নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল কাপড়টি ....... :|

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

- আচ্ছা, এই লাল কাপড়টি কি না বাঁধলেই নয় ?
- কেন ? এই লাল কাপড়টুকু বাঁধলে তোমার কি কোন সমস্যা ?
- দেখো, ক্যাথরিন, তুমি নিজেও জানো, আমি এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না ।
- হুম, জ্যাক, সেটা আমি জানি । কিন্তু আমার মনের শান্তির জন্যই না হয় শুধুমাত্র একটি কাপড় হিসেবেই না হয় নিজের হাতায় বেধে রাখলে এই লাল কাপড়টুকু ।
- ঠিক আছে তাহলে বেঁধে দাও । তবে হুমমম (মনে মনে একচোট ভেবে নিয়ে) এই লাল কাপড়ের যে একেবারে সুবিধা নেই, তা কিন্তু নয় ।
- মানে ?
- এই ধরো, যুদ্ধক্ষেত্রে যদি আমার মৃত্যু হয়, শত্রুরা যদি বেয়নেট খুঁচিয়ে আমার মুখটাকে থেতলে দেয় অথবা ব্রাশফায়ার করে আমার শরীরটাকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় অথবা কামান দাগিয়ে আমাকে নিশ্চিহ্ন-ও করে দেয়, তখন হয়তো তোমার এই লাল কাপড়টুকু আমাকে সনাক্ত করতে বেশ কাজে দেবে ।

জ্যাকের মুখে এই কথা শোনা মাত্র ক্যাথরিন জ্যাকের মুখ চেপে ধরে । সে এখন অঝোরে কাঁদছে । ফর্সা চিবুক থেকে টপটপ করে চোখের পানির এক একটি ফোঁটা নিচের দিকে পড়ছে । এর মধ্যে জ্যাক হাত বাড়িয়ে একটি ফোঁটা নিজের হাতের মুঠোয় বন্দী করে ।

- এই তো পেয়ে গেছি ।
- (কান্নাজরিত কণ্ঠেই) কি পেয়েছ ?
- আমার সৌভাগ্যের জিনিস ।
- আমি কান্না করলে সেটা তোমার জন্য কি সৌভাগ্য হয় ?
- কি যে বলো না !! তোমার এই দামী মণি-মুক্তা তো কান্নার মাধ্যমেই উন্মুক্ত হয় । আর এর চেয়ে দামী আমার জীবনে তো কিছুই নেই, সেটা কি তুমি জানোনা ?
- থাক, হয়েছে, হয়েছে, আবার কবে ফিরবে ?
- দেখো, ক্যাথরিন, তোমাকে আগেও বলেছি, আবার বলছি, একজন সৈন্য-এর জন্য তার যুদ্ধক্ষেত্রটাই তার বাড়ি, আর তার নিজের বাড়িতে সে একজন অতিথি । আমি এখন আমার বাড়িতে যাচ্ছি । নিজের বাড়ি থেকে আমি তখনই ফিরবো যখন আমি আমার মন ভরাতে পারবো । তোমার চোখের পানি মুছে ফেলো । বরং হাসতে থাকো । কারণ আমার যাওয়া মানেই দেশের স্বাধীনতার পথে এক পা এগিয়ে চলা ।
- আচ্ছা, তুমি যদি না ফেরো, তাহলে এই বাচ্চা......... ?
- আমার এই বাচ্চা হবে নতুন দেশের নতুন নাগরিক । ওর আবার ভয় কিসে ? ওর বাবা কে ছিল, এটা শুধু ওকে একবার বলে দিও ।
- (ক্যাথরিন আবারও কাঁদতে শুরু করে) তাহলে কি এটাই শেষ দেখা ?
- হয়তো আবার হয়তো না । মনে রেখো, বিজয়ের ললাটে হয়তো উজ্জ্বল একটি রেখা হিসেবেই পাওয়া যাবে আমাকে । তবে তোমার প্রতি আমার একটি অনুরোধ আছে রাখবে ?
- (কাঁদতে কাঁদতেই) বলো ।
- আমি যদি না ফিরি, তুমি ব্র্যাড-কে বিয়ে করো । বন্ধু বলে বলছি না, ওর মত মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে । তাছাড়া ও তোমাকে পছন্দও করে । তুমি বললে ও অমত করবে না ।

ক্যাথরিন আর কিছুই বলতে পারে না । সে কেবল অঝোরে কাঁদতে থাকে । আর জ্যাক বেরিয়ে যায় তার অস্ত্র নিয়ে ।

এই গল্পটির শেষ হয়তো একেকজনের কাছে একেকরকম হবে । তবে যেটাই হোক না কেন, পাঠকের মনের অভিপ্রায় মিটলেই লেখার সার্থকতা ফুটে উঠবে । তবে যাই হোক, ক্যাথরিন ও জ্যাকের বাচ্চা হয়েছে, আর তার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রেড, সে এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন একজন নাগরিক ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.