসে গলা ছেড়ে কি কি গান গেয়েছিলেন, মনে আছে? অদ্ভুত কারনে জানার কৌতুহল হচ্ছে, কি গান শুনে এমন একজন মুগ্ধ শ্রোতা অমূল্য উপহারটি দিলেন!
নস্টালজিয়া আক্রান্ত ভাবনা লেখায় সুন্দর তুলে ধরেছেন। ভালো লেগেছে পড়ে, ধন্যবাদ শফিউল আলম ইমন।
খুব শীঘ্রই বন্ধু নজরুলের সাথে যেন যোগাযোগ হয়, শুভকামনা রইলো।
২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আসলে আমরা একসাথে হইলে বেশ কিছু গান গাইতাম। তার মধ্যে জেম্স এর সুরের টানে, নচিকেতা'র নীলান্জনা অন্যতম ছিলো।
হুমম....এবার দেশে গেলে ওকে খুঁজে বের করবো।
পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপু।
ভালো থাকুন।
৬| ২২ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৭:৪১
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: খুবই আবেগঘন লেখা।
২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আসলেই.....
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তারপর তোমার কি খবর???
৭| ২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
মাজুল হাসান বলেছেন: দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়....
কিন্তু নজরুলকে হিংসে হচ্ছে! তার এক বন্ধু আছে; নাম ইমন...
আমার অনেক বন্ধু আছে... কোনো নাম নেই তাদের।
পৃথিবী গোলাকার, দেখা একদিন হবেই
২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:২২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: কোনো নাম নেই মানে কি??
হুমম সেটাই ........দেখা একদিন হবেই।
ভালো থাকুন আপনি।
৮| ২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:৪৭
বালুকাবেলা বলেছেন: হুমম,
ভালো আছি, তো আপনি কেমন আছেন?
লেখাটি অসম্ভব ভালো লেগেছে। লেখাটি পড়ে সত্যি আমারও অনেক বন্ধুর ভিরে এরকম আপন কয়েক জনের কথা মনে পরে গেল।
২৩ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৫:২৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আমি ভালো আছি।
পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ।
ভালো লাগাটুকু নিলাম।
ভালো থাকুন।
৯| ২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ২:৫৬
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: খুব সুনন্দর লিখেছো।
সে সব দিন আর কখনো ফিরে আসে না ।
নস্টালজিয়ায় নিজেকে জড়িয়ে ভাবনায় ফিরে পেতে যায়...........
অনেক দিন কেউ চিঠি লিখে না
তোমার চিঠিটা মন দিয়ে পড়লাম..........।
ভালো থেকো
শুভেচ্ছা থাকলো।
২৩ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৫:২১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপু।
ভালো লাগার দিনগুলোকে সবাই ফিরে ফিরে পেতে চাই স্মৃতিতে।
আপনিও ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা।
১০| ২৩ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৬:২৩
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: দ্বিতীয় লাইনটা পড়ে থমকে গিয়েছিলাম, অদ্ভুত উপমা ব্যবহার করেছেন। "সাদা মেঘগুলো নগ্ন নারীর একপায়ে লেপ্টে থাকা মোজার মতো দেখাচ্ছে।"
ভালো লেখা। আরো লিখুন।
২৩ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আশবাফ ভাই পড়ার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।
লেখার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকুন।
১১| ২৪ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৬:৫৩
বিবর্ণ বলেছেন: সাদা মেঘগুলোকে নগ্ন নারীর একপায়ে লেপ্টে থাকা মোজার মতো দেখাচ্ছে। দারুন উপমা।
পড়তে পড়তে কতক্ষন অতীতে ডুবে ছিলাম মনে নেই.......
২৫ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৫:৫৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম...
পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১২| ২৫ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৬:২৮
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
বাবা আমি খেটে খাওয়া মানুষ, আপনাদের গান শুনে ভালো লাগল। সামর্থ্য নেই বলে আপনাদের দুটি চায়ের দাম দিচ্ছি, নেন চা খাবেন।
এই জায়গাটাই এসেতো তুমি চোখ ভিজায়ে দিলা, ইমন । মানুষের ভালোবাসা
বড় অমূল্য ধন ।
তুমি করে বললাম, মাঝে-মাঝে কোন কোন মানুষকে তুমি করে বলতে ইচ্ছে করে ।
আর ভাটিয়ালী ?
কেউ যদি বলে, আপনার সবচে' প্রিয় জায়গা কোনটি ?
আমি চোখ বুঝে বলে দিবো , ভাটিয়ালী ।
আহা ! আহারে ! দিঘীর পানির মত টলটল লেকের
পানি সামনে নিয়ে কতো যে সময় কাটিয়েছি ।
চট্টগ্রাম কোথায় থাকো তোমরা ?
২৫ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তুমি করে বলেছেন কিছু মনে করিনি বরং খুশী হলাম।
আমাদের বাসা/বাড়ী যাই বলেন ফতেয়াবাদে (হাটহাজারী)।
তারপর শিপন ভাই আপনার বাসা কোথায়?
পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৫১
বিবর্তনবাদী বলেছেন: দোস্ত অনেক দিন কোন কাগজে লেখা চিঠি পাই না বন্ধুদের থেকে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর সিলেটের শাহজালাল ইউনি থেকে এক বন্ধু প্রথম কয়েকমাস দুইতিনটা চিঠি লিখেছিল। সেই শেষ।
তোর লেখা পড়ে মনে হল আমার হাতে কাগজে লেখা চিঠি। অনেক অনেক সুন্দর লিখলি। এই জন্য তোরে একটা ফরমালিটি করে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে। মাইন্ড করিস না।
অনেক ধন্যবাদ!!!
২৭ শে জুন, ২০০৮ ভোর ৫:৪৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই হাতে লেখা চিঠি পেতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু এখন কেউ পাঠায় না।
ভালো থাকিস।
১৪| ০২ রা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৯
রাশেদ বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!
০২ রা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:৩৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হ রাশেদ ভাই...আগে আসলেই অনেক সুন্দর কাটাইতাম।
১৫| ০২ রা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:২৫
নিবেদীতা বলেছেন: খুব ভাল লাগল তোমার চিঠি পড়ে, মনটাও একটু খারাপ হয়ে গেল।
দেশে কবে আসছ?
০২ রা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:৩১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ডিসেম্বরে আসব ইনশাল্লাহ যদি সবকিছু ঠিক থাকে।
কেমন আছো তুমি?
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০৩
আকাশচুরি বলেছেন: আমারো নজরুল ছিল একজন, অন্য নামে !!
লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হলো খুব
খুব সুন্দর লিখেছেন
১৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: তারিক ভাই আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।
আপনার মতো গুরুদের নিজের ব্লগে দেখলে প্রীত হই। আপনার লেখার একনিষ্ট পাঠক ও ভক্ত আমি।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০০৮ রাত ৩:১০
তামিম ইরফান বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো ।