ধর্ষণের যুগে আজ গর্বিত বাঙালীর পদার্পণ ও ধিক্কার

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

সবাই এখন মা সিরিয়াল, সংসার গরম হয় রমনীর আঁচলে দেখায় ব্যাস্ত।।ম্যাক্সিম গোর্কীর মা নোবেল না এইটা ঝিলিক আফার মা সিরিয়াল।। এখনকার স্লোগানে আর প্রতিবাদে মুখর হয় ফেসবুক, রাজপথ গরম করার মত বাঙালীর রক্তআর গায়ে নেই কারোর।।সব এখন "ইয়ো ইয়ো ডি জে, মেয়ে দেখলেই প্যান্ট যায় ভিজে"।। আজ দেশে আবার বোনদের ইজ্জত লুটতেছে, মাইরা ফেলতাছে।। কাক্কা আগের বাঙালীদের রক্তে বাঘের মত তেজ ছিল আর এখনকার বাঙালীদের রক্তে মুত ও নাই বাঘের।। এদের আছে শুধু ঐটাতেই গরম রক্তের মিশ্রণ, দেখেন না ইচ্ছা হইলেই যেকোনো বোনরে ধর্ষন করতেছে।। ছোট আর বড় দেখতাছে না শুধু প্যান্টের ভিতর উঁকি দিয়া দেখতাছে গরম নাঠান্ডা।।আরে বড় বড় দেশে এইগুলান হয়েই থাকে,আমার তো আর বোন নেই যখন মেয়ে হবে তখন ভাববো এইগুলা নিয়ে।। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে এইটা এখন হইছে আমার সন্তান যেন বাঁচে ধর্ষনের হাত থেকে।।বোরকা পরল না কেন ধর্ষন করা হোক,ওড়না উড়ে গেল কেন ধর্ষন করা হোক, শাড়ির নিচে পেট দেখা গেল কেন ধর্ষন করা হোক।। মেনেনিলাম এইগুলা তবে ফ্রগ পরা ঐ মেয়েটির কি অপরাধ যে ক্লাস ২ তে পড়ে, সালোয়ার কামিজ পরা ঐ মেয়েটির কি অপরাধ যে ৯ এ পড়ে।।আরে কাক্কা জামা কাপড়ের দোহাই না দিয়া আন্ডারওয়ারের ভিতর তার কাঁটার ব্যাবস্থা করেন যাতে মুতা ছাড়া আর ঐটা বের না করতে পারে।।এত পতিতালয় থাকতে রাস্তা ঘাটে ঐগুলান করা কি দরকার, পতিতালয়ে তো টাকা লাগে আর ধর্ষনে তো ভিলেন ভিলেন ভাব তার উপর ফ্রি মজা।। এলাকায় নাম ডাক ছড়াবে ওমুকের বড় হোল সারাক্ষন মাটিতে ঝাড় দেয়,কি সুনাম।। তাদের মা বাবা হয়ত গর্ব করেই বলে আমার ছেলে নামকরা ধর্ষক।। কাক্কা কয়দিন পর বাঙালী পুরুষরা ঐ ছেলেকে দেখেই বলবে ঐযে যাচ্ছে আমাদের ভাই, ধর্ষক সমাজেরআসল বাঙালী, আসল পুরুষ।। এর থেইকা বড় পাওয়া আর সম্মান আমাদের বাঙালী ছেলে পুরুষ দের আর নেই।। হে ধর্ষক আমরা গর্বিত তোমাদের জন্য যেমন গর্বিত সাঈদীর মেশিন চালানো নিয়ে,রাজাকারদের ­নিয়ে,বি এস এফ এর গুলি খাওয়া মৃত লাশগুলি নিয়ে, সত্যিই আমরা গর্বিত।।।

০ টি +০/-০