আগে তিনি মানুষ।। তারপর একজন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন, নাস্তিকতা ও ধর্মান্ধ মানুষের অমানবিক রুপ।।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

গতকাল আসিফ ভাইয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাকে অনেক মানুষ ছিনতাইকারীর আক্রমন বলে মন্তব্য করেছেন।।যারা এই দুর্লভ কথাগুলি বলেছেন তারা হয়ত কখনো বোঝেনি যে ছিনতাই কি,ঘরে বসে বসে বইয়ের পাতায় পড়েছে ছিনতাই কি।চোখের রঙিন চশমা পরে সাদা কালো দুনিয়া দেখলে তো এমনই হবে।ছিনতাইকারী আগে চাইবে যদি না দেয়া হয় তবেই তারা হামলা করে।।যাই হোক আমি দোয়া করি যারা ছিনতাইকারীর আক্রমন বলেছেন তাদের কেও যেন এইরুপ ছিনতাইকারী মাথায় হাত বুলায়।। অনেকে খুশি যে একটি নাস্তিক মানুষের সাথে এইরুপ করা হয়েছে বলে।আমি মুসলিম, হয়ত খাঁটি মুসলিম না তবে বিশ্বাস করি আল্লাহ কে।তবু আমি তো ভাবিনি যে আমি খুশি হব। আমার অনেক খারাপ লেগেছে তাহলে এইবার বলেন যে আমি নাস্তিক। ইসলাম আপনার ধর্ম সেটা আপনি পালন করুন।আপনার মাথা ব্যাথা কেন নাস্তিক দের নিয়ে, আপনারে কি ঠিকাদারি করতে দেয়া হয়েছে কারা নাস্তিক এইটা বলার। আপনার ধর্ম আপনি পালন করেন,কুতুব সাজার তো দরকার নাই।। কোন ধর্ম কাউকে বলেনি যে তাদের ধর্ম না মানলে অথবা বিরোধিতা করলে তাকে কুপায়ে মারার চেষ্টা করো।ইসলাম বলেছে জেহাদ ঘোষনা করতে।জেহাদ করতে গেলে অপরপক্ষকে জানাও ময়দানে আসার জন্য,পিঠ পিছে তাকে মারা তো কাপুরুষিকতার সমান।একটি বাঘ তার শিকার কে তাড়িয়ে তারপর ধরে তবুও পিছে আক্রমন করেনা।আসিফ না হয়ে যদি অন্য কেউ হত তবে কি সাহায্যর জন্য কেও ছুটে যেত না।সবাই নাস্তিকতার জন্য তাকে সাহায্য করতে ছুটে যায়নি,সবাই এগিয়ে গেছে একটা মানুষকে সাহায্য করতে।আর আপনারা যারা আনন্দে আটখানা হচ্ছেন তাদের বিবেক কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত সেটা সয়ং আল্লাহ ও হয়ত জানেন না।ধিক্কার জানাই আপনাদের এইরুম মন মানসিকতা দেখে। কাল যেন আপনাদের সাথেও এর চেয়ে জঘন্য আঘাত আসে এটা চাই, যাতে তখন আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারি আমরা নাস্তিকতা বা ধর্মান্ধতায় বিশ্বাসি না,আমরা নিজের ধর্মকে পুঁজি করে মানবতার জন্য প্রতিবাদী হয়ে উঠি, আমরা মানুষের জন্য নিজেদের অহংকারকে ফেলে রেখে ছুটে যাই।। আমি নাস্তিক ও না আমি ধর্মান্ধ ও না, আমি সাধারন মুসলমান ও সাধারন মানুষ। যে খারাপ ভালোর পার্থক্য বোঝে ও মানুষের দুঃসময়েও মানবতার জন্য ছটফট করে। আমার কি স্বার্থ আছে আসিফের কথা ভেবে না ঘুমিয়ে রাত পার করার, কি স্বার্থ আছে তার ব্যাথা অনুভব করার।তবুও করছি কারন সেইটুকু মানবতা আল্লাহ আমাকে দিছে।আমি সেখানে যেয়ে না পারি অন্তত লিখে তার ব্যাথার কিছু ভাগীদার হতে পারি এটাই আমার স্বার্থ।।যদি চোখে পর্দা এখনো না সরে যদি এখনো একগুঁয়ে ধর্মান্ধতা চালিয়ে যান তাহলে এটুকুই বলব আপনি এখনো শিশু যে একটা চিপসের জন্য ঘাড় বেকিয়ে আছেন। বেড়ে উঠুন মানুষের মত, নিজের মতামতে এমন কিছু বলেন না যাতে কোন মানুষ আপনার পাশে না থাকে, এমনকি সয়ং ঈশ্বর ও আপনাকে দূরে ঠেলে দেয়।। নিজের ঐ সংকুচিত মন মানসিকতা নিয়ে আপনি ধর্মান্ধ হতে পারবেন কিন্তু একটি মানুষ হতে পারবেন না।কারন মানুষ হতে গেলে মনুষ্যত্ব লাগে যেটা আপনার নেই।। ঈশ্বর আপনাকে সব দিছে কিন্তু চোখ,কানে পর্দা দিয়েছেন যাতে কিছু না বুঝেন,দুইটি হাত দিয়েছেন কিন্তু পিশাচের মত অমানবিক আচরন করার জন্য।ঐ হাত দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন সবার রহমতের জন্য,ভাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য, ইসলামের জন্য।।কোন অস্ত্র হাতে মানুষকে কুপিয়ে জখম করার জন্য ঐ হাত ব্যাবহার করেন না।নিজের মনকে ডাস্টবিন না বানিয়ে নিজের ধর্মমতে চলুন।দেখবেন আপনি ও একজন মানুষ হয়ে উঠবেন আর ১০টা সাধারন মানুষের ভিড়ে।।।

৭ টি +০/-০